সদানন্দ বিশ্বনাথ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সদানন্দ বিশ্বনাথ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৮ নভেম্বর, ১৯৬২ বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বিশি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, আম্পায়ার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭২) | ৩০ আগস্ট ১৯৮৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫২) | ২০ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৭ জানুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ আগস্ট ২০২০ |
সদানন্দ বিশ্বনাথ (কন্নড়: ಸದಾನಂದ ವಿಶ್ವನಾಥ್; জন্ম: ২৮ নভেম্বর, ১৯৬২) কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট আম্পায়ার ও কোচ এবং সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘বিশি’ ডাকনামে পরিচিত সদানন্দ বিশ্বনাথ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৮৯-৯০ মৌসুম পর্যন্ত সদানন্দ বিশ্বনাথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সৈয়দ কিরমাণী’র খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে দল নির্বাচকমণ্ডলী উপযুক্ত উইকেট-রক্ষকের সন্ধান করছিলেন। সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের মাঝে সদানন্দ বিশ্বনাথকেই তারা বেছে নেন। তবে, কয়েকটি ওডিআই ভিন্ন তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু, নিজের সেরা দিনগুলোয় নিজেকে ঠিকই উজ্জ্বীবিত ভঙ্গীমায় ফুঁটিয়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন।
তরুণ ও আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ তার খেলায় ছন্দহীন খেলার ছাঁপ লক্ষ্য করা যায়। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও বাইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সদানন্দ বিশ্বনাথ। সবগুলো টেস্টই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৩০ আগস্ট, ১৯৮৫ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে ক্যান্ডিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্তকালের হলেও টেস্ট ক্রিকেটে রেকর্ড গড়েন। নিজস্ব চূড়ান্ত টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছয়টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করে ভারতীয় রেকর্ডের সমকক্ষ হন।
১৯৮০-এর দশকে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে ভারতের উত্থানকালে সদানন্দ বিশ্বনাথকে দলে রাখা হয়। ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী ভারত দলের পক্ষে প্রথম খেলার জন্যে মনোনীত হন। একই বছরে শারজায় অনুষ্ঠিত রথম্যান্স কাপেও তার দল বিজয়ী হয়। উভয় খেলাতেই তার দল কোন খেলায় পরাজয়ের স্বাদ পায়নি।
আক্রমণধর্মী উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলায় অংশ নিতেন তিনি। অ্যালান বর্ডারের অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অবস্থান বেশ ক্ষণস্থায়ী ছিল। তাসত্ত্বেও সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হয়েছিলেন তিনি। সুনীল গাভাস্কার তার ‘ওয়ান-ডে ওনডার্স’ শীর্ষক গ্রন্থে মন্তব্য করেন যে, ক্রিকেটবোদ্ধারা বিভিন্নভাবে ১৯৮৫ সালের বিশ্ব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ের কারণ উল্লেখ করলেও স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থানকারী সদানন্দ বিশ্বনাথের উপস্থিতিও অন্যতম কারণ ছিল। অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমেও ভারতের সেরা খেলা প্রদর্শনে উইকেট-রক্ষকের অবদানকে উল্লেখ করে।
অবসর
[সম্পাদনা]১৯৮০-এর দশকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পিতা-মাতার মৃত্যু তার খেলোয়াড়ী জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক খেলা উপস্থাপন করতে পারছিলেন না তিনি। ফলশ্রুতিতে, কিরণ মোরে ও চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ন্যায় উইকেট-রক্ষকদের আবির্ভাব ঘটে ও তার স্থান দখল করে নেয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিশোর খেলোয়াড়দেরকে ঘিরে ব্যাঙ্গালোরের কান্ডানাহালি এলাকায় ক্রিকেট কোচিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা রঞ্জী ট্রফিতে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করেছেন। পরবর্তীতে, ভারতীয় আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরফলে, দিলীপ ও দেওধর ট্রফি প্রতিযোগিতায় খেলা পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Sadanand Viswanath"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- সি. কে. নন্দন
- নবজ্যোত সিং সিধু
- ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
- ভারতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সদানন্দ বিশ্বনাথ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সদানন্দ বিশ্বনাথ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)