শাহজাহান সিরাজ
শাহজাহান সিরাজ | |
|---|---|
| বাংলাদেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী | |
| কাজের মেয়াদ ১০ অক্টোবর ২০০১ – ৬ মে ২০০৪ | |
| প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
| পূর্বসূরী | আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী |
| উত্তরসূরী | তরিকুল ইসলাম |
| প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
| উত্তরসূরী | আবদুল লতিফ সিদ্দিকী[১] |
| বাংলাদেশের বস্ত্রমন্ত্রী | |
| কাজের মেয়াদ ৬ মে ২০০৪ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
| প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
| টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ২ এপ্রিল ১৯৭৯ – ২৪ মার্চ ১৯৮২ | |
| পূর্বসূরী | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী |
| উত্তরসূরী | লাইলা সিদ্দিকী |
| কাজের মেয়াদ ২৫ এপ্রিল ১৯৮৮ – ৩০ মার্চ ১৯৯৬ | |
| পূর্বসূরী | লাইলা সিদ্দিকী |
| উত্তরসূরী | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী |
| কাজের মেয়াদ ২৮ অক্টোবর ২০০১ – ২৭ অক্টোবর ২০০৬ | |
| পূর্বসূরী | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী |
| উত্তরসূরী | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১ মার্চ ১৯৪৩ টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ |
| মৃত্যু | ১৪ জুলাই ২০২০ (বয়স ৭৭) ঢাকা |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
| অন্যান্য রাজনৈতিক দল | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সিরাজ) |
| দাম্পত্য সঙ্গী | রাবেয়া সিরাজ |
| পেশা | রাজনীতিবিদ |
শাহজাহান সিরাজ (১ মার্চ ১৯৪৩ - ১৪ জুলাই ২০২০[২]) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন অন্যতম ছাত্রনেতা। তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৩ বার জাসদের মনোনয়নে এবং ১ বার বিএনপি'র মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শাহজাহান সিরাজ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়ার সরকারে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
জন্ম ও পরিবার
[সম্পাদনা]১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন শাহজাহান সিরাজ।[৪] তার পিতার নাম আব্দুল গণি মিয়া ও মাতা রহিমা বেগম। [৫]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র-রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি দুইবার করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫] একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থানে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ (যার অন্য নাম নিউক্লিয়াস) এর সক্রিয় কর্মী, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা।
মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে ভূমিকা পালন করেন, যা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ। পরবর্তীতে জাসদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাসদের মনোনয়নে ৩ বার তিনি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬] শাহজাহান সিরাজ ১৯৯৫ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নেও একবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেগম খালেদা জিয়া সরকারের শেষ পর্যায়ের দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
[সম্পাদনা]শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তিনি সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব প্রভৃতি ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। [৭] সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১ পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’ (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী, সাবেক ছাত্রনেত্রী রাবেয়া সিরাজের সঙ্গে ১৯৭২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাহজাহান সিরাজ। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ একজন শিক্ষিকা এবং রাজনীতিবিদ। [৫]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]শাহজাহান সিরাজ ১৪ জুলাই ২০২০ ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ক্যানসারে ভুগছিলেন।[৮]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০৭-১২ তারিখে, parliament.gov.bd।
- ↑ Pratidin, Bangladesh (১৪ জুলাই ২০২০)। "স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা শাজাহান সিরাজ আর নেই"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ বেলায়েত হোসাইন। "ছাত্রলীগ নেতারা কে কোথায়?"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "শাহজাহান সিরাজ সঙ্কটাপন্ন"। বাংলানিউজ২৪ ডটকম। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- 1 2 3 "শাহজাহান সিরাজ"। বাংলাদেশ ইনসাইড ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- 1 2 সিফাত বিনতে ওয়াহিদ। "নিশ্চুপ শাজাহান সিরাজ, খোঁজ নেয় না কেউ"। পরিবর্তন ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বিএনপি নেতা শাহজাহান সিরাজ মারা গেছেন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২০।
- ১৯৪৩-এ জন্ম
- ২০২০-এ মৃত্যু
- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের রাজনীতিবিদ
- টাঙ্গাইল জেলার রাজনীতিবিদ
- খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- মুক্তিবাহিনীর কর্মকর্তা
- বাংলাদেশে ক্যান্সারে মৃত্যু
- ১৯৪৬-এ জন্ম
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ
- দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- চতুর্থ জাতীয় সংসদ সদস্য
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ সদস্য
- অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য
- সরকারি সা’দত কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী