শ্বেত মসজিদ, নাসরত
শ্বেত মসজিদ המסגד הלבן المسجد الأبيض | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | নাসরত, ইসরায়েল |
স্থানাঙ্ক | ৩২°৪২′১২.৩৩″ উত্তর ৩৫°১৭′৫৩.৬৫″ পূর্ব / ৩২.৭০৩৪২৫০° উত্তর ৩৫.২৯৮২৩৬১° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | উসমানীয় |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮০৪-১৮০৮ |
মিনার | ১ |
শ্বেত মসজিদ (আরবি: المسجد الأبيض, হিব্রু ভাষায়: המסגד הלבן; HaMisgad HaLavan) ইসরায়েলের নাসরতের একটি প্রাচীনতম মসজিদ।[১] এই মসজিদটি হারত আলঘামা বা নাসরতীয় পুরাতন বাজারের কেন্দ্র "মসজিদ কোয়ার্টার"-এ অবস্থিত।[২] এই মসজিদের সূক্ষ্ম পেন্সিল-আকৃতির মিনার, ক্রিম বর্ণের দেয়াল, সবুজ অলংকরণ এবং সবুজ গম্বুজ পুরো শহরজুড়ে উসমানীয় স্থাপত্যের এক অনন্য উদাহরণ।
ইতিহাস এবং মালিকানা[সম্পাদনা]
মসজিদটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে মিশরীয় শাসক সুলাইমান পাশার অর্থায়নে তৈরি হয়েছিল এবং তদারকির দায়িত্বে ছিলেন হাই কমিশনার শেখ আবদুল্লাহ আল-ফাহুম।[৩] ১৮০৪ থেকে ১৮০৮ সালের মধ্যে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় এবং শেখ আবদুল্লাহকে ওয়াকফ আকারে অছি প্রদান করা হয় এবং ১৮১৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এটি পরিচালনা করেছেন। শেখ আবদুল্লাহর সমাধি মসজিদের প্রাঙ্গনেই রয়েছে।[২]
শেখ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পরে মসজিদটির পরিচালনার দায়িত্ব শেখ আমিন আল-ফাহুমকে স্থানান্তর করা হয়।[২] বর্তমানে মসজিদটি আল-ফাহুম পরিবারের ওয়াকফের অংশ হিসেবে অব্যাহত রয়েছে, যার মধ্যে কাসা নোভা রাস্তার পাশার খান'ও রয়েছে।[৩] বর্তমানে এটি শেখ আবদুল্লাহর বংশধর আতিফ আল-ফাহুম দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
সুলেমান পাশার পূর্বসূরী উসমানীয় প্রাক্তন গভর্নর জিজার পাশা'র শাসনের সমাপ্তি উপলক্ষে শেখ আবদুল্লাহ এই মসজিদটির নামকরণ করেছিলেন। শেখ আবদুল্লাহ নাসরতে বিশ্বাসীদের মধ্যে উপভোগ্য করে তোলার জন্য পবিত্রতা, আলো এবং শান্তির নতুন যুগের প্রতীক হিসেবে "সাদা" বেছে নিয়েছিলেন।[২]
জনসাধারণের ব্যবহার[সম্পাদনা]
প্রাত্যহিক দিনে ১০০ থেকে ২০০ জন ব্যক্তি দুপুর ও বিকেলে নামাজ আদায় করেন এবং শুক্রবারের খুতবাতে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ লোক উপস্থিত থাকেন।[৩]
মসজিদটি যুবকদের জন্য ধর্মীয় পাঠ সরবরাহ করে এবং মুসলিম স্কাউট সৈন্যদের স্পনসর করে নাসরতের মুসলিম সম্প্রদায়ের সেবা করছে, যেখানে ৯ বছরের বা তার বেশি বয়সী ৪০০ ছেলে-মেয়েরা অংশ নেয়।[৩] মসজিদে একটি জাদুঘরও রয়েছে, যা নাসরতের ইতিহাসকে নথিভুক্ত করে তুলে ধরে।[৪]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Chad F. Emmett (১৯৯৫)। Beyond the Basilica: Christians and Muslims in Nazareth (ইংরেজি ভাষায়)। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 136–138। আইএসবিএন 0-226-20711-0।
- ↑ ক খ গ ঘ "Nazareth: The Mosque Quarter" (ইংরেজি ভাষায়)। Discover Israel। ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০১।
- ↑ ক খ গ ঘ Chad F. Emmett (১৯৯৫)। Beyond the Basilica: Christians and Muslims in Nazareth। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 136–138। আইএসবিএন 0-226-20711-0।
- ↑ "Galilee:Nazareth"। ThinkIsrael.com। ২০০৭-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০১।