জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
![]() | |
প্রাক্তন নাম | -শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ(২০২০-২০২৫) -জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ(২০২৫-বর্তমান) |
---|---|
ধরন | সরকারি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ |
স্থাপিত | ২৭ নভেম্বর ২০২২ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | বিশ্বজিৎ দাস |
শিক্ষার্থী | ৩৬০ (২০২১-২২ সেশন থেকে) |
ঠিকানা | শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ৫ কি.মি. পশ্চিমে, ২৭.৩৭ একর (১১.০৮ হেক্টর) , জামালপুর , বাংলাদেশ |
শিক্ষাঙ্গন | ভাবকি বাজার, মেলান্দহ উপজেলা, জামালপুর, ২৭.৩৭ একর (১১.০৮ হেক্টর) |
ভাষা | ইংরেজি |
সংক্ষিপ্ত নাম | JTEC(জেটেক) |
ওয়েবসাইট | shtec-jamalpur |
বাংলাদেশে বস্ত্র প্রকৌশলীর চাহিদা পূরনে ও বস্ত্র শিক্ষার প্রসারে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার মেলান্দহের ভাবকি বাজারে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ২৭.৩৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান, যেখানে বুটেক্স ১১.৬৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। শুরুতে SHTEC (এখনকার JTEC) ১৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় এলাকার দানবীর লিখন মন্ডলের ওয়ারিশগণ ৭'৫০ একর জমি দান করেছেন। কলেজের বাজেট বরাদ্দ ২৮৩ কোটি টাকা।[১] কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রস্তাব রাখা হলেও নানাবিধ কারণে বুটেক্স অধিভুক্ত করা হয়।
ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন অবস্থায় কলেজটির প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ২৭ নভেম্বর, ২০২২ সালে শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচ "অরিত্র-০১" এর অরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয় এবং ২৮ নভেম্বর, ২০২২ থেকে ক্লাসে পাঠদান শুরু হয়। দ্বিতীয় ব্যাচ "অনিন্দ্য-০২" এর অরিয়েন্টেশন ৭ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১০ ডিসেম্বর রবিবার হতে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়।
ক্যাম্পাস নির্মাণ শেষে ১৪ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ (২৯ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলেজটির শুভ উদ্ভোধন হয়। ২০২৫ সালের ২৩শে জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কলেজটির নাম পরিবর্তন করে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রাখেন।[২][৩]
প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মেলান্দহের ভাবকি বাজারে অবস্থিত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ। নকশীকাঁথা, হস্তশিল্পের স্বর্গরাজ্য, নদীবিধৌত অঞ্চল, যমুনা ও পুরাতন ব্রক্ষপুত্রের মিলনস্থল জামালপুর জেলার কেন্দ্র থেকে মাত্র ৫ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থিত।
আবাসিক ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য
- ছাত্র হল - ২টি (৩০০ আসন)
- ছাত্রী হল - ১টি (২৫০ আসন)
শিক্ষকদের জন্য
- অধ্যক্ষের বাসভবন (প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার)
- অফিসার্স কোয়ার্টার
- অফিসার্স ডরমিটরি
- স্টাফ'স কোয়ার্টার
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মসজিদ, শহিদ মিনার, ক্যাফেটেরিয়া, মুক্তমঞ্চ,ভিউয়ার্স গ্যালারি, সাব-স্টেশন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে[৪] এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছেঃ-
- ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (Yarn Engineering)
- ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Fabric Engineering)
- ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (Wet Process Engineering)
- অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং (Apparel Engineering)
কোর্সের মেয়াদ ও কাঠামো:
[সম্পাদনা]কোর্সের মেয়াদ: ৪ বছর।প্রতিটি বছর লেভেল হিসেবে গণ্য।প্রতিটি লেভেল ২টি টার্মে বিভক্ত।মোট টার্ম ৮ টি।প্রতি টার্মে নির্দিষ্ট সংখ্যক তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক কোর্স অন্তর্ভুক্ত থাকে।এই কোর্সগুলো টেক্সটাইল শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোর্সের ভাষা: ইংরেজি
ডিপার্টমেন্টের নাম | আসন সংখ্যা |
---|---|
ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
মোট আসন সংখ্যা | ১২০ |
শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক। কোন ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত ফলপ্রসূ পাঠদান, পড়া আদায় এবং নিয়মিত শ্রেণীকুইজ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারাই এই কলেজের মূল লক্ষ্য। ছাত্র ছাত্রী শিক্ষাবোর্ডের বিধি মোতাবেক শ্রেণী কার্যক্রমে শতকরা ৮০ ভাগের বেশি উপস্থিত না হলে তাকে ডিসকলেজিয়েট ঘোষণা করা হয় এবং পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হয়।আদর্শ পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন
[সম্পাদনা]প্রতি পর্ব এবং বর্ষোন্নয়ন পরীক্ষাতে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী পর্বে বা বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারে। সকল পর্বে শ্রেণিকুইজ এবং বোর্ড নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
নাম্বার শ্রেণী | গ্রেড লেটার | সিজিপিএ গ্রেড পয়েন্ট |
---|---|---|
৮০-১০০ | A+ | ৪.০০ |
৭৫-৭৯ | A | ৩.৭৫ |
৭০-৭৪ | A- | ৩.৫০ |
৬৫-৬৯ | B+ | ৩.২৫ |
৬০-৬৪ | B | ৩.০০ |
৫৫-৫৯ | B- | ২.৭৫ |
৫০-৫৪ | C+ | ২.৫০ |
৪৫-৪৯ | C | ২.২৫ |
৪০-৪৪ | D | ২.০০ |
০০-৩৯ | F | ০.০০ |
শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]কলেজটিতে বর্তমানে এখানে ৩ টি ব্যাচ(১ম,২য়, ও ৩য়)।কলেজটিতে মোট ব্যাচ সংখ্যা ১৪।
অধ্যয়নরত ব্যাচ ও শিক্ষাবর্ষ:
[সম্পাদনা]- ১ম ব্যাচ(অরিত্র)- শিক্ষাবর্ষ: ২০২১-২২
- ২য় ব্যাচ(অনিন্দ্য)- শিক্ষাবর্ষ: ২০২২-২৩
- ৩য় ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০২৩-২৪
অধ্যয়ন সম্পন্নকৃত ব্যাচ ও শিক্ষাবর্ষ:
[সম্পাদনা]- নেই
ওয়ার্কশপ ও ল্যাবরেটরি:
[সম্পাদনা]- উইভিং শেড
- ডাইং শেড
- স্পিনিং শেড
ক্যাম্পাস জীবন
[সম্পাদনা]- কালচারাল এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্লাব জেটেক
- রক্তদান ও সমাজকল্যাণ ক্লাব (নিবর্তন)
- জেটেক স্পোর্টস ক্লাব
- জেটেক ক্যারিয়ার ক্লাব
- জেটেক ডিবেটিং ক্লাব
- জেটেক ফটোগ্রাফী সোসাইটি
- ইনোভেশন এন্ড রিসার্চ ক্লাব জেটেক
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম
- পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী
- বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ
- রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- বাংলাদেশের টেক্সটাইল প্রকৌশল কলেজ তালিকা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বরাদ্দ বাড়ল ২৮৩ কোটি। ১৩ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "শেখ পরিবারের নাম ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ"। প্রথম আলো। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "বস্ত্র অধিদপ্তর-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। dot.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৫-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২৭।
- ↑ "Affiliated Colleges of Bangladesh University of Textiles - BUTEX"। www.butex.edu.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২৭।