শ্রুতি গীতবিতান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শ্রুতি গীতবিতান এক প্রস্থ ডিভিডি যাতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরচিত গীতবিতানের ২২২২টি গান ধারণ করা হয়েছে। তদসঙ্গে আছে গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্য যথা মায়ার খেলা, শ্যামা, চণ্ডালিকা, চিত্রাঙ্গদা, বাল্মীকিপ্রতিভা এবং কালমৃগয়া। এই ২২২২ রবীন্দ্রসংগীত, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যে কণ্ঠ দিয়েছেন কেবল বাংলাদেশের শিল্পীবৃন্দ। এতে আরো সংযোজন করা হয়েছে প্রয়াত শতাধিক বরেণ্য শিল্পীর গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত। সর্বমোট ২২টি ডিভিডিতে এসমস্ত ধারণ করা হয়েছে। [১] কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবর্ষ উপলক্ষে এই বিশেষ আয়োজন ও প্রকাশনা। ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ বিকেলে শ্রুতি গীতবিতান-অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন।

২০১১-র ১১ মে থেকে শুরু করা হয় ‘শ্রুতি গীতবিতান’-এর গান রেকর্ডিংয়ের কাজ। গানগুলোর সংগীতায়োজন করছেন বাংলাদেশের সুজেয় শ্যামদৌলতুর রহমান, কলকাতার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রানা দত্ত, পুলক সরকার, রামকৃষ্ণ পাল, বুদ্ধদেব গাঙ্গুলি, সুব্রত মুখার্জি, শুভায়ু সেন মজুমদার ও তপন দেব। বহু গান সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসসহ বিভিন্ন উৎস থেকে। এই ব্যাপক প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা।

উদ্বোধন[সম্পাদনা]

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর অপরাহ্নে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ঢাকা শহরের ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘শ্রুতি গীতবিতান’-এর ডিজিটাল মোড়ক উন্মোচন করেন। উন্মোচনী বক্তৃতায় অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেন, ‘শ্রুতি গীতবিতানের মোড়ক খোলার যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, এটার চেয়ে বড় আনন্দের অন্য কিছু হতে পারে না। আজকে সত্যিকার অর্থে আমাদের জন্য একটা আশ্চর্য দিন। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রচর্চা করে আসছি। কিন্তু রবীন্দ্র-সৃষ্টি দিয়ে যে এ ধরনের একটা কিছু যে হতে পারে, সেটা কখনো ভাবিনি।’[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সহস্র কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. গানে গানে শুরু হলো ‘রবীন্দ্র-উৎসব: সুরের ধারা’[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]