সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন
সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৮ |
মৃত্যু | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ মাদ্রাজ দূর্গ | (বয়স ৫৪–৫৫)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | কালু |
প্রতিষ্ঠান | আজাদ হিন্দ ফৌজ, ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ |
পরিচিতির কারণ | বাঙালি বিপ্লবী শহীদ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন বা সত্যেন্দ্র বর্ধন (কালু ডাকনামে পরিচিত) (১৮৮৮ - ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) একজন বাঙালী বিপ্লবী ও ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ।
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধনের জন্ম হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিটঘরে (অধুনা বাংলাদেশ)। পিতার নাম দীনেশচন্দ্র বর্ধন। সত্যেন্দ্রচন্দ্র প্রথম জীবনে মালয়ে ডাক ও তার বিভাগে কাজ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী আক্রমনে কর্মচ্যুত হন। বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর তত্বাবধানে গঠিত ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ বা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স লীগের আহবানে তিনি সশস্ত্র বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছিলেন।[১]
বিপ্লবী তৎপরতা[সম্পাদনা]
ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগে যোগ দিয়ে পেনাং এ যুদ্ধবিদ্যা ও মিলিটারি ট্রেনিং নেন সত্যেন্দ্রচন্দ্র। আজাদ হিন্দ ফৌজে বেতার সংবাদ প্রেরণ ও গ্রহণের কাজ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যর টালমাটাল অবসস্থার সুযোগ নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে বিপ্লব প্রচেষ্টা শুরু হয়। বিপ্লব সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ১৪ জন বিপ্লবীকে চারটি দলে ভাগ করে ভারতে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় দলের পাঁচজনের অন্যতম ছিলেন তিনি। প্রথম দল কালিকটে পৌঁছায় এবং দ্বিতীয় দলের সাথে তিনি সাবমেরিন করে কাথিয়াওয়াড় উপকূলে নামেন। দুর্ভাগ্যবশত তীরে পৌছে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আগেই ট্রান্সমিটার সহ গ্রেপ্তার হয়ে যান। বাকি সদস্যরা স্থলপথে চট্টগ্রাম হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এই বিপ্লবীদের অনেকেই ধরা পড়ে মাদ্রাজ দুর্গে প্রেরিত হন।[১]
বিচার ও ফাঁসি[সম্পাদনা]
সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগদান ও ষড়যন্ত্রের জন্যে তাদের বিচার শুরু হয় ৮ মার্চ, ১৯৪৩। ১ এপ্রিল, ১৯৪৩ আরো চারজন বিপ্লবীর সাথে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর এই নির্ভীক যোদ্ধা ফাঁসির আগে তার শেষ ইচ্ছাপত্রে লিখে যান "আমার বলার বা লেখার কিছু নেই, মাতৃভূমি বেদিকায় প্রাণবিসর্জন করতে পেতে গর্বিত। যদি কোনো সুযোগ আসে - প্রতিশোধ নেওয়া হবে এই আশা করি। বাঙালি হিসাবে দেশের জন্য প্রান বিসর্জন দেওয়াই স্বাভাবিক"।[১] মাদ্রাজ দুর্গে তার সাথে ফাঁসি হয় ভাক্কম আবদুল কাদের, ফৌজা সিং, আনন্দন ও বনিফেস পেরেরা'র।[২]
সম্মাননা[সম্পাদনা]
{{File| ভারতের ডাকবিভাগ শহীদ সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন,কাদির ও ফৌজা সিং এই তিন বিপ্লবীর স্মৃতিতে ডাকটিকিট প্রকাশ করে ১৯৯৮ সালে।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫৫৪।
- ↑ "Crime on 10-September-1943"। indianage.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Vakkom Abdul Khader"। istampgallery.com। মে ২১, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৫, ২০১৭।
- ১৮৮৮-এ জন্ম
- জন্ম পূর্ববঙ্গে
- ১৯৪৩-এ মৃত্যু
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যক্তি
- বাংলাদেশী বিপ্লবী
- পূর্ব বাংলা থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী
- ভারতীয় বিপ্লবী
- ফাঁসিতে মৃত্যু
- ভারতীয় ব্যক্তি যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে
- ব্রিটিশ ভারত দ্বারা ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ