বিষয়বস্তুতে চলুন

শ্যারন গ্লটজার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্যারন গ্লটজার
জন্ম
নিউ ইয়র্ক শহর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পরিচিতির কারণদ্বিমুখী এনট্রপি বল
স্বতঃসমাবেশ
অসমবিন্যস্ত কণাসমূহ
পুরস্কারসাইমন্স ইনভেস্টিগেটর, ২০১২–২০২১
সদস্য, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১৯
সদস্য, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস, ২০১৪
সদস্য, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, ২০১১
ফেলো, আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি
ফেলো, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স
ফেলো, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স
ফেলো, মেটিরিয়ালস রিসার্চ সোসাইটি
ভেনেভার বুশ ফ্যাকাল্টি ফেলো, ২০০৯–২০১৪
অনীসুর রহমান পুরস্কার, কম্পিউটেশনাল ফিজিক্স, আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি
এমআরএস মেডেল, মেটিরিয়ালস রিসার্চ সোসাইটি
আলফা চি সিগমা পুরস্কার, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স
ন্যানোস্কেল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফোরাম পুরস্কার, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স
চার্লস এম.ই. স্টাইন পুরস্কার, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান
রসায়ন
উপাদান বিজ্ঞান
রসায়ন প্রকৌশল
প্রতিষ্ঠানসমূহমিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়
ডক্টরাল উপদেষ্টাএইচ. ইউজিন স্ট্যানলি

শ্যারন গ্লটজার (ইংরেজি: Sharon C. Glotzer) একজন মার্কিন পরিগণনামূলক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান আর্বরের রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অ্যান্থনি সি লেম্বকে বিভাগীয় প্রধান, জন ওয়ার্নার কান বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অধ্যাপক, রসায়ন প্রকৌশলে স্টুয়ার্ট ডব্লিউ চার্চিল কলেজিয়েট অধ্যাপক, এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাদান বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও বৃহৎ জৈব-আণবিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যাপক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি, জাতীয় প্রকৌশল অ্যাকাডেমি ও মার্কিন শিল্পকলা ও বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য। এছাড়া তিনি বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য মার্কিন সংস্থা, মার্কিন পদার্থবৈজ্ঞানিক সমাজ, মার্কিন রসায়ন প্রকৌশলী ইনস্টিটিউট, উপাদান গবেষণা সমাজ এবং রাজকীয় রসায়ন সমাজের বিশিষ্ট সভ্য (ফেলো)। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিজ্ঞানে স্নাতক উপাধি লাভ করেন এবং এর পরে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে নরম ঘনপদার্থবিজ্ঞান ক্ষেত্রে ইউজিন স্ট্যানলির তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন।[] ২০০১ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি ৮ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আদর্শমান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে কাজ করেন ও সেখানে তাত্ত্বিক ও পরিগণনামূলক উপাদান বিজ্ঞান বিষয়ক এনআইএসটি কেন্দ্রে সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।[] গ্লটজার তাঁর গবেষণাকর্মে পরিসংখ্যানিক তাপগতিবিজ্ঞান ও আণবিক ছদ্মায়নের কৌশলগুলিকে স্বতঃসংযোজন, কলয়েডীয় কেলাসীভবন ও কাচ গঠনের মৌলিক সমস্যাগুলির উপর প্রয়োগ করে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিশেষ করে তিনি কাচের মধ্যে সুতার ন্যায় গতি, অসমবিন্যস্ত কণাসমূহ (প্যাচি পার্টিকলস), আকৃতির জমাটীভবন ও আপাত-স্ফটিকের উপর গবেষণার জন্য সুপরিচিত।[]

অধ্যাপক গ্লটজার পরিগণনামূলক সংযোজন বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের উপরে গবেষণা সম্পাদন করেন যার লক্ষ্য কলয়েডীয় ও নরম পদার্থের উপাদানের পূর্বাভাসমূলক নকশা প্রণয়ন। তাঁর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের মধ্যে "অসমবিন্যস্ত কণাসমূহ", যা কি না ন্যানোকণা নকশাকরণের জন্য একটি ধারণামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং যা স্বতঃসংযোজনের উপর বহু বিভিন্ন তদন্তের জন্য সহায়ক হয়েছে। তিনি দেখান যে এনট্রপি বা বিশৃঙ্খলা-মাত্রা নিজেই বিভিন্ন আকৃতিকে বহুসংখ্যক কাঠামোতে সংযোজন করতে পারে। উপাদান বিজ্ঞান, তাপগতিবিজ্ঞান, গণিত ও ন্যানোপ্রযুক্তিতে এই ব্যাপারটির গুরুত্ব রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটির সৃষ্ট "আকৃতি স্থান রেখাচিত্র"তে পদার্থ কীভাবে উপাদান পদার্থের আকৃতির উপর ভিত্তি করে স্বতঃসংগঠিত হয়, তা প্রদর্শন করা হয়েছে। এর ফলে কী ধরনের উপাদান উদ্ভূত হবে যেমন কাচ, স্ফটিক বা কেলাস,তরল স্ফটিক, প্লাস্টিক স্ফটিক বা আপাত-স্ফটিক, তার পূর্বাভাস দেওয়া যায়।[]

গ্লটজার বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন, যাদের মধ্যে ২০১৯ সালে মার্কিন পদার্থবিজ্ঞান সমাজ কর্তৃক প্রদত্ত পরিগণনামূলক পদার্থবিজ্ঞানে আনিসুর রহমান পুরস্কার, ২০১৮ সালে মার্কিন রসায়ন প্রকৌশলী ইনস্টিউট প্রদত্ত ন্যানোমাপনী বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ফোরাম পুরস্কার ও ২০১৬ সালে আলফা কাই সিগমা পুরস্কার, এবং ২০১৭ সালে উপাদান গবেষণা সমাজ কর্তৃক প্রদত্ত উপাদান যোগাযোগ বক্তৃতা পুরস্কার ও ২০১৪ সালে একই প্রতিষ্ঠানের এমআরএস পদক উল্লেখযোগ্য।[]

গুগল স্কলার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী গ্লটজারের প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক রচনাগুলিকে ২২ হাজার বারের বেশি উদ্ধৃত করা হয়েছে এবং তাঁর এইচ-সূচকের মান ৭৫।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Sharon C. Glotzer - Chemical Engineering"। College of Engineering, University of Michigan। ১১ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  2. "Professor Sharon Glotzer"Michigan engineering। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  3. "Sharon C. Glotzer"National Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  4. "Google Scholar: Sharon Glotzer"। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৮