শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সরকার
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত২০ জানুয়ারি ১৯৭২
যার এখতিয়ারভুক্তবাংলাদেশ সরকার
সদর দপ্তরসচিবালয়, ঢাকা[১]
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী
সংস্থা নির্বাহী
  • মোঃ মাহবুব হোসেন, সচিব
ওয়েবসাইটmole.gov.bd

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়, যেটি কর্মসংস্থান, শ্রমবাজার এবং শ্রমজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত।[২]

লক্ষ্য[সম্পাদনা]

শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের মধ্যে ভালো শিল্প সম্পর্ক ও সম্পর্ক উন্নয়ন বজায় রাখার দ্বারা উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য কমানো।

কার্যাবলি[সম্পাদনা]

সরকারের “রুলস অব বিজনেস” অনুসারে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধি নিম্নরূপ:

  • শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ;
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান;
  • ট্রেড ইউনিয়ন, শিল্প ও শ্রম বিরোধ, শ্রম আদালত এবং নিম্নতম মজুরী বোর্ড বিষয়ক কার্যক্রম;
  • অকৃষি খাতে কর্মরত শ্রমিকগণসহ সকল শ্রমিকের কল্যাণ সাধন;
  • শ্রম পরিসংখ্যান সংরক্ষণ;
  • শ্রম আইনের প্রয়োগ ও এ সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রণয়ন;
  • শ্রম পরিসংখ্যান সংকলনসহ শ্রম গবেষণা;
  • শ্রম ও জনশক্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে কাজ করা এবং চুক্তি সম্পাদন ;
  • আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র সাথে কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
  • শ্রম ও শিল্পকল্যাণ সম্পর্কিত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন;
  • শ্রমিক-কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক বীমা সম্পর্কিত বিধিবিধান প্রণয়ন;
  • শ্রম প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ;
  • অত্যাবশ্যকীয় চাকুরি (ব্যবস্থাপনা) অধ্যাদেশ কার্যকর করা;
  • খনি ও পাথর ক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত আইনের প্রয়োগ;
  • নিম্নতম মজুরী নির্ধারণ বিষয়ক বিধিবিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন শিল্প সেক্টরে মজুরী বোর্ড গঠন ও নিম্নতম মজুরী বাস্তবায়ন;
  • শ্রমিকদের শিক্ষা কার্যক্রম;
  • শিল্পের শৃঙ্খলা রক্ষা;
  • শিল্প শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ সম্পর্কিত বিধিবিধান;
  • শ্রম ও শিল্পকল্যাণ সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন;
  • শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ;
  • শ্রম ও শিল্পকল্যাণ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
    • অসংগঠিত জনশক্তির পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান;
    • অত্যাবশ্যকীয় জনবল (নিবন্ধীকরণ) অধ্যাদেশ, ১৯৪৮ বাস্তবায়ন;
  • শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ;
  • শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়াদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা;
  • শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যপরিধিভুক্ত সকল আইন ও বিষয়াবলী;
  • মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত (কার্যপরিধিভুক্ত) যেকোন বিষয়ের উপর তদন্ত ও পরিসংখ্যান;
  • আদালতে গৃহীত ফি ব্যতীত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্যপরিধিভুক্ত সকল ফি আদায়;
  • প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কার্যাবলী;
  • জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদের কার্যাবলি;
  • বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

  1. শ্রম অধিদপ্তর
  2. কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
  3. নিম্নতম মজুরী বোর্ড
  4. শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল
  5. বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন
  6. কেন্দ্রীয় তহবিল
  7. জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
  8. শিশু শ্রম ইউনিট

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]