সাদিক মোহাম্মদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাদিক মোহাম্মদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসাদিক মোহাম্মদ
জন্ম৩ মে, ১৯৪৫
জুনাগড়, জুনাগড় রাজ্য, ব্রিটিশ ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক গুগলি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ, আম্পায়ার
সম্পর্করইস মোহাম্মদ (ভ্রাতা), হানিফ মোহাম্মদ (ভ্রাতা), মুশতাক মোহাম্মদ (ভ্রাতা), শোয়েব মোহাম্মদ (ভ্রাতৃষ্পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬১)
২৪ অক্টোবর ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩০ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই৫ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৪১ ১৯
রানের সংখ্যা ২,৫৭৯ ৩৮৩
ব্যাটিং গড় ৩৫.৮১ ২১.২৭
১০০/৫০ ৫/১০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ১৬৬ ৭৪
বল করেছে ২০০ ৩৮
উইকেট
বোলিং গড় ১৩.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৮/০ ৫/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ এপ্রিল ২০২০

সাদিক মোহাম্মদ (উর্দু: صادق محمد‎‎; জন্ম: ৩ মে, ১৯৪৫) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের জুনাগড় রাজ্যের জুনাগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৮০ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড; ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও গ্লুচেস্টারশায়ার এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

শৈশবে করাচির চার্চ মিশন স্কুলে (সিএমএস) ভর্তি হয়েছিলেন সাদিক মোহাম্মদ।[১] ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারের সন্তান তিনি। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ তিনি। মৃদুভাষী সাদিক মোহাম্মদ বামহাতি ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এর বিপরীতে অপর চার ভ্রাতা ডানহাতি ছিলেন। শক্তিমত্তা প্রয়োগ ও কব্জির মোচরে অফ সাইডে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। এছাড়াও, পুলও করতেন বেশ ভালোভাবে। শুরুরদিকের বোলারদেরকে মোকাবেলাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন তিনি। হানিফ মোহাম্মদমুশতাক মোহাম্মদের চেয়ে তিনি কিছুটা খাটোপ্রকৃতির ও গুটিয়ে রাখতেন। সমালোচকদের অভিমত, পারিবারিক যোগসূত্রতার কারণেই তিনি জাতীয় দলে ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু, তার পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দলের কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে রুখে দাঁড়িয়েছেন।

১৯৬০-৬১ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত সাদিক মোহাম্মদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তন্মধ্যে, ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে তাসমানিয়ার পক্ষে অস্ট্রেলীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একচল্লিশটি টেস্ট ও ঊনিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সাদিক মোহাম্মদ। ২৪ অক্টোবর, ১৯৬৯ তারিখে করাচিতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে মুলতানে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সর্বশেষ অংশ নেন তিনি।

অবসর[সম্পাদনা]

হানিফ মোহাম্মদ ও মুশতাক মোহাম্মদ তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১০ সালে তার পরিচালনায় দলটি এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক লাভ করেছিল। এছাড়াও, একটি একদিনের আন্তর্জাতিকে আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sharif, Azizullah. "KARACHI: Restoration of Church Mission School ordered" (). Dawn. 20 February 2010. Retrieved on 26 May 2014.
  2. "Sadiq Mohammad"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৪ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
নীল হক
পেশাদার
নেলসেন ক্রিকেট ক্লাব

১৯৬৮
উত্তরসূরী
নীল হক