সাদাত কুরাইশ মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩০°২৫′০৬″ উত্তর ৩১°৩৩′৪৮″ পূর্ব / ৩০.৪১৮৩৯৪০৬৬১৯৮৬৯° উত্তর ৩১.৫৬৩৪৪৯৭৮৬২১৫১৮৭° পূর্ব / 30.41839406619869; 31.563449786215187
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাদাত কুরাইশ মসজিদ
مسجد سادات قريش
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানবিলবিস, মিশর
সাদাত কুরাইশ মসজিদ মিশর-এ অবস্থিত
সাদাত কুরাইশ মসজিদ
মিশরে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩০°২৫′০৬″ উত্তর ৩১°৩৩′৪৮″ পূর্ব / ৩০.৪১৮৩৯৪০৬৬১৯৮৬৯° উত্তর ৩১.৫৬৩৪৪৯৭৮৬২১৫১৮৭° পূর্ব / 30.41839406619869; 31.563449786215187
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামি স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৮ হি:
৬৩৯ খ্রি:

সাদাত কুরাইশ মসজিদ (আরবি: مسجد سادات قريش) হলো মিশরের বিলবিস শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি স্থাপিত হয়েছে ১৮ হিজরিতে। এটিকে বিশিষ্ট ইসলামি স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ কিছু ঐতিহাসিকরা এটিকে মিশরে নির্মিত প্রথম মসজিদ হিসেবে বিশ্বাস করেন। এটি ফুসতাতে আমর ইবনুল আস মসজিদ-এর আগে প্রতিষ্ঠিত। সম্ভবত আফ্রিকার দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ এটি।[১]

নামকরণ[সম্পাদনা]

বিলবিসে রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসলামের নবি মুহাম্মদের শহিদ সাহাবিদের সম্মানে এটিকে সাদাত কুরাইশ বা কুরাইশ গোত্রের প্রভু নামকরণ করা হয়েছিল, যেখানে প্রায় ১২০ জন সাহাবি যুদ্ধ করছিলেন যার মধ্যে ২০-৪০ জন শহিদ হন এবং মসজিদের ভিতরে বা আশেপাশে এদের কবরস্থ করা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মিশরে ইসলামের বিজয়ের সময় ১৮ হিজরিতে আমর বিন আল-আস দ্বারা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই শারকিয়া সরকার আমলে "সাদত কুরাইশ" মসজিদটি মিশরে নির্মিত প্রথম মসজিদ। এটি আল-ফুসতাত শহরের আমর বিন আল-আস এবং আলেকজান্দ্রিয়ার আল-রাহমা মসজিদের চেয়েও পুরনো।[২] যাইহোক, কিছু সূত্র ইঙ্গিত দেয় যে, এটি আবিসিনিয়ার আল নেজাশি মসজিদ-এর পরে আফ্রিকার দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ। যেটি সাহাবায়ে কেরামের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যখন তারা ৬১৩ সালে আবিসিনিয়ায় চলে আসেন।[৩]

এছাড়াও, কারবালার যুদ্ধের পর ইমাম আলীর কন্যা সাই্যদা জয়নাব মদিনায় থাকাকালীন সময়ে একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে,আল্লাহর রসূল তার আহলে বাইতকে মিশরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই বিলবিসের লোকেরা তাদের স্বাগত জানায় এবং তারা পুরো মাস মসজিদে অবস্থান করে।[৪]

আব্বাসীয় গভর্নর ইসা বিন মানসুরের বিরুদ্ধে বাশমুরিয়ান বিদ্রোহের পর,আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন ৪০ দিন সেখানে অবস্থান করেছিলেন যখন তিনি শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মিশরে গিয়েছিলেন। খলিফা আল-মামুন মসজিদটি পুনরুদ্ধারের আদেশ দেন এবং সেই কারণেই মসজিদটিকে কিছু কাল "আল-মামুন মসজিদ" বলা হতো।

সাদাত কুরাইশ মসজিদটি পূর্বাঞ্চলে ১৯৫১ সালের ১০৩৫৭ নং মিনিস্ট্রিয়াল ডিক্রিতে ইসলামি পুরাকীর্তিগুলির মধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে, এটি দখল করা হয়েছে এবং এর চারপাশে নির্মিত হয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কায় এর মিনারের উপরের অংশটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।[৫]

নকশা[সম্পাদনা]

আয়তক্ষেত্রাকার এই মসজিদটিতে তিনটি সারিতে ১৮টি মার্বেল স্তম্ভ রয়েছে। এটি মিহরাবের সমান্তরালে চারটি খিলানে বিভক্ত। কলামগুলির মুকুটগুলি বিভিন্ন আকৃতির যা বিভিন্ন প্রাচীন মিশরীয় এবং রোমান মন্দির থেকে তাদের উৎপত্তি নির্দেশ করে। মসজিদের বর্গক্ষেত্র প্রায় তিন হাজার বর্গ মিটার। উসমানীয় যুগে মিশরের আমির আল-কাশিফ মসজিদটির মিনার নির্মাণ করার পাশাপাশি মসজিদটি সংস্কার করেছিলেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "سادات قريش .. أول مسجد في مصر وأفريقيا"। صحيفة الاتحاد। ২১ জুন ২০২১। ২১ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "سادات قريش أول مسجد أنشئ فى مصر.. وليس جامع عمرو بن العاص"। المصري اليوم। ১০ জুলাই ২০১৮। ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "دمار بمسجد النجاشي جراء الصراع في أثيوبيا: قبور صحابة هجرة الحبشة تقصف - العرب والعالم - الوطن"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. عزالدين, محمد (১৫ এপ্রিল ২০২১)। "علي جمعة: أهل بلبيس استقبلوا السيدة زينب عند دخولها مصر بالبكاء"الوطن (আরবি ভাষায়)। 
  5. "سادات قريش..... أقدم مسجد في إفريقيا لم يبقى منه سوى "أطلال" مئذنته"। ২৮ নভেম্বর ২০২০। ২৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।