শ্যামলা কুমারী

কে শ্যামলা কুমারী
জাতীয়তা	ভারতীয়
পেশা	ম্যুরাল চিত্রকর
পরিচিতির কারণ	কেরালার মন্দিরের ম্যুরাল পুনরুদ্ধার
দাম্পত্য সঙ্গী	জি আজিকোড

কে. শ্যামলাকুমারী ওরফে শ্যামলা কুমারী একজন ভারতীয় মন্দির চিত্রশিল্পী। প্রথাগতভাবে এটি পুরুষদের একটি পেশা ছিল। তাঁর কাজের মধ্যে রয়েছে কেরালার শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের চিত্রকর্ম। তিনি নারী শক্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

জীবন

শ্যামলা কুমারী হলেন প্রথম মহিলা যিনি কেরালার মন্দিরের ম্যুরাল শিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সহস্রাব্দের শুরুতে তিনি ম্যুরাল চিত্রকর্মের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি কেবল মন্দিরগুলিতে ছবি আঁকেননি বরং কেরালার মন্দিরের দেয়ালে উপস্থিত ঐতিহ্যবাহী ম্যুরাল শিল্পগুলি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে সহায়তা করেছেন। শ্যামলকুমারী তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেছেন। তিনি তাঁর স্বামী জি আজিকোডের সহায়তায় নবরাত্রি মণ্ডপম এবং শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে চিত্রকর্ম তৈরি করেছেন।

২০১৮ সালে নারী শক্তি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামলা কুমারী

মন্দিরের কাজ ছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করে বিক্রি করেন। যাঁরা তাঁর ম্যুরাল কিনতে চান তাঁরা একটি বিষয় এবং একটি আকার নির্দিষ্ট করেন। উচ্চতা এবং প্রস্থ বিবেচনা করে, শ্যামলাকুমারী নকশাটি স্কেচ করেন এবং তারপরে রঙ প্রয়োগ করেন। এইভাবে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ ম্যুরালটি তৈরি হয়। এই কাজটি কেবল তিনি এবং তাঁর স্বামীই করেন না, তাঁদের ছেলেও এর সাথে জড়িত। ম্যুরাল চিত্রের পাশাপাশি তিনি মৃৎশিল্প এবং বাঁশের ওপর প্রয়োগ করা তার শিল্পকর্ম বিক্রি করেন।

২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁকে নারী শক্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। কেরালার অন্যান্য পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন বিজ্ঞানী লিজিমল ফিলিপোস এবং প্রাণিবিজ্ঞানী এমএস সুনীল। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এই পুরস্কার প্রদান করেন, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তৎকালীন নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী মানেকা সঞ্জয় গান্ধী উপস্থিতি ছিলেন। সেদিন প্রায় ৩০ জন ব্যক্তি এবং নয়টি প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, যারা প্রশংশাপত্র এবং ১০০,০০০ টাকা পুরস্কার পেয়েছিলেন।