সলোমন বন্দরনায়েকে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সলোমন বন্দরনায়েকে
සොලොමන් වෙස්ට් රිජ්වේ ඩයස් බණ්ඩාරනායක
சாலமன் வெஸ்ட் ரிட்ஜ்வே டயஸ் பண்டாரநாயக்கா
সিলনের ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১২ এপ্রিল ১৯৫৬ – ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯
সার্বভৌম শাসক২য় এলিজাবেথ
গভর্নর জেনারেলঅলিভার আর্নেস্ট গুণতিলক
পূর্বসূরীজন কোতলাবল
উত্তরসূরীবিজয়ানন্দ দহনায়ক
২য় বিরোধীদলীয় নেতা
কাজের মেয়াদ
৯ জুন ১৯৫২ – ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬
প্রধানমন্ত্রীডাডলি সেনানায়ক
পূর্বসূরীএন. এম. পেরেরা
উত্তরসূরীএন. এম. পেরেরা
শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি নেতা
কাজের মেয়াদ
২ সেপ্টেম্বর ১৯৫১ – ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯
পূর্বসূরীপদ সৃষ্টি
উত্তরসূরীসি. পি. দে সিলভা
লিডার অব দ্য হাউস
কাজের মেয়াদ
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ – ১২ জুলাই ১৯৫১
প্রধানমন্ত্রীডি. এস. সেনানায়ক
পূর্বসূরীডি. এস. সেনানায়ক
উত্তরসূরীজন কোতলাবল
স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ – ১২ জুলাই ১৯৫১
প্রধানমন্ত্রীডি. এস. সেনানায়ক
পূর্বসূরীপদ সৃষ্টি
উত্তরসূরীডাডলি সেনানায়ক
অত্তঙ্গল্ল আসনের
সিলন সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৪ অক্টোবর ১৯৪৭ – ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯
পূর্বসূরীনির্বাচনকেন্দ্র স্থাপিত
উত্তরসূরীজেমস ওবেশেখর
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮৯৯-০১-০৮)৮ জানুয়ারি ১৮৯৯
কলম্বো, সিলন (অধুনা শ্রীলঙ্কা)
মৃত্যু২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯(1959-09-26) (বয়স ৬০)
কলম্বো, সিলন (অধুনা শ্রীলঙ্কা)
রাজনৈতিক দলইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (১৯৪৬–১৯৫১)
শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (১৯৫১–১৯৫৯)
দাম্পত্য সঙ্গীসিরিমাবো বন্দরনায়েকে
সন্তানসুনেত্রা
চন্দ্রিকা
অনুর
পিতামাতাসলোমন ডিয়স বন্দরনায়েকে (পিতা)
আত্মীয়স্বজনবন্দরনায়েকে পরিবার
পাণিনি ইল্লঙ্গকুন (চাচাতো ভাই)
দ্বিতীয় জেমস পিটার ওবেশেখর (চাচাতো ভাই)
শিক্ষাক্রাইস্ট চার্চ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ)
Inner Temple (LPC)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

সলোমন ওয়েস্ট রিজওয়ে ডায়াজ বন্দরনায়েকে (সিংহলি: සොලොමන් වෙස්ට් රිජ්වේ ඩයස් බණ්ඩාරනායක; তামিল: சாலமன் வெஸ்ட் ரிட்ஜ்வே டயஸ் பண்டாரநாயக்கா; ৮ জানুয়ারি ১৮৯৯ – ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯), যাঁকে প্রায়শই তাঁর আদ্যক্ষর এস. ডাব্লিউ. আর. ডি. বা এস. ডাব্লিউ. আর. ডি. বন্দরনায়েকে নামে অবিহিত করা হয় এবং যিনি শ্রীলঙ্কানদের কাছে “এশিয়ার রুপালি ঘণ্টা” (ආසියාවේ රිදී සීනුව) হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন বিখ্যাত শ্রীলঙ্কান বক্তা ও রাজনীতিবিদ। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৯ মেয়াদে তৎকালীন সিলনের (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) চতুর্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ঐ নির্বাচনের ফলেই আধুনিক সিলনের রাজনৈতিক ইতিহাসের আমূল পরিবর্তন ঘটে। বামপন্থী ও সিংহল জাতীয়তাবাদী শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সলোমন বন্দরনায়েকে। ১৯৫৯ সালে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী 'Somarama' কর্তৃক নিহত হবার পর[১][২][৩] তার বিধবা পত্নী সিরিমাবো বন্দরনায়েকে বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবার বিরল কৃতিত্ব স্থাপন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

সম্ভ্রান্ত সিংহলী-আমেরিকান খ্রিস্টান পরিবারে তার জন্ম। পরবর্তীকালে রাজনীতিতে যোগদানের প্রেক্ষিতে ধর্মান্তরিত হয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।[৪] ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে স্যার সলোমন ডায়াস বন্দরনায়েকের সন্তান তিনি। সিলনের গভর্নর ওয়েস্ট রিজওয়ের নামানুসারে নিজ সন্তানের নাম রাখেন। সেন্ট টমাস কলেজে মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়ন শেষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ক্রাইস্ট চার্চে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিয়নের সচিব মনোনীত হয়েছিলেন। এরপর ইংল্যান্ডে ব্যারিস্টার হয়েছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তরুণ আইনজীবী হিসেবে সিলন ন্যাশনাল কংগ্রেসে সক্রিয় ছিলেন। ১৯২৬ সালে কলম্বো মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ সালে সিলন স্টেট কাউন্সিলে কর্মরত ছিলেন। সিংহলী সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের প্রতি আগ্রহ থাকায় ১৯৩৬ সালে সিংহলা মহা সভা আয়োজন করেন।[৫] ১৯৪৬ সালে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিতে যোগ দেন ও ১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ মেয়াদে মন্ত্রী পর্যায়ের বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৫১ সালে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] ভাষার ন্যায় স্পর্শকাতর বিষয়ে দলটি সিংহল ও তামিল - উভয়কেই জাতীয় ভাষার দাবীতে সোচ্চার ছিল। কিন্তু ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে কেবলমাত্র সিংহলী ভাষাকে গ্রহণ করে।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর সম সমাজ পার্টি, শ্রীলঙ্কার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ে চারদলীয় জোট গড়েন ও প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে সিংহলীকে গ্রহণ করেন, ইংরেজি ভাষার অবনমন ঘটান, সাম্যবাদের উত্তরণ ঘটান ও পশ্চিমা বিরোধী রাজনীতির প্রবর্তন ঘটান।

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখেন। কাতুনায়েকে ও চীনা বে থেকে ব্রিটিশদের বিমানঘাঁটি এবং ত্রিকোমালী থেকে নৌঘাঁটি গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য করেন। ঘরোয়া রাজনীতিতে অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হন ও ভাষার বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায়। ১৯৫৮ সালে সংখ্যালঘু শ্রীলঙ্কান তামিলদেরকে দাঙ্গার কবল থেকে মুক্ত রাখতে ব্যর্থ হন।

২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ৬০ বছর বয়সে তালদুয়ে সোমারামা নামীয় একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়ে তার দেহাবসান ঘটে। শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ নেতা সিলন সংসদ কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। কিন্তু সদস্যদের আস্থা না থাকায় এক বছরের মধ্যে সংসদের বিলুপ্তি ঘটানো হয়।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৪০ সালে সিরিমা রাতওয়াতের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ দম্পতির তিন সন্তান ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন। তার কন্যা চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন ও দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান। সর্বকনিষ্ঠ সন্তান অনূঢ়া বন্দরনায়েকে ১৯৯৯ থেকে ২০০১ মেয়াদে শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালনসহ ২০০৪-০৮ মেয়াদে মন্ত্রী হন। জ্যেষ্ঠ পুত্র সুনেত্রা বন্দরনায়েকে প্রথিতযশা মানবতাবাদী।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "S.W.R.D.Bandaranaike, or Solomon West Ridgeway Dias Bandaranaike (Prime Minister of Sri Lanka)"। Britannica Online। 
  2. "Bandaranaike, Solomon West Ridgeway Dias"। History.Com। 
  3. "Solomon West Ridgeway Dias Bandaranaike"। Encarta.MSN। ১ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. Nyrop, Richard (১৯৮২)। Sri Lanka, a Country Study। Supt. of Docs., U.S. G.P.O.। পৃষ্ঠা 197। 
  5. Richardson, John (2005) Paradise Poisoned: Learning about Conflict, Terrorism, and Development, International Center for Ethnic Studies, Kandy, Sri Lanka, p. 144, আইএসবিএন ৯৫৫-৫৮০-০৯৪-৪
  6. Richardson (2005), Paradise Poisoned, p. 145.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

This page incorporates text from the Library of Congress's Country Studies series.

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
জন কোতেলাওয়ালা
সিলনের প্রধানমন্ত্রী
১৯৫৬-১৯৫৯
উত্তরসূরী
বিজয়ানন্দ ডাহানায়েকে
পূর্বসূরী
শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির নেতা
১৯৫১-১৯৫৯
উত্তরসূরী
সি. পি. ডি সিলভা