লিবিগ ৩৪

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৮ সালে লিবিগ ৩৪

লিবিগ ৩৪ হল বার্লিন জেলার ফ্রিদরিশহাইন-কোয়েৎসবার্গের লিবিগস্ট্রাসে ৩৪এ একটি নৈরাজ্যবাদী দখলীকৃত বাড়ি। ১৯৯০ সালে একে দখল করা হয়েছিল এবং ২০২০ সালে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। দখলীকৃত অঞ্চলে একটি অরাজক-নারীবাদী হাউজিং কো-অপারেটিভ, এল৩৪-বার এবং এর একতলায় ডেনবেন একটি নামে ইনফোশপ (ইনফোশপ হল এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা নৈরাজ্যবাদী বা স্বায়ত্তশাসিত ধারণাগুলি অধিগত করতে পারে) খোলা হয়েছিল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন বহু স্থান দখল করার একটি অংশ হিসাবে লিবিগ ৩৪ দখল করা হয়েছিল; লিবিগ ১৪কেও দখল করা হয়েছিল (এটিকে ২০১১ সালে দখলমুক্ত করা হয়েছিল)। শুরু থেকেই লিবিগ ৩৪ স্পষ্টভাবে এমন একটি নারীবাদী স্থান ছিল যেখানে সক্রিয় বিরোধী সংস্কৃতির মাধ্যমে কিছু পুরুষের পুরুষতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধাচরণ করা হত। পরে তা বৈধ করা হয়।[১]

২০১২ সালে লিবিগ ৩৪এর একতলায় দৃশ্যমান ডেনবেন ইনফোশপ

দখল করা বাড়িটিতে একটি অরাজক-নারীবাদী হাউজিং কো-অপারেটিভ খোলা হয়েছিল, সেখানে এল৩৪-বার নামে একটি অনুষ্ঠান স্থলও ছিল। এই বাড়ির একতলায় ডেনেবেন নামে একটি ইনফোশপ ছিল, যেটি ১৯৯১ সালের মেনজার স্ট্রাসার যুদ্ধের পরে স্থাপন করা হয়েছিল।[২][৩] ২০১৫ সালে, ৩৫ জন বাসিন্দা এই কো-অপারেটিভকে একটি "অদ্ভুত-অরাজক-নারীবাদী সমষ্টি" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[১]

উচ্ছেদ[সম্পাদনা]

২০১৮ সালে, ভবনটির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং বাড়ির মালিক এটি পুনর্নবীকরণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। দুই বছর আইনি লড়াইয়ের পর, বাড়ির মালিক উচ্ছেদ শুরু করার ক্ষমতা পেয়েছিলেন।[৪] উচ্ছেদের দিনটি ছিল ২০২০ সালের ৯ই অক্টোবর। ৯০ মিনিটের মধ্যে, পুলিশ ৫৭ জনকে ভবন থেকে বের করে দেয়। বার্লাইনার মরজেনপোস্ট তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল যে, আনুমানিক ১,৫০০ পুলিশ অফিসার এবং প্রায় সম সংখ্যক বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিল। পাল্টা হামলা ঠেকাতে পুলিশ আগে আশপাশের বাড়ির ছাদ দখল করে নিয়েছিল।[৫] বাসিন্দারা সক্রিয়ভাবে কোন প্রতিরোধ করেনি এবং তাদের মইয়ের সাহায্যে বার করে আনা হয়েছিল।[৬]

উচ্ছেদের দুই সপ্তাহ পর, ভবন থেকে বাইরে বার করে রাখা ৫০ ঘন মি. সামগ্রীতে আগুন ধরে গিয়েছিল। এই আগুন প্রায় অনেকটাই আগের দখল করা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। বেশ কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তিকে অগ্নিসংযোগকারী যন্ত্র ছুঁড়তে দেখা গিয়েছিল।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Vasudevan, Alexander (১২ অক্টোবর ২০১৫)। Metropolitan Preoccupations: The Spatial Politics of Squatting in Berlin (ইংরেজি ভাষায়)। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 164, 178। আইএসবিএন 978-1-118-75060-5 
  2. "Infoladen Daneben"www.nadir.org। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২১ 
  3. "Liebig34: Unterdrückungsverhältnisse überwinden"ANF News (জার্মান ভাষায়)। ২৭ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২১ 
  4. "Berlin Friedrichshain – Feuer an der Liebigstraße 34 ausgebrochen"www.morgenpost.de (জার্মান ভাষায়)। ২২ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২১ 
  5. Kraetzer, Alexander Dinger und Ulrich (১০ অক্টোবর ২০২০)। "Liebig 34 in Berlin Friedrichshain: Das glimpfliche Ende einer Besetzung"www.morgenpost.de (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২১ 
  6. "German police clear out famous Berlin squatters' building"Associated Press। ৯ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২০ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Infoshops