বিষয়বস্তুতে চলুন

রেচেল রবার্টস (অভিনেত্রী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রেচেল রবার্টস
Rachel Roberts
জন্ম (1927-09-20) ২০ সেপ্টেম্বর ১৯২৭ (বয়স ৯৭)
লানেলি, চার্মার্থেনশায়ার, ওয়েলস
মৃত্যু২৬ নভেম্বর ১৯৮০(1980-11-26) (বয়স ৫৩)
মৃত্যুর কারণআত্মহত্যা
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়
রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৫৩-১৯৮০
দাম্পত্য সঙ্গীঅ্যালান ডোবি
(বি. ১৯৫৫; বিচ্ছেদ. ১৯৬০)

রেক্স হ্যারিসন
(বি. ১৯৬২; বিচ্ছেদ. ১৯৭১)

রেচেল রবার্টস (ইংরেজি: Rachel Roberts; রেই্‌চল্‌ রবার্ট্‌স, ২০ সেপ্টেম্বর ১৯২৭ - ২৬ নভেম্বর ১৯৮০) ছিলেন একজন ওয়েলসীয় অভিনেত্রী। তিনি ১৯৬০-এর দশকের দুটি হিট চলচ্চিত্র - স্যাটারডে নাইট অ্যান্ড সানডে মর্নিং (১৯৬০) ও দিস স্পোর্টিং লাইফ (১৯৬৩)-এ অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক স্মরণীয়।[] এই দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং দিস স্পোর্টিং লাইফ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল মার্ডার অন দি অরিয়েন্ট এক্সপ্রেস (১৯৭৪), পিকনিক অ্যাট হ্যাঙিং রক (১৯৭৫) ও ইয়াংকস্‌ (১৯৭৯)।

রবার্টস মঞ্চে মূল সঙ্গীতধর্মী ম্যাগি মে (১৯৬৪)-এ অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে শেমিন দ্য ফারদ্য ভিজিট নাটকে অভিনয়ের জন্য মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ মুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং হ্যাবিয়াস কর্পাস (১৯৭৬)-এ অভিনয় করে ড্রামা ডেস্ক পুরস্কার অর্জন করেন।[]

জীবনী

[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

রবার্টস ১৯২৭ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর ওয়েলসের চার্মার্থেনশায়ারের লানেলি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় ও রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে পড়াশোনা করার পর ১৯৫০ সালে সোয়ানসির একটি রিপার্টরি কোম্পানিতে যোগ দেন।[] গিলবার্ট গানের ভ্যালি অব সং (১৯৫৩) দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

তিনি ক্যারেল রেইৎসের স্যাটারডে নাইট অ্যান্ড সানডে মর্নিং (১৯৬০) ছবিতে ব্রেন্ডা চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে দিস স্পোর্টিং লাইফ ছবিতে মিসেস হ্যামন্ড চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরেকটি বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই দুটি চলচ্চিত্র ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাণে নবকল্লোলের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।

তিনি মার্ডার অন দি অরিয়েন্ট এক্সপ্রেস (১৯৭৪) ছবিতে হিলডেগার্ড স্মিট চরিত্রে এবং পিটার উইয়ারের অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র পিকনিক অ্যাট হ্যাঙিং রক (১৯৭৫)-এ ভিক্টোরীয় বালিকা বিদ্যালয়ের স্বৈরাচারী প্রধান শিক্ষিকা চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৭০-এর দশকের শুরুতে লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস শুরুর পর তিনি কয়েকটি মার্কিন চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফাউল প্লে (১৯৭৮)। তার অভিনীত সর্বশেষ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র হল ইয়াঙ্কস, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Rachel Roberts"ওয়েলস আইকন নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "Rachel Roberts"প্লেবিল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. "Halliwell's Who's Who on the Movies।" জন ওয়াকার (সম্পাদক); হারপার কলিন্স (২০০৩), পৃ. ৩৯৮, ISBN 0-06-053423-0

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]