শীমা কালবাসী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শীমা কালবাসী (জন্ম ২০ নভেম্বর ১৯৭২, তেহরান, ইরান; ফার্সি: شیما کلباسی ) একজন ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান কবি ও লেখক, সেই সাথে তিনি নারীবাদ, যুদ্ধ, শরণার্থী, মানবাধিকার ও নারী বিষয়ক একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ইসলামের শরিয়া আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার, শিশুদের অধিকার, মানবাধিকার এবং শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় একজন কর্মী। [১] [২] তিনি পাকিস্তান এবং ডেনমার্কে বড় হয়েছেন এবং এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

শীমা কালবাসী প্রথমে শরণার্থী শিশুদের পড়াতেন।[৩] ইউএনএইচসিআর তিনি পাকিস্তানের শরণার্থী কেন্দ্র ও ডেনমার্কে ইউএনএ কর্তৃক পরিচালিত শরণার্থী শিবির কাজ করেন। ২০০৯ সালে তিনি Iranian.com -এ পোস্ট করা বাহাদের উপর অত্যাচার সম্পর্কে “ক্ষমা প্রার্থনা “ একটি খোলা চিঠিতে ২৬৬ জন ইরানি শিক্ষাবিদ, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকদের সাথে স্বাক্ষর করেন[৪] এটা তার অন্যন্য পরিচয় প্রকাশ করে। তার কবিতাগুলি ২০ টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। ২০১২ সালে, সম্মানিত এলজেন, কানাডার কুইবেক থেকে সিনেটর রোমিও ডালায়ার, কালবসির কবিতা “হিজবুল্লাহ”য় ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে তার বক্তব্য বন্ধ করে দেয়। হার্ভেস্ট ইন্টারন্যাশনালে এক প্রতিযোগিতায় কবিতাটি বিজয়ী হয়। কবিতাটি “দ্য ফরবিডেন: পোয়েমস ফর ইরান অ্যান্ড ইটস এক্সাইলস, আটলান্টা রিভিউ, এবং একবিংশ শতাব্দীতে ইরান ও ডায়াস্পোরিক সাহিত্য: ড ড্যানিয়েল গ্রাসিয়ানের একটি সমালোচনামূলক গবেষণায় প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে তার কবিতা “দ্য প্যাসেঞ্জার” নির্বাচিত হয়েছিল এবং ট্রাইবুট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, এনওয়াই -তে প্রদর্শিত হয়েছিল। তার কবিতা “অবস্থান এবং ট্যাঙ্গো নাচ”, মিজো-সোপ্রানো এবং পিয়ানোর জন্য একটি শিল্প গান হিসাবে সঙ্গীতে সেট করা হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, ভার্জিনিয়াতে পরিবেশিত হয়েছিল।

গ্রন্থ[সম্পাদনা]

ইরানের নারীদের কবিতা [৫] (সম্পাদক, রিলকন্টেন্ট প্রকাশনা, ২০০৮)

ভালোবাসার সাতটি উপত্যকা, [৫] মধ্যযুগ পারস্য থেকে বর্তমান ইরান পর্যন্ত নারী কবিদের দ্বিভাষিক কাব্যগ্রন্থ (অনুবাদক, সম্পাদক, পিআরএ প্রকাশনা, ২০০৮)

নির্বাসনে প্রতিধ্বনি [৫] (পিআরএ প্রকাশনা, ২০০৬)

সাংসার (দ্য স্টোনিং, সিনবাদ পাবলিশিং, ২০০৫)

চলচিত্র[সম্পাদনা]

ফিল্ম তারিখ
ফ্রন্ট লাইনে নারী ২০১৩ তথ্যচিত্র
' ‍সিমিন বেহবাহানি- রাইড টু ড্রিম ২০১৩ কবিতা চলচ্চিত্র
বানাফশেহ হেজাজী - হতাশা ২০১৩ কবিতা চলচ্চিত্র
সলেহ ওলপ- আই ওয়াজ সং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৩ কবিতা চলচ্চিত্র
ফারজানেহ গাভামি - পার্ক ২০১৩ কবিতা চলচ্চিত্র

পুরস্কার[সম্পাদনা]

মানবাধিকার পুরস্কার এবং স্বীকৃতি, শরণার্থী কেন্দ্র, ইউএনএইচসিআর, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান।

হিজবুল্লাহ, নির্বাসনের প্রতিধ্বনি থেকে, সেরা কবিতা, হারভেস্ট ইন্টারন্যাশনাল।

যাত্রী, তৃতীয় স্থান, জার্সিস ওয়ার্ক।

মনোনয়ন

নির্বাসনে প্রতিধ্বনি, সংগ্রহ, ভার্জিনিয়া সাহিত্য পুরস্কারের বার্ষিক গ্রন্থাগার, ২০০৮।

নির্বাসনে প্রতিধ্বনি, পুশকার্ট পুরস্কার, ২০০৮।

সেভেন ভ্যালি অফ লাভ, দ্য পেন অ্যাওয়ার্ড ইন পোয়েট্রি ইন ট্রান্সলেশন, ২০০৮।

সেভেন ভ্যালি অফ লাভ, অ্যানিসফিল্ড-উলফ বুক অ্যাওয়ার্ড, ২০০৮।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

  • ইরানি নারীদের তালিকা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Reelcontent"Reelcontent.org। ১৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. "Women on the Front Line"YouTube। ২৪ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. "TakePart - Stories That Matter, Actions That Count"Takepart.com। ১৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৭ 
  4. "We are ashamed! - Iranian.com"iranian.com 
  5. "Reelcontent"Reelcontent.org। ১৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৭