সানশাইন (২০০৭-এর চলচ্চিত্র)
সানশাইন | |
---|---|
![]() নাটকীয় পোস্টার | |
পরিচালক | ড্যানি বয়েল |
প্রযোজক | অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড |
রচয়িতা | অ্যালেক্স গার্লেন্ড |
শ্রেষ্ঠাংশে | সিলিয়ান মার্ফি রোজ বায়ার্ন ক্লিফ কুর্টিস ক্রিস ইভান্স ট্রয় গ্যারিটি হিরোয়ুকি সানাডা মার্ক স্ট্রং বেনেডিক্ট ওং মিশেল ইয়োহ |
সুরকার | জন মার্ফি আন্ডারওয়ার্ল্ড |
চিত্রগ্রাহক | অ্যালউইন এইচ কাচলার |
সম্পাদক | ক্রিস গিল |
পরিবেশক | ফক্স সার্চলাইট পিকচার্স |
মুক্তি | ৬ই এপ্রিল ২০০৭ (যুক্তরাজ্য) ২০শে জুলাই ২০০৭ (যুক্তরাষ্ট্র) |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ২ কোটি পাউন্ড স্টার্লিং[১] |
সানশাইন ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ব্রিটিশ বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূক চলচ্চিত্র। অ্যালেক্স গার্লেন্ড রচিত এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ড্যানি বয়েল। এতে দেখানো হয়েছে জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সূর্য মারা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পৃথিবীর মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে সূর্যকে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে হবে। সূর্যকে তাই পুনরায় প্রজ্জ্বলিত করার জন্য একটি অভিযান প্রেরণ করা হয়। ইক্যারাস ১ নামক সেই অভিযানের পেলোড ছিল একটি বিশাল ভরের পারমাণবিক বোমা যা সূর্যকে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে সক্ষম। এই অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় ইক্যারাস ২ নামে আরেকটি অভিযান প্রেরণ করা হয়। এই অভিযানটি নিয়েই চলচ্চিত্রের কাহিনী। এই অভিযানে পেলোড হিসেবে ব্যবহৃত বোমাটিই ছিল শেষ ভরসা। কারণ, ভূ-গর্ভস্থ সব জ্বালানি খরচ করে এই পেলোডটি বানানো হয়েছে।
এই চলচ্চিত্রটিতে ইক্যারাস ১ এর কমান্ডার পিনবেকারকে ধর্মানুরাগী এবং ঈশ্বরের অনুচর হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এবং পরিশেষে বিজ্ঞান ও মানবতার জয় দেখানো হয়েছে।
চরিত্রসমূহ
[সম্পাদনা]- সিলিয়ান মার্ফি (রবার্ট ক্যাপা) - ইক্যারাস ২ এর পদার্থবিজ্ঞানী। পেলোড বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। পদার্থবিজ্ঞানীদের আচার-ব্যবহার জানা এবং পদার্থবিজ্ঞানের মূল সূত্রগুলো অনুধাবন করার জন্য সিলিয়ান মার্ফিকে বেশ কিছুদিন সার্নে পদার্থবিজ্ঞানী ব্রায়ান কক্সের সাথে থাকতে হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রটির সাসপেন্স বোঝার জন্য পরিচালক তাকে শিক্ষা দিয়েছেন। মার্ফির কথা মতে, এই চলচ্চিত্রে অভিনয় তাকে অজ্ঞেয়বাদী থেকে নাস্তিকে পরিণত করেছে।
- রোজ বায়ার্ন (ক্যাসি) - পাইলট। চলচ্চিত্রের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ও আবেগ-অনুভূতি সম্পন্ন চরিত্র। সহজে মেজাজ না হারানোর গুণই তাকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছিল।
- ক্লিফ কুর্টিস (সিয়ার্ল) - নভোযানের মনোবিজ্ঞানী ও মনঃরোগ বিশেষজ্ঞ। তার মাধ্যমে নভোচারীদের মানসিক অবস্থা ও অভিযানটির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তার চরিত্রের সাথে পিনবেকারের চরিত্রের একটি বিশাল মিল ও অমিল আছে। সিয়ার্ল পৃথিবীর বৃহত্তর স্বার্থে তথাকথিত বিশ্বাস ও নিজের জীবন বিসর্জন দেয়, অন্যদিকে পিনবেকার নিজের অন্ধ বিশ্বাসের জন্য পৃথিবীকে বিসর্জন দেয়। তারা একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ John Hiscock (১৬ মার্চ ২০০৭)। "Another bright idea from Mr Sunshine"। Telegraph। ১১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০০৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- দাপ্তরিক সাইট
- সহযোগী সাইট
- সানশাইন ফ্যানদের সাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ মার্চ ২০০৮ তারিখে - ফ্যানসাইট
- চরিত্রসমূহের পেছনের গল্প - অ্যালেক্স গার্লেন্ড
- অফিসিয়াল ট্রেইলার - অ্যাপ্ল ডট কম
- ভিজুয়াল ইফেক্ট বিষয়ে - ভিএফএক্সওয়ার্ল্ড
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সানশাইন (ইংরেজি)
- অলমুভিতে Sunshine (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে Sunshine (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে Sunshine (ইংরেজি)
- ২০০৭-এর চলচ্চিত্র
- বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চলচ্চিত্র
- ডিএনএ ফিল্ম প্রোডাকশন্স
- ২০০০-এর দশকের বিপর্যয় চলচ্চিত্র
- ডুম্সডে চলচ্চিত্র
- ফক্স সার্চলাইটের চলচ্চিত্র
- মনোবৈজ্ঞানিক চলচ্চিত্র
- মহাকাশ অভিযান বিষয়ক চলচ্চিত্র
- মার্কিন অস্তিত্বরক্ষা চলচ্চিত্র
- সিডনির পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার চলচ্চিত্র
- মার্কিন দুর্যোগ চলচ্চিত্র
- ব্রিটিশ দুর্যোগ চলচ্চিত্র
- নভোচারী সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- ২০৫৭-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- মার্কিন মহাকাশ রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র
- ধর্ম সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- ড্যানি বয়েল পরিচালিত চলচ্চিত্র
- লন্ডনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ফক্স সার্চলাইট পিকচার্সের চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র
- ভবিষ্যতের পটভূমিতে চলচ্চিত্র