বিষয়বস্তুতে চলুন

সামরিক ব্যক্তি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সামরিক ব্যক্তি বলতে কোনো রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যকে বোঝায়। সামরিক শাখা (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, নৌসেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ড, বিমানবাহিনী, মহাকাশ বাহিনী), পদমর্যাদা এবং পরিচালনা ও কুচকাওয়াজে নিয়োগ করার সময় সামরিক কর্ম—এইসব ভেদে কোনো সামরিক ব্যক্তির ভূমিকা ও দায়িত্ব ভিন্ন।

পরিভাষা

[সম্পাদনা]

সেনাবাহিনী বা তদ্রূপ কোনো বিশাল স্থলবাহিনীর সদস্যকে সৈনিক, সিপাহী বা জোয়ান বলে। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড বা অন্যন্য সামুদ্রিক বাহিনীর সদস্যকে নাবিক বলে। নৌসেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থল ও পানি উভয় স্থানে কর্মরত থাকে। বিমানবাহিনীর সদস্যকে বৈমানিক বলে। সাম্প্রতিকতার দরুন মহাকাশ বাহিনীর সদস্যরা কোনো বিশেষ নামে পরিচিত নয়, তবে মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর সদস্যরা "গার্ডিয়ান" (guardian, আক্ষ.'অভিভাবক') নামে পরিচিত।[]

জনপরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

সামরিক ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ করা হয়, কিংবা সামরিক বাহিনীতে অংশগ্রহণের জন্য বেসামরিকদের আকর্ষিত করে তাদের নিয়োগ করা হয়। সামরিক জীবনের শুরুতে বেশিরভাগ ব্যক্তিই কমবয়সী। যেমন ২০১৩ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে প্রারম্ভিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সৈনিকদের গড় বয়স ২০.৭ বছর।[]

সামরিক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পুরুষ, আর সেখানে নারীর অংশগ্রহণের হার দেশভেদে ভিন্ন। যেমন ভারতীয় বাহিনীতে নারীর অনুপাত ৩%,[] ব্রিটিশ বাহিনীতে ১০%,[] সুইডীয় বাহিনীতে ১৩%,[] মার্কিন বাহিনীতে ১৬%[] ও দক্ষিণ আফ্রিকান বাহিনীতে ২৭%।[] যেসব রাষ্ট্র সামরিক বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ করে তাদের অনেকেই নারীদের সরাসরি যুদ্ধ থেকে নিষিদ্ধ করে।[]

আধিকারিক হিসাবে অংশগ্রহণকারী সামরিক ব্যক্তিগণ সাধারণত ১৮ বছর বয়স থেকে ঊর্ধ্বমুখে (দরিদ্রতর থেকে ধনীতর) সচল হয়।[][] সামরিক বাহিনীতে যোগদান করা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই শৈশবে আর্থ-সামাজিক বঞ্চনা শিকার।[১০][১১][১২]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "United Space Force tweet announcing name by which their personnel shall be known" 
  2. US Army (২০১৩)। "Support Army Recruiting"www.usarec.army.mil। ২০১৮-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১১ 
  3. Franz-Stefan Gady। "India's Military to Allow Women in Combat Roles"The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  4. "UK armed forces biannual diversity statistics: 2017"www.gov.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  5. Försvarsmakten। "Historik"Försvarsmakten (সুইডিশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  6. Engelbrecht, Leon (২৯ জুন ২০১১)। "Fact file: SANDF regular force levels by race & gender: April 30, 2011 | defenceWeb"www.defenceweb.co.za (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  7. Fisher, Max (২০১৩-০১-২৫)। "Map: Which countries allow women in front-line combat roles?"দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  8. Segal, D R; ও অন্যান্য (১৯৯৮)। "The all-volunteer force in the 1970s"। Social Science Quarterly72 (2): 390–411। জেস্টোর 42863796 
  9. Bachman, Jerald G.; Segal, David R.; Freedman-Doan, Peter; O'Malley, Patrick M. (২০০০)। "Who chooses military service? Correlates of propensity and enlistment in the U.S. Armed Forces."। Military Psychology (ইংরেজি ভাষায়)। 12 (1): 1–30। এসটুসিআইডি 143845150ডিওআই:10.1207/s15327876mp1201_1 
  10. Brett, Rachel, and Irma Specht. Young Soldiers: Why They Choose to Fight. Boulder: Lynne Rienner Publishers, 2004. আইএসবিএন ১-৫৮৮২৬-২৬১-৮
  11. "Machel Study 10-Year Strategic Review: Children and conflict in a changing world"UNICEF। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০৮ 
  12. Iversen, Amy C.; Fear, Nicola T.; Simonoff, Emily; Hull, Lisa; Horn, Oded; Greenberg, Neil; Hotopf, Matthew; Rona, Roberto; Wessely, Simon (২০০৭-১২-০১)। "Influence of childhood adversity on health among male UK military personnel"। The British Journal of Psychiatry (ইংরেজি ভাষায়)। 191 (6): 506–511। আইএসএসএন 0007-1250ডিওআই:10.1192/bjp.bp.107.039818অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 18055954 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
  • উইকিমিডিয়া কমন্সে Military people সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।