লাই জাতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এককথায় বলতে গেলে, লাই হল মিজোরামের লাই স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের আয়ত্তাধীন বসবাসরত একটি জাতি। এই এলাকার বাইরেও তারা মিজোরামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং মিজোরামের অনেক লাই নিজদের পাউই নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, লাই তথাকথিত চিন-কুকি-মিজোর প্রভাবশালী উপজাতিগুলোর মধ্যে একটি। সম্প্রদায়টি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, প্রধানত মিজোরামে (খুয়াফো এবং থলান্টলাং/তুইচাক পাওইহ), চিনকেন্দ্রিক বার্মার বিভিন্ন পাহাড় (হাখা, থান্টলাং, ওয়েবুলা, জোখুয়া, কেইফাও , ফালাম) এবং দক্ষিণ বাংলাদেশের ( বম নামে পরিচিত) কিছু অঞ্চলে এদের বসতি রয়েছে।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালে এই গোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,৭০০,০০০।[১] লাইমি নামটি দিয়ে প্রায়শই চিন পাহাড় বা মধ্য চিনে বসবাসকারী চিন জাতিকেও বোঝায়। এসব পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে হাখা, থান্টলাং, ফালাম ইত্যাদি। [২]

চিন রাজ্য[সম্পাদনা]

লাল অঞ্চলটি চিন রাজ্য

চিন রাজ্যের আয়তন ১৩,৯০৭ বর্গ মাইল। এর পূর্বে সাগাইং বিভাগ, দক্ষিণ-পূর্বে ম্যাগওয়ে বিভাগ, দক্ষিণে রাখাইন রাজ্য এবং পশ্চিমে মিজোরামের অবস্থান। [২] ২০১৪ সালের মায়ানমার জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি অনুযায়ী চিন রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৪৭৮,৮০১, যার মধ্যে ৪৭.৯৫% পুরুষ এবং ৫২.০৫% নারী৷[৩] হাখা হল চিন রাজ্যের রাজধানী শহর এবং এখানে হাখা, হন্তলাং, ফালাম, তিদ্দিম, টোনজাং, মাতুপি, মিন্দাত, কানপালেত এবং পালেতওয়া নামে নয়টি জনপদ রয়েছে। প্রতিটি জনপদে তাদের নিজস্ব উপজাতি রয়েছে এবং প্রায় ৫৩টি উপজাতি রয়েছে। চিন ভাষার প্রায় ৪৫টি উপভাষা রয়েছে। [৪] এর মধ্যে, সর্বাধিক বহুল কথ্য উপভাষাগুলো হল: [৫]

  • জোমি ৩৪৪,০০০ ভাষী
  • ফালাম চিন আনুমানিক ১০৭.৩০০ ভাষী
  • হাখা চিন ১২৫,০০০ ভাষী
  • মাতু চিন ১০০,০০০ ভাষী

"প্রতিটি উপভাষা এতই আলাদা যে যারা বিভিন্ন উপভাষায় কথা বলে তারা সম্ভবত একে অপরকে বুঝতে পারবে না"। [৪]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

সৌজন্য ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

চিন সংস্কৃতিতে সাধারণ করমর্দন একটি সাধারণ অভিবাদন।

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

লাইমিদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ খেলা হল ফুটবল, ভলিবল এবং কুস্তি।

ধর্ম[সম্পাদনা]

প্রথম খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক ছিলেন আর্থার কারসন এবং তার স্ত্রী লরা ১৫ মার্চ ১৮৯৯ সালে হাকা অঞ্চলে আসেন। বর্তমানে, চিনের সংখ্যাগরিষ্ঠই খ্রিস্টান।

চিনে ধর্ম (২০১৪) [৬] %
খ্রিস্টান ৮৫.৪%
বৌদ্ধ ১৩.০%
অ্যানিমিস্ট ০.৪%
ইসলাম ১.১%
অন্য ধর্ম ১.১%

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lalthangliana, B.: History and Culture of Mizo in India, Burma and Bangladesh, 2001. RTM Press. Aizawl. pp. 101–102.
  2. ""We Are Like Forgotten People" | The Chin People of Burma: Unsafe in Burma, Unprotected in India" (ইংরেজি ভাষায়)। Human Rights Watch। ২০০৯-০১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  3. yi, H.E. U Khun (মে ২০১৫)। "The 2014 Myanmar Population and Housing Census" (পিডিএফ)Myanmar.unfpa.org। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২০ 
  4. "Chin Cultural Profile – EthnoMed"ethnomed.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  5. "Burmese and Chin Languages"help.daytranslations.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  6. Swe, Thein (জুলাই ২০১৬)। "The 2014 Myanmar Population and Housing Census" (পিডিএফ)Myanmar.unfpa.org। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২০