সঙ্কোচের বিহ্বলতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সঙ্কোচের বিহ্বলতা (সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান) একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। এই কালজয়ী গানটির রচয়িতা হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর[১] এটি একটি বাংলা দেশাত্মবোধক গান। এটি পৌষ, ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে (১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দ) রচিত।[২]

"সঙ্কোচের বিহ্বলতা"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সঙ্গীত
ভাষাবাংলা
রচিতপৌষ, ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ (১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দ)
ধারারবীন্দ্রসঙ্গীত
গান লেখকরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গানের কথা[সম্পাদনা]

সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান,

সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ।

মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।

দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,

নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।

মুক্ত করো ভয়, নিজের ’পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।

ধর্ম যবে শঙ্খরবে করিবে আহ্বান

নীরব হয়ে, নম্র হয়ে, পণ করিয়ো প্রাণ।

মুক্ত করো ভয়, দুরূহ কাজে নিজেরই দিয়ো কঠিন পরিচয়॥

মন্তব্য[সম্পাদনা]

এই গানটির প্রসঙ্গে শান্তিদেব ঘোষ স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত’ গ্রন্থে:

"১৩৩৭ সালে গুরুদেব জাপানি যুযুৎসু-পালোয়ান টাকাগাকীকে শান্তিনিকেতনে আনিয়ে যুযুৎসুশিক্ষার প্রবর্তন করেন। এই বিষয়ে দেশবাসীকে উৎসাহিত করবার জন্যে নানা স্থানে প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করিয়েছিলেন। এই সব প্রদর্শনীরই উদ্বোধন সংগীতরূপে রচিত হয় “সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান”; গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৩৩৮ সালে কলকাতার ‘নিউ এম্পায়ার’ রঙ্গমঞ্চে।"[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Rabindra Sangeet: কঠিন সময়ে রবি ঠাকুরের এই গানগুলি শুনলে সাহস পাবেন!"Aaj Tak বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২১ 
  2. "Rabindranath Tagore - Songs - স্বদেশ - সঙ্কোচের বিহ্বলতা (sankocher bihwalata)"www.tagoreweb.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২০ 
  3. সেনগুপ্ত, পীতম (২০২১-০৪-২০)। "রবীন্দ্রনাথ ও তাকাগাকি: জুজুৎসুর নেপথ্যকথা - পীতম সেনগুপ্ত"BanglaLive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]