শিরি ফরহাদ (২০১৩-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিরি ফরহাদ
শিরি ফরহাদ ছবির বাণিজ্যিক পোষ্টার
পরিচালকগাজী মাহবুব
প্রযোজক
গাজী মাহবুব (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, বি-বাড়ীয়া ফিল্মস)
রচয়িতাগাজী মাহবুব
চিত্রনাট্যকারগাজী মাহবুব
কাহিনিকারএম.এ.শহীদ ও দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
শ্রেষ্ঠাংশেরিয়াজ
শাবনূর
সুরকারআহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
চিত্রগ্রাহকজেড.এইচ.মিন্টু
প্রযোজনা
কোম্পানি
বি-বাড়ীয়া ফিল্মস
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
বি. বাড়িয়া ফিল্মস
মুক্তি২২ মার্চ, ২০১৩
স্থিতিকাল১৪৩ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা
নির্মাণব্যয়১ কোটি ৮৭ লাখ
আয়৭০ লাখ টাকা

শিরি ফরহাদ ২০১৩ সালের ২২ মার্চ তারিখে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। গাজী মাহবুব পরিচালিত ঐতিহাসিক গল্প নির্ভর এই চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিয়াজশাবনূর। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও বি-বাড়িয়া ফিল্মস। সিনেমাও এক পারস্যীয় উপন্যাস এর উপর নিমাণ করা হয়।ছবিটি নির্মাণ করতে প্রায় ৮/৯ বছর লেগেছিলো। ২০০৬ যখন ছবিটির ১৫ হাজার বর্গফুট নেগেটিভ নষ্ট হয়ে যায় তখন বেশ দুর্বলটার মাঝে পড়ে ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা। পরবর্তী বানানোর চিন্তা বাদ দেওয়া হলে ছবিটির পরিচালক নিজ অর্থায়নে ছবিটি নির্মাণ করেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর রাজনৈতিক কিছু কারনে ছবিটি বেশ লোকসানের শিকার হন।

এক কালজয়ী কাহিনী নিয়ে নির্মিত গাজী মাহবুবের অমর প্রেম কাহিনীর ছবি শিরি ফরহাদ!

শিরিকে স্বপ্নে দেখেই কল্পনার শিরির ছবি বাস্তবে রুপ দেয় ফরহাদ!

[১][২][৩]

কাহিনীর সারাংশ[সম্পাদনা]

ছবিটি দুই তারকা-ক্রস প্রেমিক: শিরিন এবং ফরহাদকে নিয়ে। শিরিন হলেন একজন রাজকন্যা যিনি শৈশবে একটি দোকানে দেখেছিলেন এমন একটি সুন্দর হরিণের প্রতি তার ভালো লাগা তৈরি হয়েছিল। যখন সে হরিণটিকে তার প্রাসাদে নিয়ে যায়, তখন সে তার মালিক ফরহাদকে প্রতিশ্রুতি দেয়, একজন ভাস্করের দরিদ্র শিশুটি তার প্রাসাদে প্রতিদিন আসবে এবং তার সাথে হরিণ খেলবে।

ফরহাদ তা করতে থাকে এবং সামাজিক পার্থক্য সত্ত্বেও শিরিন ও ফরহাদ খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে; এবং অবশেষে প্রেমে পড়া। তবে অনিচ্ছুক শিরিনের বিয়ে ঠিক হয় শাহেনশাহ হুসরোর সঙ্গে। এটি প্রথমে ফরহাদকে ক্ষুব্ধ করে এবং তারপর তাকে পথভ্রষ্ট করে তোলে।

ছবির বাকি অংশে ফরহাদ কীভাবে শিরিনের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছায় এবং কীভাবে তার স্বামী হুসরো তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তিনি শিরিনের স্নান করার জন্য একটি পাথুরে পাহাড় থেকে দুধের একটি হ্রদ তৈরি করতে সক্ষম হলে তাকে "কিছু" দেবেন। সফল হয়, তার শত্রুরা তাকে জানায় যে শিরিন মারা গেছে, এবং ফলস্বরূপ ফরহাদও দুধের লেকে একটি পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। যাইহোক, শিরিন বেঁচে আছে এবং ফরহাদ আর নেই জেনে সে একই হ্রদে ঝাঁপ দেয়। দুই প্রেমিকের শান্তিতে স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে একে অপরের হাত ধরে এবং অবশেষে পুনরায় মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়।

চরিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

  • রিয়াজ - ফরহাদ
  • শাবনূর - শিরি
  • রেহানা জলি -শিরির মা
  • মেহবুবা - ফরহাদের প্রেমিকা
  • ইলিয়াস কোবরা -
  • আফজাল শরীফ -
  • ডন -

সম্মাননা[সম্পাদনা]

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার[সম্পাদনা]

সেই বছর নানা রকম সমালোচনা আলোচনার কারনে কোনো চলচ্চিএকেই মনোনীত করেনি।

বক্স অফিস[সম্পাদনা]

৭০ লাখ টাকা


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Entertainment (২৬ মার্চ ২০১৩)। "Gazi Mahbub's "Shiri-Farhad""bdtoday। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Entertainment (March, 2013)। "Shabnur-Riaz's 'Shiri-Farhad' to be released soon"The Daily New Nation। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ 5 June 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Entertainment (২৪ মার্চ ২০১৩)। ""Shiri Farhad" hits the silver screen"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৩ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]