লোহালিয়া সেতু
লোহালিয়া সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২২°২০′৫০″ উত্তর ৯০°২১′২৯″ পূর্ব / ২২.৩৪৭১৮৮° উত্তর ৯০.৩৫৮১০১° পূর্ব |
বহন করে | যানবাহন |
অতিক্রম করে | লোহালিয়া নদী |
স্থান | পটুয়াখালী সদর, পটুয়াখালী |
রক্ষণাবেক্ষক | সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ৫৭৬.২৫ মিটার (১,৮৯০.৬ ফুট) |
প্রস্থ | ৭.৩২ মিটার (২৪.০ ফুট) |
স্প্যানের সংখ্যা | ১৪ |
রেল বৈশিষ্ট্য | |
রেলপথের সংখ্যা | ২ |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | ৯ নভেম্বর ২০১১ |
নির্মাণ শেষ | ৩০ জুন ২০২৩ |
নির্মাণ ব্যয় | ১০১ কোটি বাংলাদেশী টাকা |
চালু | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ |
অবস্থান | |
![]() |
লোহালিয়া সেতু বাংলাদেশের পটুয়াখালী শহরের পূর্ব দিকে লোহালিয়া নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক সেতু। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৫৭৫.২৫ মিটার (১,৮৮৭.৩ ফুট)।[১] ২০১১ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।[২][৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিডি) পটুয়াখালীর গলাচিপা–কলাগাছিয়া সড়কের লোহালিয়া নদীর উপর এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তখন সেতুটির নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি বাংলাদেশী টাকা। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ আসে এবং নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের শুরুতেই ৪.৯৫১ একর (২০,০৪০ বর্গমিটার) ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই ভূমি অধিগ্রহণে ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২২ হাজার ৩৭৯ বাংলাদেশী টাকা ব্যয় হয়।[২]
২০১৪ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হলে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আন্তমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্তে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমদিকে নদী থেকে সেতুর উচ্চতা ছিল ৯.৫৭ মিটার (৩১.৪ ফুট)। সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার সময় পায়রা বন্দরের কথা বিবেচনা করা হয়নি। পায়রা বন্দর নির্মাণের ফলে ভবিষ্যতে লোহালিয়া নদীতে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করবে। তাই উচ্চতা কম হওয়ায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।[৪]
পরবর্তীতে পায়রা বন্দরের কথা বিবেচনা করে নদী থেকে সেতুর উচ্চতা ১৩.৫ মিটার (৪৪ ফুট) করা হয়। ২০১৯ সালের আগস্টে পুণরায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনা মহামারি কারণে নির্মাণ কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়।[১]
২০২৩ সালের ৩০ জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।[৫] বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু উদ্বোধন করেন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "যে সেতুর কাজ শেষ হয়নি ১০ বছরেও"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০২২-১০-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৫।
- ↑ ক খ গ শংকর দাস (২০২৩-১১-১৪)। "যান চলাচলের জন্য আজ খুলছে লোহালিয়া সেতু"। প্রথম আলো। ২০২৪-০৪-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৫।
- ↑ বিলাস দাস, (২০২৩-০২-১৬)। "এক যুগ পর ফের শুরু হচ্ছে 'লোহালিয়া সেতু'র কাজ"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৫।
- ↑ "কাজ শেষ হলেও লোহালিয়া সেতু খুলে না দেওয়ায় ক্ষোভ"। প্রথম আলো। ২০২৩-০৭-২৩। ২০২৪-১০-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৫।
- ↑ "উদ্বোধনের অপেক্ষায় পটুয়াখালীর লোহালিয়া সেতু"। জাগো নিউজ ২৪। ২০২৩-০৭-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৫।