শরিফ আহমেতি
শরিফ আহমেতি | |
---|---|
উপাধি | মুফতি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯২০ |
মৃত্যু | ১৪ এপ্রিল ১৯৯৮ | (বয়স ৭৭–৭৮)
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | আলবেনীয় |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
প্রধান আগ্রহ | কুরআনিক শিক্ষা, তাফসির, আকিদাহ |
মুসলিম নেতা | |
কাজের মেয়াদ | ১৯৮৫–১৯৯০ |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
পদ | প্রিস্টিনার মুফতি |
শরিফ আহমেতি (১৯২০ - ১৪ এপ্রিল, ১৯৯৮) ছিলেন একজন শিক্ষক, ইমাম, ভাষ্যকার এবং আলবেনীয় ভাষায় কুরআনের অনুবাদক।
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা]তিনি ১৯২০ সালে গুভনো সেলোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল বাহতির এবং মায়ের নাম আইশা। তার পরিবার নিশের সানজাকের টপলিকা থেকে মুহাজির হিসেবে এসেছিল। তিনি বান্দুলিক গ্রামে মোল্লা আজিজের সাথে মক্তবে এবং তারপর ফেরিজাজে আহমেত গ্রেমজার সাথে আরবি ব্যাকরণ বা সরফ অধ্যয়ন করেন। তিনি প্রিজরেনের মাদ্রাসায় ভাষাশিক্ষা বিষয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। সেখানে তিনি এর বাক্য গঠন ( auam ) শিখেছিলেন এবং পরে প্রিস্টিনার একটি মাদ্রাসায় পড়েন। সেখান থেকে তিনি ১৯৪৪ সালের মে মাসে আধ্যাত্মিক ডিপ্লোমা ( আলবেনীয়: ixhazetnamenë ) অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, তিনি কসোভোর লিপজানে একটি আলবেনীয় ভাষার বিদ্যালয় খুলতে সাহায্য করেন। ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ সালে তিনি বান্দুলিকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে, তিনি পেজাতে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ সভায় যোগদান করেন। স্লোভিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালক পদে চাকরি শুরু করেন। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে, তিনি লিপজানের কাছে গ্লোগোভসে মসজিদের ইমাম হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দেন। শীঘ্রই তিনি স্থানীয় ইসলামী সম্প্রদায়ের সভাপতি হন। ১৯৬৫ সালে, তিনি প্রিস্টিনার একটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলাউদ্দিন মাদ্রাসায় শিক্ষক হন।[১]
পরবর্তী জীবন এবং কাজ
[সম্পাদনা]আহমেতি তার সময়ের অনেক কসোভার বুদ্ধিজীবীর মতো কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করেছেন। তিনি ভাষাগত এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য প্রচারে কাজ করেন। এই ঐতিহ্যগুলো একে অপরের সাথে জড়িত ছিল। তিনি যে সরকারের অধীনে কাজ করতেন, তারা এই ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে ছিল। ১৯৭০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি আলাউদ্দিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। কিন্তু ১৯৮৫ সালে তিনি প্রিস্টিনার মুফতি নিযুক্ত হন। ১৯৯০ সালে ৭০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রিস্টিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব বিভাগ খোলার পর থেকে তিনি সেখানে আকিদাও পড়াচ্ছেন।
তিনি অনেক কিছু প্রকাশ করেছেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ধর্মীয় পত্রিকা বুলেতিনির প্রধান সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে এর নাম এডুকাতেস ইসলামে রাখা হয়। আহমেতি একজন বিখ্যাত অনুবাদকও ছিলেন। ১৯৮৭ সালে, সূরা ইয়া-সিনের একটি আলবেনীয় ভাষায় অনুবাদ প্রকাশের পর তিনি তাফসীর সহ একটি সম্পূর্ণ আলবেনীয় কুরআন প্রকাশ করেন। বইটির ৫০,০০০ কপি ত্রিপোলিতে, ৩০,০০০ কপি কায়রোতে এবং দশ লক্ষ কপি মদিনায় মুদ্রিত হয়। আহমেতি ১৯৯৫ সালে প্রিস্টিনায় প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার একটি খণ্ড "কমেন্টে দে মেন্ডিমে ইসলাম" ("ইসলামিক মন্তব্য এবং চিন্তাভাবনা")ও লিখেছিলেন। এই বই স্থানীয় মানুষকে ইসলামের মূল বিষয়গুলো পুনরায় জানাতে সাহায্য করে। রাষ্ট্র-সমর্থিত নাস্তিকতার সময়ে এই বিষয়গুলো কিছুটা দমিয়ে রাখা হয়েছিল।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Shkodra, Ramadan (২০১০)। "Sherif Ahmeti (1920 - 1998)"। Islam Gjakova। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Documentary on Ahmeti"। Vimeo। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২০।