সাভেহের জামে মসজিদ
সাভেহর জামে মসজিদ | |
---|---|
مسجد جامع ساوه | |
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | জুমার মসজিদ |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | সাভেহ, সাভেহ কাউন্টি, মারকাজি প্রদেশ |
দেশ | ইরান |
ইরানে মসজিদের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | ৩৫°০০′ উত্তর ৫০°২১′ পূর্ব / ৩৫.০০০° উত্তর ৫০.৩৫০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদের স্থাপত্যশৈলী |
স্থাপত্য শৈলী | |
সম্পূর্ণ হয় |
|
বিনির্দেশ | |
অভ্যন্তরীণ | ৪,২০০ বর্গমিটার (৪৫,০০০ বর্গফুট) |
গম্বুজসমূহ | একটি |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ১৬ মিটার (৫২ ফুট) |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) |
মিনার | দুটি (একটি অক্ষত; একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত) |
মিনারের উচ্চতা | ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) |
উপাদানসমূহ | কাঁচামাটি; মাটি; ইট; প্লাস্টার |
সাভেহর জামে মসজিদ (ফার্সি: مسجد جامع ساوه; আরবি: جامع ساوة) একটি জামে মসজিদ, যা ইরানের মারকাজি প্রদেশের সাভেহ কাউন্টির সাভেহ শহরে অবস্থিত। ১২শ শতকে সেলজুক যুগে নির্মিত এই মসজিদটি শহরের প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই নির্মিত হয়েছিল।[১]
এই মসজিদটি ১৯৩২ সালের ৬ জানুয়ারি জাতীয় ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, হস্তশিল্প ও পর্যটন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয়।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মধ্য ইরানের অন্যান্য অনেক স্মৃতিস্তম্ভের মতো সাভেহর জামে মসজিদের মূল কাঠামোটিও ১২শ শতাব্দীর। এর একমাত্র টিকে থাকা মিনারটির নির্মাণকাল ১১১০ ও ১০৬১ খ্রিস্টাব্দ। এর ফেসেডটির অনুপাত ১২শ শতাব্দীর প্রমাণিত অনুপাত পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যদিও কাজটি সম্ভবত ১৬শ শতকের শুরুর দিকে সম্পন্ন হয়েছে।[২] সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, এই মসজিদটি সম্ভবত ১০শ শতাব্দীর আরও পুরনো একটি মসজিদের ভিত্তির ওপর নির্মিত হয়েছে। এখানে পাওয়া একাধিক শিলালিপি ১০শ শতকের বলে চিহ্নিত।[৩]
স্থাপত্য ও নকশা
[সম্পাদনা]সাভেহর জামে মসজিদের মধ্যে একটি সাহন, বারান্দা, একটি মিনার, কয়েকটি রাত্রিকালীন কক্ষ, একটি গম্বুজ এবং দুটি প্রাচীন মিহরাব (যা কুফি লিপিতে খচিত) রয়েছে। সাফাভি যুগের দুটি মিহরাবে সুলুস লিপিতে খচিত শিলালিপি রয়েছে। এছাড়াও কুফি ও সুলুস উভয় লিপিতে খচিত ধর্মীয় শিলালিপিও দেখা যায়। পশ্চিম পাশে রাত্রীকালীন দুই কক্ষের মাঝে একটি উঁচু বারান্দা রয়েছে এবং এর উভয় পাশে কয়েকটি কক্ষ বিদ্যমান।[৪]
মসজিদের একটি আয়তাকার খোলা সাহন রয়েছে, যার পরিমাপ ৩৬ বাই ৪৪ মিটার (১১৮ বাই ১৪৪ ফুট), এবং এটি ইট নির্মিত স্তম্ভ দ্বারা পরিবেষ্টিত। খোলা আঙিনার পশ্চিম পাশে একটি বড় আইওয়ান আছে, যার উচ্চতা ও প্রস্থ প্রায় সমান। গম্বুজটির ব্যাসার্ধ ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) এবং উচ্চতা ১৬ মিটার (৫২ ফুট)। গম্বুজের অভ্যন্তরীণ অংশে টাইলস দ্বারা অলংকরণ করা হয়েছে।[৪]
মসজিদটির দুটি মিনারেট ছিল, তবে বর্তমানে কেবল একটি অক্ষত রয়েছে; এই মিনারেটটির উচ্চতা ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) এবং ব্যাস ৩.৫ মিটার (১১ ফুট)। মিনারেটটি নানা রকমের উঁচু ইট নকশা ও কুফি এবং নাসখি লিপিতে খচিত শিলালিপি দ্বারা শোভিত। এটি এখনও টিকে থাকা সেলজুক আমলের সর্বোত্তম মিনারেট হিসেবে গণ্য করা হয়। মূলত এই মিনারেটটি ৩০ মিটার উঁচু ছিল; এর উপরের অংশ এখন অনুপস্থিত এবং নিচের অংশ সাধারণ ইটের বন্ধনী দ্বারা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।[৫]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Jameh Mosque of Saveh"। Iran Tourism and Touring Organization। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৯।
- ↑ Hill, Derek (১৯৬৫)। Islamic architecture and its decoration, A.D. 800–1500: a photographic survey। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 60। এএসআইএন B0007DKKMI।
- ↑ "Hamshahri Newspaper"। ৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৯।
- ↑ ক খ "Miras Aria: Cultural and Social News Agency"। ২২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৯।
- ↑ Grube, Ernst J.; Dickie, James; Grabar, Oleg; Sims, Eleanor; Lewcock, Ronald; Jones, Dalu; Petherbridge, Gut T. (১৯৭৮)। Michell, George, সম্পাদক। Architecture of the Islamic World। Thames and Hudson। পৃষ্ঠা 256। আইএসবিএন 0-500-27847-4।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা] উইকিমিডিয়া কমন্সে সাভেহের জামে মসজিদ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।