সবার জন্য শিক্ষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেনিয়ার একটি রিফুউজি ক্যাম্পের ছবি যেটি ফুটে উঠেছে শিক্ষা সবার জন্য।

সবার জন্য শিক্ষা হল ইউনেস্কো (জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা) কর্তৃক ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল শিশু, যুবক ও প্রৌঢ়দের মাঝে অন্যতম মৌলিক চাহিদা শিক্ষা নিশ্চিতের নিমিত্তে পরিচালিত একটি বৈশ্বিক আন্দোলন ।[১]

ইউনেস্কো সবার জন্য শিক্ষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্যোগকে সমন্বয় করছে। বিভিন্ন দেশের সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সুশীল সমাজ, বে-সরকারী সংস্থা এবং গণমাধ্যম বর্তমানে ইউনেস্কোর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। সবার জন্য শিক্ষা আন্দোলন মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল(৮) এর আওতায় ইতোপূর্বে গৃহীত মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (দুই) বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (৩) শিক্ষা ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইউনেস্কো। বিশ্বব্যাপী গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার উদ্দ্যেশে ইউনেস্কো যেসকল কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করছে তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যাবে ইউনেস্কোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এডুকেশন ফর অল গ্লোবাল মনিটরিং রির্পোট শীর্ষক শিরোনামে।

সবার জন্য শিক্ষা বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন (জমতিয়েন, থাইল্যান্ড, ১৯৯০)[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে থাইল্যান্ডের জমতিয়েন সম্মেলনে সবার জন্য শিক্ষা বিশ্ব ঘোষণা আসে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণের উপস্থিততে।

ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফোরাম (ডাকার, সেনেগাল ২০০০)[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সের দশ বছর পর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ পুনরায় মিলিত হন সেনেগালের ডাকারে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফোরামের সম্মেলনে ,যাতে উপস্থিত ১১০০ প্রতিনিধি পূর্ববর্তী সম্মেলনের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দেশের মন্থর গতি লক্ষ্য করেন। এবং সবার জন্য শিক্ষা অন্দোলনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সফলতা অর্জনের উদ্দ্যেশ্যে ডাকার ফ্রেমওয়ার্ক ফর এ্যাকশন গ্রহণ করেন যাতে ছয়টি পরিমাপক নির্দিষ্ট করা হয় যা ২০১৫ সালের মধ্যে সব শ্রেণির মানুষের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে সাহায্য করবে। ইউনেস্কোর সমন্বয়ে অন্যান্য সংস্থাসমূহ ডাকার সম্মেলনে যে ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন তা নিন্মরূপঃ

  • লক্ষ্য-১:মৌলিক শিক্ষা চাহিদা অর্জন।[২]
  • লক্ষ্য-২:।[৩]
  • লক্ষ্য -৩: অল্পবয়সী এবং প্রাপ্তবয়সীদের মধ্যে শিক্ষা এবং জীবন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা[৪]
  • লক্ষ্য-৪: বয়স্ক শিক্ষার হার পঞ্চাশ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করা[৫]
  • লক্ষ্য-৫: ২০০৫ সালের মধ্যে জেন্ডার সমমর্যাদা এবং ২০১৫ সাল নাগাদ জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা করা[৬]
  • লক্ষ্য ৬: শিক্ষার মান উন্নত করা[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The EFA movement"। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা। সংগ্রহের তারিখ নভেমর ১১, ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Early Childhood"। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২,২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "Primary Education"। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বএ ১২,২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. "Lifelong Learning"। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২,২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. "Adult Literacy"। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১১, ২০১৪ 
  6. "Gender Parity"। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২, ২০১৪ 
  7. "Quality Education"। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২,২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]