শান্তি কৃষ্ণা

শান্তি কৃষ্ণা
পেশা	অভিনেত্রী
কর্মজীবন	১৯৮০ – ১৯৮৬ ১৯৯১ – ১৯৯৮ ২০১৭ – বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী	শ্রীনাথ (বি. ১৯৮৪; বিচ্ছেদ. ১৯৯৫) সদাশিবন বাজোর (বি. ১৯৯৮; বিচ্ছেদ. ২০১৬)
সন্তান	২
আত্মীয়	সুরেশ কৃষ্ণা (ভাই)

শান্তি কৃষ্ণা হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি মালায়ালাম এবং তামিল ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য পরিচিত। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে তিনি একজন তারকা অভিনেত্রী ছিলেন। চকোরাম (১৯৯৪) ছবিতে শারদাম্মিনী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। শান্তি পরপর তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে কেরালা রাজ্য টেলিভিশন পুরস্কার পেয়েছেন। সাময়িক বিরতির পর চলচ্চিত্র জগতে তার প্রত্যাবর্তন চলচ্চিত্র মালায়ালাডুতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন।

জীবনের প্রথমার্ধ

শান্তির জন্ম বোম্বেতে অবস্থিত একটি পালক্কড় আইয়ার পরিবারে। তার বাবা-মা হলেন আর. কৃষ্ণা এবং কে. শারদা। তিনি মুম্বাইয়ের এসআইইএস কলেজ এবং জেনারেল এডুকেশন একাডেমিতে তার শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার তিন ভাই আছে, শ্রীরাম, সতীশ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সুরেশ কৃষ্ণা ।

তার প্রথম তামিল ছবি ছিল পনির পুষ্পাঙ্গল। বিয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র জগৎ থেকে বিরতি নেন, কিন্তু ১৯৯১ সালে নয়ম ব্যক্তিমাক্কুন্নু সিনেমার মাধ্যমে তিনি আবারো অভিনয় জগতে ফিরে আসেন। তিনি চকোরাম (১৯৯৪) ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসাবে কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মালায়ালাম চলচ্চিত্রে অভিনয় করা বন্ধ করে দেন। তিনি মালায়ালাম চলচ্চিত্র পুরস্কারে জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি 2017 সালে ইয়ান্দুকালুদে নাট্টিল ওরিদাভেলা সিনেমার মাধ্যমে পুনরায় চলচ্চিত্র জগতে প্রত্যাবর্তন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

শান্তি কৃষ্ণা ১৯৮৪ সালে মালায়ালাম অভিনেতা শ্রীনাথকে বিয়ে করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তিনি ১৯৯৮ সালে রাজীব গান্ধী গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনের সেক্রেটারি সদাশিবন বাজোরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান, মিতুল এবং মিতালি। ২০১৬ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিনি কিছুদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন এবং পরে বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসেন।