রুহুল আমিন (মুফতি)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রুহুল আমিন (খতীব) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রুহুল আমিন
বায়তুল মোকাররমের খতিব
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩১ মার্চ ২০২২
পূর্বসূরীমোহাম্মদ সালাহউদ্দিন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1962-03-12) ১২ মার্চ ১৯৬২ (বয়স ৬২)
গওহরডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
জাতীয়তা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীগওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা
ব্যক্তিগত তথ্য
পিতামাতা
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ

রুহুল আমিন (জন্ম: ১২ মার্চ ১৯৬২) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১][২] তিনি ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

রুহুল আমিন ১৯৬২ সালের ১২ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শামসুল হক ফরিদপুরী। পিতার প্রতিষ্ঠিত গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা থেকে হেফজ, দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ও ইফতা সমাপ্ত করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রুহুল আমিন ২০০৩ সালে তিনি গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের সভাপতি ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী সদস্য। তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক সমাজ গঠনমূলক সংগঠন খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বোর্ড অব গভমেন্টের গভর্নরসের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ তাকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মনোনীত করা হয়। এছাড়াও তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব, জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর মাদারীপুর, ঢালকা নগর মাদরাসা গেন্ডারিয়া ঢাকার সাবেক মুহতামিম, গেন্ডারিয়া জামে মসজিদ ঢাকা ও আরমানিটোলা ঢাকার তাঁরা মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি শরিয়া সুপারভাইজারী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মাসিক আল আশরাফ পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদের মুতাওয়াল্লি, সভাপতি, প্রধান মুরব্বি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ফতোয়া বৈধতার রায়ে দেশের শীর্ষ আলেম হিসেবে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতকে সহযোগিতা করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।[৩][২]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

রুহুল আমিন ৪ নভেম্বর ২০১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধিতে ভূষিত করে সমালোচিত হয়েছিলেন।[৪][৫][৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বায়তুল মোকাররমে জুমা পড়ালেন নতুন খতিব"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২ এপ্রিল ২০২২। Archived from the original on ৫ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২২ 
  2. "বায়তুল মোকাররমের খতিব হলেন মুফতি রুহুল আমিন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৩১ মার্চ ২০২২। Archived from the original on ৫ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২২ 
  3. "এক নজরে বাইতুল মোকাররমের নতুন খতিব"দৈনিক নয়া দিগন্ত। ৩১ মার্চ ২০২২। 
  4. "'কওমি জননী' উপাধি দেয়া সেই মুফতি মনোনয়ন পেলেন না!"দৈনিক যুগান্তর। ২৬ নভেম্বর ২০১৮। Archived from the original on ১২ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২২ 
  5. "যে কারনে প্রধানমন্ত্রীকে 'কওমী জননী' উপাধি দেয়া হল"নয়া দিগন্ত অনলাইন। ৪ নভেম্বর ২০১৮। Archived from the original on ২৬ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২২ 
  6. "এবার 'কওমি জননী' উপাধি পেলেন শেখ হাসিনা"বাংলা ট্রিবিউন। ৪ নভেম্বর ২০১৮। Archived from the original on ৩ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২২