লাঠিয়াল (চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লাঠিয়াল
ডিভিডির প্রচ্ছদ
পরিচালকনারায়ণ ঘোষ মিতা
প্রযোজকনারায়ণ ঘোষ মিতা[১]
রচয়িতাশেখ ফজলুর রহমান
জহিরুল হক
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারসত্য সাহা
চিত্রগ্রাহকরফিকুল বারী চৌধুরী
সম্পাদকবশীর হোসেন
পরিবেশকলেজার ভিশন
মুক্তি২২ আগস্ট ১৯৭৫[২]
স্থিতিকাল৯৭ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

লাঠিয়াল ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাট্য চলচ্চিত্র[৩] চলচ্চিত্র পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা ছবিটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন। ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনোয়ার হোসেন, রোজী আফসারী, ফারুক, ববিতা

ছবিটি ১৯৭৫ সালের ২২ আগস্ট বাংলাদেশে মুক্তি পায়। ছবিটি ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে এবং এই ছবি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেন।[৩]

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

কাদের লাঠিয়াল গ্রামের মাতবরের হয়ে কাজ করে। তার ভাই দুখু মিয়া গ্রামে গ্রামে ঘুরে গান করে। কাদের তার ভাইকে খুব ভালোবাসে। কাদের স্ত্রীও দুখুকে অনেক স্নেহ করে। দুখু তার গ্রামেরই বানুকে পছন্দ করে। মাতবরের ছেলে মকবুল বানুকে উত্ত্যক্ত করলে দুখু তাকে মারধোর করে। মাতবর কাদেরের কাছে তার ছেলের গায়ে হাত তোলার অভি্যোগ করে তাকে ও তার ভাইকে শাসায়। কাদের রাগান্বিত হয়ে বাড়িতে এসে দুখুকে মারধোর করে। এতে দুখু রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। নদী তীরে মোড়লের সাথে তার পরিচয় হয়। মোড়ল তার গানের গলায় অভিভূত হয়ে তাকে তাদের দলের একজন করে নেয়। দুখুর নতুন কর্মজীবন শুরু হয়।

অন্যদিকে বানু তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এক রাতে দুখু বানুর সাথে দেখা করে যায়। ইতোমধ্যে, মাতবর বানুকে তার ছেলের বৌ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বানুর পিতার নিকট প্রস্তাব পাঠায়। দুখুর ভাবী দুখুকে এই খবর পাঠায়, কিন্তু দুখু একটি চর দখল করতে চলে যায়। মাতবরও তার ছেলের বিয়ের দিন সেই নতুন চরের খবর পায়। সে কাদেরকে তার লাঠিয়ালসহ সেই চর দখল করতে পাঠায়। বানু ও কাদের স্ত্রীও এই বিয়ে বন্ধ করার জন্য নতুন চরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

দুখু ও কাদের মধ্যে চরের দখল নিয়ে মারপিঠ শুরু হয়। দুজনেই চরের দখল ছাড়তে নারাজ। তাদের মাঝে কাদের স্ত্রী চলে এলে কাদের লাঠির আঘাত তার মাথায় লাগে। তারা মারপিঠ বন্ধ করে। কিন্তু মাতবর সেখানে এসে কাদেরকে শাসায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাদের তার লাঠির আঘাতে মাতবরকে খুন করে। ফলে সাধারণ জনগণ এই চরের মালিকানা লাভ করে।

কুশীলব[সম্পাদনা]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সত্য সাহা। গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার

গানের তালিকা[সম্পাদনা]

নং.শিরোনামগীতিকারসুরকারকণ্ঠশিল্পী(গণ)দৈর্ঘ্য
১."সেই তো আমার মা"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহাআব্দুল আলীম 
২."সুখের আশায় সুখের নেশায়"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহা  
৩."ঐ আগুনে পুড়বি"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহা  
৪."আমি খোকন রাজা"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহা  
৫."দেখো দেখো গ্রামবাসী"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহা  
৬."ঘাটের কোকিল ঘাটে যা রে"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহাসাবিনা ইয়াসমিন 
৭."ঢোলক বাজে কাসী বাজে"গাজী মাজহারুল আনোয়ারসত্য সাহা  

পুরস্কার[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ মোট ছয়টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পুরস্কার লাভ করে।[৩] এটি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র।[৪]

  • বিজয়ী শ্রেষ্ঠ অভিনেতাঃ আনোয়ার হোসেন ১৯৭৫[১]
  • বিজয়ী শ্রেষ্ঠ পরিচালকঃ নারায়ণ ঘোষ মিতা ১৯৭৫[১]
  • বিজয়ী শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতাঃ ফারুক[১]
  • বিজয়ী শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেত্রীঃ রোজী আফসারী ১৯৭৫[১]
  • বিজয়ী শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদনাঃ বশীর হোসেন

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিডিনিউজ২৪"। ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩ 
  2. "Movie List 1975"বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭ 
  3. "সমকাল"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩ 
  4. বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস-অনুপম হায়াত

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]