শান্তি সৌন্দরাজন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Santhi Soundarajan, an Indian athlete wearing white, stands between two masculine-presenting people.
শান্তি সৌন্দরাজন [মধ্য] একজন ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড অ্যাথলেট এবং কোচ।
শান্তি সৌন্দরাজন
ব্যক্তিগত তথ্য
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম (1981-04-17) ১৭ এপ্রিল ১৯৮১ (বয়স ৪৩)
কাঠক্কুরিচি, তামিলনাড়ু, ভারত
মাতৃ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানএনআইএস, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইণ্ডিয়া (সাই), ব্যাঙ্গালোর
উচ্চতা১.৭০ মিটার (৫ ফু ৭ ইঞ্চি)
ওজন৬৪ কিলোগ্রাম (১৪১ পা)
ক্রীড়া
ক্রীড়াদৌড়
বিভাগ৮০০ মিটার, ১৫০০ মিটার
সাফল্য ও খেতাব
ব্যক্তিগত সেরা৮০০ মি: ১:৫৫.৪৫
১৫০০ মি: ৪:১১.৬৬
আতীয় রেকর্ড ৩০০০ মি: ১০:৪৪.৬৫
বিশ্ব শান্তি ক্রীড়া উৎসবের রাষ্ট্রদূত −২০০৩, কোরিয়া,[১] সারা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় রেকর্ডধারী ৮০০ মি: ২:০৭.৬৮
পদকের তথ্য
মহিলাদের অ্যাথলেটিক্স
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
এশিয়ান গেমস
অযোগ্য ২০০৬ দোহা ৮০০ মি
দক্ষিণ এশীয় গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ কলম্বো ১৫০০ মি
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ কলম্বো ৪×৪০০ মি রিলে
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৬ কলম্বো ৮০০ মি
এশিয়ান ইনডোর গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৫ ব্যাংকক ৪×৪০০ মি রিলে
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৫ ব্যাংকক ৮০০ মি
এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৫ ইনছন ৮০০ মি
এশিয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্স
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৪ এশিয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্স, ব্যাঙ্গালোর ৮০০ মি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৪ এশিয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্স, পুনে ৮০০ মি
আন্তর্জাতিক শান্তি ক্রীড়া উৎসব
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৩ আন্তর্জাতিক শান্তি ক্রীড়া উৎসব ৫০০০ মি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৩ আন্তর্জাতিক শান্তি ক্রীড়া উৎসব ৮০০ মি
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০০৩ আন্তর্জাতিক শান্তি ক্রীড়া উৎসব ৪০০ মি

শান্তি সৌন্দরাজন (এছাড়াও বানান শান্তি সৌন্দররাজন, তামিল: சாந்தி சௌந்திரராஜன், জন্ম ১৭ই এপ্রিল ১৯৮১) ভারতের তামিলনাড়ু থেকে একজন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট। তিনি ভারতের জন্য ১২টি আন্তর্জাতিক পদক এবং তাঁর নিজ রাজ্য তামিলনাড়ুর জন্য প্রায় ৫০টি পদকের বিজয়ী। শান্তি সৌন্দরাজন হলেন প্রথম তামিল মহিলা যিনি এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছেন।[২] তিনি মধ্য দূরত্বের ট্র্যাক ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৬ এশিয়ান গেমসে লিঙ্গ যাচাইকরণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায়, মহিলাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাঁর যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল এবং তাঁর রৌপ্য পদক নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন এবং কর্মজীবন[সম্পাদনা]

শান্তির জন্ম ১৯৮১ সালে ভারতের তামিলনাড়ুর পুদুক্কোত্তাই জেলার কাঠক্কুরিচি গ্রামে। তিনি এখন যে নতুন বাড়িতে থাকেন সেখান থেকে রাস্তার ধারে একটি ২০ বাই ৫ ফুটের কুঁড়েঘরে তিনি বড় হয়েছেন। সেখানে নিজস্ব কোন বাথরুম ছিল না, কলের জল বা বিদ্যুৎও ছিল না। তিনি দক্ষিণ তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি গ্রামে এক ইঁট-ভাঁটা শ্রমিকের পাঁচ সন্তানের একজন। তিনি তাঁর শৈশবকালের অপুষ্টিকে কাটিয়ে একজন মধ্য-দূরত্বের দৌড়বিদ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর পরিবারে টেলিভিশন ছিলনা, তাঁর পরিবার প্রতিবেশীর বাড়িতে তাঁর দোহা রেস দেখেছিলেন।[৪] তাঁর মা এবং বাবাকে একটি ইঁটভাঁটায় কাজ করার জন্য অন্য শহরে যেতে হত। সেখানে তাঁরা সপ্তাহে আমেরিকান ৪ ডলারের সমমূল্যের উপার্জন করতেন। তাঁরা কাজে বেরোলে, সবচেয়ে বয়স্ক শান্তি তাঁর চার ভাইবোনের যত্ন নিতেন। কখনও কখনও, শান্তির দাদু, যিনি একজন দক্ষ দৌড়বিদ, তাঁদের সাহায্য করতেন। যখন তাঁর বয়স ১৩, দাদু তাঁকে কুঁড়েঘরের বাইরে ময়লার খোলা জায়গায় দৌড়াতে শিখিয়েছিলেন এবং তাঁকে এক জোড়া জুতা কিনে দিয়েছিলেন।

অষ্টম শ্রেণীতে, তাঁর প্রথম প্রতিযোগিতায়, শান্তি একটি টিনের তৈরি ট্রফি জিতেছিলেন; তিনি আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় আরও ১৩টি ট্রফি পেয়েছিলেন। নিকটবর্তী একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রশিক্ষক তাঁর প্রদর্শন খেয়াল করেন এবং তাঁকে প্রশিক্ষণ দেন। স্কুল তাঁর শিক্ষার খরচ বহন করেছিল, তাঁকে ইউনিফর্ম এবং দুপুরের খাবার দিয়েছিল। এই প্রথম শান্তি দিনে তিনবেলা খাবার খেয়েছিলেন।

হাই স্কুলের পর, শান্তি কাছের শহর পুদুক্কোট্টাইয়ের একটি আর্টস কলেজ থেকে বৃত্তি পেয়েছিলেন। এর পরের বছর, শান্তি রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের একটি কলেজে পড়তে যান, কলেজটি সাত ঘন্টা দূরত্বে ছিল। ২০০৫ সালে, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেন, সেখানে তিনি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। ২০০৬ সালে, তিনি এশিয়ান গেমসে (এশিয়া অলিম্পিক কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত) ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন। ৮০০ মিটার দৌড়ে শান্তি সময় করেছিলেন ২ মিনিট ৩.১৬ সেকেন্ড। তিনি কাজাখস্তানের ভিক্টোরিয়া ইয়ালোভতসেভাকে ০.০৩ সেকেন্ডে হারিয়ে রৌপ্য জিতেছিলেন। এই জয়ের পরেই শান্তি একটি চলমান, অমীমাংসিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, একজন ক্রীড়াবিদ মহিলা বিভাগে প্রতিযোগিতা করার যোগ্য কি না তাই নিয়ে বিতর্ক।[৫]

২০০৪ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার কাছ থেকে ১ লাখ নগদ পুরস্কার পান শান্তি।[৬] মহিলাদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে ১০:৪৪.৬৫ সময় করে শান্তির জাতীয় রেকর্ড রয়েছে। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে ব্যাঙ্গালোরে একটি জাতীয় প্রতিযোগিতায়, তিনি ৮০০ মিটার, ১৫০০ মিটার এবং ৩০০০ মিটার দৌড়ে জিতেছিলেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছনে ২০০৫ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।

এশিয়ান গেমস বিতর্ক[সম্পাদনা]

কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ এশিয়ান গেমসে ২ মিনিট, ৩.১৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে শান্তি মহিলাদের ৮০০ মিটার দৌড়ে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৭] কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই একটি লিঙ্গ পরীক্ষা করা হয় এবং ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি "একজন মহিলার যৌন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নন"।[৮] যদিও এই ধরনের যৌন পরীক্ষা প্রতিযোগীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অনুরোধ করতে পারে যে প্রতিযোগীদের যে কোনও সময় এই ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। একজন গাইনোকোলজিস্ট, একজন জিনতত্ত্ববিদ, একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, একজন মনোবিজ্ঞানী এবং একজন অভ্যন্তরীণ ওষুধ বিশেষজ্ঞ নিবিড়ভাবে মূল্যায়ন করেন। প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে তাঁর লালন-পালন দরিদ্র গ্রামীণ ভারতে, যেখানে তিনি শুধুমাত্র ২০০৪ সাল থেকে সঠিক খাবার খাওয়া শুরু করেছিলেন, পরীক্ষার ফলাফলের পিছনে সেটি একটি কারণ হতে পারে।[৯] ২০১৬ সালের ভিডিও আবেদনে, শান্তি সৌন্দরাজন প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁকে বলা হয়েছে তাঁর অ্যান্ড্রোজেন সংবেদনশীলতা সিন্ড্রোম রয়েছে।[১০]

সংবাদ প্রতিবেদনের পাঁচ দিন পরে, শান্তি বলেছেন, তিনি ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন যুগ্ম সম্পাদক ললিত ভানোটের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছেন। ভানোট শান্তির সাথে ইংরেজিতে কথা বলেন। "তিনি শান্তিকে বলেছিলেন যে শান্তি আর খেলাধুলা করতে পারবেন না, শান্তি কারণ জিজ্ঞাসা করায়, তাঁকে বলা হয়েছিল: এটি নিশ্চিত করা হয়েছে, শান্তি খেলাধুলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।"[১১][১২][১৩] লিঙ্গ পরীক্ষার ফলাফল আসার পরপরই তাঁর রৌপ্য পদক কেড়ে নেওয়া হয়।[১৪]

শান্তি নিজের গ্রামে ফিরে আসেন এবং অবিলম্বে গুরুতর বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকেন। কয়েক মাস পরে, তিনি পশুচিকিৎসকদের দ্বারা ব্যবহৃত এক ধরণের বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর বন্ধু তাঁকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বমি করতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান।[১৫][১৬]

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি শান্তিকে তাঁর দোহা গেমসের প্রচেষ্টার জন্য, একটি টেলিভিশন সেট এবং নগদ ১.৫ মিলিয়ন টাকা পুরস্কার প্রদান করেন। শান্তি তাঁর পুরস্কারের টাকা তাঁর ছাত্রদের জন্য ব্যয় করেছিলেন; গড়ে ৬৮ জন (শিক্ষার্থী) আছেন এবং তাঁদের কাউকেই কোনো পারিশ্রমিক দিতে হয় না।[১৭]

রাজ্য সরকারের রেলওয়েতে চাকরির জন্য গেমসের আগে করা শান্তির আবেদন পরে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল কারণ তিনি লিঙ্গ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন।[৪]

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, শান্তি নিজের বাসভবনে একটি পশুচিকিৎসা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে।[১৩] ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য, অর্থনৈতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে চাপকে এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়েছিল।

দু মাস পরে, নিজ জেলা পুদুক্কোত্তাইতে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি শুরু করে শান্তি প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। তিনি সরকারের তরফ থেকে একজন অস্থায়ী অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষক হয়ে ওঠেন। ২০০৯ সালের মধ্যে, তাঁর একাডেমিতে ৬৮ জন ছাত্র ছিল এবং তাঁর ছাত্ররা চেন্নাই ম্যারাথনে প্রথম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল।[১৮]

শান্তি ২০১৩ সালে ব্যাঙ্গালোরে এনআইএস অ্যাথলেটিক কোচ ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন।[১৯] আটটি বিষয়ে ১০৮ জন শিক্ষার্থী এই কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন। অ্যাথলেটিক্সের ২৪ জন প্রশিক্ষকের মধ্যে শান্তি ছিলেন একজন। ২০১৪ সালের ৩০শে এপ্রিল, তিনি একজন যোগ্য অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষক হয়েছিলেন। তিনি ব্যাঙ্গালোরে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার স্নাতক অনুষ্ঠানে এনআইএস ডিপ্লোমা শংসাপত্রে ভূষিত হন।[২০][২১] শান্তির তখন কোনো স্থায়ী চাকরি ছিলনা। শান্তির পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করে, অলিম্পিক শ্যুটার অঞ্জলি ভাগবত ঘটনাটিকে "লজ্জাজনক" বলে অভিহিত করেছেন, তিনি বলেছেন "শান্তি দেশের জন্য যা করেছেন তার পরিবর্তে তাঁর আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য তাঁকে অন্তত একটি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারী চাকরি দেওয়া উচিত"।[২২][২৩]

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট গোপী শঙ্কর মাদুরাইয়ের সহায়তায়,[২৪] শান্তি নতুন দিল্লিতে দেখা করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কের প্রতিমন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণন, অলিম্পিক রৌপ্য পদক বিজয়ী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, তথ্য প্রযুক্তি ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে, তাঁদের কাছে একজন অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষক হিসেবে স্থায়ী চাকরি পেতে সহায়তার জন্য একটি অনুরোধ পেশ করতে। এছাড়া তিনি ২০০৬ দোহা এশিয়ান গেমস থেকে তাঁর ৮০০ মিটার রৌপ্য পদক পুনরুদ্ধারেরও আর্জি জানিয়েছিলেন।[২৫]

তামিলনাড়ুর একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাধাকৃষ্ণান, শান্তিকে নগদ পুরস্কার দেওয়ার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে লিখেছিলেন, কিন্তু মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া প্রতিকূল ছিল না: তাঁকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছিল যে যেহেতু পদকটি তাঁর জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়নি, মন্ত্রক এই পদকের জন্য ১০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দিতে পারে না। এছাড়াও, মন্ত্রক কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকারি অফিসে চাকরি প্রদান বা সুপারিশ করে না।[২৬]   শান্তি বিবিসি তামিল সার্ভিসকে বলেছেন যে ২০০৬ সালের দোহায় এশিয়ান গেমসে তাঁর রৌপ্য পদক কেড়ে নেওয়ার পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁর হয়ে মামলা লড়েনি।[৩][২৭]

২০১৫ সালের ২৯শে জুলাই, মাদ্রাজ হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করার জন্য শান্তির আবেদন বিবেচনা করার এবং তামিলনাড়ুর স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসডিএটিএন) কোচ হতে সাহায্য করার নির্দেশ দেয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া উন্নয়ন দ্বারা জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রশিক্ষকের পদের জন্য আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রির শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। কিন্তু শান্তির তা ছিল না। বিচারপতি ডি. হরিপারন্থমান ক্রীড়াক্ষেত্রে শান্তির অবদানের নথি বিবেচনা করে "একটি বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিথিলতা প্রদান করে প্রশিক্ষকের পদের জন্য তাঁর দাবি বিবেচনা করার জন্য" যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া উন্নয়নের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।[২৮]

২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টস (এনসিএসসি) শান্তির দায়ের করা একটি আবেদনের জবাবে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রককে একটি নোটিশ পাঠায়। এনসিএসসি অন্যায়ের অভিযোগ তদন্ত করেছিল এবং ৩০ দিনের মধ্যে ক্রীড়া বিভাগের সচিবের কাছ থেকে এই বিষয়ে জবাব চেয়েছিল।[২৯][৩০]

২০১৬ সালের ১৬ই অক্টোবর শান্তিকে জানানো হয়েছিল যে রাজ্য সরকার তাঁকে তামিলনাড়ুর স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে স্থায়ী অ্যাথলেটিক প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তামিলনাড়ুর ক্রীড়া মন্ত্রী কে. পান্ডিয়ারাজন বলেছিলেন যে রাজ্য খেলাধুলার জন্য আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে তাঁর হয়ে মামলা করবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তামিলনাড়ু সরকার সেই ফোরামে শান্তির মামলা নেওয়ার জন্য সাই, ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি দেবে।[৩১]

২০১৬ সালের ২০শে ডিসেম্বর ভারতের ফোর্ট সেন্ট জর্জে তামিলনাড়ুর ক্রীড়া মন্ত্রী কে. পান্ডিয়ারাজনের কাছ থেকে এসডিএটি-এর অধীনে স্থায়ী অ্যাথলেটিক প্রশিক্ষকের জন্য শান্তি তাঁর নিয়োগের আদেশ পান।[৩২][৩৩]

২০১৭ সালের ৩রা জানুয়ারি গোপী শঙ্কর মাদুরাই, যিনি শান্তির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন,[৩৪] বলেন যে তিনি ভারতের অ্যাথলেটিক ফেডারেশন এবং ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বা ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করবেন।[৩৫][৩৬]

২০১৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন শান্তির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে যে অনেক দেরি হওয়ার কারণে এটি গ্রহণ করা যাবেনা।[৩৭]

কৃতিত্ব এবং সম্মান[সম্পাদনা]

শান্তি ১২টি আন্তর্জাতিক পদক এবং ৫০টি জাতীয় পদক জিতেছেন, তার মধ্যে আছে:

বছর পুরস্কার সম্মানকারী সংস্থা মন্তব্য
২০১৬ ইয়ং ইন্সপিরেশনাল উইমেন লিডার অ্যাওয়ার্ড[৩৮] বিশ্ব নারী নেতৃত্ব কংগ্রেস (ডব্লিউডব্লিউএলসি) অ্যাথলেটিক্সে তরুণ তামিল মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য তাঁর অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।[৩৯]
বছর শিরোনাম সম্মানকারী সংস্থা মন্তব্য
২০১৭ বসবাস ফিনিক্স[৪০][৪১] কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, গুইন্ডি, আন্না ইউনিভার্সিটি দ্বারা কুরুক্ষেত্র (কলেজ উৎসব)[৪১] অ্যাথলেটিক্সের ক্ষেত্রে শান্তির অসাধারণ অবদানের জন্য তাঁকে ভূষিত করা হয়।[৪০]

আইএএএফ নীতি এবং অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের জন্য সমর্থন[সম্পাদনা]

শান্তির ঘটনার বৈপরীত্য দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাস্টার সেমেনিয়ার[৪২] ক্ষেত্রে। তিনি একজন মধ্য-দূরত্বের দৌড়বিদ। তিনি ২০০৯ সালের বার্লিন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে একই ধরনের লিঙ্গ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর প্রায় সোনাটি হারিয়েছিলেন। সেমেনিয়ার দেশ তাঁর মর্যাদা, তাঁর অধিকার এবং বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অবস্থান রক্ষার জন্য তাঁর হয়ে সমাবেশ করেছিল। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে তিনি তাঁর দেশের পতাকাবাহীও ছিলেন। শান্তি সেমেনিয়াকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁর ভয় ছিল যে সেমেনিয়াও একই অপমানের মুখোমুখি হবেন।[৪৩][৪৪][৪৫]

শান্তি দ্যুতি চাঁদকেও সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে যুবা খেলোয়াড়টির অন্যায়ের শিকার হওয়া উচিত নয়। তিনি দ্যুতি চাঁদ সমস্যাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার অভাব নিয়ে তাঁর হতাশাও প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল যে যুবা অ্যাথলিটের ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। ১৮ বছর বয়সী যুবার ট্র্যাকে ফিরে আসা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছিলেন শান্তি।[৪৬]

লিঙ্গ পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য ২০১৫ সালের ২৭শে জুলাই দ্যুতির পক্ষে খেলাধুলার সালিসি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে, যুগান্তকারী রায়টি শান্তির রৌপ্য পদক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১০-লক্ষ টাকার পুরস্কার পুনরুদ্ধারের আশাকে উজ্বল করেছে।[৪৭][৪৮]

এই বিষয়ে, এটি উল্লেখযোগ্য যে দ্যুতির মামলার ফলে স্থগিত আইএএএফ নীতি শান্তিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেয়নি। কালরা, কুলশ্রেষ্ঠ এবং উন্নিকৃষ্ণান, ২০১২ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম- এ লিখেছিলেন যে "২০১০ সালে শান্তিকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য যে ক্রোমোজোমাল লিঙ্গ ব্যবহৃত হয়েছিল, বর্তমান নির্দেশিকাগুলিতে মোটেও তার কোন উল্লেখ করা হয়নি।"[৪২] ২০১৬ অলিম্পিক গেমসের অব্যবহিত আগে এবং লিঙ্গ যাচাই বিতর্কের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে জেনেল, সিম্পসন এবং দে লা চ্যাপেল বলেছিলেন "প্রায় ২৫ বছর আগে প্রকাশিত মৌলিক সুপারিশগুলির মধ্যে একটি ... যে অ্যাথলিটরা লিঙ্গের বিকাশের ব্যাধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং মহিলা হিসাবে বড় হয়ে ওঠেন, তাঁদের মহিলা হিসেবে প্রতিযোগিতায় অনুমতি দেওয়া উপযুক্ত।"[৪৯]

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে, অমিতাভ বচ্চন তাঁর উপস্থাপিত কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ২ অনুষ্ঠানে শান্তির উপর একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তামিল ছবি ইথির নিচাল- এ ভালির চরিত্রটি শান্তির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।[৫০][৫১]

২০১৬ সালের আগস্ট মাসে, একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, থাপ্পড়, একটি অনলাইন প্রচারণার অংশ হিসাবে একটি ভিডিও তৈরি করেছিল, যেখানে শান্তির নাম আবার সরকারি নথিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং তাঁর জীবন পুনর্গঠনের জন্য সরকারের তাঁকে একটি স্থায়ী চাকরি দেওয়া উচিত বলে দাবি করছিল।[১০][৫২][৫৩]

কালচার মেশিন মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনে চাটনি অনলাইন কমেডি গ্রুপ তামিলনাড়ুর বাসিন্দাদের কাছে তাঁর সংগ্রামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করার জন্য তামিল ভাষায় একটি ভিডিও তৈরি করেছে।[৫৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Soundarajan Shanti | Profile"Iaaf.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  2. "Poll ticket, crowd-funded academy on Santhi's agenda – The Times of India"The Times of India 
  3. "Santhi 'medal should be returned'"BBC News। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯। 
  4. "Santhi scandal an insult to all Tamils | Zee News"Zeenews.india.com। ২০০৬-১২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  5. "Failed gender test forces Olympian to redefine athletic career"। ESPN। ২০১২-০৮-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  6. "Gopi Shankar Madurai on Twitter: "Cannot believe she is no more #RipAmma #Jayalalitha is a legacy ""। ২০১৬-১২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২Twitter-এর মাধ্যমে। 
  7. India strike it rich in track and field events ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে, The Hindu, 9 December 2006
  8. "Indian athlete fails gender test"BBC News। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০০৯ 
  9. S. Sen (20 December 2006) "AFI to investigate Santhi case, uneven diet cited as possible reason" The Raw Story
  10. "#FairTreatment for Shanthi Soundarajan"Thappad। ২০১৬। 
  11. Saner, Emine (৩০ জুলাই ২০০৮)। "The gender trap"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০০৯ 
  12. "The sad story of Santhi Soundarajan"The Times of India। ৯ জানুয়ারি ২০০৭। ১২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০০৯ 
  13. "Sex-test failure attempts suicide"Fox Sports। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০০৯ 
  14. "Indian silver medalist female runner at Asian Games fails gender test"International Herald Tribune। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৬। 
  15. "Indian runner fails gender test, loses medal"। ESPN। ২০০৬-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  16. "Shanti fails Doha gender test"The Telegraph। Calcutta, India। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৬। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  17. "India athlete makes plea for Semenya"। CNN। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯। 
  18. "Santhi turns to coaching after suicide attempt"Taipei Times। ১১ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০০৯ 
  19. "Financial aid for Santhi"The Hindu। Chennai, India। ১১ জুলাই ২০১৩। 
  20. "Graduation day at SAI South Centre"The Hindu। Chennai, India। ১ মে ২০১৪। 
  21. "Santhi leaves tainted past, is all set to coach athletes – The Times of India"The Times of India 
  22. "Santhi incident shameful: Anjali Bhagwat – Sports"Post.jagran.com। ২০১২-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  23. "Santhi Soundarajan incident shameful: Anjali Bhagwat"The Times of India। ২৫ জুলাই ২০১২। 
  24. Kappur, Shilpa। "One Who Fights For an Other"The New Indian Express। ২০১৬-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  25. "Santhi's plea"The Hindu। Chennai, India। ২১ ডিসেম্বর ২০১৪। 
  26. "Santhi finds herself at crossroads again"The Tribune। ২০১৫-০৫-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  27. "AFI to monitor Semenya's test to make Santhi's case"The Hindu। ২০০৯-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  28. Jesudasan, Dennis S. (১ আগস্ট ২০১৫)। "HC comes to the aid of Santhi"The Hindu। Chennai, India। 
  29. "Ministry of sports served notice on Santhi Soundarajan's complaint"। ESPN। ১১ অক্টোবর ২০১৬। 
  30. "SC panel intervenes in Santhi case"The Hindu। ১ ডিসেম্বর ২০১৬। 
  31. "Santhi set to rebuild life as official athletic coach"The Hindu। ১ ডিসেম্বর ২০১৬। 
  32. "Santhi gets a state job, to fight for return of medal"The Times of India। ২১ ডিসেম্বর ২০১৬। 
  33. "Ten years after 'failing' gender test, TN athlete Santhi Soundarajan gets government job offer"The News Minute। ২০১৬-১২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৬ 
  34. "Athlete Santhi Soundarajan may file human rights case, as AFI, IOA wash hands of medal issue"। The News Minute। ২০১৭-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  35. "Santhi Soundarajan to file human rights violation case against AFI, IOA ten years after being stripped off medal"Firstpost.com। ২০১১-০২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  36. "Santhi Set To Fight For Justice Jan 03, 2017, 19:43 IST, Times Now"Timesnow.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  37. "Human rights body rejects Santhi Soundarajan's complaint, claims it's too late to accept it"। The News Minute। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  38. "World Women Leadership Congress & Awards"। ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-১৮ 
  39. "Dental health awareness camp held"The Times of India। ২০১৬-০৩-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  40. "Kurukshetra"www.kurukshetra.org.in। ২৪ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২২ 
  41. "The Living Phoenix Speaks! – An Exclusive Interview With Santhi Soundararajan"The Guindy Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  42. Kalra, Sanjay; Kulshreshtha, Bindu (২০১২)। "We care for intersex: For Pinky, for Santhi, and for Anamika": 873–5। আইএসএসএন 2230-8210ডিওআই:10.4103/2230-8210.102980পিএমআইডি 23226629পিএমসি 3510954অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  43. "India athlete makes plea for Semenya"। CNN। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯। 
  44. Time। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ http://content.time.com/time/world/article/0,8599,1919562,00.html  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  45. "al jazeera"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  46. Gopalkrishnan, Krithika (২০১৪-০৭-১৯)। "Santhi Urges Establishment to Help Sidelined Dutee"The New Indian Express। ২০১৪-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  47. "Santhi keen on getting her Asiad medal back – The Times of India"The Times of India 
  48. "Ruling on Dutee gives Santhi a Ray of hope"The New Indian Express। ১০ আগস্ট ২০১৫। ১০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৩ 
  49. Genel M; Simpson J (৪ আগস্ট ২০১৬)। "The olympic games and athletic sex assignment": 1359–1360। আইএসএসএন 0098-7484ডিওআই:10.1001/jama.2016.11850পিএমআইডি 27490137 
  50. "Top Latest News, Breaking News Headlines India, Live World News, Indian News Stories"In.com। ২০১৩-০৯-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০২ 
  51. "Critique de "Ethir Neechal" » Kolly360"। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৯ 
  52. Sonam Joshi Lifestyle Editor। "Why We Should Join The Campaign Seeking Justice For Runner Shanthi Soundarajan"Huffingtonpost.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  53. "Justice for Shanthi: Petition supporting TN athlete who failed the gender test"। The News Minute। ২০১৬-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  54. Sonam Joshi। "A Decade After Being Banned For Failing A Controversial Gender Test, Athlete Shanthi Soundarajan Gets A Government Job"Huffingtonpost.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২