বিষয়বস্তুতে চলুন

সাবাহ সীমান্তে হামলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাবাহ সীমান্তে হামলা
সুলু ও সেলেবস সাগরে জলদস্যুতা, উত্তর বোর্নিও বিরোধমরো সংঘাতের অংশ

১৯ শতাব্দী থেকে বর্তমান পর্যন্ত সাবাহ সীমান্তে সশস্ত্র মরোদের হামলার চিত্র।
তারিখ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬২[১৭] – বর্তমান
(৬২ বছর, ২ মাস, ৩ সপ্তাহ ও ৫ দিন)
অবস্থান
ফলাফল

মূল ভূখণ্ড সাবাহতে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সীমান্তে হামলা এখনো চলমান;

  • "অপারেশন মেরদেকা" নামে সাবাহ দখলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে ব্যর্থ হয়, যা ফার্দিনান্দ মার্কোসের নির্দেশে শুরু হয়েছিল। এর পরই যখন মার্কোসের সেনারা জাবিদাহ গণহত্যা নামে পরিচিত এক ঘটনায় বেশ কয়েকজন মোরো যোদ্ধাকে হত্যা করে তখন দক্ষিণ ফিলিপাইন বিদ্রোহ শুরু হয়।
  • নূর মিসুয়ারিকে ২০০১ সালে আসিয়ান মৈত্রীচুক্তির অধীনে ফিলিপাইনে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সাবাহের একটি দ্বীপে অবৈধভাবে অবস্থানরত অবস্থায় খুঁজে পায় যেখানে তিনি ২০০১ সালে ফিলিপাইনের সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।[১৮][১৯]
  • ২০১২ সালে "সাবাহে অবৈধ অভিবাসী অনুসন্ধানের জন্য রাজকীয় কমিশন" (আরসিআই) গঠন করা হয় যখন সাবাহ ফিলিপাইন থেকে আসা বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের শিকার হয়। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত মিন্দানাও এবং সুলু দ্বীপপুঞ্জ থেকে পালিয়ে এসে সাবাহে আশ্রয় নিয়েছিল।
  • ২০১৩ সালে স্বঘোষিত ফিলিপিনো সুলতান তৃতীয় জামালুল কিরামের অনুসারীদের সাথে "লাহাদ দাতু সংঘর্ষ" চলাকালে মরো যোদ্ধাদের সহযোগিতার অভিযোগে হাজার হাজার ফিলিপিনো অবৈধ অভিবাসীকে সাবাহ থেকে বহিষ্কার করা হয়[২০][২১]
  • ২০১৩ সালে ফিলিপিনো মোরো যোদ্ধাদের পুনঃঅনুপ্রবেশ প্রতিরোধে এবং সাবাহতে অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসীদের ব্যাপক পালিয়ে আসা প্রতিরোধের জন্য ইস্টার্ন সাবাহ সিকিউরিটি কমান্ড (ইএসএসসিওএম) ও ইস্টার্ন সাবাহ সিকিউরিটি জোন (ইএসএসজোন) গঠন করা হয়।[২২][২৩]
  • ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাবাহের পূর্ব জলসীমায় সীমান্তপারের বাণিজ্য ও বদলি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়। কারণ এই সময়ে আবু সায়াফ গোষ্ঠীর আক্রমণ অব্যাহত ছিল।[২৪][২৫][২৬]
  • মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়ার সরকার সুলু দ্বীপপুঞ্জে চলমান আইন-ব্যবস্থার দুর্বলতা মোকাবিলা করার জন্য একযোগে কাজ করার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।[২৭][২৮]
বিবাদমান পক্ষ

 মালয়েশিয়া

 ইন্দোনেশিয়া[]
 ভিয়েতনাম[]
 সিঙ্গাপুর[]
 থাইল্যান্ড[]

সমর্থনকারী

ব্যাংসামোরো সামরিক সমর্থন:
মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট[১০]
মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (মুস সেমার বিদ্রোহী দল)[১১][১২]

সাবেক সমর্থনকারী:
 ফিলিপাইন (১৯৮৬–২০১৬)[১৩]
আবু সায়াফ (১৯৯১–২০২৪)

ফিলিপাইন (১৯৮৬ পর্যন্ত; ২০১৬–বর্তমান)
মরো বিদ্রোহী (১৯৬৩–বর্তমান)
সুলুর সালতানাত ( তৃতীয় জামালুল কিরামের বিদ্রোহী দল) ( ২০১৩–বর্তমান)

সাবাহে হামলার সাবেক সমর্থনকারী:
মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (মিসয়ারি বিদ্রোহী দল) (২০০১–২০১৫)[১৪][১৫][১৬]

সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী

আনোয়ার ইব্রাহিম
(মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী)
মোহাম্মদ খালেদ নুরদীন
(প্রতিরক্ষা মন্ত্রী)
হাজিজি নুর
(সাবাহের প্রধানমন্ত্রী)
প্রাবোয়ো সুবিইয়ান্তো (ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি)
মুরাদ ইব্রাহিম[২৯]
মুহাজের ইকবাল[১০]
মুসলিমিন সেমা[৩০]
'সাবেক নেতা

রাদুলান সাহিরন (আবু সায়াফের বর্তমান আমির)
আব্দুরাজাক জানজালানি  
কাদাফি জালজালানি  
ইসনিলন টোটোনি হাপিলন  

বংবং মার্কোস
(ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট)[৩৬]
ফুদজাল কিরাম[৩৭]
(সুলু সালতানাতের রাজা মুদা)
কিছু জলদস্যু নেতা
তৃতীয় জামালুল কিরাম #
আজবিমুদ্দীন কিরাম #
দ্বিতীয় ইসমাইল কিরাম[৩৭] #
সাবেক সমর্থনকারী:
দিসদাদো ম্যাকাপাগাল #[৩৮]
ফার্দিনান্দ মার্কোস #[৩৯]
রন্দ্রিগো দুর্তে
নুর মিসয়ারি (২০০১–২০১৫)[১৪][১৫][১৬][৪০][৪১]
জড়িত ইউনিট

বিশেষ বাহিনী:
মালয়েশীয় সশস্ত্র বাহিনী
মালয়েশিয়া রাজকীয় পুলিশ
মালয়েশীয় নৌবাহিনী

ইন্দোনেশীয় জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী
ইন্দোনেশীয় জাতীয় পুলিশ

সাবেক সমর্থক:
ফিলিপাইন সশস্ত্র বাহিনী
ফিলিপাইন জাতীয় পুলিশ
আবু সায়াফ

মোরো জলদস্যু

সুলু সালতানাত এবং উত্তর বোর্নিওয়ের রাজকীয় নিরাপত্তা বাহিনী
শক্তি
মালয়েশীয় নিরাপত্তা বাহিনী:
ব্রিটিশ জোট
(১৯৬৬ পর্যন্ত)
  • অস্ট্রেলীয় বাহিনী
      • এইচএমএএস তবরুক[৪২]
      • এইচএমএএস সিডনি
  • নিউজিল্যান্ড বাহিনী
      • টহলদার নৌযান[৪৩]
  • ব্রিটিশ বাহিনী
      • সহস্রাধিক ব্রিটিশ সৈন্য

ফিলিপিনো নিরাপত্তা বাহিনী:
অজ্ঞাত
ইন্দোনেশীয় নিরাপত্তা বাহিনী:
অজ্ঞাত আইন মান্যকারী মরো বিদ্রোহী:

অজ্ঞাত
আবু সাায়ফ: অজ্ঞাত'

কিরামের অনুসারী:

  • ২৩৫[৪৬]
    মরো বিদ্রোহী/জলদস্যু: অজ্ঞাত
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
মালয়েশীয় নিরাপত্তা বাহিনী:
ব্রিটিশ জোট
( ১৯৬৬ পর্যন্ত)
  • অজ্ঞাত

ফিলিপাইন নিরাপত্তা বাহিনী:

ইন্দোনেশীয় নিরাপত্তা বাহিনী:

  • অজ্ঞাত

আইন মান্যকারী মরো বিদ্রোহী:

আবু সায়ফ:


জামালুল কিরাম অনুসারী:

~ "হিসাবে মোট যা দেখানো হয়েছে, তার চেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হয়"

সাবাহ সীমান্তে হামলা বলতে মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যে ফিলিপাইনের মিন্দানাওয়ের মরো বিদ্রোহীদের দ্বারা একের পর এক সংঘটিত একটি সীমান্ত সন্ত্রাসী হামলার ধারাবাহিকতাকে বোঝানো হয়। হামলার এই ধারাবাহিকতা ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ আমলের আগে থেকে শুরু হয়েছিল এবং কম পরিসরে তা আজ অবধি চলমান।[৬৩] স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব হামলায় অনেক বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যার ফলে সাবাহের স্থানীয় জনগণের মধ্যে ফিলিপিনো-বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে; বিশেষ করে ১৯৮৫, ২০০০২০১৩ সালে লাগাতার সংঘটিত কয়েকটি বড় ধরনের হামলার পর। [৬৪] দিওসদাদো মাকাপাগাল এবং ফের্দিনান্দ মার্কোসের রাষ্ট্রপতিত্বের সময় মরোদের আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছিল। কারণ উভয় পূর্ব সাবাহকে ফিলিপিনো ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার মতো মরোদের দাম্ভিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে রসদ জুগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সশস্ত্র মরো যোদ্ধাদের অনুপ্রবেশ ও আক্রমণের পাশাপাশি মিন্দানাও থেকে সাবাহে ক্রমবর্ধমান অনিয়ন্ত্রিত মানব অভিবাসনের ফলে সাবাহ রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আরও অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কারাগারের প্রায় ৭৮% বন্দী–যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও আইন শৃঙ্খলাভঙ্গের সাথে জড়িত– মূলত দক্ষিণ ফিলিপাইন থেকে এসেছে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে।[৬৫]

২০১৬ সালের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণ ফিলিপাইনে চলমান ব্যাপক বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতার্তে কর্তৃক শুরু করা একটি বৃহৎ সামরিক অভিযানের আগে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীকে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং বিদ্রোহীরা যাতে জনবসতিহীন এলাকায় পালিয়ে গিয়ে বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা না করে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।[৬৬][৬৭][৬৮] সাবাহান নেতারা মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা দেন যে, বারবার সতর্ক করার পরও আইন অমান্য করে অনুপ্রবেশকারী যে কোনো ব্যক্তিকে যেন দেখামাত্র গুলি করা হয় [৬৯] এবং বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত যে সকল অবৈধ অভিবাসী পালিয়ে যাচ্ছে/ যাবে তাদের দেশের আইন দ্বারা আরও কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করার আদেশ দেওয়া হয়।[৭০] ২০১৭ সালের ২৩ মে থেকে প্রতিবেশী ফিলিপাইনে সামরিক আইন ঘোষণার পর, মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের সীমান্ত নিরাপত্তা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি করে।[৭১] সাবাহের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শাফি আফজাল মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রতিরক্ষামূলক মনোভাব না দেখিয়ে দক্ষিণ ফিলিপাইন থেকে আগমনকারী অপরাধী ও অবৈধ অভিবাসীদের মাধ্যমে সংঘটিত ব্যাপক অপরাধের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক আচরণ করার আহ্বান জানান। কারণ তারা রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করছিল। [৭২]

অস্ট্রেলিয়া,[৭৩] কানাডা,[৭৪] চীন, ফ্রান্স,[৭৫] জার্মানি,[৭৬] হংকং[৭৭] আয়ারল্যান্ড,[৭৮] জাপান,[৭৯] নিউজিল্যান্ড,[৮০] সিঙ্গাপুর,[৮১] দক্ষিণ কোরিয়া,[৮২] সুইজারল্যান্ড,[৮৩] তাইওয়ান,[৮৪] যুক্তরাজ্য,[৮৫] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[৮৬]ভিয়েতনামসহ[৮৭] বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল তাদের নাগরিকদের সাবাহ রাজ্যে বিশেষ করে পূর্ব সাবাহ এড়িয়ে চলার জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।

পটভূমি

[সম্পাদনা]

বলা হয় যে, জলদস্যুতা সুলু সালতানাতের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।[৮৮][৮৯] ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডিডোর অভিযানের সময় এটির ক্যাপ্টেন হেনরি কেপেল মন্তব্য করেছিলেন:

সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর, সাহসী এবং সক্রিয় জলদস্যু হলো সুলু দ্বীপপুঞ্জের উপজাতিরা যারা বোর্নিওর উত্তর উপকূলের কাছাকাছি বাস করে।"[১৭]

— ক্যাপ্টেন হেনরি কেপেল

সুলু দ্বীপপুঞ্জ একটি বড় দাস বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই দ্বীপের অধিবাসীরা প্রায়ই বোর্নিও দ্বীপে আক্রমণ চালিয়ে দাস সংগ্রহ করে নিজেদের বাজারে বিক্রি করত। ১৯১০ সালে সেলিবেস দ্বীপপুঞ্জে সাত জন মরো জলদস্যু মিনদানাও থেকে এসে আক্রমণ করে এবং দুইজন বিদেশী ওলন্দাহ ব্যবসায়ীকে হত্যা করে। মরো জলদস্যুদের হাতে এটাই প্রথম বিদেশী হত্যা ছিল বলে ধারণা করা হয়। [৬৩][৯০]

পরবর্তী সময়ের ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র উত্তর বোর্নিও সম্পর্কে প্রতিবেদন করে যে, জোলোয়ানো মরো জলদস্যুরা উত্তর বোর্নিওর জনসাধারণের ওপর আক্রমণ চালিয়ে লুটপাট করত এবং অনেক মানুষ হত্যা করত। যদিও ব্রিটিশরা জলদস্যুতা দমনে ব্যবস্থা নিয়েছিল; তবুও ১৯৫৮ সালের জুলাই মাসে ১২ জন মরো জলদস্যু কালাবাকানে একটি ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কোম্পানির অফিস লুট করে। তবে এতে হত্যা বা বন্দী করার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। একইভাবে ১৯৫৪ সালের ২৯ মার্চ কাছের শহর সেম্পোর্নায় আরেকটি ভয়াবহ জলদস্যু আক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। [৬৩][৯১][৯২]

ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের শেষ সময়ের দিকে তাউই-তাউই দ্বীপভিত্তিক জলদস্যুরা বিভিন্ন উপকূলীয় গ্রাম ও সমুদ্রপথে আক্রমণ আরও বৃদ্ধি করে। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ উত্তর বোর্নিওতে ২৩২টি জলদস্যু হামলার তথ্য নথিভুক্ত করেছিল। তবে মনে করা হয় যে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি ছিল। কারণ অনেক হামলার কোনো প্রতিনেদনই করা হয়নি।

তখন উত্তর বোর্নিওর গভর্নর রোল্যান্ড টার্নবুল দস্যুতা দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে রাজকীয় নৌবাহিনী ও রাজকীয় বিমান বাহিনীর সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেন। কিন্তু ব্রিটেন প্রথমে কোনো সহায়তা পাঠায়নি। পরবর্তীতে দৈনিক টেলিগ্রাফ পত্রিকা এই ঘটনাকে ইন্দোনেশিয়াবিরোধী মনোভাবের সঙ্গে তুলনা করলে বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয়ে সামন্য কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যদিও এতে জলদস্যুদের হামলা ও লুটপাট হ্রাস পায়নি।[৯২]

সাবাহে মোরো অভিবাসন

[সম্পাদনা]

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভ্যন্তরে আঞ্চলিক অভিবাসন নতুন কোনো ঘটনা নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মালয়েশিয়ার সাবাহ অঞ্চল, ফিলিপাইনের মিন্দানাওইন্দোনেশিয়ার উত্তর কালিমান্তান প্রদেশের মানুষের মধ্যে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নির্বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মরো অধ্যুষিত ফিলিপাইনের সুলু দ্বীপপুঞ্জ থেকে মালয়েশিয়ার সাবাহ অঞ্চলে মানুষের সীমান্ত অতিক্রমের ঐতিহ্য ১৬শ শতকের শেষের দিকে শুরু হয়।

এই অভিবাসনের প্রথম ঢেউ ঔপনিবেশিক স্পেনীয় আমলে শুরু হয়। স্পেনীয় আগ্রাসন চলাকালীন যখন তাদের বাহিনী ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে দক্ষিণে অগ্রসর হতে থাকে এবং সুলু ও তাউই-তাউই দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করে, তখন সেখানে বসবাসকারী স্থানীয় জনগণ—বিশেষ করে মরো জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত সুলুক ও বাজাউ জনগোষ্ঠী—উত্তর বোর্নিও (বর্তমান সাবাহ) অঞ্চলে স্থানান্তরিত হতে থাকে। মিন্দানাওতে স্পেনীয়দের সাথে স্থানীয় মরো মুসলিম সম্প্রদায়ের সংঘাত এবং আধিপত্যের লড়াই এই অভিবাসনকে আরও ত্বরান্বিত ও বেগবান করে।[৯৩]

কোটা কিনাবালুর কাছে গয়া দ্বীপের উপকূলে অবস্থিত একটি বিশাল মরো বসতি।

১৯৬০-এর দশকে সাবাহে অবৈধ অভিবাসীদের প্রথম আগমনের সাথে তৎকালীন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস এবং উত্তর বোর্নিও অঞ্চলের উপর ফিলিপিনো মালিকানা দাবির সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়।[৯৩] তখন ফিলিপাইন উত্তর বোর্নিওকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে তা দখল করার পরিকল্পনা করে। ফিলিপাইনের গণমাধ্যম দাবি করে যে, নিজের সেই পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে মার্কোস প্রায় ১৭ জন ফিলিপিনো লোককে সাবাহে পাঠিয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই সুলু ও তাউই-তাউই দ্বীপের বাসিন্দা ছিলেন এবং তারা বন রক্ষী, ডাকপিয়ন এবং পুলিশ পরিচয়ে সাবাহে প্রবেশ করেছিল। এই এজেন্টরা সাবাহের স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে মিশে যায় এবং পূর্ব সাবাহে বসবাসকারী বৃহত্তর ফিলিপিনো সম্প্রদায়কে উস্কে দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করে মালয়েশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফিলিপাইনের অংশ করানোর পরিকল্পনা করে। এই লক্ষ্যে তারা সাবাহের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করতে থাকে।

সেই সময়ে সুলুক বংশোদ্ভূত মুস্তাফা হারুন সাবাহের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন তিনি একজন ফিলিপিনো গুপ্তচরের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করেন বলে ধারণা করা হয়। সে গুপ্তচর তার ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। তবে যখন তারা মার্কোসের আসল লক্ষ্য বুঝতে পারে, তাদের অধিকাংশই সাবাহে নিজেদের সহ-মুসলিম ভাইদের উপর আক্রমণ করার ইচ্ছা পরিত্যাগ করে। কারণ তারা একটি বৃহৎ মুসলিম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মার্কোসের পরিকল্পনায় সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু মার্কোসের সাবাহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্য জানতে পেরে তারা তার পরিকল্পনার অংশ হতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে পরবর্তীতে মার্কোসের কমান্ডো সৈন্যরা জাবিদাহ গণহত্যা নামে পরিচিত একটি ঘটনায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়।[৯৪][৯৫] ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নিজের মেয়াদের সময় মুস্তাফা অনেক নতুন ফিলিপিনো তাউসুগকে উত্তর বোর্নিওতে অভিবাসিত হতে উৎসাহিত করেন বলে ধারণা করা হয়। এতে তার উদ্দেশ্য ছিল যেন একটি শক্তিশালী মুসলিম সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করা যায়, যার সম্মিলিত প্রতিনিধিত্ব সম্মিলিত সাবাহ জাতীয় সংস্থা (ইউএসএনও) করবে।[৯৩] এ কথাও প্রচলিত রয়েছে যে, ফিলিপাইনে মরো বিদ্রোহ শুরু হওয়ার সাথে সাথে গণহত্যার পর থেকে[৯৬] মোস্তফা মরো বিদ্রোহীদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে এবং এতে নিহত তাদের সহযোদ্ধাদের প্রতিশোধ নেওয়ার তাদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তা সরবরাহ করেছিলেন। যদিও বিদ্রোহীরা একটি পরিপূর্ণ জাতীয় সামরিক বাহিনীর মোকাবেলায় বিদ্রোহে সফল হতে পারেনি।[৯৭]

তারপর থেকেই এটি সাবাহে বড় অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করে। কারণ মার্কোস সৈন্যরা সুলু এবং মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জে মার্কোস-বিরোধী সকল দলকে নির্মূল করার জন্য একটি বড় অভিযান শুরু করে। যার ফলে সেখানকার অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায় এবং মিন্দানাও থেকে আনুমানিক আরো ১,০০,০০০ মরো বিদ্রোহী সাবাহে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।[৯৮] ফিলিপাইন থেকে পালিয়ে আসা এই সকল মরোদের অধিকাংশই তখন অর্থ ও কর্মের অভাবে সাবাহ রাজ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত পড়ে; যার মধ্যে প্রধানত চোরাচালান ও সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা উল্লেখযোগ্য ছিল। বর্তমানও সাবাহের অনেক জায়গা; যেমন: কোটা কিনাবালু, কিনারুট, লাহাদ দাতু, সান্দাকান, সেম্পর্না, তাওয়াউ, তেলিপোক ও লাবুয়ানে বিপুল সংখ্যক মরো বাস করে এবং স্থানীয় অপরাধে তাদের একটি বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। [৯৯][১০০][১০১][১০২] মাহাথির বিন মোহাম্মদের শাসনের সময় অধিকাংশ ফিলিপিনো শরণার্থীকে মালয়েশিয়া সরকার আইএম এম১৩ নামে একটি বিশেষ নথি প্রদান করে,[১০৩] যার মাধ্যমে তাদের অনেকে বিতর্কিতভাবে নাগরিকত্ব পান এবং তা নিয়ে মাহাথির সরকারের ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়।[১০১][১০৪]

এছাড়াও মিন্দানাওসাবাহ রাজ্যের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক বৈষম্যই এসব অবৈধ মরো অভিবাসীদের সাবাহে প্রবেশের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বর্তমানও কিছু চরমপন্থী মরো তাদের নিজস্ব মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সাবাহের পূর্ব অংশকে ফিলিপাইনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং সে হিসেবে তারা নিজেদের অবাধে সাবাহে প্রবেশের অধিকারী বলে মনে করে। কারণ তারা মনে করে যে, এটি তাদের ঐতিহাসিক অধিকার। তারা সাবাহকে আজও সুলর সালতানাতের অংশ হিসেবে গণ্য করে। যদিও সুলুর সালতানাত তার শেষ স্বীকৃত সুলতান দ্বিতীয় জামালুল কিরামের পর থেকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্যে তার কোনো পুত্র সন্তান ছিল না। [১০৫][১০৬]

তবে ফিলিপিনো অভিবাসীদের প্রতি এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মালয়েশিয়া সরকারের দক্ষিণ ফিলিপাইনে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে। কারণ ফিলিপাইনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালানো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মালয়েশীয় বংশোদ্ভূত ছিল বলে জানা গেছে, যা এসব হামলায় মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যদিও মালয়েশিয়া সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। যে সকল ফিলিপিনো মরো সংঘাতের কারণে ফিলিপাইন থেকে পালিয়ে সাবাহে আশ্রয় নিয়েছিল, তারা মূলত মরো সংঘাতের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল; তাছাড়া সাবাহে প্রবেশে তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু এই সংঘাত শুধু ফিলিপাইনের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না—বরং গোপনে মালয়েশিয়া এতে সমর্থন দেয় বলে অভিযোগও করা হয়। মালয়েশিয়ার এই রাজনৈতিক কূট-কৌশলের মূল উদ্দেশ্য ছিল সুলু সুলতানাতের সাবাহ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করা। কারণ সুলু সুলতানাত এক সময় সাবাহকে শাসন করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মালয়েশিয়া ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।[১০৭]

২০১৪ সালের দিকে পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ডের (ইএসএসসিওএম) নিরাপত্তা সমন্বয়ক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা হাসিম জাস্তিন দুর্নীতি, অবৈধ পরিচয়পত্র প্রদান ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বস্তি এলাকায় কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়াকে সাবাহে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেন।[১০৮]

এছাড়াও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, সাবাহর পূর্ব উপকূলের কিছু সম্প্রদায়ের নেতা; বিশেষ করে গ্রামের প্রধানরা নতুন করে আগমনকারী ফিলিপিনো মোরো অভিবাসীদের অবৈধভাবে পরিচয়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয় যে, তাদের সাথে মরো অভিবাসীদের জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে, যা তাদের এই কাজে প্রলুব্ধ করেছে অথবা এতে তাদের আর্থিক স্বার্থ জড়িত ছিল।[১০৯]

তবে দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিন্দানাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্থানীয় দুই গবেষক মাইফেল জোসেফ পালুগা ও আন্দ্রেয়া মালায়া রাগরাজিও এক গবেষণায় উল্লেখ করেন যে, সাবাহে মিন্দানাও থেকে মরো অভিবাসীদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ আংশিকভাবে সাবাহের কিছু রাজনীতিবিদের কারণেও উৎসাহিত হয়েছিল। বিশেষ করে সাবাহের মুসলিম-নেতৃত্বাধীন দল ইউএসএনও ও সাবাহ পিপলস ইউনাইটেড ফ্রন্ট (বার্জায়া)-এর শাসন পতনের পর কিছু রাজনীতিবিদ নিজেকে নতুন করে সুলুর সুলতান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, যা অভিবাসন প্রবাহকে আরও বাড়িয়ে দেয়।[১১০]

এছাড়াও ইন্দোনেশীয় শ্রমিকরা অভিযোগ করেন যে, ফিলিপাইনের অবৈধ অভিবাসীদের আগমনের একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন নিয়োগকর্তা, যারা বিশেষ করে স্থানীয় কৃষি খাত এবং পাম তেলের বাগানগুলিতে নিযুক্ত ছিল। কারণ এই নিয়োগকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অভিবাসীদের কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি করেন, যা অবৈধ অভিবাসনকে আরও উৎসাহিত করে।[১১১]

আক্রমণের সময়রেখা

[সম্পাদনা]

আক্রমণ কৌশল

[সম্পাদনা]

তাদের আক্রমণের কৌশল ভিন্ন ভিন্ন হতো এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে নির্ণয় করা যায়। সাধারণত মরো জলদস্যু ও যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে মালয়েশিয়া-ফিলিপাইন সীমান্ত অথবা কাছের কোনো দ্বীপে পালিয়ে যেত, বিশেষ করে যখন মালয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কার্যকলাপ শনাক্ত করতে সক্ষম হতো। এসব জলদস্যু ও সশস্ত্র গোষ্ঠী সাধারণত নৌকার ইঞ্জিন, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস চুরি করে, যা পরে বিক্রি করা যায়।[১১২]

কিছু ক্ষেত্রে তারা শহরগুলিতেও হামলা চালাতো এবং নিরীহ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করত বা অপহরণ করে নিয়ে যেতো; যেমনটি লাহাদ দাতু ও সেম্পোর্না হামলায় দেখা যায়। অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসীরা এসব হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। কারণ তারা পরবর্তী লক্ষ্য সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে তাদের সাহায্য করত, যার প্রমাণ বিভিন্ন হামলায় পাওয়া গেছে।

পরবর্তীতে মালয়েশীয় সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা টহল বৃদ্ধি পাওয়ায় আবু সায়াফের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। এখন তারা বিশেষত বিদেশি জাহাজের ক্রুদের ওপর আক্রমণ করে তাদের অপহরণ করে থাকে। দক্ষিণ ফিলিপাইনে ফিলিপাইন সামরিক বাহিনীর অভিযানের ফলে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী পালিয়ে গিয়ে সাবাহতে প্রবেশের জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে। তবে তারা বড় বড় দলে না এসে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সাবাহে প্রবেশ করে, যাতে তারা মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহ এড়িয়ে চলতে পারে।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে, আশেপাশে সামরিক অভিযান চলার পরপরই অনেক সন্দেহভাজন নতুন মানুষকে সমুদ্রপথে গ্রামে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ধারণা করা হয়, এদের অনেকেই হামলাকারী ও অপহরণকারী গোষ্ঠীর সদস্য।[১১৩]

বিংশ শতাব্দী

[সম্পাদনা]
১৯৬৪ সালে মালয়েশিয়ায় তাদের প্রতিরক্ষা সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইন্দোনেশীয় সংঘর্ষ এবং ফিলিপিনো জলদস্যুদের সম্ভাব্য আক্রমণ মোকাবেলা করার জন্য উত্তর বোর্নিও (সাবাহ) পৌঁছানোর পর অস্ট্রেলীয় সৈন্যদের বহনকারী এইচএমএএস সিডনি জাহাজ থেকে একটি ছোট নৌযানে করে নেওয়া হচ্ছে।

১৯৬২ সালে সাতজন ফিলিপিনো মরো হাতে ছুরি, দা ও কুঠার নিয়ে কুনাক শহরে হামলা চালিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের লুট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরের বছর ১৯৬৩ সালে তারা পুনরায় সেম্পোর্না শহরে হামলা চালিয়ে কয়েকজন বাসিন্দাকে হত্যা করে এবং বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করে জিম্মি হিসেবে মুক্তিপণ দাবি করে।[১১৪]

১৯৭৯ সালের অক্টোবরে লাহাদ দাতু থেকে সেম্পর্নায় যাওয়ার পথে ৪৮ জন যাত্রীবাহী একটি নৌকায় হঠাৎ হামলা চালানো হয় এবং সেটিকে আদাল দ্বীপে নোঙর করতে বাধ্য করা হয়। এরপর তিনজন যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং বাকি যাত্রীদের নিয়ে নৌকা ফিলিপাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত তাদের উদ্ধার করে। হামলায় আটককৃত একজন মহিলাকেও গণধর্ষণ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

১৯৮০ সালে ৬–৮ জনের একটি মরোর দল এম১৬ রাইফেল নিয়ে সেম্পোর্নার কাছাকাছি একটি ছোট দ্বীপে হামলা চালায় এবং ঘুমন্ত গ্রামবাসীদের হত্যা করে। এতে সাতজন গ্রামবাসী নিহত হয় এবং ১১ জন আহত হয়।

১৯৮২ সালে মরোদের একটি দল তিম্বা-তিম্বা দ্বীপের একটি গ্রামে হামলা চালায়; সেখানে নির্বিচারে গুলি চালায়; ধনসম্পদ লুটপাট করে এবং শেষে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হত্যা করে ফেরত চলে যায়।

১৯৮৫ সালে সংঘটিত মরো হামলাটি সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বিবেচিত হয়, যেখানে ২১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়। হামলার পর মালয়েশীয় সামুদ্রিক পুলিশ পাঁচ আক্রমণকারীকে হত্যা করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর এক ভুক্তভোগী বলেন,

আমি নিজেদের স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে অধিক চিন্তিত যে, তারা আমাদের এই সকল লুণ্ঠনকারীর হাত থেকে আমাদের কেন রক্ষা করতে পারছে না।[১১৫]

১৯৮৭ সালে ১২ জন বন্দুকধারী বোহেইদুলাং দ্বীপের একটি কারখানায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে দুই জাপানি ব্যবস্থাপককে হত্যা করে এবং কয়েকজনকে আহত করে পালিয়ে যায়। এর ফলে নিরাপত্তা বিবেচনায় কোম্পানিটি তাদের কারখানা ইন্দোনেশিয়ায় স্থানান্তর করে।

১৯৯৬ সালে মিন্দানাও থেকে দুটি আলাদা সশস্ত্র দল সেম্পোর্না শহরে হামলা চালায়। তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে প্রথম দলটি একটি পুলিশ স্টেশনে মাছের বোমা নিক্ষেপ করে এবং দ্বিতীয় দলটি একটি স্বর্ণের দোকান থেকে প্রায় ১,০০,০০০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত সমমূল্যের গহনা লুট করে পালিয়ে যায়। হামলার পরে পুলিশের সাথে গোলাগুলির সময় দুইজন হামলাকারী ধরা পড়ে এবং তাদের থেকে ২০০টি গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে ১০-২০ জনের অপর একটি মরো দল সেম্পোর্নার তিনটি আলাদা স্থানে একযোগে হামলা চালায়। প্রথম দলটি একটি পুলিশ সদর দপ্তরে আক্রমণ করে তাদেী সেখানে ব্যস্ত রাখে; দ্বিতীয় দলটি একটি কাছের পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় এবং তৃতীয় একটি দল হামলার সুযোগে একটি স্বর্ণের দোকান লুট করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। এই ঘটনার পর কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এবং মরো হামলাকারীরা প্রায় ২০০,০০০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত নিয়ে পালিয়ে যায় বলে দোকানদার দাবি করেন।

১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে চারজন মরো সশস্ত্র ব্যক্তি তাউইয়ের একটি স্বর্ণের দোকানে হামলা চালিয়ে ১৫০,০০০ রিঙ্গিত মূল্যের গহনা লুট করে। তবে এক বন্দুকধারী ভুল করে তাউইয়ের একটি শরণার্থী গ্রামে ঢুকে গেলে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এক ঘণ্টার অভিযানের পরে পুলিশের অভিযানে আরও পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়।

একবিংশ শতাব্দী

[সম্পাদনা]

২০০০ সালের দিকে সশস্ত্র জিহাদি গোষ্ঠী আবু সায়াফ একাধিক হামলায় বিপুল সংখ্যক জিম্মিকে অপহরণ করে। জিম্মিদের মধ্যে ১০ জন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের এবং ১১ জন মালয়েশীয় রেস্তোরা কর্মী ছিলেন। পরে ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী সুলু দীপপুঞ্জের জলো অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে সমস্ত জিম্মিকে উদ্ধার করে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।[১১৬]

২০০৩ সালে ১০ জন মরো জলদস্যুর একটি দল ছয় জন বিদেশীকে অপহরণ করে। পরে তাদের মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত নেওয়া হয়। ২০০৪ সালে আবু সায়াফ গোষ্ঠীর কিছু সদস্য দুইজন সারাওয়াকীয় ও একজন ইন্দোনেশীয়কে অপহরণ করে। ২০০৫ সালে পাঁচজন ফিলিপিনো মরো সেম্পোর্নার মাতাকিং দ্বীপের কাছে সান্দাকান-ভিত্তিক একটি ট্রেডিং কোম্পানির তিনজন ইন্দোনেশীয় ক্রুকে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ফেরত দেয়।

২০১০ সালে বোয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে ফিলিপাইনের জলসীমায় একটি নৌকা ঢুকে পড়লে ফিলিপিনো বন্দুকধারীরা জেলেদের সেই দলকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায়। তবে পরে কোনও মুক্তিপণ ছাড়াই সমস্ত ক্রুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই বছর সেবাংকত দ্বীপে চারজন সশস্ত্র ফিলিপিনো একজন সামুদ্রিক শৈবাল ব্যবস্থাপক এবং তত্ত্বাবধায়ককে অপহরণ করে। ১১ মাস পর উভয় ভুক্তভোগীকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১১ সালে দশজন সশস্ত্র ফিলিপিনো একজন মালয়েশীয় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে।

২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী প্রায় ১০০-২০০ জনের একটি দল মিন্দানাওয়ের তাউই-তাউইয়ের সিমুনুল থেকে সাবাহের লাহাদ দাতুতে নৌকায় করে পৌঁছায়, যাদের মধ্যে কিছু সশস্ত্র ব্যক্তিও ছিল।[১১৭] তাদের পাঠিয়েছিলেন সুলু সালতানাতের সিংহাসনের অন্যতম দাবিদার তৃতীয় জামালুল কিরাম। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর বোর্নিওতে তাদের অমীমাংসিত আঞ্চলিক দাবি জাহির করা। এই সংঘর্ষের সময় ৫৬ জন হামলাকারী নিহত হয় এবং তাদের সাথে ৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও ১০ জন মালয়েশীয় সেনাও নিহত হয়।[১১৮][১১৯][১২০] ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে সন্দেহভাজন আবু সায়াফের সদস্যরা পম পম দ্বীপে একজন তাইওয়ানি নাগরিককে হত্যা করে এবং তার স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার এক মাস পর দক্ষিণ ফিলিপাইনে তার স্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়।[১২১]

২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে সাবাহ সীমান্তে বিদেশী উপাদান অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক প্রতিহত করা হয়। [১২২] ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল সেম্পোর্নার সিঙ্গামাটা অ্যাডভেঞ্চার্স রিফ অ্যান্ড রিসোর্ট থেকে একজন চীনা পর্যটক এবং একজন ফিলিপিনো নাগরিককে অপহরণ করা হয়। এর দুই মাস পর মালয়েশীয় ও ফিলিপিনো নিরাপত্তা বাহিনী সম্মিলিতভাবে তাদের উদ্ধার করে। ২০১৪ সালের ৬ মে সাবাহের লাহাদ দাতু এলাকার কাছে সিলামে একজন চীনা নাগরিককে অপহরণের আরেকটি ঘটনা ঘটে।[১২১] পরে ১০ জুলাই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।[১২৩] ১৬ জুন কুনাক থেকে একজন মৎস্য প্রজননকারী ও একজন ফিলিপিনো কর্মীকে অপহরণ করা হয়।[১২৪][১২৫]

১০ ডিসেম্বর দুই ফিলিপিনো আলোচকের সহায়তায় মাছের খামার ব্যবস্থাপককে মুক্তি দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে একজন মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ছিলেন।[১২৪] ১২ জুলাই মাবুল দ্বীপের মাবুল ওয়াটার বাংলো রিসোর্টে একজন পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং আরেকজন নৌ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করা হয়।[১২৬][১২৭] ৯ মাস বন্দী থাকার পর ২০১৫ সালের ৭ মার্চ সে পুলিশ সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়।[১২৮] ৯ অক্টোবর পেনামপাঙে মালয় পুলিশ দুই ফিলিপিনো অবৈধ অভিবাসীকে হত্যা করে, যাদের সুলু যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সন্দেহভাজন উভয়েরই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রয়েছে এবং তারা এলাকায় কমপক্ষে তিনটি ডাকাতির জন্য দায়ী ছিল। এই বছরের ১৭ অক্টোবর একজন মালয় মালিকের কাছে কাজ করা দুই ভিয়েতনামী জেলেকে ফিলিপিনো জলদস্যুরা গুলি করে আহত করে। পরে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সকলকে উদ্ধার করে কোটা কিনাবালুর কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে প্রেরণ করে।[১২৯][১৩০]

২০১৫ সালের ১৫ মে মিন্দানাওতে সশস্ত্র আবু সায়াফ গোষ্ঠীর চারজন সদস্য সান্দাকানের একটি রিসোর্ট থেকে দুইজনকে অপহরণ করে এবং তাদের সুলুর পারাঙে নিয়ে যায়।[১৩১][১৩২] তাদের মধ্যে একজনকে ছয় মাস বন্দী থাকার পর ৯ নভেম্বর মুক্তি দেওয়া হয়[১৩৩] এবং মুক্তিপণের দাবি পূরণ না হওয়ায় অন্য একজনের শিরশ্ছেদ করা হয়।[১৩৪][১৩৫] মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করেছিল যে, সাবাহে বেশ কয়েকটি অপহরণের ঘটনা মুক্তাদিল ভাই নামে পরিচিত ফিলিপিনো ভাইদের একটি দল ঘটিয়েছিল, যারা তাদের জিম্মিদের আবু সায়াফ গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দিতো। সেই দলের পাঁচ মুক্তাদিল ভাইয়ের মধ্যে মিন্দাস মুক্তাদিল ২০১৫ সালের মে মাসে জোলোতে ফিলিপিনো পুলিশ কর্তৃক নিহত হন; কাদাফি মুক্তাদিল ২০১৫ সালের শেষের দিকে পুলিশের হাতে আটক হন; নিক্সন মুক্তাদিল এবং ব্রাউন মুক্তাদিল ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীর একটি অভিযানের সময় গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পর নিহত হন[১৩৬][১৩৭] এবং সর্বশেষ বাদং মুক্তাদিল তার ভাইদের হত্যার সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দৌড়ানোর সময় আহত হয়ে মারা যান। পরবর্তীতে জোলোর কাছে সিয়াসি দ্বীপের মুসুসিয়াসি এলাকায় একটি পাম্প বোটে তার মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়।[১৩৮]

২০১৬ সালের ১ এপ্রিল ম্যানিলা থেকে আসা একটি টাগবোটে আরোহী চার মালয়েশীয় ব্যক্তিকে লিগিটান দ্বীপের তীরে পৌঁছানোর সময় অপহরণ করা হয়। তবে অন্যান্য ক্রুদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের নাগরিক ও দুইজন ইন্দোনেশীয় ছিলেন এবং তাদের কোনও ক্ষতি হয়নি।[১৩৯] প্রায় দুই মাস বন্দী থাকার পর সেই চার মালয়েশীয় জিম্মিকে পরে মুক্তি দেওয়া হয়।[১৪০] ১৫ এপ্রিল সেবু থেকে আসা হেনরিক্রিস্ট নামের দুটি ইন্দোনেশীয় টাগবোটে ১০ জন যাত্রী নিয়ে আবু সায়াফ সদস্যরা আক্রমণ করে। এতে চারজন যাত্রীকে অপহরণ করা হলেও বাকি আরো পাঁচজন নিরাপদে ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন যাত্রী আহত হন; কিন্তু পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার জলসীমায় পৌঁছানোর পর মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী ( মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি) তাদের উদ্ধার করে।[১৪১] ফিলিপাইন সরকারের সহায়তায় ১১ মে চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয়।[১৪২] ৯ জুলাই লাহাদ দাতু উপকূলের কাছে তিনজন ইন্দোনেশীয় জেলেকে অপহরণ করা হয়।[১৪৩] ১৮ জুলাই লাহাদ দাতু উপকূলের কাছে পাঁচ জন মালয়েশীয় নাবিককেও অপহরণ করা হয়।[১৪৪] ৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার জলসীমায় আরও একজন ইন্দোনেশীয় নাবিককে অপহরণ করা হয়। তবে অন্য দুই নাবিক অক্ষত ছিলেন। এই ঘটনাটি ৫ই আগস্ট কেবল ভুক্তভোগীরা বর্ণনা করেন।[১৪৫] শিরশ্ছেদের হুমকির পরও আবু সায়াফের বন্দী থেকে সেই দুই ইন্দোনেশীয় নাবিক জিম্মি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।[১৪৬] ১০ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার সাবাহের পম পম দ্বীপের তীরে তিনজন ফিলিপিনো জেলেকে অপহরণ করা হয়।[১৪৭][১৪৮] ৯ জুলাই সাবাহ থেকে অপহৃত তিন ইন্দোনেশীয় জেলেকে ১৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেওয়া হয়।[১৪৯] ২৭ সেপ্টেম্বর একজন স্থানীয় নৌকাচালককে তার ট্রলার থেকে সাতজন সশস্ত্র ফিলিপিনো জঙ্গি অপহরণ করে এবং পরে তারা আরেকটি ইন্দোনেশীয় ট্রলারে আক্রমণ করলেও সেই দ্বিতীয় ঘটনায় কোনও অপহরণ ঘটেনি।[১৫০] ১ অক্টোবর নৌকার চালককে কোনো মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়[১৫১] এবং একই দিনে তিনজন ইন্দোনেশীয় জিম্মিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।[১৫২] ১২ অক্টোবর কুদাতের কাছে টিগাবু দ্বীপের কাছে একটি পাম্প বোটে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি দুই জেলেকে আক্রমণ করে। একজন ইন্দোনেশীয় জেলে গুলিবিদ্ধ হন এবং সান্দাকানের ডাচেস অফ কেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।[১৫৩][১৫৪] ২৪ অক্টোবর কুদাতের জাম্বোঙ্গান দ্বীপের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় তাগালগ ভাষাভাষী ছয়জন অজ্ঞাত বন্দুকধারী একটি মালয়েশীয় ট্রলার ডাকাতি করে এবং সেনা পোস্টের সাথে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে ঘটনাটি তিনদিন পর ২৭ অক্টোবর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।[১৫৫] ৩১ অক্টোবর বের্হালা দ্বীপের কাছে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী অপহরণের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। ধারণা করা হয় যে, অপরাধীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।[১৫৬]

৫ নভেম্বর ফিলিপাইনের তাউই-তাউই দ্বীপে অবস্থিত অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা কুয়ালা কিনাবাতাঙ্গানের উপকূলের কাছে দুই ইন্দোনেশীয় ব্যক্তিকে অপহরণ করে।[১৫৭] ৬ নভেম্বর সাবাহের তানজং লুক পিসুকে নিজেদের নৌকা থেকে আবু সায়াফ জঙ্গিরা একজন জার্মান মহিলা পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে এবং তার প্রেমিককে অপহরণ করে।[১৫৮][১৫৯] মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরে জার্মান ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করা হয়। ২০ নভেম্বর পাঁচজন আবু সায়াফ বন্দুকধারী সাবাহের লাহাদ দাতু থেকে দুই ইন্দোনেশীয় জেলেকে অপহরণ করে। তখন ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীকে তাদের আটকানোর জন্য জানানো হয়েছিল।[১৬০] প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সহযোগিতায় সাড়া দিয়ে ২০১৬ সালের শেষের দিক থেকে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ ১০০ জনেরও বেশি আবু সায়াফ জঙ্গিকে হত্যা করে[১৬১] এবং ২০১৭ সালের শুরুতে তাদের আরও ৩০ জন সদস্য বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছিল।[১৬২]

২০১৭ সালের ৮ মার্চ একটি ভিয়েতনামি বাণিজ্যিক জাহাজকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিরাপদে মালয়েশিয়ার জলসীমায় পৌঁছে দেয়। কারণ তখন জাহাজের ক্যাপ্টেন ফিলিপাইনের জলসীমা থেকে ছয়জন ব্যক্তিসহ একটি সন্দেহজনক নৌকাকে তাদের জাহাজ অনুসরণ করতে দেখার কথা জানান।[১৬৩]

২৩ মার্চ ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান অভিযান চলাকালীন দুইজন মালয়েশীয় জিম্মিকে উদ্ধার করে। এরপর ২৬ মার্চ আরও তিনজন মালয়েশীয় জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়।[১৬৪][১৬৫]

ফিলিপাইন এবং মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিক যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের ফলে এপ্রিল মাস থেকে আবু সায়্যাফ গোষ্ঠীর হামলার হার হ্রাস পেতে শুরু করে। মালয়েশিয়া সরকার ঘোষণা করেন যে, তাদের নৌবাহিনী সুলু ও সেলেবেস সাগরে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ সামুদ্রিক টহল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। এর লক্ষ হবে সমুদ্র ডাকাতি নির্মূল করা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলমান অপরাধ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।[১৬৬][১৬৭]

২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আবু সায়্যাফ গোষ্ঠী কর্তৃক ২০টি অপহরণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে মোট ৩৩ জন মালয়েশীয় ও ৩১ জন বিদেশী নাগরিককে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক আকারের অভিযান এবং এতে আবু সায়াফের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার নিহত হওয়ার ফলে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূল ও মধ্য ফিলিপাইনের পর্যটন দ্বীপের রেস্তোরা থেকে বিদেশীদের ব্যাপকভাবে অপহরণ করার একটি বড় পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে সক্ষম হয়। [১৬৮][১৬৯]

২০১৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর সাবাহের পূর্ব উপকূলে কাজ করা দুই ইন্দোনেশীয় জেলেকে ফিলিপাইনের দস্যুরা অপহরণ করে। প্রায় দুই বছরের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম অপহরণের ঘটনা। ২০১৯ সালের ১০ জুন লাহাদ দাতুর জলসীমা থেকে দক্ষিণ ফিলিপাইনের জলদস্যুরা আরও দশজন সমুদ্র যাযাবরকে অপহরণ করে। ২২ জুন অপহৃতদের মধ্যে নয়জনকে কোনো ক্ষতি না করেই বিনা মুক্তিপণে মুক্তি দেওয়া হয়।[১৭০][১৭১][১৭২] ৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মালয়েশিয়ার জলসীমায় সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করা দুইটি বিদেশি নৌকা যাচাই করার সময় হঠাৎ দুইজন সশস্ত্র ফিলিপিনো ব্যক্তি টহলরত মালয়েশীয় বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। জবাবে পাল্টা গুলিতে তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়। তবে অন্য নৌকাটি সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে অন্ধকারে ফিলিপাইনের দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায়।[১৬৫][১৭৩][১৭৪]

২০২০ সালের আগস্টেে এমএনএলএফ চেয়ারম্যান নুর মিসুয়ারি আবু সায়াফের উপ-কমান্ডার আন্দুল জিহাদ ইদাং সুসুকানকে ফিলিপাইন জাতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন, যে চার মাস আগে দাভাও শহরে মিসুয়ারির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।[১৭৫][১৭৬]

২০২২ সালের মধ্যে কথিত ইসলামিক স্টেটের পূর্ব এশিয়া প্রদেশ ইন্দোনেশিয়ায় তাদের সাবেক আইএস গোষ্ঠী এবং থাইল্যান্ডের কিছু জিহাদিদের অন্তর্ভুক্ত করে। পরবর্তীতে কথিত সেই আইএস সদস্যরা দক্ষিণ থাইল্যান্ডের বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়ে এবং ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল পাত্তানিতে নিজেদের প্রথম হামলার দায় স্বীকার করে।[১৭৭]

২০২৩ সালে ফিলিপাইন সরকার ঘোষণা করে যে, সুলু প্রদেশ এখন আবু সায়াফ মুক্ত। তবে ডিসেম্বরে তারা মিন্দানাও রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রাণঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করে।[১৭৮]

২০২৪ সালের ২২ মার্চ ফিলিপাইন সরকার ঘোষণা করেছিল যে, আবু সায়াফকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে এবং এটি তাদের দীর্ঘদিনের জিহাদী বিদ্রোহের সমাপ্তি নির্দেশ করে। তবে গোষ্ঠীটি এখনও সক্রিয় এবং ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।[১৭৯]

২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল আবু সায়াফের জিহাদিরা বাসিলানের হাজি মোহাম্মদ আজুলে পুলিশের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়, যেখানে অন্তত একজন জিহাদি নিহত হয়। এরপর লাগাতার সামরিক অভিযানের ফলে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের পরে গোষ্ঠীটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।[১৮০][১৮১]

২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাসিলান প্রদেশে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় ফিলিপাইন সশস্ত্র বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসএএফপি) তিন সদস্য নিহত হন। তবে ২৬ ডিসেম্বর শেষ অবশিষ্ট সদস্যরা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর বাসিলানকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবু সায়াফ মুক্ত ঘোষণা করা হয়।[১৮২]

সাবাহে অবস্থিত ইন্দোনেশীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারির পর মালয়েশিয়া তাদের নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। দূতাবাস জানায় যে, আবু সায়াফ গোষ্ঠীটি পূর্ব উপকূলে মুক্তিপণের জন্য নতুন করে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে।[১৮৩]

হুমকি এবং প্রভাব

[সম্পাদনা]

নিরাপত্তা

[সম্পাদনা]
মালয়েশিয়ার নৌ পুলিশের একটি নৌযান সেম্পোর্নার আশেপাশের জলসীমায় বিশেষ করে বাজাউ লাউট গ্রামে টহল দিচ্ছে, যাতে পুনঃঅনুপ্রবেশ রোধ করা যায়।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে উপনিবেশিক ব্রিটিশ সেনা ও নৌবাহিনী মরোদের পক্ষ থেকে প্রচুর আক্রমণ ও প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়, যার ফলে ১৮৪৬ সালে হেনরি কেপেল এবং জেমস ব্রুক উত্তর বোর্নিওতে জলদস্যুদের নিবাস খুঁজে বের করার জন্য মোতায়েন হয়েছিল। জলদস্যুদের সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তারা লাহাদ দাতুর টুঙ্কুতে অবস্থিত জলদস্যুদের সর্বশেষ আস্তানা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। তবে তাদের দমন করা যায়নি। কারণ আক্রমণের স্বীকার হলে তারা সীমান্ত অঞ্চল বা দুর্গম অঞ্চলে গাঁ ঢাকা দিতো এবং পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে পুনরায় সংগঠিত হয়ে হামলা চালাতো।[১৮৪]

২০১৩ সালের দিকে সর্বশেষ অনুপ্রবেশের ঘটনার পর মালয়েশিয়ার সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা পরিপূর্ণ জোরদার করার লক্ষে পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ড (ইএসএসসিওএম) ও পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা অঞ্চল (ইএসএসজেএনই) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাবাহে আরও শক্তি মোতায়েন করেন।[১৮৫] এছাড়াও মোরো জলদস্যু এবং আবু সায়াফের আক্রমণ মোকাবেলায় মালয়েশিয়ার সরকার পূর্ব সাবাহ জলসীমায় কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পূর্ব উপকূলে অবস্থিত প্রতিটি ছোট বসতিতে সন্দেহজনক কার্যকলাপ সনাক্ত করতে রাডার ব্যবহার শুরু করে।[১৮৬][১৮৭] সাবাহ প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হারিস সালেহ ফেডারেল সরকারের কাছে রাজকীয় মালয়েশীয় বিমান বাহিনীর (আরএমএএফ) ঘাঁটি পেনাংয়ের বাটারওয়ার্থ থেকে লাবুয়ানে স্থানান্তর করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। তিনি পূর্ব সাবাহের নিরাপত্তার স্বার্থে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি তাওয়াউতে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।[১৮৮] পরিবহনমন্ত্রী লিও টিওং লাই ইয়ং টেক লির প্রস্তাব অনুযায়ী সমগ্র সাবাহ জুড়ে পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ডপূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা অঞ্চলের এলাকা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করেন।[১৮৯]

২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারী রাজকীয় ব্রুনাই বিমান বাহিনী প্রতিবেশী মালয়েশীয় বিমান বাহিনীকে চারটি এস-৭০ এ ব্ল্যাক হক উপহার দেয়। জবাবে মালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, যে মরোদের আরও সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে সাবাহকে রক্ষা করার জন্য সরকার উপলব্ধ শক্তির পাশাপাশি এটি ব্যবহার করবে। ২০১৪ সালে বারাক ওবামার মালয়েশিয়া সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি চুক্তির অংশ হিসেবে ২৮ ফেব্রুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ডের জন্য ১২টি নৌযান সরবরাহ করে।[১৯০][১৯১]

পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ডের অংশ হিসেবে সাবাহের পূর্ব উপকূলে এম৪ কারবাইনে প্রহরীর পোশাকে সজ্জিত মালয়েশীয় সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক।

মালয় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ ও শক্তি সরবরাহ করা সত্ত্বেও পূর্ব সাবাহে সীমান্তবর্তী অপরাধ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণকারী গোষ্ঠীগুলির কাছে শক্তিশালী গোয়েন্দা তথ্য থাকে। কারণ তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিবার সাবাহে বাস করে এবং এই কারণে কখনোই তাদের পরিপূর্ণভাবে দমন করা যায়নি।[৬৮][১৯২]

২০১৭ সালের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় যে, মালয়েশিয়ায় আটক কিছু জঙ্গি সদস্য রাজধানী কুয়ালালামপুরে নিরাপত্তারক্ষী অথবা মালয়েশিয়ার পিপলস ভলান্টিয়ার কর্পসের (আরইএলএ) সদস্য হিসেবে কাজ করেছিল। এটি খুবই উদ্বেগজনক ছিল; কারণ এর মাধ্যমে তারা সহজেই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সংস্থার ভেতরে প্রবেশ করতে পারত।[১৯৩]

তাই পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ডের নিরাপত্তা সমন্বয়ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা হাসিম জাস্তিন তখন মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের সতর্ক করে দেন যে, ফিলিপাইনের নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত; বিশেষ করে যারা সুলু দ্বীপপুঞ্জ এবং মিনদানাও থেকে আসে। কারণ পুলিশের তদন্ত ও আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের অনেকেই অপহরণকারী গোষ্ঠীর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছে। এই ব্যক্তিরা মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরে থেকে অপরাধী চক্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।[১৯৪][১৯৫][১৯৬][১৯৭][১৯৮]

হাসিম জাস্তিন আরও পরামর্শ দেন যে, যদি কোনো ফিলিপিনো ব্যক্তি (বিশেষ করে যারা অবৈধ উপায়ে প্রজেক্ট আইসি-এর মাধ্যমে মালয়েশীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে) বারবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত এবং তার পুরো পরিবারকে ফিলিপাইনে ফেরত পাঠানো উচিত। এছাড়াও তিনি প্রস্তাব করেন যে, সাবাহ রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের অপরাধপ্রবণ গ্রামগুলোর মধ্যে থাকা স্থান বা ব্যক্তির ফিলিপিনো নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় সাবাহান রীতি অনুযায়ী নাম রাখা উচিত, যাতে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর শেকড় দুর্বল হয় এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।[১৯৯]

২০১৮ সালে পূর্ব সাবাহ নিরাপত্তা কমান্ডের প্রধান হাজানি গাজালি একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ফিলিপাইনের অপহরণকারী দলগুলো সাবাহতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাসরত তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। এই অবৈধ বসবাসকারীরা অপরাধীদের সহায়তা করছে এবং অপহরণের ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে। তাই তাদের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।[২০০]

এদিকে রাজকীয় মালয়েশিয়া পুলিশ ও মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী সাবাহর পূর্ব উপকূলে বার্টার ট্রেড বা বিনিময়ভিত্তিক বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেন। কারণ, তিনি ধারণা করেন যে, এই বাণিজ্য শুধু ফিলিপাইনের জন্যই সুবিধাজনক ছিল এবং এটি দিন দিন মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে; যা বাস্তবও বটে।[২০১][২০২]

পরবর্তীকালে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে। যদিও এটি মালয়েশিয়ার বিরোধী দল এবং ফিলিপাইনের নিকটবর্তী দ্বীপগুলির বাসিন্দাদের প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। কারণ নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের অঞ্চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। তবে সাবাহর স্থানীয় বাসিন্দা এবং রাজনীতিবিদরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। কারণ এটি অপহরণ এবং অপরাধপ্রবণতা কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়েছিল।[২০৩][২০৪][২০৫]

এরপর ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে এই বিনিময়ভিত্তিক বাণিজ্য আবার শুরু করা হয়। তবে সেখানে নতুন করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ নিজেদের সীমান্তে কঠোর নজরদারি শুরু করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।

ফিলিপিনো জঙ্গিদের যেকোনো হুমকি প্রতিহত করতে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনইন্দোনেশিয়া তাদের সমুদ্র এলাকায় যৌথভাবে টহল দিতে সম্মত হয়েছে।[২০৬] এছাড়া তিনটি দেশ যৌথ বিমান টহলের বিষয়ে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।[২০৭] ২০১৫ সালের ২ মার্চ বেতন বিরোধের জেরে প্রাক্তন সাবাহ মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে হত্যার পর একজন ফিলিপিনো কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[২০৮] ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী একটি কোল্ট পিস্তল আবিষ্কার হওয়ার পর চার ফিলিপিনো শরণার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তেলিপকের একটি শরণার্থী বসতি প্রকল্পে তাদের ইসুজু ডি-ম্যাক্স গাড়িতে ৪৫ ও ৩৯ সাইজের বুলেট পাওয়া যায়।[২০৯]

সেই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সান্দাকানের একটি খোলা প্রাঙ্গণে একটি এম১৬ রাইফেল ও ম্যাগাজিন উদ্ধারের পর একজন অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসীকে নিজের মেয়েসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[২১০] ৭ই অক্টোবরে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সহযোগিতার সন্দেহে সাবাহর বাসিন্দা এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনের ব্যক্তিদের ১০ জনের একটি সন্দেহভাজন দল গ্রেপ্তার করে।[২১১] ৮ ডিসেম্বর তিনজন সশস্ত্র ফিলিপিনো অপহরণকারী–যাদের আবু সায়াফের সদস্য বলে মনে করা হয়– মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় এবং লাহাদ দাতু থেকে একজন জেলেকে অপহরণের চেষ্টা করার সময় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।[২১২] তবে তাদের অপর দুই বন্দুকধারী একজন জিম্মিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় কিন্তু গুলিবিনিময়ের পর তারাও নিখোঁজ হয়। ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে বন্দুকধারীরা সকলেই আবু সায়াফ গোষ্ঠীর সদস্য এবং নিহত বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন আবু সায়াফের কুখ্যাত নেতা ছিল, যারা পূর্বে বিদেশী নাগরিকদের সাথে জড়িত আরও বেশ কয়েকটি অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত ছিল।[২১৩] ১২ ডিসেম্বর কুনাকে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই সশস্ত্র বন্দুকধারী নিহত হয়।[২১৪] উভয় সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছেই ঘরোয়াভাবে তৈরি ছোট বন্ধুক, একটি এয়ারগান, একটি কোল্ট. ৪৫ পিস্তল, একটি .৩৮ রিভলবার, একটি ছুরি (পরাং) বেশ কয়েকটি এম১৬ রাইফেলের গুলিসহ ( মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী যে সংস্করণটি ব্যবহার করে এটি তার থেকে আলাদা ছিল) অন্যান্য বিভিন্ন সাইজের গুলি এবং কার্তুজ ও মাদকের প্যাকেট পাওয়া যায়। তবে তাদের কারো কাছে কোন নথি পাওয়া যায়নি।[২১৫] সন্দেহভাজন উভয়ই মাদক ব্যবসায়ী এবং পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকটি ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল বলে ধারণা করা হয়।[২১৬][২১৭][২১৮] ২৯ ডিসেম্বর কুদায় একজন ফিলিপিনো ব্যক্তির আক্রমণে ৪২ বছর বয়সী একজন স্থানীয় ব্যক্তি নিহত হয়। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং তার স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানকে গুরুতর আহত হয়।[২১৯]

২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারী একজন অবৈধ ফিলিপিনো মরোকে স্থানীয় পুলিশ গুলি করে আহত অবস্থায় পুনরায় গ্রেপ্তার করে, যিনি ২০১৬ সালের অক্টোবরে সাবাহ কারাগারে ১৩টি ফৌজদারি অপরাধের জন্য নিজের প্রাপ্ত সাজা ভোগ করেছিলেন। কারণ তিনি প্রথমে গ্রেপ্তারে বাধা দেন এবং নিজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শেষে ফিরে আসার সময় পথে ধরা পড়লে একজন পুলিশ সদস্যকে আহত করার চেষ্টা করে। [২২০] ৩ এপ্রিল একজন ফিলিপিনো পুরুষ নিজের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে উত্তেজিতভাবে দৌড়ে যাওয়ার পর এবং বারবার সতর্ক করে পুলিশ সদস্যরা তাকে থামানোর চেষ্টা করে তাকে তাদের আহত করে আটক করার চেষ্টা করে। কিন্তু সে সতর্কবাতা উপেক্ষা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।[২২১][২২২]

৬ এপ্রিল আবু সায়াফ সশস্ত্র গোষ্ঠীর মতাদর্শ সমর্থন করার জন্য আরেক ফিলিপিনো ব্যক্তিকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়।[২২৩] ১৫ এপ্রিল পেনামপাং- এ এক স্থানীয় কিশোরকে ফিলিপিনো অভিবাসীদের একটি দল আক্রমণ করে এবং ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে আহত করে।[২২৪] ৩০শে এপ্রিল মালয়েশিয়ার বাগানে কর্মরত একজন ফিলিপিনো বিদেশী কর্মী তার এক বন্ধুর কাছে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন, যার ফলে পরে লাহাদ দাতুতে সশস্ত্র লোকদের দেখা পাওয়া গেলে সে ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়। তারা হঠাৎ তাকে ধরে ফেলে আটক করে রাখে। সে তাদের উদ্দেশে বলে যে, তারা কেবল (বিদ্রোহীরা) সাবাহের জনগণকে রক্ষা করতে চায়।[২২৫] নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ব্যাপক নজরদারি শুরু করার পর, সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো সশস্ত্র ব্যক্তির উপস্থিতি প্রমাণ করা যায়নি। দুই সপ্তাহ পর সেই ফিলিপিনো ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যে, সে কেন এমন ঘটনা উল্লেখ করেছিল। উত্তরে তিনি অনেক অজুহাত দেখান। তখন কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দেয় যে, সামনে এমন মিথ্যা বর্ণনা উল্লেখ করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। [২২৬][২২৭] কর্মীটি স্থানীয় লোকদের কাছে ব্যাখ্যা করে যে, স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষকে তার এই ঘটনার কথা জানালে তার গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় রয়েছে। কারণ সে রাজ্যে অবৈধভাবে কাজ করে। এর ফলে পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে যে, পুলিশ লোকটির দাবির কোনো প্রমাণ না পাওয়া সত্ত্বেও তার মামলা বন্ধ রাখবে না এবং ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা করে যে, তার গ্রেপ্তার মিথ্যা প্রতিবেদন দেওয়ার কারণে নয় বরং অভিবাসনমূলক অপরাধের কারণে হয়েছে।[২২৮]

২রা মে একজন বেকার ফিলিপিনো ব্যক্তিকে একটি নির্মাণস্থলে অনুপ্রবেশ না করার জন্য বার বার সতর্ক করা হলে সে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে আক্রমণ করে এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধস্তাধস্তির সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছুরি উঁচিয়ে ধরতে শুরু করে এবং জেলে গেলেও সাজা শেষ হওয়ার পরপরই তাকে খুঁজে বের করার হুমকি দিলে রক্ষী তাকে মাটিতে ফেলে দিতে সক্ষম হন। পরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়াই রাজ্যে আসার জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়।[২২৯] ১০ মে একজন স্থানীয় মহিলাকে একজন মাদকাসক্ত ফিলিপিনো পুরুষ জিম্মি করে যখন সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি স্থানীয় একজন পথচারীকে তুলে নিয়ে মহিলার দিকে ছুরি তাক করে তার গলা কেটে ফেলার হুমকি দেয়।[২৩০][২৩১][২৩২]

ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ ফিলিপাইনে কঠোর ভ্রমণ নিয়ম কার্যকর করার পর যারা পূর্বে কোনো প্রকার নথিপত্র ছাড়া অবৈধভাবে সাবাহতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তাদের সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। এই কঠোরতা আরোপ করা হয়েছিল একজন ফিলিপিনো অপরাধী ব্যক্তির স্বীকারোক্তির পর, যে আগে সাবাহর রাজধানীর একটি বাড়িতে ডাকাতি করার চেষ্টা করে এবং অর্থের অভাবে দেশে ফিরতে না পেরে সে এক স্থানীয় পথচারীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে।[২৩৩]

২৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের গ্রেপ্তারি চেষ্টার সময় একজন ফিলিপিনো ব্যক্তি–যিনি আগে বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও অপহরণের পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন–পুলিশের দিকে গুলি চালালে জবাবে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। ১৩ নভেম্বর ইতোপূর্বে একবার নির্বাসিত হওয়ার পর পুনরায় অবৈধভাবে সাবাহতে প্রবেশ করে সশস্ত্র ডাকাতি করা এক ফিলিপিনো অভিবাসীকে তাওয়াউ শহরে একটি কনভেনিয়েন্স স্টোর ডাকাতি করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বে তাকে অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে সাবাহ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল।[২৩৪]

৪ ডিসেম্বর লাহাদ দাতুর সিলাম উপকূলে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় আবু সায়াফ গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিপিনো ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী তেলিপকের কাইউ মাদাং রোডে ১৭টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত একজন ফিলিপিনো অপরাধীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে প্রতিরোধ করে এবং পুলিশ সদস্যদের উপর ধাওয়া করার সময় বেশ কয়েকটি গুলি ছুঁড়ে দেয়। জবাবে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়।[২৩৫] ২২ ফেব্রুয়ারী একদল অজ্ঞাত বন্দুকধারী কিনাবাতাঙ্গানের জলে মাছ ধরতে থাকা সাবাহ জেলেদের গুলি করে হত্যা করে, ধারণা করা হয় যে তারা ফিলিপাইনের প্রতিবেশী দ্বীপপুঞ্জ থেকে এসেছিল।[২৩৬] ২৭ শে ফেব্রুয়ারী তাউইতে তিনজন ভারী অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা যখন বুঝতে পারে যে, তাদের পিছনে পিছনে ধাওয়া করা হচ্ছে তখন তারা পুলিশকে এলোপাথাড়ি গুলি করে এবং পুলিশের জবাবি গুলিতে তারা নিহত হয়।[২৩৭] ৮ মে লাহাদ দাতু উপকূলে টহলরত মালয় নৌবাহিনীর উপর আক্রমণ করার পর সাবাহ কর্তৃপক্ষ চারজন বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করে।[২৩৮] ২০ সেপ্টেম্বর আরও দুই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[২৩৯] ২৪ ডিসেম্বর সাবাহ ও লাবুয়ান উভয় স্থানে বিভিন্ন ফিলিপিনো শরণার্থী বসতিতে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষ অনেক বিপজ্জনক অস্ত্র জব্দ করে, যার মধ্যে অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসীদের অনেকের কাছে থাকা মাদকদ্রব্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের অভিযানের মাধ্যমে আটক করা হয়। [২৪০] ২৮শে ডিসেম্বর লাহাদ দাতুর কাম্পুং জাওয়ায় ফিলিপাইনের পরিচয়পত্রধারী একজন সশস্ত্র অবৈধ অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যখন তিনি জনসাধারণের কাছ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বাড়িতে তাকে তল্লাশি করতে আসা টহলরত পুলিশ সদস্যদের দিকে নিজের বন্দুক তাক করে গুলি করার প্রস্তুত নেন।[২৪১]

২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারী তেলিপকে ২ বছর বয়সী একটি শিশুকে একজন পথচারী কর্তৃক জিম্মি করার আরেকটি ঘটনা ঘটে, যেখানে পুলিশের সাথে ৫ ঘন্টা আলোচনার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[২৪২] সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে আলোচনার সময় সন্দেহভাজনকে সুলুক ভাষায় কথা বলতে শোনা যায় এবং পুলিশ তার কাছে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া না যাওয়ায় তাকে বিদেশী বলেও উড়িয়ে দেয়নি।[২৪৩][২৪৪]

এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবাহান সমাজের মুসলিম ফিলিপিনো সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান সহিংস আচরণের নিন্দা জানিয়ে আসা বেশিরভাগ মানুষের দ্বারাও সমর্থিত হয়েছে যে এসব সহিংসতা মূলত দক্ষিণ ফিলিপাইন, বিশেষ করে মিন্দানাও থেকে আসা অভিবাসীদের দ্বারা ঘটছে। কারণ তেলিপোক এলাকা মূলত এই শরণার্থীদের প্রধান আবাসস্থল।[২৪৫]

ইউনাইটেড পাশোকমোমোগুন কাদাজানদুসুন মুরুত অর্গানাইজেশন (ইউপিকেও) স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে যে, রাজ্যে ফিলিপিনো অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ মাত্র এক মাসের মধ্যেই ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংগঠনটি আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হলো রাজ্যের সমস্ত পরিচয়পত্র প্রত্যাহার করে কেবলমাত্র প্রকৃত সাবাহান নাগরিকদের জন্য পুনরায় তা ইস্যু করা। কারণ অনেক বিদেশি—বিশেষ করে অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা—অবৈধভাবে পরিচয়পত্র সংগ্রহের মাধ্যমে সুবিধা নিচ্ছে।[২৪৬]

২৬ জানুয়ারী সাবাহর তামপারুলির কাম্পুং কিওয়াই এলাকায় এক অস্ট্রেলীয় হোমস্টে অপারেটরকে এক অবৈধ ফিলিপিনো কর্মী চাপাতি দিয়ে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।[২৪৭][২৪৮]

১৪ ফেব্রুয়ারী কোতা কিনাবালুর লিকাসের কাম্পুং সাগা এলাকার একটি নম্বরবিহীন অবৈধ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় সে পালানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শন করে। বিচার শেষে আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।[২৪৯][২৫০]

২৪ শে মে কোটা কিনাবালুতে একজন স্থানীয় গ্র্যাব চালক–যাকে কিছুদিন আগে গুম করা হয়–একজন অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসী তার স্থানীয় সহযোগীর (যাদের একজনের নাগরিকত্বও ছিল) মাধ্যমে খুন করে বলে খবর পাওয়া যায়।[২৫১] উভয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।[২৫২] ১০ জুন তাওয়াউতে একজন স্থানীয় ব্যবসায়ীকে কিছু ফিলিপিনো অবৈধ অভিবাসী ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এবং পরে পুলিশ সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।[২৫৩][২৫৪] ১১ জুন রানাউতে স্থানীয় ও ফিলিপিনো অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে ফিলিপিনো অভিবাসীদের কাছে একজন স্থানীয় ব্যক্তি লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয় বলে অভিযোগ আসে।[২৫৫][২৫৬][২৫৭] অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসী কর্তৃক স্থানীয় জনগণের উপর সংঘটিত এমন সহিংস অপরাধমূলক ঘটনার অপ্রতিরোধ্য ধারাবাহিকতা দীর্ঘ হতে থাকলে ফিলিপিনো সম্প্রদায়ের নেতা সাবাহ ও মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হওয়ার এবং কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। যেন আইনের মাধ্যমে জড়িতদের উপর আজীবন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় এবং একইসাথে তিনি ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত প্রতিজন ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করার এবং ফিলিপাইনে ফিরে আসার পর তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান। [২৫৮] সম্প্রতি কোটা কিনাবালু শহরে ফিলিপিনো ভিক্ষুকদের আগমনের খবর পাওয়া যায়, যারা নির্দ্বিধায় শহরের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ক্রিস্টিনা লিউও বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষকে আরো প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। সাবাহ কারাগার পরিদর্শক বিচারকদের বোর্ড (এলএইচপি) রিপোর্ট করে যে, রাজ্যের অধিকাংশ কারাগার তাদের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি ধারণ করছে। সাবাহতে আটক ফিলিপিনো নাগরিকরা নিজেদের দীর্ঘকালীন বন্দিত্বের জন্য ফিলিপাইন দূতাবাসকে দায়ী করছে।[৬৪]

কুয়ালালামপুরের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন বিভাগের মালয়েশীয় প্রভাষক বিএ হামজা বলেন, সামুদ্রিক সহিংসতার মূল কারণ বুঝতে হবে এবং পরে তা সমাধান করতে হবে। সুলু দ্বীপপুঞ্জের জনগণকে ফিলিপাইন সরকার কর্তৃক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ফিলিপাইনে সশস্ত্র সংঘাতের ফলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো যোগ করেন, সুলু সাগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ফিলিপাইন, মালয়েশিয়াইন্দোনেশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকা উচিত। কারণ এই অঞ্চলটি ঐতিহাসিকভাবে অনাচার ও বিশৃঙ্খলার জন্য পরিচিত এবং সেখানে দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী প্রায় সকল মুসলিম অমুসলিম দ্বীপপুঞ্জী জলদস্যুতা, অপহরণ, চাঁদাবাজ এবং বন্দুক চালনাকে নিজেদের প্রধান ব্যবসা মনে করে কাজ করে। কারণ এই অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দরিদ্র এবং সেখানে আয়ের উৎস খুবই সীমিত।[২৫৯]

প্রতিবেশী ভিয়েতনাম জলদস্যুতা রোধের জন্য তাদের জাহাজে রাডার স্থাপন শুরু করেছে এবং সামুদ্রিক মহড়া শুরু করেছে। এছাড়া সুলু সাগরে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের সাথে যৌথ টহলদানে সহায়তা করার জন্য সিঙ্গাপুরথাইল্যান্ড উভয়কেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।[২৬০][২৬১]

মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মুহাম্মদ সাবাহ সরকারকে পূর্ব সাবাহের সমস্ত জলগ্রাম ভেঙে ফেলার এবং সেখানে কেবল স্থানীয়দের পুনর্বাসনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ জল গ্রামগুলির যুগ প্রায় শেষ হয়ে গেছে এবং সমুদ্রে বসবাসকারী সেখানকার গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রা মালয়েশিয়ার আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ দেশটি তখন রূপকল্প ২০২০-এর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল।[২৬২] সাবাহ প্রদেশের সাংসদ রোসনাহ শার্লিন কিনারুতে অবস্থিত ফিলিপিনো শরণার্থী শিবির বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, এটি পাপারের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যে হুমকি স্বরূপ। তিনি নিজের বক্তব্যে বলেন:

শরণার্থী শিবিরটি জেলার বাসিন্দাদের জন্য অনেক সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করেছে। শিবিরটি মাদকাসক্তদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এবং অন্যান্য অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছরে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে বহু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এবং অপরাধীরা মূলত এই শরণার্থী শিবিরেরই বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ফিলিপাইনের আজকের উন্নত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এসব ফিলিপিনো নাগরিকদের আর শরণার্থী হিসেবে গণ্য করা উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) এই ক্যাম্পটি কাম্পুং লাউটের কাছে ৪০ একর জমির ওপর স্থাপন করেছিল। তবে জাতিসংঘের হাইকমিশন অনেক আগেই শিবিরটির জন্য তহবিল প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে অনেক বিদেশি শরণার্থী ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।[২৬৩] শরণার্থীরা নিজেরাই সাহস করে শিবিরের এলাকা দিন দিন সম্প্রসারিত করেছে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেক জমি দখল করে নিয়েছে। আজ এই শিবিরটি পাপারের সবচেয়ে বড় মেথামফেটামিন (সিয়াবু) বিতরণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।[২৬৪][২৬৫]

— রোসনাহ শার্লিন, সাবাহ প্রাদেশিক সাংসদ

ইউনাইটেড সাবাহ পিপলস পার্টি (পিবিআরএস) নেতা জোসেফ কুরুপও এই বিষয়ে একই রকম মতামত পোষণ করেন এবং বলেন যে, মোরো শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ফিলিপাইনের মিন্দানাওতে ফিরে যাওয়ার এবং তাদের জন্মভূমির উন্নয়নের সুযোগ নেওয়া উচিত। কারণ সেখানে এখন শান্তি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।[২৬৬] কুরুপ আরও মনে করিয়ে দেন যে, সাবাহার মানুষ কোনো অভিবাসনের বিরুদ্ধে নয়; তবে জোর দিয়ে বলেন যে, যে কোনো অভিবাসনে সাবাহে অবৈধভাবে প্রবেশ না করে আইন অনুসারে তা হওয়া উচিত;

আমরা (সাবাহের জনগণ) অভিবাসনের বিরোধী নই। আমরা কেবল সেই অভিবাসন সমর্থন করি যা আইনত বৈধ।[২৬৭]

— জোসেফ ক্রুপ; নেতা: ইউনাইটেড সাবাহ পিপলস পার্টি (পিবিআরএস)

এছাড়া সাবাহের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়ং টেক লি ফিলিপাইনের মিন্দানাও থেকে মোরো জনগণের উচ্চ মাত্রার অভিবাসন মোকাবেলায় সান্দাকানে ফেরি পরিষেবা স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এই অভিবাসন এখন সাবাহর জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে তারা শরণার্থী হিসেবে অনুপ্রবেশ করে রাজ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করে পরে অবৈধ অভিবাসী হয়ে ওঠে।[২৬৮][২৬৯] ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি ঘোষণা করেন যে, সাবাহর সমস্ত রাষ্ট্রহীন শিশুকে স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য জন্ম সনদ দেওয়া হবে।[২৭০] তার এই প্রস্তাবটি তৎক্ষণাৎ সাবাহের বিরোধী দল ও সরকারী মিত্র দলগুলির বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ; যেমন জোসেফ পেরিন কিটিংগান, দারেল লাইকিং ও ইয়ং টেক লি কর্তৃক চরম বিরোধিতার স্বীকার হয়েছিল। কারণ এই আইন ভবিষ্যতে সাবাহের জন্য একটি বড় সমস্যা নিয়ে আসতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।[২৭১][২৭২][২৭৩] অন্যদিকে সাবাহ-ভিত্তিক আরেক বিরোধী দলের নেতা জেফ্রি কিটিংগান বিদেশীদের জন্য একটি ভিন্ন জন্ম সনদ জারি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সান্দাকানের কামুন্টিং থেকে নির্বাচিত সাবাহ রাজ্য আইনসভার সদস্য চার্লস ও পাং বিশ্বাস করেন যে, রাষ্ট্রহীন শিশুদের জন্ম সনদ প্রদান করা হলে শিক্ষা ব্যবস্থা বোঝায় পরিণত হতে পারে। তিনি উদ্ধৃত করে বলেন:

সাবাহে রাষ্ট্রহীনতা সম্পর্কিত একটি জরিপ অনুযায়ী অনুমান করা হয় যে, রাজ্যে ইন্দোনেশীয় বংশোদ্ভূত প্রায় ৩৬,০০০ রাষ্ট্রহীন শিশু বসবাস করছে। জানা যায়, এদের বেশিরভাগই পাম অয়েল বাগানে কাজ করা শ্রমিকদের সন্তান। ফিলিপাইন থেকে আসা রাষ্ট্রহীন শিশুদের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়।

আমি অস্বীকার করি না যে, অধিকাংশ মানুষ সাবাহে আসে একটি উন্নত জীবনের সন্ধানে। তবে অবৈধ অভিবাসনের ফলে সৃষ্ট বিশাল জনস্রোত শুধু সমস্যাই ডেকে আনবে।

এই পরিস্থিতি মালয়েশীয় নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত অন্যায় ও গর্হিত বিষয়। কারণ আমরা করদাতা; অথচ আমাদেরই বোঝা নিতে হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই অ-নাগরিক শিশুদের জন্য ব্যয় বহন করবে কে? শুধু তাদের স্কুল শিক্ষার খরচই নয়; বরং তাদের জীবনযাত্রার অন্যান্য ব্যয় এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার উপর পড়বে?

— চার্লস ও পাং; সান্দাকানের কামুন্টিং থেকে সাবাহ রাজ্য আইনসভার সদস্য।

এছাড়াও ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ফিলিপিনো শরণার্থীদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে একীভূত করার চেষ্টা করেছিল। কারণ তাদের ফিলিপাইনে ফেরত পাঠানো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। কিন্তু স্থানীয় জনগণ এবং সাবাহ রাজ্য সরকার এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল। কারণ তাদের মতে এটি রাজ্যে একটি বড় সামাজিক ও রাজনৈক সমস্যা তৈরি করতে পারে।[৯৯][১০০] এই সকল ফিলিপিনো অবৈধ অভিবাসীর জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার জন্যে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে এবং তা পুনরুদ্ধার করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজও সেই অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। সাবাহ স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসীদের মধ্যে সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে তাদের চিকিৎসা খাতে ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা কর্মকর্তা ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত তহবিলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।[২৭৪] রাজ্যে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও চুরির মত ঘটনার জন্যে মূলত ফিলিপিনো শরণার্থী এবং অবৈধ অভিবাসী অধ্যুষিত অনুমতিহীন বসতিগুলিকে দায়ী করা হয়।[২৭৫][২৭৬][২৭৭] এছাড়া পূর্ব সাবাহে আদিবাসী সুলুক সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত সামুদ্রিক শৈবাল শিল্পও তাদেরই ফিলিপিনো-তাউসুগ আত্মীয় গোষ্ঠী দক্ষিণ-ফিলিপাইন-ভিত্তিক সশস্ত্র দল আবু সায়াফের ক্রমাগত অপহরণের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে।[২৭৮] সাবাহ কিউলুর সাংসদ জনিস্তন বাংকুয়াই রাষ্ট্রহীন ইস্যুতে একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন:

আগে তারা (অবৈধ ফিলিপিনোরা) এখানে জীবিকা অর্জনের জন্য আসত। তারা কাজ খুঁজতে আসত। কিন্তু এখন তাদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের মহিলারা ১০টি করে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন; কিন্তু তাদের কোনো সুরক্ষা নেই।

— জনিস্তন ব্যাংকুয়াই, সাবাহ কিউলুর সংসদ সদস্য।

এছাড়া সাবাহ জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের (এনআরডি) পরিচালক ইসমাইল আহমেদ স্পষ্ট করেছেন যে, জন্ম সনদ প্রদানের ফলে রাষ্ট্রহীন শিশুরা মালয়েশীয় বা সাবাহান নাগরিক হয়ে ওঠে না। কারণ এসব সনদ শুধুমাত্র রেকর্ড ও পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে, যাতে বোঝা যাবে যে, শিশুরা সাবাহে জন্মগ্রহণ করেছিল।[২৭৯] তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের পর জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে শুধুমাত্র প্রকৃত নাগরিকদেরই মালয়েশিয়ার জন্ম সনদ দেওয়া হচ্ছে এবং তা নিশ্চিত করার জন্য এখন ডিএনএ পরীক্ষাও ব্যবহার করা হচ্ছে। [২৮০] এই বিষয়ে বেশ কিছু আলোচনা পর্যালোচনার পর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা পরবর্তীতে জন্ম সনদের পরিবর্তে শুধুমাত্র বিশেষ জন্ম নথি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যা মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ঘোষণা করেছিলেন।[২৮১][২৮২]

ইউনাইটেড পাসোকোমোগান কোডাসান (ইউপিকেও) সম্পূর্ণ রাজকীয় তদন্ত কমিশনের (আরসিআই) প্রতিবেদন গ্রহণের পর সাবাহর সমস্যাবলীর জন্য নিজেদের প্রস্তাবিত সমাধান উপস্থাপন করে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রস্তাব ছিল সাবাহের সকল জনগণের সমস্ত পরিচয়পত্র পুনরায় যাচাই ও পুনরায় ইস্যু করা।[২৮৩]

অন্যদিকে, কতিপয় সাবেক রাজনীতিবিদ ফেডারেল সরকারকে আহ্বান জানান যে, তারা যেন এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখেন যে, যে সকল ব্যক্তি নিজেদের সুলু সুলতানাতের রাজবংশের সদস্য বলে দাবি করে, তারা এখনো স্থানীয় সাবাহবাসী ও উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়ার নাগরিকদের "দাতুক" উপাধি প্রদান করে চলছে।[২৮৪]

সাবাহ ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও)-এর বেশিরভাগ নেতা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মুসা আমান কর্তৃক অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘোষণা করা কঠোর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তবে সাবেক ইউপিকিউও সংসদ সদস্য উইলফ্রেড বম্বুরিং মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, বারিসান ন্যাশনালের (বিএন) সদস্যরা কেবল নিজেরা রাজকীয় তদন্ত কমিশন গঠনের কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন না। কারণ এটি তারা কেবল সাবাহবাসীদের ব্যাপক চাপের মুখে গঠন করতে বাধ্য হয়েছিল।[২৮৫][২৮৬]

ইউনাইটেড সাবাহ পার্টি মনে করে, সাবাহে বসবাসরত ফিলিপাইনের নাগরিকদের এমন চরম দুর্দশার জন্যে একমাত্র ফিলিপাইন সরকারকেই দায়ী করা উচিত। এটি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত জে. এদুয়ার্দো মালায়ার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, যখন তিনি এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ফিলিপাইনের অভিবাসী শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষার দাবি করেছিলেন। যদিও ইউনাইটেড সাবাহ পার্টির মহাসচিব জনি মোসিটুন তার প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে:[২৮৭]

সাবাহতে ফিলিপিনোদের সংখ্যা—চাই তারা বৈধ হোক বা অবৈধ—অত্যন্ত বেশি। কিন্তু তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ম্যানিলা কী করেছে বা কী করছে? সাবাহতে দূতাবাস অফিস স্থাপনে ম্যানিলার অস্বীকৃতির কারণেই সেখানে বসবাসকারী লাখো ফিলিপিনোর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এবং এর সমস্ত দায়ভার মালয়েশিয়াকে বহন করতে হচ্ছে।

এখন সাবাহের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীদের প্রায় অর্ধেকই ফিলিপিনো অভিবাসী বা শরণার্থী। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে সাবাহতে বসবাসরত ফিলিপিনো—শরণার্থী, অভিবাসী শ্রমিক ও অবৈধ অভিবাসী—সবাই ফিলিপাইন সরকারের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সেবা বা সহায়তা পায়নি। তারা শুধুমাত্র এই কারণে টিকে আছে যে, মালয়েশিয়া সরকার আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলে।

আমরা তাদের চাকরি দিচ্ছি; তারা আমাদের নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে; আর এখন বলা হচ্ছে যে, আমাদের তাদের সন্তানদেরও শিক্ষা সুবিধা করতে হবে। এরপর কী?

— জনি মোসিটুন, ইউনাইটেড সাবাহ পার্টির (পিবিএস) মহাসচিব।

দারেল লাইকিঙের মত সাবাহের অন্যান্য নেতারা তার মন্তব্যের সাথে একমত হন এবং তারা ফিলিপাইনের সরকারকে নিজেদের নাগরিকদের যত্ন নেওয়ার জন্য এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষার লক্ষ্যে স্কুল স্থাপনের জন্য সাবাহে একটি দূতাবাস স্থাপন করে ইন্দোনেশীয় সরকারের পরিকল্পনা নীতি অনুকরণ করার কথা মনে করিয়ে দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন:[২৮৮]

ফিলিপাইন সরকারকে স্বীকার করতে হবে যে, সাবাহ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অংশ এবং তাকে নিজের জনগণের কল্যাণের জন্য সেখানে একটি দূতাবাস স্থাপন করা প্রয়োজন। ফিলিপিনো অভিবাসীদের নিবন্ধন করা উচিত, যাতে তারা সাবাহে ভালো সুযোগ-সুবিধা, উন্নত জীবনযাত্রা এবং উপযুক্ত চাকরি পেতে পারে। ফিলিপাইনের সমস্যাগুলোকে শুধু এই কারণে সাবাহ বা মালয়েশিয়া সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় যে, ফিলিপাইন সরকার নিজ দেশের জনগণের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।

— দারেল লেইকিং, বিরোধী দলের সদস্য (পিকেআর)।

তখন থেকে সাবাহ রাজ্য সরকার ফিলিপিনো বসতির সমস্যা সমাধানে কাজ করছে, যারা রাজ্যে ব্যাপক অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। সরকার তাদের যথাযথ স্থানে পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যেন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সহজ হয়।[২৮৯]

২০১৬ সালের শেষের দিকে পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় নেতাই অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসী ও শরণার্থীদের সাবাহ থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। একইসাথে ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে সাবাহ রাজ্যের প্রতি দাবি স্থগিত রেখে আইনগতভাবে বসবাসরত ফিলিপিনো অভিবাসী ও প্রবাসীদের সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য একটি স্কুল, হাসপাতাল ও দূতাবাস স্থাপন করার বিষয়ে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[২৯০][২৯১]

তবে ফিলিপিনো সরকারকে রাজ্যে স্কুল, হাসপাতাল ও একটি দূতাবাস স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার জন্যে সাবাহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সাথে আলোচনার প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে সাবাহ সরকার ফিলিপাইন সরকারের সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে, যখন ফিলিপাইন বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অস্থায়ী বন্দিশিবিরে আটক থাকা নাগরিকদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই অবৈধ অনুপ্রবেশ, অতিরিক্ত মেয়াদে অবস্থান বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে আটক হয়েছিল।[২৯২]

সাবাহ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় ৫,৫০,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে বা তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে, যার অধিকাংশ ফিলিপিনো। এছাড়া সাবাহ সরকার মালয়েশীয় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি সুপারিশপ্র জমা দিয়েছে, যাতে শরণার্থী পুনর্বাসন প্রকল্পগুলোকে শিল্প ও নগরায়ন এলাকা থেকে সরিয়ে দূরে অন্য উপযুক্ত স্থানে স্থানান্তর করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[২৯৩][২৯৪]

বর্তমান সাবাহতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে; বিশেষ করে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা অভিবাসীদের অবৈধভাবে নাগরিকত্ব প্রদানকারী চক্রগুলির সন্ধান পাওয়ার পর। ২০১৭ সালের গোড়ার দিকে মালয়েশিয়ার জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের একজন প্রাক্তন কর্মচারীকে ১৫৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারণ তিনি সুলু থেকে আসা অবৈধ ফিলিপিনো অভিবাসীদের অবৈধভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলেন।[২৯৫][২৯৬]

সম্প্রতি, সাবাহ রাজ্য সরকার যখন পূর্ব উপকূলে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন মিনদানাও ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (মিন্দা) সচিব আবদুল খাইর আলোন্তো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন:

সাবাহের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। এর ফলে মালয়েশিয়ার ওই অঞ্চলে আমাদের মুসলিম এবং ফিলিপিনো ব্যবসায়ীদের জন্য আবারও সীমান্ত বাণিজ্যের সুযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, পুনরায় চালু হওয়া এই বাণিজ্য আমাদের তিনটি দ্বীপ প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। তবে এটি পরবর্তী সময়ে স্বায়ত্তশাসিত মুসলিম মিন্দানাও অঞল এমনকি জেনারেল সান্তোস সিটি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। ইতিপূর্বে অপহরণ ও মুক্তিপণের জন্য হত্যার মতো কিছু অমানবিক কার্যকলাপ সীমান্ত বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এটি শুধু বাণিজ্যেরই ক্ষতি করেনি; বরং বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথও সংকুচিত করেছে; বিশেষ করে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য। তবে সাবাহ সম্পর্কিত ঐতিহাসিক দাবি উপেক্ষা না করেও আমরা কোটা কিনাবালুতে একটি দূতাবাস চালু করার পরিকল্পনা করছি। একই ভবনের মধ্যে একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে সেখানে বসবাসরত আমাদের নাগরিকদের সেবা প্রদান করা যায় এবং তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ; যেমন পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত সহায়তা সহজে সম্পন্ন করা যায়।[২৬]

— আবদুল খাইর আলন্তো; সচিব, মিন্দানাও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিন্দা)।

সচিব আরো বলেছেন যে, তিনি বিআইএমপি-ইএজি- এর অংশ হিসেবে মিন্দানাওকে ফিলিপাইনের জন্যে একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আরো কঠোর পরিশ্রম করার অঙ্গীকার করেছেন এবং তিনি ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীকে সুলু সাগর ও মিন্দানাও অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বলেছেন, যাতে দেশি ও বিদেশী অধিক বিনিয়োগকারী এই অঞ্চলের উন্নয়নে উৎসাহিত হন এবং এখানে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করেন। তবে পালাওয়ানে অবস্থানরত ফিলিপাইন প্রতিনিধি জোসে সি. আলভারেজের মতে, তারা রাজ্যে ফিলিপাইনি অফিসের চেয়ে একটি পালাওয়ান ব্যবসায়িক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে অধিক আগ্রহী, যা পাসপোর্ট প্রদান, ভ্রমণ নথি নবায়ন ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবা প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে ফিলিপিনো জনগণকে ব্যবসায়িক সহায়তা প্রদান করবে। তিনি বলেন যে, পালাওয়ানে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ফিলিপিনো ব্যবসায়ী অবস্থানের কারণে মূল অফিস স্থাপন করা যথাযথ ও যুক্তিসঙ্গত।[২৯৭] তা সত্ত্বেও আব্দুল খায়ের স্বীকার করেন যে, বিদেশী ফিলিপিনো কর্মীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করার জন্য একটি দূতাবাস খোলা এখনও অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা নথিপত্রহীন সেখানে অবস্থান করেন এবং প্রতিটি পদে পদে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এটি খোলার অর্থ এই নয় যে, এটি আঞ্চলিক বিরোধের বিষয়টিকে প্রভাবিত করবে।[২৯৮]

সাবাহ রাজ্যে অবস্থানরত ফিলিপিনোরা আশা প্রকাশ করেন যে, এখন থেকে ফিলিপাইন দূতাবাসের সকল পরিষেবা আরও কার্যকর ও সহজলভ্য হবে। বিশেষ করে, তারা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের সহজ উপায়, কর্মকর্তাদের আরও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং সকল সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা দাবি করেছেন। তারা অভিযোগ করেন যে, দূতাবাসের সেবাগুলিতে দলালদের উপস্থিতি, পাসপোর্ট ও অন্যান্য ভ্রমণ নথি পেতে অযথা দেরি, কুয়ালালামপুরের ফিলিপাইন দূতাবাসে ফোনে যোগাযোগ করতে অসুবিধা, কিছু কর্মকর্তার দুর্ব্যবহার এবং দাপ্তরিক কাজে অভদ্র ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ব্যাপারে তারা দীর্ঘদিন ধরে অসন্তুষ্ট।[২৯৯][৩০০] বিনিময় বাণিজ্যের কার্যক্রম ফিরে আসা সত্ত্বেও সাবাহ রাজ্য জানায় যে, অতীত বিবেচনায় ফিলিপাইনের সাথে তারা নিজেদের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সর্বদা সতর্ক থাকবে।[৩০০]

২০১৯ সালে, মালয়েশিয়ার নতুন সরকার সাবাহতে থাকা ফিলিপিনো শরণার্থীদের জন্য নতুন "সাময়িক সাবাহ পাস" (পিএসএস) পরিষেবা চালু করে। কারণ এর আগে ব্যবহৃত আইএমএম১৩ নামের নথিটি অনেক শরণার্থী ভুলভাবে ব্যবহার শুরু করছিল, যা রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একই সময়ে সাবাহ রাজ্য সরকার নতুন একটি বার্টার ট্রেড (পণ্য বিনিময়) ব্যবস্থা চালু করে, যেখানে কেবল ভর্তুকিহীন ভোজ্যতেল বিনিময়ের অনুমতি দেওয়া হয়। কারণ পূর্বের ব্যবস্থায় মালয়েশিয়ার নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ করা ভর্তুকিযুক্ত ব্যবহৃত তেল অবৈধভাবে ফিলিপাইনইন্দোনেশিয়ায় পাচার হয়ে যাচ্ছিল, যার ফলে মালয়েশীয় বাজারে অসমতা বিরাজ করছিল। [৩০১][৩০২][৩০৩]

এ সকল নতুন উদ্যোগের পরও ফিলিপাইন সরকার দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতির বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে অনেক ফিলিপিনো নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই কারণে ফিলিপাইনের সরকার আঞ্চলিক বিষয়গুলিতে আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল। জনগণ ক্ষোপের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব তেওডোরো লোকসিন জুনিয়র এ কথা বলে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন যে ফিলিপাইন সরকারের উচিত সাবাহ দখলের প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তিনি টুইটারে তার লেখেন যে, ফিলিপাইন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সাবাহ দখলের প্রচেষ্টা বাড়ানো। কারণ দক্ষিণ চীন সাগর ( যা সেখানে পশ্চিম ফিলিপাইন সাগর নামে পরিচিত) ফিলিপাইনের নিজস্ব ভূখণ্ড নয়। এটি কেবল একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল[৩০৪]

একই বছরের সেপ্টেম্বরে লোকসিন জুনিয়র নিশ্চিত করেন যে, সামাজিক সমস্যার কারণে ফিলিপাইন সরকার সাবাহ রাজ্যে কোনো দূতাবাস স্থাপন করবে না। কারণ তারা মনে করে, এটি করা হলে তা তাদের দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। এর ফলে সাবাহতে বসবাসরত যে সকল ফিলিপিনো সামাজিক সমস্যার কারণে প্রায়শ গ্রেপ্তার হন, তারা দূতাবাসের সহায়তা পান না। বহু বছর ধরে তারা সেখানে একটি দূতাবাস স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও ফিলিপাইন সরকার এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া তাদের নাগরিকদের জন্য সেখানে একটি দূতাবাস পরিচালনা করছে, যা ফিলিপিনোদের জন্য একটি বড় হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।[৩০৫]

  1. ফিলিপাইনের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও সুলু দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় জলদস্যুতা ও অপরাধ দমনের মিশনে নিহত হয়েছেন।
  2. মিন্দানাও ও সুলু দ্বীপপুঞ্জে চলমান আইন-ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের মিশনে প্রেরিত কিছু আইন মেনে চলা মরো বিদ্রোহী, যারা এমএনএলএফ এবং এমআইএলএফ গ্রুপের অন্তর্গত, তারা ও নিহত হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Febrianto (২৯ মার্চ ২০১৬)। "Indonesia Tak Boleh Tunduk Terhadap Terorisme Abus Sayyaf!" [Indonesia Cannot Bow to Terrorism of Abu Sayyaf!] (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Rima News। ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬ 
  2. "Vietnamese ships to get piracy warnings"Vietnam News Agency। Vietnam Net। ৪ মে ২০১৬। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. Lim Yan Liang (৬ জুন ২০১৬)। "Eng Hen: Joint Sulu Sea patrols a welcome initiative to tackle terror"The Straits Times। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৭ 
  4. Ruksith Sitthitool (২০ এপ্রিল ২০১৬)। "Thailand to be invited by Malaysia as observers for Sulu Sea Patrol"। Thai Tribune। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৭ 
  5. Ranjit Singh (১৯৮৪)। Brunei, 1839–1983: the problems of political survival। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-582571-8 
  6. Alito Malinao (২৭ আগস্ট ১৯৮৯)। "No links with Kiram, says Brunei embassy"Manila Standard। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫ 
  7. Steven Runciman (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। The White Rajah: A History of Sarawak from 1841 to 1946। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 116–। আইএসবিএন 978-0-521-12899-5 
  8. Nicholas Tarling (১৭ জুন ২০১৩)। Southeast Asia and the Great Powers। Routledge। পৃষ্ঠা 58–। আইএসবিএন 978-1-135-22941-2 
  9. Marcel Burger (২৩ জানুয়ারি ২০১৫)। "Brunei gives four Black Hawks as present to Malaysia"। AIRheads। ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  10. "Iqbal: Sabah better off under Malaysia"The Manila Times। ১৪ এপ্রিল ২০১৫। ৪ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 
  11. "MNLF strongly condemns terrorist acts in eastern Sabah"The Brunei Times। Bernama। ৮ মার্চ ২০১৩। ২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  12. Dharel Placido (৩১ আগস্ট ২০১৬)। "Misuari wants meeting with Duterte in Malaysia"। ABS-CBN News। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  13. Ubac, Michael Lim (৭ মার্চ ২০১৩)। "Aquino: I won't allow Sulu sultan to drag PH into war with Malaysia"। The Philippine Daily Inquirer। ২৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪President Aquino said in a statement, 'I appeal to you (Jamalul Kiram III) — we should be really clear on this – this incident is wrong. If this is wrong, why should we (the government) lend support to this? We should support what is right… which will lead us to brighter prospects; the wrong option will only bring us ruin. That's it, that's my simple message.' He also added 'Let's not forget: What they (the Jamalul Kiram III faction) are pushing for is their right as so-called heirs of the sultan of Sulu. It's not yet clear if their rights have been transferred to the Philippines. But we (the Philippines citizens and our nation) will all be affected by their conflict (with Malaysia).’ 
  14. Teoh El Sen (১৪ মার্চ ২০১৩)। "MNLF supports Sulu claim, says Nur Misuari faction"। Astro Awani। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  15. "Nur Misuari involved, says Zahid"BernamaMySinChew English। ১৬ জুলাই ২০১৪। ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  16. Karlos Manlupig (১৭ মে ২০১৫)। "MNLF denies talks with Malaysia over Sabah"। Philippine Daily Inquirer। ১৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৫Misuari, who is hiding after the hostilities in Zamboanga in 2013, maintains his position that only the Sultanate of Sulu can pursue the negotiations for the Sabah claim. Respecting the fervent wish of the late Sultan Muhammad Jamalul Kiram III to let alone the Islamic Sultanate of Sulu and North Borneo (SSNB) to negotiate peacefully with the Muslim leaders of Malaysia to settle the controversial issue in order not to repeat the March 2013 Lahad Datu, Sabah incident, Chairman Misuari has dismissed the media reports as unfounded and without any ounce of truth involving the MNLF in any level talks. The MNLF, however, asserted that the Sabah case is a non-issue because it is the "home-base for different tribal groupings of Muslims from different regions of Southeast Asia that have enjoyed peaceful and harmonious co-existence with the Chinese and Christian populace in the area. 
  17. CAPTAIN THE HON. HENRY KEPPEL, R.N. (১৮৪৬)। THE EXPEDITION TO BORNEO OF H.M.S. DIDO FOR THE SUPPRESSION OF PIRACY। Chapman and Hall। পৃষ্ঠা 214–। 
  18. "Philippines rebel leader arrested"BBC News। ২৫ নভেম্বর ২০০১। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫Malaysia's Inspector-General of Police Norian Mai said Mr Misuari and six of his followers were arrested at 3.30 am on Saturday (1930 GMT Friday) on Jampiras island off Sabah state. Manila had ordered his arrest on charges of instigating a rebellion after the government suspended his governorship of an autonomous Muslim region in Mindanao, the ARMM. Although the Philippines has no extradition treaty with Malaysia, the authorities have already made clear that they intend to hand Mr Misuari over to the authorities in Manila as soon as possible. Malaysian Prime Minister Mahathir Mohamad had said before the arrest that, although his country had provided support to the rebel group in the past in its bid for autonomy, Mr Misuari had not used his powers correctly. "Therefore, we no long feel responsible to provide him with any assistance," he said. 
  19. "Nur Misuari to be repatriated to stand trial"Australian Broadcasting Corporation। ২০ ডিসেম্বর ২০০১। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৪ 
  20. Jaymalin, Mayen (২৫ মার্চ ২০১৪)। "Over 26,000 Filipino illegal migrants return from Sabah"The Philippine Star। ABS-CBN News। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  21. Gindol, Kanul (৩১ মে ২০১৪)। "'Localised' illegal immigrants helping 'foreign' relatives in Sabah"। The Ant Daily। ৩ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  22. Vanar, Muguntan (২৯ জুন ২০১৩)। "Lahad Datu: Ops Daulat officially ends today"The Star। ৩০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৩ 
  23. "ESSCOM will continue to hold programmes on security within ESSZONE"New Sabah Times। ২২ অক্টোবর ২০১৩। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৩ 
  24. Ruben Sario (৭ এপ্রিল ২০১৬)। "Sabah ceases cross-border trade"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  25. Ruben Sario (১৭ জানুয়ারি ২০১৭)। "Sabah to lift barter trade ban in east coast from Feb 1"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  26. Antonio L. Colina IV (২৫ জানুয়ারি ২০১৭)। "Cross border trade between Malaysia and ARMM's island provinces to reopen on Feb. 1"। Minda News। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  27. "Indonesia, Malaysia, Philippines agree to intensify maritime security"। Antara। ১৫ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  28. "Indonesia, Malaysia, Philippines: Maritime Cooperation Agreement Finalized"। Stratfor। ২ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  29. "Moro refugees, immigrants in Sabah should return, develop homeland – Kurup"The Borneo Post। Bernama। ২১ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  30. John Unson (১১ মার্চ ২০১৩)। "Sema calls for sobriety, prudence among Moro groups"The Philippine Star। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  31. "Aquino to meet heirs of sultan on Sabah"Manila Standard। ১৬ এপ্রিল ১৯৮৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  32. Marites Dañguilan Vitug (১১ মার্চ ২০১৩)। "Sabah, Ramos and Arroyo"। Rappler। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  33. "FVR to PNoy: Meet with Sultan Kiram to address Sabah conflict"GMA News। ৬ মার্চ ২০১৩। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  34. Jurgen Haacke (১৩ মে ২০১৩)। ASEAN's Diplomatic and Security Culture: Origins, Development and Prospects। Routledge। পৃষ্ঠা 187–। আইএসবিএন 978-1-136-13146-2 
  35. "President Yudhoyono hopes Sabah problem to be resolved soon"। Balita। ৯ মার্চ ২০১৩। ২২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ 
  36. Gabriel Pabico Lalu (২৭ জুলাই ২০২৩)। "Bongbong Marcos says Sabah issue discussed in Malaysia, focusing on common grounds"INQUIRER.NET 
  37. Rashvinjeet S. Bedi (২৭ জানুয়ারি ২০১৫)। "Self-styled Sulu Sultan names Phugdal to be Raja Muda"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  38. Durian Amina Rasul (১৪ মে ২০০৯)। "Basis of the Sabah claim"The Manila Times। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫ 
  39. "Marcos order: Destabilize, take Sabah"। Philippine Daily Inquirer। ২ এপ্রিল ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫ 
  40. "Duterte: Misuari wants amnesty for Abu Sayyaf"। ABS-CBN News। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  41. Nestor Corrales (৩ নভেম্বর ২০১৬)। "Misuari accuses Malaysia of using Moro people in kidnap-for-ransom activities"। Philippine Daily Inquirer। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  42. Ian Pfennigwerth (২০০৮)। Tiger Territory: The Untold Story of the Royal Australian Navy in Southeast Asia from 1948 to 1971। Rosenberg। পৃষ্ঠা 69–। আইএসবিএন 978-1-877058-65-3 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  43. New Zealand. Registrar-General's Office; New Zealand. Census and Statistics Dept; New Zealand. Dept. of Statistics (১৯৫৭)। New Zealand official yearbook। New Zealand. Statistics New Zealand। 
  44. New Zealand. Dept. of External Affairs (১৯৬৩)। External Affairs Review 
  45. "Army strength in Sabah at the optimum level"Daily Express। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  46. Abigail C. Kwok (১০ এপ্রিল ২০১৩)। "Sulu Governor: No MNLF rescue mission for Filipinos in Sabah"। Inter Aksyon। ৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  47. "Policeman dies in shootout with pirates"New Sunday Times। ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  48. Kronologi pencerobohon Lahad Datu [Chronology of Lahad Datu invasion] (video) (মালয় ভাষায়)। Astro Awani। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। event occurs at 1:20। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  49. "Malaysian cop killed, another kidnapped in Sabah"One NewsTelevision New Zealand। ১৩ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  50. "Malaysia security forces shoot dead 3 suspected kidnappers in Sabah waters"The Straits Times। The Star/Asia News Network। ৯ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  51. Ramli Dollah (৯ ডিসেম্বর ২০০৪)। "Lanun atau Mundu di Sabah" [Pirates or Mundu in Sabah] (পিডিএফ) (মালয় ভাষায়)। University of Malaya। পৃষ্ঠা 176, 178 and 180 (6, 8 and 10)। ৩০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  52. Charles Ramendran (২৬ অক্টোবর ২০১৪)। "Intruder shot dead in boat off Semporna"The Sun। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  53. "1 killed, 11 from southern PHL arrested off Sabah after boat chase – report"। GMA News। ১৭ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৫ 
  54. "Police shoot dead Filipino wanted criminal in shootout"Bernama। The Sun। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  55. Avila Geraldine (৪ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Gunman killed in shootout with security forces linked to KFR and Abu Sayyaf groups"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  56. "Alleged Pinoy intruder shot at PHL-Malaysian border —report"। GMA News। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  57. "Two gunmen on the loose in Malaysia with hostage in tow"The Straits Times। The Star/Asia News Network। ৯ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  58. Muguntan Vanar (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Sabah police chief: Penampang robbers were Sulu militants"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  59. "Major incidences of Sabah cross-border crimes"The Star। ২৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  60. Stefan Eklöf (১ জানুয়ারি ২০০৬)। Pirates in Paradise: A Modern History of Southeast Asia's Maritime Marauders। NIAS Press। পৃষ্ঠা 38–। আইএসবিএন 978-87-91114-37-3 
  61. Masayuki Doi (৩০ অক্টোবর ১৯৮৫)। "Filipino pirates wreak havoc in a Malaysian island paradise"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  62. "Abu Sayyaf behind Taiwanese man's murder, wife's kidnapping, police say"Taipei Times। ১৭ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  63. Eric Tagliacozzo (২০০৭)। Secret Trades, Porous Borders: Smuggling and States Along a Southeast Asian Frontier, 1865–1915। NUS Press। পৃষ্ঠা 115–। আইএসবিএন 978-9971-69-385-5 
  64. Charlie Saceda (৬ মার্চ ২০১৩)। "Pinoys in Sabah fear retaliation"। Rappler। ২৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৩ 
  65. "Foreigners make up 58% of Sabah prison inmates"The Star। ১৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  66. "No safe haven for Abu Sayyaf"New Straits Times। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  67. Tracy Patrick (২৯ মার্চ ২০১৭)। "Alert for Filipino terror groups"। Daily Express। ৩০ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  68. "Family ties luring militants to Malaysia"The Star। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  69. "Why no shoot-on-sight yet?"। Daily Express। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  70. Muguntan Vanar (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Sabah CM orders lookout for groups fleeing southern Philippines"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  71. "Malaysia to tighten borders after Duterte announces martial law: Report"। Today Online। ২৫ মে ২০১৭। ২৯ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৭ 
  72. "Sabah CM: Time to go on the offensive against cross-border criminals"New Straits Times। ৯ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  73. "(South East Asia) Malaysia"। Smart Traveller। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  74. "(Destination) Malaysia"। Government of Canada। ১৬ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  75. "(Zones de vigilance) Malaisie" (ফরাসি ভাষায়)। Ministry of Europe and Foreign Affairs, France। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  76. "Malaysia: Reise- und Sicherheitshinweise (Sicherheit)" (জার্মান ভাষায়)। Ministry of Foreign Affairs, Germany। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  77. "(Outbound Travel Alert) Malaysia"। Security Bureau। ২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  78. "(Travel) Malaysia"। Department of Foreign Affairs and Trade। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  79. "マレーシア (Malaysia)" (জাপানি ভাষায়)। Ministry of Foreign Affairs, Japan। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  80. "Malaysia"। Safe Travel। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  81. "(Travel Notices) Situation in Eastern Sabah"। Ministry of Foreign Affairs, Singapore। ২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  82. "한국대사관, IS 납치 및 테러 위험 경고" (কোরীয় ভাষায়)। Korean Press। ৮ অক্টোবর ২০১৪। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  83. "(Risques régionaux spécifiques) Malaisie" (ফরাসি ভাষায়)। Federal Department of Foreign Affairs, Switzerland। ২০ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  84. "馬來西亞 - 沙巴州東海岸全區,包含古達、山打根、拿篤、仙本那、及斗湖等沿海地區及鄰近島嶼" (চীনা ভাষায়)। Bureau of Consular Affairs, Ministry of Foreign Affairs, Republic of China (Taiwan)। ১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  85. "(Foreign Travel Advise) Malaysia"। Government of the United Kingdom। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  86. "(Country Information) Malaysia"। United States Department of State। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  87. Doan Loan (৪ মে ২০১৬)। "Vietnam issues warning over crew abductions off East Sabah and the Philippines"। VnExpress। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  88. David Joel Steinberg (১ জানুয়ারি ২০০০)। The Philippines: A Singular and a Plural Place। Basic Books। পৃষ্ঠা 91–। আইএসবিএন 0-8133-3755-0 
  89. James Francis Warren (২০০৭)। The Sulu Zone, 1768–1898: The Dynamics of External Trade, Slavery, and Ethnicity in the Transformation of a Southeast Asian Maritime State। NUS Press। পৃষ্ঠা 147–। আইএসবিএন 978-9971-69-386-2 
  90. George MacDonald Fraser (৭ মে ২০১৩)। Flashman's Lady। Penguin Group US। পৃষ্ঠা 254–। আইএসবিএন 978-1-101-63386-1 
  91. Vic Hurley (১ অক্টোবর ২০১০)। Swish of the Kris, the Story of the Moros, Authorized and Enhanced Edition। Cerberus Books। পৃষ্ঠা 203–। আইএসবিএন 978-0-615-38242-5 
  92. Greg Poulgrain (১৯৯৮)। The Genesis of Konfrontasi: Malaysia, Brunei, Indonesia, 1945–1965। C. Hurst & Co. Publishers। পৃষ্ঠা 177–। আইএসবিএন 978-1-85065-513-8 
  93. Sina Frank (মে ২০০৬)। "Project Mahathir: 'Extraordinary' Population Growth in Sabah (The History of Illegal Immigration to Sabah)" (পিডিএফ)Im FokusGerman Institute of Global and Area Studies। পৃষ্ঠা 72 and 73 / 2 and 3। ৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  94. Paul F. Whitman (২০০২)। "The Corregidor Massacre - 1968"। Corregidor Historic Society। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৭ 
  95. Acram Latiph (১৩ মার্চ ২০১৩)। "Sabah – the question that won't go away"। New Mandala। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  96. Rommel Banlaoi (১৩ অক্টোবর ২০০৯)। Philippine Security in the Age of Terror: National, Regional, and Global Challenges in the Post-9/11 World। CRC Press। পৃষ্ঠা 49–। আইএসবিএন 978-1-4398-1551-9 
  97. Andrew Tian Huat Tan (১ জানুয়ারি ২০০৪)। Security Perspectives of the Malay Archipelago: Security Linkages in the Second Front in the War on Terrorism। Edward Elgar। আইএসবিএন 978-1-84376-997-2 
  98. "Sabah fears new influx of Filipinos"New Straits Times। ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  99. Eddy Hiew (২৮ অক্টোবর ১৯৮৬)। "Refugees not being victimised, says UNHCR"New Straits Times। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  100. "Solving the Filipino refugee problem"New Straits Times। ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  101. Kamal Sadiq (২ ডিসেম্বর ২০০৮)। Paper Citizens: How Illegal Immigrants Acquire Citizenship in Developing Countries। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 47–। আইএসবিএন 978-0-19-970780-5 
  102. Examiner। L.O. Ty.। ১৯৭৯। 
  103. "Apakah Pas IMM 13" (মালয় ভাষায়)। Attorney General's Chamber (Malaysia)। ১১ জুলাই ২০১২। ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  104. Jia Vern Tham (২৬ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Why do certain refugees get VIP treatment over others in Malaysia?"। cilisos.my। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  105. "RCI: Job opportunities attract illegal immigrants to Sabah"New Straits Times। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  106. "Why 'Sultan' is dreaming"। Daily Express। ২৭ মার্চ ২০১৩। ২৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৩ 
  107. "Philippines rebel leader arrested"BBC News। ২৫ নভেম্বর ২০০১। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫Malaysia's Inspector-General of Police Norian Mai said Mr Misuari and six of his followers were arrested at 3.30 am on Saturday (1930 GMT Friday) on Jampiras island off Sabah state. Manila had ordered his arrest on charges of instigating a rebellion after the government suspended his governorship of an autonomous Muslim region in Mindanao, the ARMM. Although the Philippines has no extradition treaty with Malaysia, the authorities have already made clear that they intend to hand Mr Misuari over to the authorities in Manila as soon as possible. Malaysian Prime Minister Mahathir Mohamad had said before the arrest that, although his country had provided support to the rebel group in the past in its bid for autonomy, Mr Misuari had not used his powers correctly. "Therefore, we no longer feel responsible to provide him with any assistance," he said. 
  108. "Illegals: Graft, illegal issuance of ICs, councils blamed"। Daily Express। ২৪ জুন ২০১৪। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৪ 
  109. "Take stern action on culprits: NGO"। Daily Express। ৩ নভেম্বর ২০১৫। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  110. "Why the exodus to Sabah continued"। Daily Express। ২৮ অক্টোবর ২০১৬। ২৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬ 
  111. Tracy Patrick (১ জুলাই ২০১৭)। "Indon workers claim replaced by Filipino illegals"। Daily Express। ২ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৭ 
  112. "Armed group fails to kidnap cage-fish farmer in Semporna"The Borneo Post। ৮ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  113. "New tactic – sneaking into Sabah in smaller groups"। Daily Express। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  114. "Major incidences of Sabah cross-border crimes" 
  115. "The Sydney Morning Herald - Google News Archive Search"news.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৭ 
  116. "Sabah abductions since 2000: A timeline"The Malay Mail। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  117. "Heirs of Sultan of Sulu pursue Sabah claim on their own"। Philippine Daily Inquirer। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  118. Mike Frialde (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Sultanate of Sulu wants Sabah returned to Phl"The Philippine Star। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  119. "Dakwaan anggota tentera terbunuh hanya taktik musuh – Panglima Tentera Darat" (মালয় ভাষায়)। Astro Awani। ১২ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  120. Najiah Najib (৩০ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Lahad Datu invasion: A painful memory of 2013"। Astro Awani। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  121. Zhuang Pinghui (৩১ মে ২০১৪)। "Chinese tourist kidnapped in Malaysia is rescued by security forces"South China Morning Post। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪ 
  122. Farik Zolkepli (১১ জানুয়ারি ২০১৪)। "Another Sabah intrusion warded off"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪ 
  123. Stephanie Lee (১০ জুলাই ২০১৪)। "Filipino gunmen free kidnapped Chinese fish farm manager"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৪ 
  124. "Abu Sayyaf frees Malaysian hostage in Philippines despite massive military campaign"। Mindanao Examiner। ১০ ডিসেম্বর ২০১৪। ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  125. Muguntan Vanar (১৬ জুন ২০১৪)। "Kunak kidnap: Filipino gunmen kidnap fish breeder, worker in Sabah east coast"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৪ 
  126. "Extremists threaten to kill Malaysian hostage"Gulf Times। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  127. Muguntan Vanar (১৩ জুলাই ২০১৪)। "Mabul attack: Massive hunt for gunmen after cop killed, another feared kidnapped during shootout"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৪ 
  128. "Abu Sayyaf frees kidnapped policeman"। Free Malaysia Today। ৭ মার্চ ২০১৫। ৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫ 
  129. "Filipino pirates shoot Vietnamese fishermen off Malay coast"Thanh Nien News। ১৭ অক্টোবর ২০১৪। ২৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  130. Tuan Minh (১৭ অক্টোবর ২০১৪)। "Vietnamese vessel attacked in Malaysia"Hanoi Times। ৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  131. "Kidnapping incident in Sabah recurs"The Borneo Post। ১৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৫ 
  132. "Police: Abu Sayyaf linked to Sabah kidnap"। GMA News। ১৫ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৫ 
  133. "Sabah hostage released by Abu Sayyaf gunmen"The Star/Asia News Network। Philippine Daily Inquirer। ৯ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 
  134. Muguntan Vanar; Stephanie Lee (১৭ নভেম্বর ২০১৫)। "Malaysian hostage Bernard Then beheaded"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৫ 
  135. "Demand for higher ransom led to beheading"The Star। ১৭ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৫ 
  136. "Philippines: Two militants linked to sailor abductions killed"The Malay Mail। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  137. Muguntan Vanar; Stephanie Lee (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Muktadil Brothers gunned down in surprise raid on Sulu island"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  138. Muguntan Vanar (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Last of Muktadil brothers killed"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  139. Nancy Lai; Margaret Ringgit (৩ এপ্রিল ২০১৬)। "Four Sarawakians kidnapped"The Borneo Post। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৬ 
  140. "4 Malaysians released by Abu Sayyaf: Philippine military"। Channel NewsAsia। ৮ জুন ২০১৬। ১১ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৬ 
  141. Arief Setyadi (১৬ এপ্রিল ২০১৬)। "Kapal Indonesia Kembali Dibajak, 4 WNI Diculik & 1 Ditembak" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Okezone। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৬ 
  142. Ina Parlina; Tama Salim (১২ মে ২০১৬)। "Abu Sayyaf releases four remaining RI hostages"The Jakarta Post। ১৩ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৬ 
  143. "Armed Men Kidnap Three Indonesians Off Sabah Coast"। Jakarta Globe। ১০ জুলাই ২০১৬। ১৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৬ 
  144. "5 Malaysian crewmen kidnapped by Abu Sayyaf: Philippine official"। Channel NewsAsia। ২০ জুলাই ২০১৬। ২৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৬ 
  145. Heru (৭ আগস্ট ২০১৬)। "Govt confirms one more Indonesian abducted in Malaysian water"। Antara। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬ 
  146. Teresa Cerojano (১৮ আগস্ট ২০১৬)। "Second Indonesian sailor manages to escape Abu Sayyaf captors"The Associated Press। CTV News। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  147. Samhati Bhattacharjya (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Filipino militants kidnap three fishermen in Sabah waters"International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  148. Charles Ramendran (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Gunmen kidnaps 3 Filipino fishermen near Pulau Pom Pom"The Sun। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  149. "Three Indonesians abducted in Sabah waters freed by militant Abu Sayyaf group"New Straits Times। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  150. "Police believe Filipino group raided Sabah twice in same night"The Malay Mail। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  151. Muguntan Vanar (১ অক্টোবর ২০১৬)। "Fishing boat owner freed by Filipino abductors"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬ 
  152. "Abu Sayyaf frees Indonesia tugboat trio after three months in captivity"The Japan Times। ৩ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬ 
  153. Muguntan Vanar (১৪ অক্টোবর ২০১৬)। "Fisherman shot and injured by gunmen off Sabah island"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  154. "Police probing gun attack against fishing boat in northern Sabah"The Malay Mail। ১৪ অক্টোবর ২০১৬। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  155. "Foreign gunmen spare 9 at sea"। Daily Express। ২৮ অক্টোবর ২০১৬। ২৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬ 
  156. Stephanie Lee (৩১ অক্টোবর ২০১৬)। "Possible kidnapping attempt foiled off Sabah waters by Esscom"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৬ 
  157. "Two Indonesian fishing boat skippers abducted in Sabah"The Straits Times। ৫ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  158. Awang Ali Omar (৭ নভেম্বর ২০১৬)। "Report: German kidnapped, girlfriend killed as Abu Sayyaf storm yacht off Sabah waters"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬ 
  159. "[Female companion found dead in Sulu] ASG claims abducting German off Sabah"। GMA News। ৭ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬ 
  160. Manuel Mogato; Martin Petty (২০ নভেম্বর ২০১৬)। "Philippines tries to intercept bandits as more fishermen snatched off Sabah"The Star। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬ 
  161. Fernan Marasigan (১৭ অক্টোবর ২০১৬)। "Use all 'tools of war' vs Abu Sayyaf"The Manila Times। ১৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬ 
  162. RJ Rosalado (৭ মার্চ ২০১৭)। "Abu Sayyaf death toll rises to 30 – military"। ABS-CBN News। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭ 
  163. "Vietnamese cargo ship rescued in Malaysia"Vietnam News Agency। Vietnam Net। ৮ মার্চ ২০১৭। ১২ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭ 
  164. "Philippines: Troops rescue 2 Malaysians kidnapped by Abu Sayyaf militants"। Asian Correspondent। ২৩ মার্চ ২০১৭। ২৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৭ 
  165. Ali Nufael (৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Malaysia: Two Suspected Abu Sayyaf Members Killed in Shootout"। Benar News। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  166. Carol RH Malasig (৬ এপ্রিল ২০১৭)। "Sabah kidnap-free since December due to PH-Malaysia cooperation"। Rappler। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  167. Colin Forsythe; Ismira Lutfia Tisnadibrata (৬ এপ্রিল ২০১৭)। "Malaysia Set to Launch Joint Sea Patrols with Indonesia, Philippines"Benar News। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  168. "20 abduction cases, 5 kidnapping bids between 2000 and 2016 in Sabah"The Borneo Post। ১৮ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  169. "Abu Sayyaf plot to kidnap tourists from Sabah islands foiled"The Star। TNP। ১৯ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  170. "Indonesian fishermen kidnapped off Malaysia's Sabah state"। Xinhua News Agency। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  171. Stephanie Lee (১৮ জুন ২০১৯)। "Sabah cops: All 10 kidnapped are sea gypsies"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  172. Elton Gomes (২২ জুন ২০১৯)। "9 of 10 fishermen kidnapped by Abu Sayyaf released, police confirm"The Borneo Post। ৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  173. "Two men killed in shootout with police in Sabah waters"Bernama। Channel NewsAsia। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  174. "2 killed in failed Sabah intrusion"The Manila Times। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  175. Mangosing, Frances (২০২০-০৮-১৩)। "PH military unaware Abu Sayyaf leader Susukan was in Davao City, Lorenzana says"INQUIRER.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  176. Alipala, Consuelo Marquez, Julie S. (২০২০-০৮-১৩)। "Abu Sayyaf leader Susukan handed over to police; PNP chief thanks Misuari"INQUIRER.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  177. "Briefs"jamestown.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  178. Mendoza, John Eric (২০২৩-০৯-০৭)। "PH Army officially declares Sulu province Abu Sayyaf-free"INQUIRER.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  179. "MSN"www.msn.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  180. Mendoza, John Eric (২০২৪-০৩-২২)। "Abu Sayyaf now 'dismantled' after over 30 years – Westmincom chief"INQUIRER.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  181. "Philippine police kill an Abu Sayyaf militant implicated in 15 beheadings and other atrocities"AP News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৪-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  182. "3 ISAFP personnel killed in Basilan ambush"www.pna.gov.ph (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২ 
  183. Julia Chan (২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Sabah on guard after Indonesia alleges Abu Sayyaf hunting for hostages"The Malay Mail। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  184. Borneo. Ediz. Inglese। Lonely Planet। ২০০৮। পৃষ্ঠা 26–। আইএসবিএন 978-1-74059-105-8 
  185. Roy Goh (১৩ অক্টোবর ২০১৪)। "More assets to enhance security in Sabah"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  186. "Curfew for Sabah's east coast after spate of kidnappings"The Straits Times। ১৭ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  187. "Sabah security officials to assess threat on tiny settlements"The Star/Asia News Network। asiaone। ১৯ আগস্ট ২০১৪। ২২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  188. "Harris: Shift RMAF base to Tawau, not Labuan"। Daily Express। ৩ নভেম্বর ২০১৪। ৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  189. "Sabah's Safety Concern Should Be For Whole State – Liow"। Bernama। ১৫ জুলাই ২০১৪। ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  190. "12 boats for ESSCom from U.S."BernamaAstro Awani। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৫ 
  191. "12 boats from US for Sabah security command"Free Malaysia Today। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৫ 
  192. Julia Chan (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Esscom's sea of troubles"The Malay Mail। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  193. Muguntan Vanar; Philip Golingai (৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Abu Sayyaf militants caught in KL"The Star। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  194. "Sabah kidnappers may have had inside help"The Standard। ৪ মার্চ ২০১৪। ৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪ 
  195. Allan Nawal (৫ নভেম্বর ২০১৫)। "Malaysian employers warned in hiring Filipino, foreign staff"। Philippine Daily Inquirer। ৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  196. Ainur Rohmah (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Indonesia suspects 'spy' helping Abu Sayyaf abductions"। Anadolu Agency। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  197. Amy Chew (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Sabah residents fear illegal immigrants helping kidnappers after recent case"। Channel NewsAsia। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  198. Rizki Akbar Hasan (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Imigran Gelap Filipina Terlibat dalam Kasus Penculikan 2 Nelayan WNI di Sabah?" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Liputan6। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  199. "'Don't use P'pine names for kampungs in Sabah'"। Daily Express। ৪ নভেম্বর ২০১৫। ৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  200. Zam Yusa (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Filipino illegals here played role in kidnapping: Esscom"। Daily Express। ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  201. "Police to propose banning barter trade in Sabah"Bernama। Sabah Ports Authority। ১৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  202. "Review barter system between Sabah and southern Philippines: Ahmad Zahid"Bernama। The Sun। ৩ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ 
  203. "Basilan officials urge closer Mindanao-Sabah relations, expresses concern on proposed barter trade ban"। Department of Foreign Affairs, Philippines। ১ জুন ২০১৫। ১৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  204. Nancy Lai; Murib Morpi (২০ এপ্রিল ২০১৬)। "Barter trade ban hotly debated"The Borneo Post। ১৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  205. "Sabah closes eastern borders to stop kidnapping menace"The Straits Times। ৭ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  206. Budi Satriawan; Manuel Mogato (৫ মে ২০১৬)। "Indonesia, Philippines, Malaysia to coordinate against militant pirates"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  207. Francis Mangosing (৩ অক্টোবর ২০১৬)। "Philippines, Indonesia, Malaysia agree on joint air patrols"। Philippine Daily Inquirer। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  208. "Former CM's nephew killed over salary"The Borneo Post। ৩ মার্চ ২০১৫। ১৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  209. "Four arrested; pistol, 39 bullets seized in Telipok"New Straits Times। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  210. "Filipino, daughter held"। Daily Express। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  211. Muzliza Mustafa (৭ অক্টোবর ২০১৬)। "Malaysia Nabs 10 on Suspicion of Passing Information to Abu Sayyaf Group"Benar News। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৬ 
  212. "Three gunmen shot dead during kidnapping attempt in Sabah waters"The Malay Mail। ৮ ডিসেম্বর ২০১৬। ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  213. Roel Pareño (১০ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Abu Sayyaf kidnapping leader killed in Sabah"The Philippine Star। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  214. Ashwin Kumar (১২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Two gunmen shot dead by police in Sabah (Updated)"The Sun। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  215. Olivia Miwil (১২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Cache of weapons seized from two men shot dead in Eastern Sabah"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  216. "Penjenayah Ditembak Mati Di Kunak Terbabit Kes Dadah, Penyeludupan Dan Rompakan Bersenjata" (মালয় ভাষায়)। Bernama। ১২ ডিসেম্বর ২০১৬। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  217. "Sabah cops looking for link between dead armed robbers and wanted kidnap group"The Malay Mail। ১২ ডিসেম্বর ২০১৬। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  218. "Armed drug dealers killed in shootout with police in Malaysia"South China Morning Post। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  219. "Filipino kills Sabahan, injures four others in Kudat"The Malay Mail। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬। ১৬ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭ 
  220. "Filipino just out of jail is shot over attack"। Daily Express। ৮ জানুয়ারি ২০১৬। ৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৬ 
  221. Aaron Lee (৩ এপ্রিল ২০১৭)। "Man shot dead near KK after running amok, stabbing wife, policeman"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  222. "Filipino who stabbed wife shot dead"। Daily Express। ৪ এপ্রিল ২০১৭। ৭ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  223. "Charged with supporting Abu Sayyaf"। Daily Express। ৬ এপ্রিল ২০১৭। ৭ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  224. "Man stabbed in attack by eight in Penampang"The Borneo Post। ১৬ এপ্রিল ২০১৭। ১৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  225. Aaron Lee (১৬ মে ২০১৭)। "Sabah police probing presence of 5 heavily armed men at Felda Sahabat"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭ 
  226. "Police receive false report over sighting of armed men in Lahad Datu - Sabah CPO"Bernama। Astro Awani। ১৭ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭ 
  227. Aaron Lee (১৭ মে ২০১৭)। "Police now sceptical over report of heavily-armed men in Lahad Datu"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৭ 
  228. Stephanie Lee (১৯ মে ২০১৭)। "Cops arrest illegal immigrant who reported armed men sighting in Sabah"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৭ 
  229. Jo Ann Mool (১৮ মে ২০১৭)। "Jailed for attempted assault"। Daily Express। ১৮ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭ 
  230. "Man holds woman hostage in two-hour standoff with police in Malaysia"The Straits Times। ১১ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৭ 
  231. "Police successfully end hostage drama in KK (VIDEO)"The Malay Mail। ১০ মে ২০১৭। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৭ 
  232. Avila Geraldine (১১ মে ২০১৭)। "KK hostage drama: Knife-wielding man was high on drugs"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৭ 
  233. Nikko Fabian (১৮ মে ২০১৭)। "Drop in Filipinos heading to Sabah"। Daily Express। ১৮ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭ 
  234. "Deported Filipino returns to Tawau to commit armed robbery"The Malay Mail। ১৪ নভেম্বর ২০১৭। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  235. Fardy Bungga (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Penjenayah mati ditembak miliki 17 rekod samun" (মালয় ভাষায়)। Berita Harian। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  236. "Cops seek to determine if kidnap group was involved in trawler shooting"The Star। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৮ 
  237. Lagatah Toyos (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Trio linked to terrorism die in Tawau shootout"। Daily Express। ৮ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৮ 
  238. Natasha Joibi (৮ মে ২০১৮)। "Four gunmen shot dead off Lahad Datu waters"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৮ 
  239. Junaidi Ladjana (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "(Update) Two gunmen shot dead off Sabah waters"New Straits Times। Yahoo! News Singapore। ২৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৮ 
  240. "Revolver, live bullets among items found at Filipino refugee settlement"Bernama। The Sun। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  241. Muguntan Vanar (২৮ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Armed man killed in shootout with Lahad Datu cops"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  242. Sean Lim (১৩ জানুয়ারি ২০১৯)। "Man shot dead after holding 2-year-old girl at knifepoint for 5 hours in Sabah apartment – here's what we know"। Business Insider Malaysia। ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  243. "Identity of dead hostage-taker in Telipok yet to be ascertained: police"New Straits Times। ১৪ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  244. "Hostage taker's identity still unknown, say Sabah police"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন। The Malaysian Insight। ১৪ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  245. Jason Santos (১৩ জানুয়ারি ২০১৯)। "Sabahans take to social media to air frustration over Telipok crime"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন। The Malaysian Insight। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  246. Tracy Patrick (২৮ জানুয়ারি ২০১৯)। "More crimes involving foreigners in Sabah, warns Upko"। Free Malaysia Today। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  247. "Police hunting for man who slashed Aussie"। Daily Express। ২৬ জানুয়ারি ২০১৯। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  248. Sherell Jeffrey (২৬ জানুয়ারি ২০১৯)। "Culprit must be caught: Aussie mum"। Daily Express। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  249. R. Gonzales (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Suspect behind Aussie slashing arrested"। Daily Express। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  250. Jo Ann Mool (২৯ মার্চ ২০১৯)। "Bid to murder Aussie: Filipino jailed 13 years"। Daily Express। ২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৯ 
  251. Junaidi Ladjana (২৮ মে ২০১৯)। "Missing Grab driver robbed, murdered; two suspects arrested"New Straits Times। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  252. Jo Ann Mool (১১ জুন ২০১৯)। "Grab driver's murder: 2 charged"। Daily Express। ১৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  253. "Four Filipino teens arrested for murder of food vendor in Tawau"The Malay Mail। ১১ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  254. "12 held following two separate brawls in Sabah"The Malay Mail। ১৩ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  255. Muguntan Vanar (১০ জুন ২০১৯)। "Ranau folk told to stay calm as cops hunt foreign suspects after clash"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  256. "Sabah police call for calm after clash between locals and foreigners"The Star। ১১ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  257. Clarence GD; Lagatah Toyos (১২ জুন ২০১৯)। "IGP must pay attention to Sabah"। Daily Express। ১৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  258. Nikko Fabian (১৬ জুন ২০১৯)। "Call for life travel ban on Filipino criminals"। Daily Express। ১৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  259. "Kidnappings off Sabah not the whole story, says academic"। Free Malaysia Today। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  260. "Vietnamese ships to get piracy warnings - News VietNamNet"web.archive.org। ২০১৬-০৯-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৮ 
  261. "Eng Hen: Joint Sulu Sea patrols a welcome initiative to tackle terror"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৮ 
  262. "Sabah unsafe if water villages not demolished: Dr M"। Daily Express। ১৭ জুলাই ২০১৪। ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  263. "UNHCR Sabah office to close"New Straits Times। ১৭ এপ্রিল ১৯৮৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫ 
  264. "Shut Kinarut Refugee Camp, says Rosnah"New Sabah Times। ৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  265. "Sabah MPs urge govt to resolve immigrant issue"The Brunei Times। Bernama। ১৪ মে ২০০৮। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  266. "Moro refugees, immigrants in Sabah should return, develop homeland – Kurup"The Borneo Post। ২১ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  267. "Kurup: Sabahans oppose Project IC"। Free Malaysia Today। ১ নভেম্বর ২০১৫। ৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 
  268. "Closure of Filipino refugee camps in Malaysia sought"GMA Network। ১৯ এপ্রিল ২০০৭। ২৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  269. Yong Teck Lee (২ ফেব্রুয়ারি ২০০২)। "SCRAP FERRY SERVICES: YONG"। Sabah.org.my। ২৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  270. Jennifer Gomez (২৯ অক্টোবর ২০১৪)। "Zahid looks to tribunal for answer to Sabah's stateless children"The Malaysian Insider। ৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  271. "Sabah leaders seeing red over issuance of birth certs to stateless children"The Rakyat Post। ৩১ অক্টোবর ২০১৪। ৪ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  272. "Future generations to bear consequences of foolish 'humane' decision, says PKR lawmaker"The Rakyat Post। ৩১ অক্টোবর ২০১৪। ১৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  273. "Issuing BCs to stateless kids only worsens illegals problem in Sabah"The Rakyat Post। ৩ নভেম্বর ২০১৪। ৪ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  274. "RCI: Large amount spent on food, education, healthcare of illegal immigrants."New Straits Times। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪। ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  275. Sandra Sokial (২২ জুলাই ২০১৫)। "10,000 squatter homes in Sabah using electricity illegally"The Rakyat Post। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  276. Awang Ali Omar (২৪ অক্টোবর ২০১৬)। "Electricity theft in squatter areas spells huge losses for Sabah"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  277. Tracy Patrick (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Sleepless nights for Likas residents as thieves get bolder"। Daily Express। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  278. "Seaweed industry dying due to kidnappings"। Daily Express। ১৬ জুলাই ২০১৬। ১৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  279. Avila Geraldine (৪ নভেম্বর ২০১৪)। "Birth certificates issued to Sabah born foreign children do not make them Malaysians"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  280. Ruben Sario (৬ নভেম্বর ২০১৪)। "DNA tests to help certify genuine Malaysians in late birth registrations"The Star। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  281. LEE, RUBEN SARIO and STEPHANIE (২০১৪-১১-১৬)। "Najib: Children of stateless individuals born in Sabah to get special birth document"The Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১০ 
  282. http://www.thestar.com.my/News/Nation/2014/11/17/No-auto-citizenshipwith-birth-document/ "Najib: Children of stateless individuals born in Sabah to get special birth document" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)
  283. "RCI: UPKO to propose solutions on influx of illegal immigrants"New Straits Times। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  284. "Stop people receiving Sulu Sultan awards"। Daily Express। ৭ নভেম্বর ২০১৪। ৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  285. "Leaders laud new measures on illegals"। Daily Express। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  286. "RCI only after much pressure from the people: Bumburing"। Daily Express। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  287. "Manila to blame, says PBS"। Daily Express। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  288. "Emulate Indonesian govt in taking care of citizens in Sabah, Philippine leaders told"The Rakyat Post। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪। ৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  289. Muguntan Vanar (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Sabah aims to end squatter problem"The Star। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  290. "PH, Malaysia put Sabah dispute on 'back burner'"। ABS-CBN News। ১০ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  291. Pia Ranada (১১ নভেম্বর ২০১৬)। "PH, Malaysia agree on repatriation of Filipinos in Sabah"। Rappler। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  292. Julia Chan (২৪ নভেম্বর ২০১৬)। "Sabah to discuss hospital, school for Filipinos"The Malay Mail। ২৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  293. Awang Ali Omar (২৩ নভেম্বর ২০১৬)। "More than half a million immigrants deported from Sabah since 1990"New Straits Times। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬ 
  294. "Sabah government to submit recommendations to move refugee placement schemes"Bernama। The Sun। ২৪ নভেম্বর ২০১৬। ৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  295. "Sabah steps up enforcement against illegal immigrants"The Star। ৯ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৭ 
  296. "Man Who Illegally Changed 22 Sulu Citizenships Faces 156 Years Imprisonment"। Malaysian Digest। ৩ মার্চ ২০১৭। Archived from the original on ৩ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৭ 
  297. Nikko Fabian (১৬ এপ্রিল ২০১৭)। "Palawan plans to set up business office in Sabah"। Daily Express। ১৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  298. Nef Luczon (২৮ ডিসেম্বর ২০১৮)। "MinDA pushes for Sabah consular office"Philippine News Agency। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  299. Nikko Fabian (২০ এপ্রিল ২০১৭)। "Sabah Filipinos hope for better consular services"। Daily Express। ২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৭ 
  300. "Sabah trades cautiously with the Philippines due to security situation"The Malay Mail। ৪ জুন ২০১৭। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭ 
  301. "Temporary Sabah Pass shows Home Ministry's earnestness, says Liew"Bernama। The Sun। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  302. Larry Ralon (২৭ আগস্ট ২০১৯)। "New barter trade system"। Daily Express। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  303. "Sabah to launch barter trade system for non-subsidised cooking oil products, says CM"The Malay Mail। ২৪ আগস্ট ২০১৯। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  304. "Locsin says as netizens press him on territory issues"। ABS-CBN News। ২০ এপ্রিল ২০১৯। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  305. "Locsin: Setting up Sabah embassy an act of 'treason'"। ABS-CBN News। ২০ এপ্রিল ২০১৯। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯