সা'দ ইবনে যায়েদ আল-আশহালীর অভিযান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সা'দ ইবনে যায়েদ আল-আশহালীর অভিযানটি ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে (ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৯ম মাসে) আল-মুশাল্লালের আশেপাশে সংঘটিত হয়। সা'দ ইবনে যায়েদ আল-আশহালীকে এলাকার চারপাশের মুশরিক উপজাতিদের দ্বারা পূজা করা দেবতার মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলার জন্য এটি পরিচালিত হয়।[১][২][৩][৪][৫]

আল-মানত ধ্বংস করার অভিযান[সম্পাদনা]

জুলফিকার অর্থাৎ আলীর তরবারির একটি কাল্পনিক উপস্থাপনা। সেমেতিক দেবী মানতের মন্দির থেকে দুটি তলোয়ার পাওয়া যায়। মুহাম্মদ সেগুলো আলীকে দিয়েছিলেন এই বলে যে, সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল আল-ধুলফিকার। যা আলীর বিখ্যাত তলোয়ার এবং শিয়া ইসলামের প্রতীক হয়ে ওঠে।[৬]

আল-উজ্জা এবং সুওয়া ধ্বংস করার জন্য খালিদ বিন ওয়ালিদের মিশনের একই মাসে, সা'দ ইবনে যায়েদ আল-আশহালীকে মানত নামক একটি মূর্তি ধ্বংস করার জন্য ২০ জন ঘোড়সওয়ারের সাথে আল-মাশাল্লালে পাঠানো হয়।[৭] কারন, মুশরিকরা মানত নামক এই মূর্তিটির উপাসনা করছিল। যারা উপাসনা করেছিল তারা আরবের আল-আউস ও আল-খাজরাজ গোত্রের।[১][২][৩]

যে দলটি এই অভিযান চালিয়েছিল তারা পূর্বে আল-মানতের ভক্ত ছিল। কিছু সূত্র অনুসারে, তাদের মধ্যে ইবনে কালবি এবং আলীকে পাঠানো হয় আল-মানত ধ্বংস করার জন্য। যাইহোক, স্যার উইলিয়াম মুইর দাবি করেন যে, অভিযানটি সা'দ দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ইঙ্গিত করার জন্য আরও প্রমাণ রয়েছে এবং আলীকে পাঠানো মুহাম্মদের চরিত্রের বাইরে ছিল। যেহেতু মুহাম্মদ মূর্তি ভাঙার জন্য প্রাচীন উপাসকদের পাঠান।[৮]

মুইর আরও উল্লেখ করেন যে, উল্লিখিত ঘটনার অনুরূপভাবে খালিদ বিন ওয়ালিদের নাখলায় অভিযানের সময় একজন ইথিওপিয়ান মহিলা নিহত হয়, যাকে মুহাম্মদ আসল আল-উজ্জা দাবি করেন।[৮] মুইরের মতে, মুহাম্মদ বলেন যে, এই ঘটনায় নিহত মহিলা ছিলেন আল-আউস এবং আল-খাজরাজ উপজাতির দেবী অর্থাৎ মানত।[৯]

ইসলামি প্রাথমিক সূত্র[সম্পাদনা]

মুসলিম ঐতিহাসিক হিশাম ইবনে আল কালবি এই ঘটনাটি নিম্নরূপে উল্লেখ করেন:

ঘটনাটি ইবনে সা'দ তার "কিতাব আল-তাবাকাত আল-কবীর, ভলিউম ২" বইতেও উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, সা'দ ইবনে যায়েদ আল-আশহালী এই অভিযান চালান।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "List of Battles of Muhammad"। ২০১১-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮ 
  2. Mubarakpuri, Safiur Rahman (৬ অক্টোবর ২০২০)। The Sealed Nectarআইএসবিএন 9798694145923। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  3. "Sa‘d bin Zaid Al-Ashhali was also sent", Witness-Pioneer.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৯-২৭ তারিখে
  4. Saʻd, Muḥammad Ibn (১৯৭২)। "Kitab Al-tabaqat Al-Kabir"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  5. Rahman al-Mubharakpuri, Saifur (২০০৩)। Tafsir Ibn Kathir (Volume 9)। Dar-us-Salam। পৃষ্ঠা 321। আইএসবিএন 978-9960-892-80-1  See also Tafsir Ibn Kathir,53:19- Text Version ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুন ২০২১ তারিখে
  6. Ghulam Mustafa (Hafiz.) (১৯৭১)। Religious Trends in Pre-Islamic Arabic Poetry। [Published for] the Faculty of Arts, Aligarh Muslim University [by] Asia Publishing House। পৃষ্ঠা 11। Similarly, swords were also placed on the Idols, as it is related that Harith b. Abi Shamir, the Ghassanid king, had presented his two swords, called Mikhdham and Rasub, to the image of the goddess, Manat. It would be interesting to note that the famous sword of 'Ali, the fourth caliph, called Dhu-al-Fiqar, was one of these two swords. 
  7. Abu Khalil, Shawqi (১ মার্চ ২০০৪)। Atlas of the Prophet's biography: places, nations, landmarks। Dar-us-Salam। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 978-9960-897-71-4 
  8. Muir, Sir William (১৮৬১)। "The Life of Mahomet and History of Islam to the Era of the Hegira"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  9. The life of Mahomet and history of Islam, Volume 4, By Sir William Muir, Pg 135 See Notes section
  10. Ibn al Kalbi, Hisham (১৯৫২)। The book of idols: being a translation from the Arabic of the Kitāb al-asnām। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 13। এএসআইএন B002G9N1NQ A full online version of it is available here উইকিউইক্সে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৮-০৫ তারিখে