বিষয়বস্তুতে চলুন

রোয়ান্ডায় ইসলাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রোয়ান্ডাতে ইসলাম থেকে পুনর্নির্দেশিত)

রুয়ান্ডায় ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ধর্ম এবং ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুসারে মোট জনসংখ্যার ২% ইসলাম ধর্ম পালন করেন। [] রুয়ান্ডার প্রায় সকল মুসলিমই সুন্নি ইসলামের অনুসারী। বিংশ শতাব্দীতে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে আগমনকারী মুসলিম ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে রুয়ান্ডায় ইসলাম প্রথম প্রবর্তিত হয়। প্রবর্তনের পর থেকেই মুসলমানরা এই অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করছে। তবে ২০শ শতাব্দীর শুরুতে ঔপনিবেশিক আমলে রুয়ান্ডার বাসিন্দাদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করা হয় এবং এখন এটি দেশটির বৃহত্তম ধর্ম। রুয়ান্ডার সংবিধান স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ২০০৩ সালে থেকে রুয়ান্ডার মুসলমানরা খ্রিস্টানদের মতোই অধিকার ও স্বাধীনতা পেয়েছে। এই সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়েছে এবং ধর্মীয় বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। [] একটি অনুমান অনুসারে, হুটুদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা টুট্‌সিদের মত সমান। [] রুয়ান্ডা গণহত্যা প্রেক্ষাপটে এসব অনুমান যাচাই করা সম্ভব নয়। কারণ সরকার তখন থেকে রুয়ান্ডায় সমস্ত জাতিগত আলোচনা নিষিদ্ধ করেছে। রুয়ান্ডার গণহত্যার পর গির্জার কিছু কর্মকর্তার অংশগ্রহণের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার হার বৃদ্ধি পায়। []

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ঔপনিবেশিক ইতিহাস

[সম্পাদনা]

তানজানিয়া, কেনিয়াউগান্ডার মত পূর্ব আফ্রিকীয় দেশগুলির তুলনায় রুয়ান্ডায় ইসলামের ইতিহাস তুলনামূলকভাবে আধুনিক। যদিও সেখানে ইসলামের উৎপত্তি সম্পর্কে কয়েকটি লিখিত সূত্র পাওয়া যায়, তবুও দাবি করা হয় যে, রুয়ান্ডায় ইসলাম জাঞ্জিবারের আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসেছিল, যারা ১৯০১ সালে প্রথম দেশে প্রবেশ করেছিল। অন্যথায় এটি যুক্তিযুক্ত যে, ইসলাম ঔপনিবেশিক আমলে এসেছিল। কারণ তখন মুসলিম কেরানি, প্রশাসনিক সহকারী ও ব্যবসায়ীদের সোয়াহিলি-ভাষী উপকূলীয় তাঙ্গানিকা থেকে এখানে আনা হয়েছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম বণিকদের মাধ্যমেও ইসলাম শক্তিশালী হয়, যারা স্থানীয় রুয়ান্ডীয়দের বিয়ে করেছিলেন। রুয়ান্ডার লোকেরা ১৯১৩ সালে তাদের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করে। [] এই মসজিদটি আল-ফাতাহ মসজিদ নামে পরিচিত।

রুয়ান্ডার ইতিহাসে ইসলামের প্রসার বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সাধারণত আরব-বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগানো হয়েছিল এবং মুসলমানদের বিদেশী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ক্যাথলিক প্রচারকরা প্রায়শ ইসলাম ও প্রটেস্ট্যান্টের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ধর্মের প্রভাব মোকাবেলায় ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতেন। []

সেখানে মুসলমানরা আরো প্রান্তিক হয়ে পড়েছিল। কারণ বেশিরভাগ মুসলমান শহরাঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, যেখানে জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। যেহেতু আরব বা ভারতীয় বণিকরা কখনো তাদের ধর্মকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি, তাই মুসলমানদের মধ্যে ধর্ম প্রচারের আগ্রহ খুব কম ছিল। রুয়ান্ডায় মাত্র কয়েকটি ধর্মান্তর ঘটেছে, যার বেশিরভাগই প্রান্তিক শহুরে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এবং বিদেশীদের সাথে বিবাহিত কিছু স্থানীয় মহিলা, অবৈধ শিশু ও এতিমরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে। এমনকি তাদের এই ধর্মান্তরও কখনো কখনো ভাসাভাসা ছিল।ইসলামী বিশ্বাসে দৃঢ়তার চেয়ে মুসলমানদের দেওয়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার আকাঙ্ক্ষা দ্বারাই তারা অধিক অনুপ্রাণিত ছিল। []

বেলজিয়াম প্রশাসনের অধীনে রুয়ান্ডার মুসলমানরা কিছুটা হলেও প্রান্তিক ছিল। যেহেতু ক্যাথলিক চার্চে মুসলমানদের কোন স্থান ছিল না, যা রাজ্যের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাই মুসলমানদের প্রায়শ শিক্ষা ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হত। ফলস্বরূপ মুসলিমদের কর্মসংস্থান মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসা ও চালক হিসেবে কাজ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। []

স্বাধীনতার পর

[সম্পাদনা]

১৯৬০ সালে ইসিডোর সেবাজুঙ্গু নামে একজন প্রাক্তন সরকারী মন্ত্রী রুয়ামাগানার মুসলিম মহল্লা ও মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার পর স্থানীয় মুসলমানরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তাদের অনেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে যায়। অভিযোগ করা হয় যে, ক্যাথলিক চার্চ এই ঘটনাগুলির সাথে জড়িত ছিল, যা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়িয়ে তোলে। []

১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডার গণহত্যার আগে মুসলিমদের খুবই কম সম্মান করা হতো। কারণ তাদের ব্যবসায়ী হিসেবে দেখা হত, যেখানে কৃষকদের অত্যন্ত সম্মান করা হয়। গণহত্যার আগে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৪%, যা এর পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে কম ছিল। মুসলিমরাও গণহত্যার শিকার হয়েছিল। তবে মসজিদে টুটসিদের উপর আক্রমণের ঘটনা খুব কম ঘটেছে। সবচেয়ে সুপরিচিত ঘটনা ঘটেছিল নিয়ামিরাম্বো প্রধান মসজিদে, যেখানে শত শত টুটসি আশ্রয় নিতে জড়ো হয়েছিল। মসজিদে থাকা মানুষরা পাথর, ধনুক ও তীর দিয়ে হুটু মিলিশিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, যারা ইন্টারাহামওয়ের সৈন্য ও মিলিশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সৈন্যরা যখন মেশিনগান দিয়ে গুলি চালায়, তখনই কেবল ইন্ট্রাহামওয়ে মসজিদে প্রবেশ করে শরণার্থীদের হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল। []

১৯৯৪ সালের পর ধর্মান্তর

[সম্পাদনা]
রুয়ান্ডার বুথারে অবস্থিত আল-মসজিদ ক্বুবাহের মিনার।

১৯৯৪ সালে সংঘটিত গণহত্যার পর রুয়ান্ডায় মুসলিম জনসংখ্যার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, কারণ সেই সময় বহু মানুষ নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করে। [] এই সময়ে অনেক মুসলিম শরণার্থীদের—যাদের মধ্যে হুটুটুট্‌সি উভয়ই ছিল—আশ্রয় দিয়েছিল। অনেক ধর্মান্তরিত ব্যক্তি বলেছেন যে, তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মূলত তখনকার কিছু ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান নেতার ভূমিকার কারণে, যারা গণহত্যার সময় নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিল। [] মানবাধিকার সংগঠনগুলো বর্ণনা করে যে, কিছু খ্রিস্টান ধর্মযাজক টুটসিদের গীর্জায় আশ্রয় নিতে দিয়েছিলেন; কিন্তু পরে তাদের হুটু যোদ্ধাদের কাছে সমর্পণ করে দিয়েছিলেন এবং কিছু হুটু খ্রিস্টান পাদ্রী ও যাজক সরাসরি তাদের অনুসারীদের টুটসিদের হত্যা করতে উৎসাহিত করেন। [১০] তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, কিছু মুসলিম ব্যক্তিও রুয়ান্ডার গণহত্যায় নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলো হাসান এনগেজ, যিনি একজন প্রভাবশালী হুটুগোত্রীয় বুদ্ধিজীবী এবং তিনি "হুটু দশ আদেশ" লেখার জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। [১১] যদিও তিনি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, তবে তার ধর্মীয় পরিচয় টুটসিবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সম্পর্কিত ছিল না; বরং তার মনোভাব হুটু জাতীয়তাবাদ ও শ্রেষ্ঠত্ববাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।[১১]

গণহত্যায় মুসলমানদের ভূমিকা সম্পর্কে সাংবাদিক ফিলিপ গুরোভিচ উল্লেখ করেছেন যে, এক খ্রিস্টান নেতা বলেছেন, সংঘর্ষের সময় মুসলিমরা মোটামুটি ভালো আচরণ করেছে এবং সমষ্টিগতভাবে গণহত্যায় সক্রিয় ছিল না; বরং তারা টুটসি মুসলিমদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল।" [১১]

কিছু পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিছু টুটসি মুসলিম হয়েছিলেন মূলত নিজেদের নিরাপত্তার জন্য। কারণ তারা ভয় পাচ্ছিলেন যে, হুটু চরমপন্থীরা তাদের উপর প্রতিশোধ নেবে এবং মুসলিম সম্প্রদায় তাদের সুরক্ষা দেবে। একইভাবে, অনেক হুটুও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তাদের অতীতের সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে "পবিত্রতা" লাভের আশায়। তারা চাইতেন যে, সহিংস ইতিহাস ভুলে এক নতুন পরিচয়ে পথ চলবেন, যেন তাদের হাত রক্তে রঞ্জিত না থাকে। তবে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও দেখা গেছে, যেখানে কিছু হুটু কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মগোপন করে তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়ানোর জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। [][১২] ১৯৯৭ সালের পর ধর্মান্তরের হার অনেক কমে যায়। রুয়ান্ডার প্রধান মুফতির মতে, ২০০২/২০০৩ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সংখ্যা আর বৃদ্ধি পায়নি। [১৩] বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মই রুয়ান্ডার প্রধান ধর্ম হিসেবে রয়েছে। [১৪] ২০শ শতকের শুরুর দিকে ঔপনিবেশিক ইউরোপীয়দের সহায়তায় রুয়ান্ডায় প্রভাব বিস্তারকারী রোমান ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাস আজও এর সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত রয়েছে। রোমান ক্যাথলিক চার্চের হোয়াইট ফাদারস মিশনারি দলের মাধ্যমে খ্রিস্টানরা রুয়ান্ডায় এসেছিল। [১৫]

কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

রুয়ান্ডার মুসলিমরা সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ১৯৯৪ সালের গণহত্যার পরে রুয়ান্ডায় যে জাতিগত বিভাজন ও বৈরিতা সৃষ্টি হয়, তা নিরাময়ের লক্ষ্যে বহু মুসলিম কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধাদি পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তারা নারীদের জন্য বিশেষ দল গঠন করেছে, যেখানে শিশু পরিচর্যা ও শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তবে পশ্চিমা সরকারগুলো রুয়ান্ডায় ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিছু সরকারি কর্মকর্তা উদ্বেগ জানিয়েছেন যে, রুয়ান্ডার কয়েকটি মসজিদ সৌদি আরব থেকে তহবিল পেয়ে থাকে। [] তবে এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গিবাদ বা উগ্রতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। [১৬]

সরকারিভাবে রুয়ান্ডায় ঈদুল ফিতরকে দেশের চারটি সরকারি ধর্মীয় ছুটির একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে (অন্য তিনটি হল: বড়দিন, অল সেন্টস ডে ও মারিয়াম নবমী বা অ্যাসাম্পশন দিবস)। মুসলিমরা রুয়ান্ডায় ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু ইসলামি স্কুলও পরিচালনা করে।

২০০৩ সালে এর রাজধানী কিগালিতে অবস্থিত একটি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারকাজ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তদারকি করে। এ সময় দূতাবাসের নেতৃবৃন্দ মুসলিম নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। এর পাশাপাশি ক্যাথলিক চার্চ, অ্যাংলিকীয় চার্চ, যিহোবার সাক্ষী এবং সেভেন্থ ডে অ্যাডভান্টিস্ট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথেও আন্তঃধর্মীয় সংলাপেরও আয়োজন করা হয়। [১৪]

রুয়ান্ডায় পূর্বে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ছিল এবং এটি দেশব্যাপী সক্রিয় ছিল। দলটির নাম ছিল ডেমোক্র্যাটিক ইসলামিক পার্টি (পিডিআই)। এই দলে মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম সদস্যও ছিল। তবে পরে সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে দলটির নাম পরিবর্তন করে "আইডিয়াল ডেমোক্রেটিক পার্টি" রাখা হয়। [১৪]

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

রুয়ান্ডার মুসলিম জনসংখ্যার অনুমানে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। মুসলিম জনসংখ্যার কোন সঠিক জনশুমারি করা হয়নি। [১৭]

উৎস জনসংখ্যা (০০০) জনসংখ্যা (%) বছর সূত্র
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ১,১৪৮ ১৪ ২০০২ [১৮]
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯৯৩ "গণহত্যা শুরু হওয়ার পূর্বে" [১৮]
দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক ৪৫৬ ৪.৬ ২০০১ [১৯]
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৫ ২০০৪ [২০]
ওয়ার্ল্ড মার্ক ইনসাইক্লোপিডিয়া ৩৫০ ১৯৯৮ [২১]
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ১.১ ১৯৯৬ [২২]
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর (বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা) ৪.৬ ২০০১ [২২]
২০১২ জাতীয় আদমশুমারি ২,০ ২০১২ [২৩]

২০১২ সালের জনমশুমারি অনুসারে রুয়ান্ডায় রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা জনসংখ্যার ৪৩.৭%, প্রোটেস্ট্যান্ট (সেভেন্থ ডে এডভান্টিস্ট বাদে ) ৩৭.৭%, সেভেন্থ ডে এডভান্টিস্ট ১১.৮% এবং মুসলিম ২.০%। তবে ০.২% দাবি করেন যে, তাদের কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস নেই এবং ১.৩% নিজেদের ধর্ম উল্লেখ করেননি। [২৪] জনসংখ্যার মাত্র ০.১% আনুষ্ঠানিকভাবে ঐতিহ্যবাহী ধর্ম অনুসরণ করলেও দেশে এর প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। অনেক রুয়ান্ডান খ্রিস্টান ঈশ্বরকে ঐতিহ্যবাহী রুয়ান্ডার ঈশ্বর ইমানার সমার্থক হিসেবে দেখেন। [২৫]

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Rwanda"United States Department of State। ২০২৩-১২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-১৩ 
  2. "Religion"www.rlp-ruanda.de। জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-৩০ 
  3. Klusener, Rainer (মে ২০০৫)। "Islam in Rwanda"। United States Institute of Peace। ২০০৯-০৬-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৬ 
  4. Lacey, Marc (২০০৪-০৪-০৭)। "Since '94 Horror, Rwandans Turn Toward Islam"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৪ 
  5. Kubai, Anne (এপ্রিল ২০০৭)। "Walking a Tightrope: Christians and Muslims in Post-Genocide Rwanda"। Routledge, part of the Taylor & Francis Group: 219–235। ডিওআই:10.1080/09596410701214076  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Kubai 2007" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  6. Bulabubi, S. Bakatu; Kagabo, Jose Hamim (মে ১৯৯১)। "Review: L'Islam et les "Swahili" au Rwanda"। Brill: 176–177। জেস্টোর 1580806ডিওআই:10.2307/1580806 
  7. Klusener, Rainer (মে ২০০৫)। "Islam in Rwanda"। United States Institute of Peace। ২০০৯-০৬-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৬ 
  8. Wax, Emily (২০০২-০৯-২৩)। "Islam Attracting Many Survivors of Rwanda Genocide: Jihad Is Taught as 'Struggle to Heal'"The Washington Post। পৃষ্ঠা A10। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০Since the genocide, Rwandans have converted to Islam in huge numbers. Muslims now make up 14 percent of the 8.2 million people ][...] in Africa's most Catholic nation, twice as many as before the killings began. 
  9. Wax, Emily (২০০২-০৯-২৩)। "Islam Attracting Many Survivors of Rwanda Genocide: Jihad Is Taught as 'Struggle to Heal'"The Washington Post। পৃষ্ঠা A10। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০ 
  10. Wax, Emily (২০০২-০৯-২৩)। "Islam Attracting Many Survivors of Rwanda Genocide: Jihad Is Taught as 'Struggle to Heal'"The Washington Post। পৃষ্ঠা A10। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০Human rights groups have documented several incidents in which Christian clerics allowed Tutsis to seek refuge in churches, then surrendered them to Hutu death squads, as well as instances of Hutu priests and ministers encouraging their congregations to kill Tutsis. 
  11. Gourevitch, Philip (১৯৯৮)। We Wish to Inform You That Tomorrow We Will Be Killed with Our Families: Stories from Rwanda (ইংরেজি ভাষায়)। Macmillan। পৃষ্ঠা 87–88। আইএসবিএন 978-0-312-24335-7 
  12. Klusener, Rainer (মে ২০০৫)। "Islam in Rwanda"। United States Institute of Peace। ২০০৯-০৬-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৬ 
  13. Walker, Robert (১ এপ্রিল ২০০৪)। "Rwanda's religious reflections"। BBC News। 
  14. Department Of State. The Office of Electronic Information, Bureau of Public Affairs। "Rwanda"2001-2009.state.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-২৬ 
  15. Lacey, Marc (এপ্রিল ৭, ২০০৪)। "Ten Years After Horror, Rwandans Turn to Islam"The New York Times 
  16. Tiemessen, Alana (2005) From Genocide to Jihad: Islam and Ethnicity in Post-Genocide Rwanda ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৮-০৯-১০ তারিখে. Paper presented at the Annual General Meeting of the Canadian Political Science Association, London, Ontario.
  17. Lacey, Marc (এপ্রিল ৭, ২০০৪)। "Ten Years After Horror, Rwandans Turn to Islam"The New York Times 
  18. Wax, Emily (২০০২-০৯-২৩)। "Islam Attracting Many Survivors of Rwanda Genocide: Jihad Is Taught as 'Struggle to Heal'"The Washington Post। পৃষ্ঠা A10। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০ 
  19. "The World Factbook"। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  20. Lacey, Marc (এপ্রিল ৭, ২০০৪)। "Ten Years After Horror, Rwandans Turn to Islam"The New York Times 
  21. Gall, Timothy L. (ed). Worldmark Encyclopedia of Culture & Daily Life: Vol. 1 - Africa. Cleveland, OH: Eastword Publications Development (1998), pg. 360-361.
  22. "Rwanda"U.S. Department of State। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  23. National Institute of Statistics of Rwanda (জানুয়ারি ২০১৪)। "Fourth Population and Housing Census, Rwanda, 2012—Final Results: Main indicators report" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 17। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫ 
  24. National Institute of Statistics of Rwanda (জানুয়ারি ২০১৪)। "Fourth Population and Housing Census, Rwanda, 2012—Final Results: Main indicators report" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 17। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫ 
  25. Wiredu, Kwasi; Abraham, William E. (২০০৬)। A companion to African philosophy। Wiley-Blackwell। পৃষ্ঠা 236–237। আইএসবিএন 978-1-4051-4567-1 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]