সাদেক খান (সাংবাদিক)
সাদেক খান | |
---|---|
জন্ম | মুন্সীগঞ্জ জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ২১ জুন ১৯৩৩
মৃত্যু | ১৬ মে ২০১৬ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৮২)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | সাংবাদিক, কলামলিস্ট, চলচ্চিত্রকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | আঞ্জুমান চৌধুরী খান |
সন্তান | কিশোর খান |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় |
|
সাদেক খান (২১ জুন ১৯৩৩ — ১৬ মে ২০১৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, কলাম লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০২ সালে তাকে একুশে পদক পুরস্কার প্রদান করে।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]খান ১৯৩৩ সালের ২১ জুন তার বাবার কর্মস্থল মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি আবদুল জব্বার খান। আব্দুল জব্বার খান ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পীকার ও পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস ছিল বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর-খুদ্রকাঠি গ্রামে। তিনি মা-বাবার জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন।
কর্ম জীবন
[সম্পাদনা]খান ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের একজন ভাষাসৈনিক ছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটির সভা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন[২] এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় উপ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি ইংরেজি সাপ্তাহিক উইকলি হলিডেতেও সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের সভাপতি ছিলেন।
খান চলচ্চিত্র শিল্পেও কাজ করেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালে নদী ও নারী চলচ্চিত্রের পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছিলেন। এছাড়া তিনি এ,জে, করদর নির্মিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র দুর হে সুখ কি গাওন এবং মহিউদ্দীন পরিচালিত রাজা এলো শহরে ছবিতে অভিনয় করেন।
ব্যক্তিগত
[সম্পাদনা]খান আঞ্জুমান চৌধুরী খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির কিশোর খান নামে একটি ছেলে রয়েছে।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]সাদেক খান ২০১৬ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন।[২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান (পিডিএফ)। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ৭। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ গ "সাংবাদিক সাদেক খান আর নেই"। বাংলাট্রিবিউন। ২০২০-০৬-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০৪।