লরা ডিকিনসন হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লরা ডিকিনসন ইস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারিখে অন্য এক সহপাঠী তাকে হত্যা করে। এই হত্যা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া খবরের শিরোনামে এসেছিল। [১] [২] অবশেষে দেখা গিয়েছিল ইএমইউ (ইস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়) ক্লিরি আইন লঙ্ঘন করেছে।

যৌন নিপীড়ন ও হত্যা[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর ডিকিনসন নিজের বাসভবনের হলঘরে নিহত হন। তার পায়ে পাওয়া বীর্যর ডিএনএ পরীক্ষা করে ছাত্র তৃতীয় অরেঞ্জ টেলরের সঙ্গে মিলে যায় এবং তাকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। [১] [৩] পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, তদন্তে এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। যাইহোক, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে এটি অস্বীকার করা হয় এবং শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে টেলর গ্রেপ্তারের দিন ঘোষণা করা হয়। প্রথম দিনে, যেদিন শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরতের জন্য ক্লাস এবং আবাসনে যেতেই হয়, সেইদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[৪]

পরে[সম্পাদনা]

ক্লেরি আইন লঙ্ঘন[সম্পাদনা]

ডেট্রয়েটের আইন সংস্থা বাটজেল লং-এর পরবর্তী তদন্তে দেখা গেছে যে ইএমইউ শিক্ষার্থীদের অবহিত না করে ক্লিরি আইন লঙ্ঘন করেছে এবং তারা উল্লেখ করে যে ছাত্র বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম ভিক ঘটনা আড়াল করার মূল উৎস।[৫] এই প্রতিবেদনের ফলে অনেক উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসকের তদন্ত শুরু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

২০০৭ সালের ৩ জুলাই ক্লিরি আইন লঙ্ঘন সম্পর্কিত শিক্ষা বিভাগের প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, "পর্যালোচনার সময় অসম্মতির বেশ কয়েকটি ঘটনা আবিষ্কৃত হয়েছিল যা ডিপার্টমেন্ট [শিক্ষা] ক্লিরি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করে।" এই প্রতিবেদনের ফলাফল এখনও দেখা হয়নি। ২৭ জুলাই, ২০০৭ তারিখে ডিওই প্রতিবেদনের উত্তরে ইএমইউ তার প্রতিক্রিয়ার নির্বাহী সারাংশ প্রকাশ করে। [৬] [৭] ২০০৮ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে যে তারা ক্লিরি আইন লঙ্ঘনের জন্য $৩,৫০,০০০ জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছে।[৮] সেই সময় জরিমানাটি ছিল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডে সবচেয়ে বড় জরিমানা।[৯]

বন্দোবস্ত[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের ১৩ ডিসেম্বরে ২.৫ মিলিয়ন ডলারে লরা ডিকিনসনের পরিবার এবং এস্টেটের সাথে ইএমইউ মিটমাট করে নেয়। নিষ্পত্তিতে ইএমইউ দ্বারা দায়বদ্ধতার কোনও স্বীকারোক্তি অন্তর্ভুক্ত নেই।[১০]

দণ্ডাজ্ঞা[সম্পাদনা]

৭ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে একটি জুরি অরেঞ্জ টেলর তৃতীয়কে প্রথম ডিগ্রি হত্যা, যৌন অনুপ্রবেশ, বাড়িতে আক্রমণ এবং চুরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। ২০০৮ সালের ৭ই মে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। [১] [১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Judges sentences Orange Taylor to life for Laura Dickinson's murder"। Michigan Live। মে ৭, ২০০৮। ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১২  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "mlive sentences" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. "Jurors say evidence against Orange Taylor III proved guilty beyond a reasonable doubt"। Michigan Live। এপ্রিল ৮, ২০০৮। ডিসেম্বর ২২, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১২ 
  3. "Taylor found guilty in EMU death"। The Michigan Daily। এপ্রিল ৭, ২০০৮। ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩, ২০১২ 
  4. ABC News. Good Morning America. Mystery at Eastern Michigan University ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে
  5. "A killing kept in the shadows"Los Angeles Times। ২১ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  6. United States Department of Education. DOE Draft Report.
  7. Chronicle of Higher Education, July 5, 2007 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০৮ তারিখে
  8. Larcom, Geoff (২০০৮-০৬-০৬)। "Eastern Michigan University to pay $357,500 in federal fines over Laura Dickinson case"The Ann Arbor New। ২০০৮-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০১ 
  9. "Education Dept. Imposes Largest Fine Yet for Campus Crime-Reporting Violation"The Chronicle of Higher Education। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  10. ""Mich. College to Pay $2.5M in Dorm Death""। ২০০৭-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১১ 
  11. "Orange Taylor Sentenced to Life" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৯-০১-১৬ তারিখে