সান্তিয়াগো বার্নাব্যু (ফুটবলার)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সান্তিয়াগো বের্নাবেউ
১৯৭১ সালে সান্তিয়াগো বের্নাবেউ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম সান্তিয়াগো বের্নাবেউ দে ইয়েস্তে
জন্ম (১৮৯৫-০৬-০৮)৮ জুন ১৮৯৫
জন্ম স্থান আলমানসা, আলবাস্তে, স্পেন
মৃত্যু ২ জুন ১৯৭৮(1978-06-02) (বয়স ৮২)
মৃত্যুর স্থান মাদ্রিদ, স্পেন
মাঠে অবস্থান স্ট্রাইকার
যুব পর্যায়
রিয়াল মাদ্রিদ
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯১১–১৯২৭ রিয়াল মাদ্রিদ[দ্রষ্টব্য ১] (০)
পরিচালিত দল
১৯২৭–১৯৩৩ রিয়াল মাদ্রিদ (ফুটবল পরিচালক)
১৯৩৩–১৯৩৬ রিয়াল মাদ্রিদ (সহযোগী ম্যানেজার)
১৯৩৬–১৯৪১ রিয়াল মাদ্রিদ
১৯৪৩–১৯৭৮ রিয়াল মাদ্রিদ (সভাপতি)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

সান্তিয়াগো বের্নাবেউ দে ইয়েস্তে (স্পেনীয় উচ্চারণ: [sanˈtjaɣo βeɾnaˈβeu̯ ˈʝeste]; ৮ জুন ১৮৯৫ – ২ জুন ১৯৭৮) ছিলেন একজন আক্রমণভাগের ফুটবলার খেলোয়াড়,যিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতেন। তাকে রিয়ালের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।[১]

সাধারণত রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবকে স্পেন এবং ইউরোপের সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব হিসেবে রূপান্তরের জন্য তার অবদান সবচেয়ে বেশি বিবেচনা করা হয়। দলের বর্তমান স্টেডিয়াম তার সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ থেকে জুন ১৯৭৮ পর্যন্ত ৩৫ বছরের জন্য ক্লাবের সভাপতি ছিলেন।[২]

প্রাক-গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

বের্নাবেউ স্পেনের আলবাস্তে আলমান্সায় জন্মগ্রহণ করেন। যখন খুব ছোট ছিলেন তার পরিবার তখন মাদ্রিদে চলে যায়। কয়েক বছর ধরে মাদ্রিদের ম্যাচগুলিতে নিয়মিত দর্শক হওয়ার পর ১৯০৯ সালে ১৪ বছর বয়সে রিয়াল মাদ্রিদ যুব দলে যোগ দেয়। ১৯২৭ সালে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে। সে বেশ কয়েক বছর ধরে দলের অধিনায়ক হিলেন। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত তিনি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন, প্রথম পরিচালক হিসেবে পরে সহযোগী ম্যানেজার এবং পরবর্তীতে প্রথম দলের ম্যানেজার হয়ে ওঠে।

গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯৩৬ সালে স্পেনের গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে সকল ধরনের স্পেনীয় ফুটবল খেলা বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধের সময় তিনি জেনারেল আগুস্তিন মুনিয়োস গ্রান্দেসের

ের অধীনে একজন সৈনিক হিসেবে জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন।

গৃহযুদ্ধের পরে[সম্পাদনা]

যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে স্পেনে আবার ফুটবল শুরু হয়, তবে ততোদিনে রিয়াল মাদ্রিদ একটি মৃত ক্লাব হয়ে যায়। পুরানো প্রশাসক (বেশ কয়েকজন যুদ্ধের সময় নিহত বা গুম হয়ে গিয়েছিল) এবং এমনকি তাদের প্রারম্ভিক বছরে অর্জন করা ক্লাবের ট্রফিগুলিও চুরি হয়ে গিয়েছিলো।রিয়াল মাদ্রিদ প্রাথমিকভাবে পুনর্নির্মাণে কোনও সরকারি সহায়তা পায়নি। বার্নাব্যুই পরবর্তী কয়েক মাস ধরে সাবেক খেলোয়াড়, পরিচালক এবং ক্লাব সদস্যদের খোজ করেন এবং যোগাযোগের জন্য ব্যস্ত ছিলেন। অবশেষে ক্লাবটির পুনর্গঠন করেন।

১৯৪৩ সালে এফসি বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয় লাভের পর সরকার সহিংসতার পর সরকার একটি সমাধান নিল এবং ক্লাবের দুই ক্লাবের সভাপতিদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। বার্নাব্যু রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২ জুন ১৯৭৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।

সাফল্য তৎক্ষণাৎ আসেনি। ক্লাবটি তখনও খুব খারাপ অবস্থায় ছিলো এবং অন্যান্য ক্লাবগুলি যেমন আতলেতিকো মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং অ্যাথলেতিক বিলবাও খুব শক্তিশালী দল ছিল।

বার্নাব্যু তার পরিকল্পনা শুরু করেন।তিনি প্রত্যেক স্তরে বয়সভিত্তিক দল গঠন করেন এবং প্রত্যেক দলের হন্য আলাদা আলাদা প্রশিক্ষক এবং প্রযুক্তিগত দল নিয়োগ করেন।বর্তমানে সকল পেশাদার ক্লাব নিজেদের খেলোয়াড় তৈরির জন্য এই পরিকল্পনা ব্যবহার করছে।

তারপরে তিনি ইউরোপের বৃহত্তম স্টেডিয়াম তৈরির প্রচেষ্টা করেছিলেন, এটি "এত ছোট ক্লাবের জন্য বড় স্টেডিয়াম" বলে মন্তব্য করা হয়েছিল,যেটা বর্তমান এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। সিউদাদ দেপর্তিভো নামক অনুশীলনের জন্য স্টেডিয়াম নির্মিত হয় যাতে খেলোয়াড়রা মূল স্টেডিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত করা ছাড়া অনুশীলন করতে পারে। অবশেষে, তিনি বিদেশ থেকে বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করার একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কৌশল শুরু করেছিলেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আলফ্রেদো দি স্তেফানোর স্বাক্ষর, এবং বিশ্বের প্রথম সত্যিকারের বহুজাতিক ক্লাব তৈরি করেছিলেন। বার্নব্যুয়ের সভাপতিত্বকালে সময়ে রিয়াল মাদ্রিদে অনেক কিংবদন্তি খেলেছে।

ইউরোপে প্রভাব ও সম্মান[সম্পাদনা]

১৯৫৫ সালে, লেকিপ সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল হ্যানোটের প্রস্তাবিত ধারণার উপর কাজ করেন এবং কোপা ল্যাটিনা (ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল এবং ইতালির ক্লাবগুলিকে নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট) গড়ে তোলার জন্য, বার্নাব্যু প্যারিসের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে বেদ্রিগনান এবং গুস্তাভ সেবেসের সাথে দেখা করেন। প্রথমে আমন্ত্রিত দলগুলির মধ্যে খেলা একটি প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা তৈরি করা হয়েছিলো, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যা বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পরিণত হয়েছে। উয়েফা প্রশাসনের অধীনে, এটি বিশ্বের প্রধান ক্লাব টুর্নামেন্ট।[যাচাই করার জন্য উদ্ধৃতি প্রয়োজন]

বার্নাব্যু, ১৯৫৮ সালে বিমান বিপর্যয়ের পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সাহায্যের প্রস্তাব দেয়।[৩]

তার মৃত্যুর সময়, বার্নাব্যু৩৫5 বছর ক্লাবের সভাপতি ছিলেন, এই সময়ে তার ক্লাব ১টি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ, ১৬টি লীগ শিরোপা, ৬টি স্পেনীয় কাপ, ২টি ল্যাটিন কাপ এবং ১টি কোপা ইভা ডুয়ার্তে জিতেছিল। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন সময় তিনি মারা যান। তার সম্মানে ফিফা টুর্নামেন্ট চলাকালীন তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছিলো।

২০০২ সালে, তিনি মরণোত্তর ফিফা অর্ডার অফ মেরিটে ভূষিত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "36 años sin Santiago Bernabéu"Marca.com। ২০১৪-০৬-০২। 
  2. Santiago BernabeuReal Madrid C.F. Retrieved 13 February 2010. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে
  3. "How Real Madrid helped to rebuild Manchester United after Munich air"। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

অন্যান্য অফিস
পূর্বসূরী
এন্তনিও সান্তোস
রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি
১৯৪৩–১৯৭৮
উত্তরসূরী
লুইস দে কার্লোস


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "দ্রষ্টব্য" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="দ্রষ্টব্য"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি