বিষয়বস্তুতে চলুন

লায়লা হাসান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লায়লা হাসান
জন্ম১৯৪৬ (বয়স ৭৮৭৯)
শিক্ষাএমএ (দর্শন)
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশানৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী
দাম্পত্য সঙ্গীসৈয়দ হাসান ইমাম

লায়লা হাসান (জন্মঃ ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশি কোরিওগ্রাফার, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী।[] বাংলাদেশ সরকার শিল্পক্ষেত্রে তার অবদানের কথা চিন্তা করে তাকে একুশে পদকে ভূষিত হন।[][]

শৈশব ও শিক্ষা

[সম্পাদনা]

হাসান ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিক্রমপুরে (মুন্সিগঞ্জে)জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে দর্শনে এমএ করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

হাসান প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মণিবর্ধন মহাশয়, অজিত সান্যাল, বাবু রাম সিংহ, জিএ মান্নান এবং বাফার শমর ভট্টাচার্য্য প্রমুখের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮০-৮৫ কালপর্বে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত টেলিভিশন অনুষ্ঠান "রুমঝুম" এর উপস্থাপিকা ছিলেন। ঐ অনুষ্ঠান থেকেই বর্তমানের জনপ্রিয় তারকা ঈশিতা, তারিন, শ্রাবন্তী, রিয়া এবং রিচি উঠে আসে।

হাসান থিয়েটার, টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কঙ্কাবতীর ঘাটে, রক্তকরবী, ছুটি, মায়ার খেলা, রাজা রাণী, তাসের দেশ, স্বর্গ হতে বিদায়, শ্যামল মাটির ধরাতলে, নীল দর্পন, দত্ত, কেরানির জীবন, টেমিং অব দ্য শ্রু এবং নকশী কাথার মাঠ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনুষ্ঠান করেছেন। তার টিভি নাটকগুলো হল মন পবনের নাও, কাজল রেখা, ভেলুয়া সুন্দরী, মহুয়া, রাণী ভবানীর পথ, রত্নদ্বীপ, পাশাপাশি এবং আশ্চর্য এক রাতের গল্প। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হল ঘরে বাইরে, এইতো প্রেম, ডনগিরি ইত্যাদি।[]

তিনি নৃত্যসংঘ "নটরাজ" প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৯০ সালে। ১৯৯৬ সালে নটরাজ থিয়েটার এবং নাঈম হাসান সুয়জার সাথে মঞ্চনাটক করতে শুরু করে। লায়লা হাসান নটরাজের সভাপতি এবং সুজা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।[] লায়লা বাংলা একাডেমি এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স ফেডারেশনের আজীবন সদস্য। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য এবং বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংঘের সভাপতি।

তিনি নৃত্যবিষয়ক হৃদয়ে বাজে নূপুর (১৯৯৬) এবং চারুকলা বিষয়ে মোহনরূপে গ্রন্থ রচনা করেন।

ব্যক্তিজীবন

[সম্পাদনা]

লায়লা হাসান হাসান ইমামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[] হাসানের মোট ছয় ভাইবোন রয়েছে। অভিনেত্রী ডেইজি আহমেদ তার এক বোন।[]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]
  • বাচসাস পুরস্কার (২০০১)
  • কাজী মাহবুব উল্লাহ বেগম জেবুন্নেচ্ছা ট্রাস্ট পুরস্কার (২০০১)
  • একুশে পদক (২০১০)

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 3 4 Zahangir Alom (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "The multi-faceted world of Laila Hasan" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  2. "Felicitation for Ekushey Padak recipient Laila Hasan" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ৬ এপ্রিল ২০১০। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  3. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "একই চলচ্চিত্রে হাসান ইমাম ও লায়লা হাসান দম্পতি"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  4. 1 2 "A tale of two sisters" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।