লুইজি মিচেল
লুইজি মিচেল | |
---|---|
জন্ম | ভ্রঙ্কোর্ট লা কোতে, ফ্রান্স | ২৯ মে ১৮৩০
মৃত্যু | ৯ জানুয়ারি ১৯০৫ মার্সেলে, ফ্রান্স | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | ফরাসী |
অন্যান্য নাম | la Louve rouge (red she-wolf), la Bonne Louise (the good Louise) |
পেশা | বিপ্লবী, চিকিতসাকারী, শিক্ষিকা |
পরিচিতির কারণ | কমিউনার্ড প্যারিস কমিউন |
লুইজি মিচেল (১৮৩০ - ১৯০৫) একজন ফরাসী নৈরাজ্যবাদী নারী বিপ্লবী, শিক্ষিকা, এবং প্যারিস কমিউনের অন্যতম প্রধান নেত্রী। তিনি তার ছদ্মনাম ক্লেমেসে ব্যবহার করতেন। তাকে রেড ভার্জিন অফ অফ মন্টমারতে বলে ডাকা হতো। সাংবাদিক ও সাহিত্যিকরা তাকে নারী অধিকার, মানবাধিকার আন্দোলনের একজন সর্বাগ্রগন্য নেত্রীর শিরোপা দিয়েছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]লুইজি মিচেল, চুয়াটাউ এর ভ্রংকোর্টে জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩০ সালে। তিনি ছিলেন আদতে এটিনে চার্লস ডেমাহিস এর গৃহপরিচারিকার অবৈধ সন্তান। ভ্রংকোর্ট গ্রামে তার মা ও পিতামহের কাছে বেড়ে ওঠেন ও লেখাপড়া করেন। গ্রামীণ লোকাচার, প্রথা ও ইতিহাসের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। শিক্ষিকার যোগ্যতা অর্জন করলেও তৃতীয় নেপোলিয়নের আমলে তাকে কোনো স্কুলে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। এর পর থেকে মিচেন বোনাপার্টিস্টদের তীব্র বিরোধী হয়ে যান। ১৯৬৬ সালে প্যারিসের মন্টমেরতে কোয়ার্টার স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন এবং তখন থেকেই বিওলবী রাজনীতি ও জনসেবার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সোসাইতে পোর লা রেভেন্ডিকেশন ডু ড্রয়েট ডেস ফেমেস নামক নারী আন্দোলনকারী সংস্থার সাথে তার যোগাযোগ হয়। নারী শিক্ষার সঙ্গে তার কাজকর্ম শুরু হয় ১৯৬৬ সাল থেকে।
প্যারি কমিউন
[সম্পাদনা]পারি কমিউনের সময় ব্যারিকেডে আহত কমিউনার্ডদের চিকিৎসা ও শুশ্রুষার কাজে অসামান্য ভূমিকা গ্রহণ করেন মিচেল। ফ্রাংকো প্রুশিয়ান যুদ্ধে অবদান রাখেন। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কমিউন গঠন হলে তিনি ছিলেন একজন ন্যাশনাল গার্ড। মন্টমারত্রে সেমেটারিতে তিনি বিপ্লবী থিওফিল ফেরে'র সাথে ছিলেন। ফেরে'কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাকে উৎসর্গ করে মিচেল একটি বিদায়ী কাব্য রচনা করেছিলেন। প্যারি কমিউনে লুইজি মিচেলের অবদান ও সাহসিকতাপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে ভিক্টর হুগো ভিরো মেজর কাব্য রচনা করেন।
বিচার ও শাস্তি
[সম্পাদনা]১৮৭১ মে মাসে তিনি গ্রেপ্তার হন ও ডিসেম্বরে তাকে সিক্সথ কাউন্সিল অফ ওয়ারে'র সামনে বিচারের জন্যে আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নাগরিকদের উস্কানি ও সশস্ত্র বিদ্রোহে যোগদান করার অপরাধে অভিযুক্ত হন মিচেন। বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও তিনি অবিচল থাকেন। ২০ মাস বন্দী রাখার পর তাকে দ্বীপান্তরে পাঠানো হয়।