শফিকুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)
শফিকুল ইসলাম | |
---|---|
কিশোরগঞ্জ-৭ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – ১২ জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া |
উত্তরসূরী | জিল্লুর রহমান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ শিমুলকান্দি, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | শাহীদা বেগম |
পিতামাতা | মকবুল হোসেন, আমেনা খাতুন |
শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ যিনি তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
শফিকুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ভৈরবের হাজি আসমত কলেজ থেকে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে উচ্চমাধ্যমিক,১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে বি এ (সম্মান) এবং ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বশীল পদে চাকুরি করেন। চাকুরি ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ১৯৯৩ সালে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে ১৭১ কিশোরগঞ্জ- ৭ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি করেন। তার চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
শফিকুল ইসলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিদ্যমান অসুস্থ্ রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাড়ান। বর্তমানে তিনি দেশের প্রখ্যাত সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তক আটাশ দফা কর্মসূচির প্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহাম্মদ শরীফ চেয়ার ও অধ্যাপক আবুল কাসেম ফললুল হকের সঙ্গে কাজ করছেন। নিজ এলাকা নির্বিশেষে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির ইতিহাস- ঐতিহ্য ও রাজনীতি বিষয়ে অধ্যয়ন গবেষণার পাশাপাশি আটাশ দফা কর্মসূচির আলোকে নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ এলাকায় তিনি ২০০৮ সালে গড়ে তুলেছেন রেবতীবর্মণ স্মৃতি সংসদ এবং ২০১০ সালে গড়ে তুলেছেন “বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসঙ্ঘ” নামক একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। তার চিন্তা ও কর্মের সাধনার মূলে রয়েছে বাঙালি, বাংলাদেশ এবং সর্বোপরি বিশ্বজনীন মানবতা।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ্য সমূহ[সম্পাদনা]
১। সভ্যতার পথ ও পাথেয়, ২। ভৈরবের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ৩। অগ্রগতির পথে বাংলাদেশ ৪। সমকালের বাংলাদেশ ৫। সম্পাদনা গ্রন্থ : কমরেড রেবতী মোহন বর্মণ- জীবন ও কর্ম।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |