শিকারের বিরোধিতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(শিকারের বিরোধীতা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
নিউ ইয়র্ক শহরে শিকার বিরোধী বিক্ষোভ

শিকারের বিরোধিতা বলতে সাধারণত একদল মানুষ বা কোনো নির্দিষ্ট দল যারা বিভিন্ন আইন,আইন অমান্য, নাশকতার শিকারের কথা বলে শিকারের বিরোধিতা করে তাকে বুঝায়।শিকার বিরোধী আইন যেমন [[ইংলিশ শিকার আইন ২০০৪]] আমেরিকার সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ আইন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ।সংরক্ষণ আইন এ নির্দয়তার সাথে শিকারের বিরোধিতা বা সংরক্ষণের জন্য শিকারকে সীমিত করার কথা বলা হয়েছে।যদিও কিছু কিছু জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে যেমন ভয়ঙ্কর প্রাণী শিকারের ক্ষেত্রে কোনো আইন প্রণয়ন করা নেই।

পশু অধিকার রক্ষা কর্মকর্তাদের মতে খেলার জন্য বা আনন্দের জন্য পশু শিকার করা অপ্রয়োজনীয়,নির্দয় এবং অনৈতিক কাজ।[১][২]তারা যেসমস্ত পশু শিকার করা হয় তাদের দুঃখ,দুর্দশা, নির্দয়তা নথিভুক্ত করে থাকে।[১][২]

শিকারের বিরোধিতা সাধারণত শিকারের বিপরীত বুঝাতে ব্যবহার করা হয়।যদিও শব্দটি ছদ্মবেশী নয় তাও এটি ব্যাপকভাবে প্রহসনমূলক অর্থে ব্যবহার করা হয়।

ভূপ্রাকৃতিক পার্থক্য[সম্পাদনা]

শিকার বিরোধিতার মানসিকতা একেক দেশে একেক রকম  কারণ শিকার বলতে আমেরিকা  ও লন্ডনে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে।ত সত্বেও শিকার বিরোধিতা তুলনা করা সম্ভব যেমন লন্ডনে শক্তিশালী শিকার বিরোধী সংস্থা রয়েছে আবার নিউজিল্যান্ডে তেমন কোনো সংস্থা নেই।মানুষের মতামত ও একই দেশে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে এবং সঠিক বাজার গবেষণার জন্য সাম্প্রতিক ঘটনাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত যাতে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।[৩]

আন্দোলনের সূচনা[সম্পাদনা]

দি বার্নস ইনকুয়েরি গবেষণায় দেখা যায় লন্ডনে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে শিকারের বিরোধিতা ব্যাপক পার্থক্য গড়ে তোলে শিকার নিয়ে আমেরিকা ও লন্ডনের মানুষের মধ্যে,গড়ে একজন হয়তো শিকারের বিরোধিতা নিয়ে চিন্তা করে।[৪]আরো দেখা যায়,লন্ডনের শিকার বিরোধী কার্যক্রম আসলে বৃহত্তর, শিকারের মূল শিকড়ের বিরোধিতা করে। দি বার্নস ইনকুয়েরিতে বলা হয়েছে:

"কিছু মানুষের শিকারের বিরুদ্ধে নৈতিক বাধা রয়েছে এবং তারা মানুষের এই পশুকে অযথা কষ্ট দিয়ে নিজেরা যে আনন্দ উপভোগ করে তার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে।আবার কিছু মানুষ শিকার করাকে উচ্চবংশীয় প্রভাব বলে মনে করেন।আরেকদল এই অনর্থক শিকারকে দুঃখজনক বলে মনে করে এবং তারা এইসব পোষা প্রাণীর দুঃখকষ্ট ,শিকারের সময় তাদের চলাচলের অসুবিধা নিয়ে চিন্তিত।সবশেষে একদল আছে যারা দেশের ক্ষতির ভয়ে এবং প্রাণিসম্পদ যেমন অটার্স, বাজেরস এদের রক্ষার জন্য শিকারের বিরোধিতা করে ।"[৫]

শিকারের বিরোধিতা সেই ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে চলছে এবং তখন নাট্যকার ডব্লিউ এস গিলবার্ট বলেন ,’’হরিণ শিকার তখনই মজার খেলা হবে যখন হরিণের কাছে বন্দুক থাকবে।’’[৬]

লন্ডন সরকার খরগোশ শিকার এবং খরগোশ প্রশিক্ষণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যাতে রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ মিচেল টিছেলারের মতে কৃষকরা তীব্র সমর্থন দিয়েছে ।[৭]সাম্প্রতিক সময়ে ২০০৫ সালে একটি খরগোশ প্রশিক্ষণ বিরোধী প্রতিষ্ঠান সমর্থনকারীদের বলেছেন তারা "১০%নবস এবং ৯০% ইয়বস দিয়ে তৈরি।"[৮]

শিকার নিয়ে বিতর্কে এবং শিকার বিরোধিতা নিয়ে আমেরিকার ক্ষেত্রে শ্রেণি বৈষম্য ব্যাপারটি অনুপস্থিত ছিল।বরং শিকার বিরোধিতা শহরাঞ্চল এবং যেখানে জনসংখ্যা ঘনত্ব বেশি সেখানে বেশি দেখা যায় ।[৯]আমেরিকায় ফাঁকা জমির প্রাচুর্য থাকায় এবং  কিছু কিছু রাজ্যে ৭৫% ভূমি খালি থাকায় তারা ধনবান হওয়ার জন্য কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শিকার করার উপযোগী আলাদা জমির প্রয়োজন পড়ে না।

আমেরিকার লন্ডনের বিপক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে শিকারকে তাদের গণতান্ত্রিক মনোভাব হিসাবে প্রচার করে।[১০]এটি আমেরিকার একটি সংস্কৃতির রূপ যেহেতু আমেরিকার একটি বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী লন্ডন এবং আয়ারল্যান্ডের নাগরিক যারা বাস্তুহারা হয়ে আমেরিকায় এসেছে।আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে আমেরিকায় শিকার বাড়ানোর জন্য লাইসেন্স ফি রাজস্ব হিসাবে দেয়া হয় যেখানে লন্ডনে জমির মালিককে অনুমতির প্রয়োজন হয় ওই জমিতে শিকারের উপযোগী ক্রীড়াভূমি তৈরির জন্য।

প্রাণী সুরক্ষায় পদক্ষেপ[সম্পাদনা]

কিছু সংস্থা প্রাণীদের রক্ষার জন্য শিকার এলাকায় হরিণের চেতনানাশক বা মানুষের চুল(নিকটস্থ সেলুন থেকে) ছড়িয়ে রাখত।[১]

মতামত[সম্পাদনা]

দেশ ভোটিং কোম্পানি প্রশ্ন ভোটের তরিখ সূত্র শিকার সমর্থন শিকার বিরোধী জানিনা/মতামতহীন
লন্ডন নির্দয় ক্রীড়ার বিরুদ্ধ লীগ এর জন্য এম্ওআরআই (n=2,032) তুমি কি মনে কর শিয়াল ‍শিকার বৈধ? ৫-১১সেপ্টেম্বর,২০০৮ [১] ১৬ ৭৫
লন্ডন এম্ওআরআই, BBC (n=২,২৩৪) কুকুর দ্বারা শিকার নিষিদ্ধ করাকে তুমি কি পরিমাণ সমর্থন কর? ফেব ২০০৫ [২] ২৬% ৪৭% ২৭%
লন্ডন আরএসপিসিএ / আইএফএডব্লিউ এর জন্য এম্ওআরআই (n=১৯৮৩) তুমি কি জায়গায় থেকে/স্থানচ্যুত হয়ে[কুকুর দ্বারা শিকার] এর উপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন কর? ২-৮ফেব্রুয়ারি ২০০৭ [৩] ১৭ ৫৮ ২৪
আমেরিকা প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থাপনা তুমি বৈধ শিকারকে সমর্থন না অসমর্থন কর? সেপ্টেম্বর ২০০৬ [৪] ৭৮ ১৬
উত্তর আয়ারল্যান্ড মিল্ওয়ার্ড ব্রাউন শিয়াল শিকার কি নির্দয়তার পরিচয়? ২০-২৭মার্চ ২০০৬ [৫][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] ১১ ৭৯ ১০
আমেরিকা প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থাপনা তুমি বৈধ শিকারকে সমর্থন না অসমর্থন কর? ১৯৯৫ [৬] ৭৩ ২২

আমেরিকার মেইনের ভোটাররা ২০০৪ এবং ২০১৪ সালে কালো ভাল্লুক শিকারে কুকুর,খাঁচা.ফাঁদের ব্যবহারে প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়।[১১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Why Sport Hunting Is Cruel and Unnecessary"PETA (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৩-১২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২০ 
  2. "Hunting"Animal Ethics। ২০১৭-০৯-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২০ 
  3. Moon, N. (১৯৯৯)। Opinion polls: History, theory and practice। Manchester University Press। 
  4. Could Deer Hunting Be Banned In England? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-১২-২৭ তারিখে, Jan 2005, The Hunting Report
  5. "Burns Inquiry report, para 4.12"। ৩০ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২১ 
  6. Grossmith, George in The Daily Telegraph, 7 June 1911
  7. Tichelar, M. (2006) ‘Putting Animals into Politics’: The Labour Party and Hunting in the First Half of the Twentieth Century, Rural History, 17: 213-234 (the reason) "...private members bills introduced in 1949 designed to prohibit hunting and coursing...were defeated was the strong desire of the Government to preserve its relationship with the farmers and the wider rural community
  8. "FAACE comment on hare coursing"। ২০০৭-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১৮ 
  9. "The Elusive Hunter"Newsweek। ২০০৬-১২-০৪। ২০০৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০০৭ 
  10. "The Elusive Hunter"Newsweek। ২০০৬-১২-০৪। পৃষ্ঠা 3। ২০০৭-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০০৭ 
  11. http://www.pressherald.com/2014/10/26/poll-a-majority-of-mainers-oppose-ban-on-bear-baiting/

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]