বিষয়বস্তুতে চলুন

শাজারাতুল হায়াত

স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৯′৩৯″ উত্তর ৫০°৩৫′০০″ পূর্ব / ২৫.৯৯৪০৭৩° উত্তর ৫০.৫৮৩২৩৫° পূর্ব / 25.994073; 50.583235
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাজারাতুল হায়াত
জীবনবৃক্ষ
প্রজাতিProsopis cineraria
স্থানাঙ্ক২৫°৫৯′৩৯″ উত্তর ৫০°৩৫′০০″ পূর্ব / ২৫.৯৯৪০৭৩° উত্তর ৫০.৫৮৩২৩৫° পূর্ব / 25.994073; 50.583235
শাজারাতুল হায়াতের দিকে যাওয়ার কাঁচা রাস্তা
রাতের বেলায় শাজারাতুল হায়াত বৃক্ষ

শাজারাতুল হায়াত (অনুবাদ: জীবনবৃক্ষ) হলো বাহরাইনে অবস্থিত ৪০০ বছরের পুরনো ৯.৭৫ মিটার (৩২ ফুট) উঁচু একটি শমীবৃক্ষ (বৈজ্ঞানিক নাম: Prosopis cineraria)। এটি বাহরাইনের সর্বোচ্চ বিন্দু জাবাল আদ-দুখান থেকে ৬ কিলোমিটার (৩.৭ মাইল) ও রাজধানী মানামা থেকে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দূরত্বে জনশূন্য আরব মরুভূমির উপর একটি টিলায় অবস্থিত।[]

গাছটি প্রায় সময় ঘন সবুজ পাতায় আচ্ছাদিত থাকে। গাছটির বয়স এবং এই এলাকায় জন্মানো গুটিকয়েক বৃহত্তর গাছগুলোর একটি হওয়ায় এই বৃক্ষটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ এই বৃক্ষটি পরিদর্শনে আসেন। এর হলুদরঙা রজন সুগন্ধিত মোম, প্রসাধনী ও গাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর ফল খাদ্য হিসেবে এবং জ্যামওয়াইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।[]

বৃক্ষটি মরুভূমির চরম আবহাওয়ায় কীভাবে টিকে রয়েছে, তা অজানা। বাহরাইনে সারাবছর স্বল্প বৃষ্টি থেকে প্রায় বৃষ্টিশূন্য আবহাওয়া বিদ্যমান থাকে। গাছটির শিকড় প্রায় ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) গভীর, যা ভূগর্ভস্থ পানির নাগাল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট।[] আবার অনেকের মতে, গাছটি বালুকা থেকে আর্দ্রতা শোষণ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করেন, গাছটি বাইবেলোক্ত ইডেনের বাগানের উপরে অবস্থিত। ফলে গাছটি অলৌকিকভাবে পানি লাভ করে।[]

২০০৯ সালে বৃক্ষটিকে নতুন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকার জন্য মনোনীত করা হয়। তবে স্থানটি শীর্ষস্থান লাভে সক্ষম হয়নি৷[]

২০১০ সালের অক্টোবর মাসে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বৃক্ষের আশেপাশে খনন করে ৫০০ বছরের পুরনো তৈজসপত্রের সন্ধান পান। এছাড়া ১৯৯০-এর দশকে ঐ স্থানের মাটি পরীক্ষা ও বৃক্ষচক্রীয় কালনিরূপণবিজ্ঞান থেকে জানা যায়, গানটি ১৫৮২ সালে রোপন করা হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি একাশিয়া-জাতীয় গাছ।[]

১৯৯১ সালের চলচ্চিত্র এল.এ. স্টোরি-তে এই বৃক্ষের উল্লেখ পাওয়া যায়। চলচ্চিত্রে স্টিভ মার্টিন বৃক্ষের এই স্থানটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আধ্যাত্মিক স্থান বলে উল্লেখ করেন।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Tree of Life"লোনলি প্ল্যানেট (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. "The mysterious Tree of Life" (ইংরেজি ভাষায়)। কেএলএম 
  3. "Tree of Life"অ্যাটলাস অবস্কিউরা (ইংরেজি ভাষায়)। 
  4. তুমি, হাবিব (১৬ মে ২০০৯)। "Bahrain's Tree of Life ranks high on Seven Wonders list"গাল্ফ নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২৪ 
  5. "Amphitheatre plan for Tree of Life"ট্রেড অ্যারাবিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। মানামা। ৭ এপ্রিল ২০১৩।