বিষয়বস্তুতে চলুন

লীলাবতী (অভিনেত্রী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লীলাবতী
মহীশূরের কলামন্দিরে লীলাবতী
জন্ম
লীনা সিকুইরা

১৯৩৭
মৃত্যু (বয়স ৮৬)
পেশাঅভিনেত্রী, চলচ্চিত্র প্রযোজক, লেখক, সমাজসেবী
সন্তানবিনোদ রাজ

লীনা সিকুইরা[] (১৯৩৭ – ৮ই ডিসেম্বর ২০২৩), যিনি লীলাবতী নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক ছিলেন, যিনি মূলত কন্নড় এবং তামিল চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি কয়েকটি তেলুগু, মালয়ালম এবং তুলু চলচ্চিত্রেও কাজ করেছিলেন। থিয়েটারে কাজ করার পর, লীলাবতী নাগকন্নিকা (১৯৪৯) ছবিতে শিশুশিল্পীর একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি তাঁর অভিনয় জীবনে ৬০০ টিরও বেশি ছবিতে (শুধুমাত্র কন্নড় ভাষায় ৪০০ টিরও বেশি) অভিনয় করেছেন।

লীলাবতী রানি হোন্নাম্মা, ভক্ত কুম্বারা, ভালার পিরাই, মানা মেচ্চিদা মাদাদি এবং সানথা থুকারমের মতো চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে অনেক স্মরণীয় অভিনয়ের জন্য পরিচিত। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে, তিনি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের দিকে চলে যান এবং গেজে পুজে, উপাসনে, নাগরহাভু, বসন্ত গীথা, শ্রাবণ বান্থু এবং এরাদু নক্ষত্রগালু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ডঃ রাজকুমার পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

লীনা সেকুইরা কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলথানগড়ি শহরের মুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, এটি তখন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল।[] ৬ বছর বয়সে তিনি বাবা-মাকে হারান।[] লীনা এবং তাঁর বোন অ্যাঞ্জেলিনা সিকুইরা তাঁদের এক সম্পর্কিত বড় ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে বড় হয়েছেন। দুই বোনেরই নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল এবং তাঁরা দুজনেই নাচের প্রশিক্ষণ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

চলচ্চিত্র জীবন

[সম্পাদনা]

লীলাবতী চঞ্চলা কুমারী এবং তারপরে শঙ্কর সিং-এর চলচ্চিত্র নাগা কন্নিকাতে ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পরে তিনি মহালিঙ্গ ভাগবথরের শ্রী সাহিত্য সাম্রাজ্য নাট্য কোম্পানিতে যোগ দেন।[] তিনি সুব্বাইনাইডুর ১৯৫৮ সালের ভক্ত প্রহ্লাদ, মাঙ্গল্য যোগ, ধর্ম বিজয়া এবং রণধীর কান্তিরভা চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। রানী হোন্নাম্মা-তে অভিনয় করেই লীলাবতী একজন পুরাদস্তুর নায়িকা হয়ে ওঠেন এবং সানথা থুকারম, কান্থেরেদু নোডু, কৈভারা মহাত্মে, গালি গোপুরা, কন্যারথনা, কুলবধূ, বীর কেশরী এবং মানাদি মেচিদা-র মতো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি অসংখ্য ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং গেজ্জে পুজেডক্টর কৃষ্ণা চলচ্চিত্রের জন্য কর্ণাটক রাজ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

রাজকুমারের সাথে বিভিন্ন ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করার বিরল গৌরব অর্জন করেছিলেন লীলাবতী।[] এছাড়াও তিনি রাজকুমারের সঙ্গে অন্যান্য চরিত্রে, যেমন কন্যা (ভূদনা), পুত্রবধূ (কিত্তুর চেন্নাম্মা), বোন (বৎসল্য), ভাতৃবধূ (প্রেমাময়ীতে বড় ভাইয়ের স্ত্রী এবং কালিথারু হেনেতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী), পিসি (শ্রাবণ বান্থু), এবং শাশুড়ি (বসন্ত গীতা, না নিন্না মারেয়ালারে এবং জোয়ালামুখী) হিসেবে অভিনয় করেছেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

লীলাবতী ২০২৩ সালের ৮ই ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে নেলমঙ্গলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সে মারা যান।[][]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি

[সম্পাদনা]
  • ২০০০ সালে কর্ণাটক সরকার কর্তৃক ডঃ রাজকুমার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
  • শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - কন্নড়, ২০০৬ সালে কন্নড় কান্দার জন্য[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • দক্ষিণী সিনেমায় অবদানের জন্য ২০০৮ সালে লীলাবতীকে তুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. https://www.udayavani.com/english-news/leena-sequeira-to-leelavati-a-tale-of-talent-and-tenacity  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  2. "Veteran actor Leelavathi no more"The Times of India। ২০২৩-১২-১০। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৯ 
  3. "ಲೀಲಾವತಿಯವರ ನಿಜವಾದ ಗಂಡ ಯಾರ್ ಗೊತ್ತಾ..? ಕೊನೆಗೂ ಸತ್ಯ ಬಾಯ್ಬಿಟ್ಟ ನಟಿ..!! | Civic News" 
  4. "Southscope July 2010 - Side A" 
  5. "Actor Leelavathi passes away at 86 in Bengaluru hosp"The Times of Indiaআইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০৪ 
  6. "Veteran Kannada actress Leelavathi passes away"। Deccan Herald। ৮ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  7. "Leelavathi Passes Away: ನಟಿ ಲೀಲಾವತಿ ನಿಧನ: 600ಕ್ಕೂ ಹೆಚ್ಚು ಸಿನಿಮಾಗಳಲ್ಲಿ ಅಭಿನಯಿಸಿದ್ದ ಕಲಾವಿದೆ ಇನ್ನಿಲ್ಲ"। TV9 Kannada। ৮ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  8. "Leelavathi conferred with doctorate"The New Indian Express। ১০ জানুয়ারি ২০০৯। ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]