রুদালী
| রুদালী | |
|---|---|
| পরিচালক | কল্পনা লাজমি |
| প্রযোজক | রবি গুপ্ত রবি মালিক এনএফডিসি দূরদর্শন |
| রচয়িতা | গুলজার |
| শ্রেষ্ঠাংশে | ডিম্পল কাপাডিয়া রাজ বব্বর রাখী গুলজার আমজাদ খান |
| সুরকার | ভূপেন হাজারিকা |
| চিত্রগ্রাহক | সন্তোষ শিবান ধরম গুলাটি |
| মুক্তি |
|
| স্থিতিকাল | ১১৫ মিনিট[১] |
| দেশ | ভারত |
| ভাষা | হিন্দি |
রুদালী(অনু. ক্রন্দনরতা নারী)[ক] হল ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি নাট্য চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন কল্পনা লাজমি। ১৯৭৯ সালে মহাশ্বেতা দেবীর একই নামের একটি ছোটোগল্প অবলম্বনে কল্পনা লাজমি ও গুলজার এই ছবির গল্পটি পরিকল্পনা করেন। রাজস্থানের একটি ছোটো গ্রামের পটভূমিতে নির্মিত এই ছবিতে শনিচরী নামে এক চির-হতভাগ্য ও পরিত্যক্ত নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন ডিম্পল কাপাডিয়া। এই একাকিনী ও কষ্টসহিষ্ণু নারী কেঁদে শোক প্রকাশ করতে পারেন না, তাই পেশাদার শোককারীর ভূমিকায় নতুন নিযুক্ত হয়ে তিনি নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। রাখী গুলজার, রাজ বব্বর ও আমজাদ খান অভিনয় করেন বিভিন্ন পার্শ্বচরিত্রে। জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এনএফডিসি) ও দূরদর্শন প্রযোজিত এই ছবিটিকে ভারতের একটি নব্য-বাস্তববাদী সমান্তরাল চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে এই ছবিতে ভূপেন হাজারিকা সুরারোপিত গান সহ মূলধারার হিন্দি ছবির বেশ কয়েকটি সাধারণ উপাদান গৃহীত হয়েছিল।
সমালোচকদের প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি রুদালী অপ্রত্যাশিত বাণিজ্যিক সাফল্যও লাভ করে। ছবির চিত্রনাট্য, সংগীত, প্রযুক্তিগত সাফল্য ও কল্পনা লাজমির পরিচালনার পাশাপাশি বিশেষভাবে প্রশংসিত হয় ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়ও। ছবিটি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে, যার মধ্যে ডিম্পল কাপাডিয়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারটি জয় করেন। ছবিটি তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। তার মধ্যে ডিম্পল কাপাডিয়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার জয় করেন। ৮ম দামাস্কাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ডিম্পল কাপাডিয়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সম্মানিত হন এবং ৩৮তম এশিয়া-প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসবে ভূপেন হাজারিকা পুরস্কৃত হন এই ছবির সংগীত পরিচালনার জন্য। ৬৬তম অ্যাকাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে এই ছবিটি শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতীয় ভুক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়, তবে সেটি মনোনীত হয়নি।
প্লট
[সম্পাদনা]মরুভূমির বুকে বর্না গ্রামের জমিদার ঠাকুর রামাবতার সিং মৃত্যশয্যায় শায়িত। তিনি আক্ষেপ করছেন যে, তাঁর কোনও আত্মীয়ই তাঁর জন্য চোখের জল ফেলবেন না। তিনি তাঁর মৃত্যুর পর শোকপ্রকাশের জন্য ভিকনি নামে এক বিখ্যাত রুদালীকে ডেকে পাঠালেন। ভিকনি শনিচরী নামে এক বিধবার সঙ্গে ঠাকুরের গ্রামেই থাকত। দুজনের বন্ধুত্ব যত গভীর হয়, শনিচরী ভিকনিকে নিজের জীবনের কথা বলে। সেই কথাই ছবিতে দেখানো হয় ফ্ল্যাশব্যাকে।
শনিচরীর জন্ম হয়েছিল শনিবারে (হিন্দিতে শনিবারকে শনিচরও বলা হয়)। শনিবার শনি গ্রহের নামাঙ্কিত, যা হিন্দু জ্যোতিষ অনুযায়ী অশুভ গণ্য করা হয়। গ্রামবাসীরা শনিচরীর জীবনে ঘটা সব কটি খারাপ ঘটনার জন্য তাকেই দায়ী করেছিল। তার বাবার মৃত্যু থেকে শুরু করে তার মা পেউলির পালিয়ে গিয়ে যাত্রাদলে যোগ দেওয়া পর্যন্ত সব ঘটনার জন্য তারা দোষী করেছিল শনিচরীকে। অল্পবয়সেই শনিচরীর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল গঞ্জু নামে এক মাতালের সঙ্গে। তার ছেলে বুধুয়াকে সে খুব ভালোবাসত, কিন্তু সে ছিল ঠিক পিউলির মতো, উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াতেই বেশি ভালোবাসত সে।
এদিকে ঠাকুরের ছেলে লক্ষ্মণ সিং শনিচরীকে বলেন যে, তাঁর শনিচরীকে পছন্দ হয়েছে এবং তিনি তাকে নিজের স্ত্রীর পরিচারিকা হিসেবে রাখতে চান। নিজের হাভেলিতে লক্ষ্মণ সিং শনিচরীকে সামাজিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর চোখের দিকে সরাসরি তাকাতে উৎসাহিত করেন। একদিন রাতে শনিচরী হাভেলিতে সংগীত পরিবেশন করেন। তারপর লক্ষ্মণ সিং তাকে দুই একর জমি সহ থাকার জন্য নিজস্ব একটি বাড়ি উপহার দেন।
গ্রামের মেলায় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় গঞ্জু। শাস্ত্রনির্দিষ্ট ধর্মীয় কৃত্য পালন না করার জন্য গ্রামের পুরোহিত তাকে অভিশাপ ও হুমকি দিলে, শনিচরী সেই অনুষ্ঠানগুলি পালনের জন্য রামাবতার সিং-এর থেকে ৫০ টাকা ধার নেয় এবং তাঁর চুক্তিবদ্ধ মজুরে পরিণত হয়।
কয়েক বছর পরে বুধুয়া বড়ো হয়ে মুংরি নামে এক বেশ্যাকে বিয়ে করে ঘরে আনে। শনিচরী মুংরিকে ঘর থেকে বের করে দিতে চায়। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা মুংরি বুধুয়ার সন্তানের মা হতে চলেছে শুনে সে নরম হয়। কিন্তু গ্রামের পুরোহিত ও দোকানদারদের কটুক্তি শুনে শনিচরী ও মুংরির মধ্যে বিরোধ বাধে। একবার প্রবল ঝগড়ার পর মুংরির গর্ভপাত ঘটে যায়। বুধুয়া বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। শনিচরী ভিকনিকে বলে যে, এতসব দুঃখজনক ঘটনার পরেও সে কখনও কাঁদেনি।
একদিন রাতে ভীষমদাতা নামে এক ব্যক্তি ভিকনিকে পাশের গ্রামে ডেকে নিয়ে যায়। রামাবতার সিং কয়েক ঘণ্টা পরেই মারা যান। লক্ষ্মণ সিং গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে শনিচরী তাকে বিদায় জানাতে যায়। একজন এসে খবর দেয় যে, মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে ভিকনি মারা গিয়েছে। সে আরও জানায় যে ভিকনি আসলে শনিচরীর মা পিউলি। শনিচরীর চোখ ফেটে জল আসে। ঠাকুরের অন্ত্যেষ্টিতে কাঁদার জন্য তাকেই নতুন রুদালী নিযুক্ত করা হয়।[২][৫]
অভিনেতা-অভিনেত্রী
[সম্পাদনা]- ডিম্পল কাপাডিয়া - শনিচরী
- রাখী – ভিকনি / পিউলি
- রাজ বব্বর – লক্ষ্মণ সিং
- আমজাদ খান – ঠাকুর রামাবতার সিং
- রঘুবীর যাদব - বুধুয়া
- সুস্মিতা মুখোপাধ্যায় – মুংরি (বুধুয়ার বউ)
প্রযোজনা
[সম্পাদনা]ছবিটি প্রযোজনা করেন বিশিষ্ট ধনী আর. ভি. পণ্ডিত। সেই সময় তিনি প্রকাশন সংস্থা বিজনেস প্রেস এবং গ্ল্যাডর্যাগ প্রভৃতি বিখ্যাত পত্রিকার মালিক ছিলেন। ছবিটি নির্মিত হয় মহাশ্বেতা দেবীর লেখা এবং ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত নৈঋ©তে মেঘ গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত "রুদালী" নামে একটি ছোটোগল্প অবলম্বনে।[৬] লেখিকা প্রিয়া কপূরের মতে, কল্পনা লাজমি সুকৌশলে এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় ডিম্পল কাপাডিয়ার মতো এক জনপ্রিয় চিত্রতারকাকে বেছে নেন, যাতে যে দর্শকেরা সচরাচর রুদালী-র ন্যায় নারীবাদী, পরীক্ষামূলক ছবি দেখতে আসে না, তাদেরও আকৃষ্ট করা যেতে পারে।[৭] রাখীকে নির্বাচন করা হয় ভিকনির চরিত্রে অভিনয় করার জন্য।[৮] ছবিটি ছিল আমজাদ খান অভিনীত শেষ ছবিগুলির অন্যতম। আমজাদ খানের মৃত্যুর পর মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটির ওপেনিং ক্রেডিটে ছবিটি উৎসর্গ করা হয়েছিল তাঁকেই।[৯] ছবিটির সহকারী প্রযোজক ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এনএফডিসি)। কিন্তু এনএফডিসি-র সঙ্গে কাজের অসুবিধার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কল্পনা লাজমি পরে বলেছিলেন যে, তিনি আর কখনও সেই সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে চান না।[১০] কল্পনা লাজমি বলেছিলেন যে, ছবির কাজ শেষ হওয়ার পর ডিম্পল কাপাডিয়া অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।[১১]
ছবির দৃশ্যগত আবেদন বৃদ্ধি করতে কল্পনা লাজমি রাজস্থানের মরুভূমির প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সেখানকার বিশালকায় হাভেলিগুলিকে (প্রাসাদ) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।[১২] ছবির অধিকাংশ শ্যুটিং হয়েছিল পশ্চিম রাজস্থানের জয়সলমির থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বর্না গ্রামে,[১৩][১৪] সেই সঙ্গে জয়সলমির দুর্গ, খুরি মরুভূমি এবং কুলধারা ধ্বংসাবশেষে।[৬] ছবির সংলাপ লেখা হয়েছিল পশ্চিম ভারতীয় উপভাষায়, যদিও বৃহত্তর, শহরাঞ্চলীয় দর্শকদের বোধগম্যতার কথা ভেবে তাকে অনেকটাই পরিমার্জিত করে নেওয়া হয়েছিল।[৬]
সাউন্ডট্র্যাক
[সম্পাদনা]| রুদালী | ||||
|---|---|---|---|---|
| কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
| মুক্তির তারিখ | ১ জানুয়ারি, ১৯৯৩ (অডিও ক্যাসেট) ১ মে, ১৯৯৩ (অডিও সিডি) | |||
| ঘরানা | চলচ্চিত্র সাউন্ডট্র্যাক | |||
| সঙ্গীত প্রকাশনী | প্যান মিউজিক | |||
| ভূপেন হাজারিকা কালক্রম | ||||
| ||||
এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেন ভূপেন হাজারিকা।[৯] ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিজনেস ইন্ডিয়া লিখেছিল, রুদালী হল প্রথম খাঁটি মিশ্রধারার অ্যালবাম, যেটি শ্রোতার হৃদয়কে স্পর্শ করে শিল্প থেকে বাণিজ্যিক সাফল্যে উত্তীর্ণ হয়েছে।[১৫] এটি বলিউডের সেই প্রথম সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামগুলির অন্যতম যা ভারতে অডিও কমপ্যাক্ট ডিস্কের আকারে প্রকাশিত হয়।
"দিল হুম হুম করে" গানটি ভূপেন হাজারিকা সুরোরোপিত একটি পূর্ববর্তী গানের ভিত্তিতে রচিত। এই গানের সুরটি কয়েক দশক পূর্বে মণিরাম দেওয়ান (১৯৬৪) নামে একটি অসমীয়া ছবিতে "বুকু হাম হাম করে" গানে ব্যবহৃত হয়। রুদালী ছবির গীতিকার গুলজার হৃদস্পন্দন বোঝাতে অসমীয়া "হাম হাম" শব্দবন্ধটি বিশেষ পছন্দ করতেন। তাই তিনি প্রচলিত হিন্দিতে "ধক ধক"-এর পরিবর্তে এই গানে "হুম হুম" শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেন।[৯]
সকল গানের গীতিকার গুলজার; সকল গানের সুরকার ভূপেন হাজারিকা।
| নং. | শিরোনাম | শিল্পী(বৃন্দ) | দৈর্ঘ্য |
|---|---|---|---|
| ১. | "দিল হুম হুম করে (পর্ব-১)" (রাগ: ভূপালী) | লতা মঙ্গেশকর | |
| ২. | "দিল হুম হুম করে (পর্ব-২)" (রাগ: ভূপালী) | ভূপেন হাজারিকা | |
| ৩. | "ঝুটি মুটি মিতওয়া" (রাগ: বৃন্দাবনী সারং) | লতা মঙ্গেশকর | |
| ৪. | "সময় ও ধীরে চলো (পর্ব-১)" (রাগ: ভীমপলশ্রী) | আশা ভোঁসলে | |
| ৫. | "সময় ও ধীরে চলো (পর্ব-২)" (রাগ: ভীমপলশ্রী) | ভূপেন হাজারিকা | |
| ৬. | "মৌলা ও মৌলা" | ভূপেন হাজারিকা | |
| ৭. | "সময় ও ধীরে চলো (পর্ব-৩)" | লতা মঙ্গেশকর | |
| ৮. | "বীতে না বীতে না রইনা" (রাগ: ভীমপলশ্রী) | আশা ভোঁসলে | |
| ৯. | "দিল হুম হুম করে" (যন্ত্রসংগীতে) | ||
| ১০. | "ঝুটি মুটি মিতওয়া" (যন্ত্রসংগীতে) | ||
| ১১. | "সময় ও ধীরে চলো" (যন্ত্রসংগীতে) | ||
| ১২. | "বীতে না বীতে না রইনা" (যন্ত্রসংগীতে) |
বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]এই ছবিতে সামন্ত প্রথা এবং দরিদ্র গ্রামবাসীদের আর্থ-সামাজিক প্রান্তিকীকরণের মাধ্যমে বর্ণ, বর্ণ-স্তরবিন্যাস, লিঙ্গবৈষম্য ও দারিদ্র্যের সমস্যাগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে।[৬][১৬] চলচ্চিত্র সমালোচক নম্রতা যোশীর মতে, এই ছবিটি বর্ণ ও শ্রেণিবৈষম্যের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে লিঙ্গসমস্যা ও পুরুষতন্ত্রকে প্রদর্শিত করেছে।[১৭] সুমিতা এস. চক্রবর্তী ছবিটিকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, এই ছবিটি সাবঅল্টার্ন মূল্যবোধ জাগ্রত করতে চেয়েছে।[১৮] রাধা সুব্রহ্মণ্যন লেখেন যে, নিম্নবর্ণীয় সমাজ ও অভাবী নারীরা যে নানাধরনের নিপীড়নের শিকার হয় সেটাই তুলে ধরেছে এই ছবিটি। ছবির সমন্বয়মূলক শৈলীটি সম্পর্কে তিনি বলেন যে, এই ছবিতে ভারতে চলচ্চিত্র নির্মাণের দুটি ধারাকে একত্রে মেশানো হয়েছে; তাই এর মধ্যে ‘আর্ট’ সিনেমার সামাজিক বোধের সঙ্গে বোম্বাইয়ের চলচ্চিত্র ধারার জনপ্রিয় উপাদানগুলিকে একত্রীভূত করা হয়েছে।[১৯] ইন্ডিয়া ট্র্যানজিশনস: কালচার অ্যান্ড সোসাইটি ডিউরিং কনটেম্পোরারি ভাইরাল টাইমস গ্রন্থে প্রিয়া কপূর এই ছবিটিকে বর্ণ-বিচ্ছিন্নকরণ এবং ভূস্বামী শ্রেণির হাতে সাবঅল্টার্ন নারীর দুরবস্থার বিরুদ্ধে একটি সুসংহত নারীবাদী সনদ বলে বর্ণনা করেন।[২০] তিনি আরও বলেন যে, এই ছবিটি এমন এক সময়ে নির্মিত হয়েছিল যখন ভারতীয় রাজনীতি ও নাগরিক জীবনযাত্রায় অমঙ্গলজনক পুনরুত্থান ঘটছিল বর্ণ ও শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতির।[২১] ইন্টারকালচারাল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ প্র্যাকটিশ: মিউজিক, ড্যান্স, অ্যান্ড উইমেন’স কালচারাল আইডেনটিটি গ্রন্থে প্রিয়া কপূর লেখেন যে, রুদালী ছবিটি বর্ণব্যবস্থা-শাসিত ঔপনিবেশিক ও সামন্ততান্ত্রিক গ্রামীণ সমাজকে পুনঃসমীক্ষার একটি সুযোগ আমাদের সামনে উপস্থিত করে।[২২]
ছবির চিত্রনাট্যের সঙ্গে মহাশ্বেতা দেবীর মূল গল্পটির অনেক পার্থক্য দেখা যায়। সেগুলির মধ্যে ছবির প্রেক্ষাপট, একটি একক গল্পের উপর ছবির গল্পের কেন্দ্রীভবন এবং সেই সঙ্গে শনিচরী ও জমিদারের মধ্যে প্রণয়সঞ্জাত টানাপোড়েন এই ছবির মৌলিক সংযোজন।[১৬] সোমা চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন যে, ছবিটি মূল গল্প থেকে এতটাই সরে গিয়েছে যে, যিনি সেই গল্পটি পড়েছেন, তিনি ছবিটি দেখে হতাশ হতে পারেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন যে, যিনি মহাশ্বেতা দেবীর সাহিত্যকর্ম বা মূল গল্পটি পড়েননি, তাঁর উচিত রুদালী ছবিটির সাহিত্য-উৎসের কথা চিন্তা না করেই সিনেমাটি দেখা। সোমা চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এই ছবিতে শনিচরীর ট্র্যাজিক গল্পটিকে রোম্যান্টিক রীতিতে তুলে ধরা হয়েছে।[২৩] গবেষক টুটুন মুখোপাধ্যায় লিখেছেন যে, ছবিতে শনিচরী ও স্থানীয় জমিদারের মধ্যে যে প্রণয়সম্পর্কটি দর্শিত হয়েছে এবং ছবির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের নিরিখে যেটিকে তর্কের খাতিরে সিদ্ধ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে, সেটি কেবলমাত্র একটি রূপই গ্রহণ করতে পারে: এটা নিশ্চিত যে দুজনের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও শোষিত দরিদ্রের প্রতি শোষক ধনীর যা ভূমিকা এবং এক নারীর প্রতি এক পুরুষের যা ভূমিকা তার বেশি কিছুই গড়ে ওঠা এখানে সম্ভব হয়নি।[২৪]
অনেক লেখকই শনিচরী চরিত্রটির কথা আলোচনা করেছেন। চন্দ্র ভূষণ লিখেছেন যে, শনিচরী মরুভূমির ন্যায় শুষ্ক, কিন্তু তার মধ্যে একটা বৈশিষ্ট্য, স্নেহ ও ঔদ্ধত্য আছে এবং আছে জমিদারের প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করার সাহসও।[২৫] ইন্ডিয়ান পপুলার সিনেমা: আ ন্যারেটিভ অফ কালচারাল চেঞ্জ গ্রন্থে শনিচরীকে বর্ণনা করা হয়েছে সব ধরনের নিপীড়নের শিকার বলে। বলা হয়েছে যে, শনিচরী সেসবের অনেকগুলিকে প্রতিহত করলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি।[২৬] চলচ্চিত্র গবেষক রীতামণি দাস ও দেবর্ষি প্রসাদ নাথ শনিচরী চরিত্রটিকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, এটি এমন এক নারীচরিত্র যে তার জীবনের অধিকাংশ সময়ে কোনও পুরুষের সাহচর্য ছাড়াই কঠোর বাস্তবের সঙ্গে সংগ্রাম করে গিয়েছে।[১৬] তাঁরা আরও বলেছেন যে, এই নারী এমন এক নারী যে নিজের ইতিহাস নিজেই লিখেছে এবং সে কখনই সমাজ-অনুমোদিত নারীর অবস্থান এবং সমাজজীবনের উচ্চ-নীচ ক্রমটিকে অনুসরণ করে চলেনি।[১৬] শ্রীরেখা সুব্রহ্মণ্যমের মতে, শনিচরী চরিত্রটি পুরুষের হাতে নিপীড়িত হওয়া হিন্দু দেবী সীতা বা তাঁর মা ভূদেবীর মূর্ত প্রতীক।[২৭]
রীতামণি দাস ও দেবর্ষি প্রসাদ নাথ উচ্চবর্ণীয় সমাজের নারীর চিত্রণের বিষয়টিও আলোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, মহাশ্বেতা দেবীর গল্পে এই নারীচরিত্রের অনুরূপ চিত্রণ দেখা যায়। সেখানেই তাঁরা তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের মতোই অহংকারী, ভণ্ড ও নিজেদের উচ্চ সামাজিক মর্যাদার ধ্বজাধারী। কিন্তু এই ছবিতে সেই নারীচরিত্রগুলির বিলাসবহুল জীবন এবং উচ্চ আর্থ-সামাজিক মর্যাদা দেখানো হলেও পুরুষশাসিত সমাজে তাদের পুরুষের অধীনস্থই রাখা হয়েছে এবং এমন একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে তাঁরাও শনিচরীর থেকে অধিক সুবিধাসম্পন্ন মহিলা নন।[১৬] অধিকন্তু লেখকেরা এই ছবিতে শনিচরীর ক্রন্দনে অক্ষমতার চিত্রায়নের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন যে, মেয়েরা যে চোখের জলের ভাণ্ডার এমন এক জনপ্রিয় ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে এই ছবিটি। [১৬] পিল্লাই ত্রিপাঠী বলেছেন যে, শোকপ্রকাশের আচারগুলিকে সুরেলা সাংগীতিক উপস্থাপনায় পরিবর্তিত করে এই ছবিটি বলিউডের ছবির ধারাটিকে গ্রহণ করেছে। ত্রিপাঠী রুদালী ও হ্যামলেট-এর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং ওফেলিয়া ও গারট্রুড চরিত্র দিটির একটি সাদৃশ্য দেখিয়েছেন শনিচরী ও ভিকনি চরিত্রে।[৩]
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]রুদালী ছবিটি সমালোচক ও সাধারণ দর্শক উভয়ের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। [২৪] ছবিটি যে বক্স অফিসে অপ্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করে, সেই বিষয়টিকে সুমিতা এস. চক্রবর্তী মূলধারা ও শৈল্পিক চলচ্চিত্রের মাধ্যে এই ছবির নির্মাতাদের অনিশ্চিত অবস্থান নির্ণয়ের ফল বলে ব্যাখ্যা করেন। তাঁর মতে, ভারতের বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র গানবাজনা ও আবেগের অতিনাটকীয় উপাদানগুলিকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সমাজ-বাস্তবতাকে নিয়ে নির্মিত হয় বলেই তা জনপ্রিয়তা পায় না। সেখানে রুদালী সেগুলিকে দূরে রাখেনি।[২৮]
সিনেমায়া-য় চিদানন্দ দাশগুপ্ত লেখেন যে, এই ছবিতে ডিম্পল কাপাডির অভিনয় নির্ভর করেছে ইতিপূর্বে মূলধারার চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং সেই সঙ্গে একজন সত্যিকারের মানুষকে ফুটিয়ে তোলার উপযুক্ত তাঁর অভিনয়-ক্ষমতার উপর। এই দুই কারণেই তিনি শনিচরী চরিত্রটিকে একাধারে আকর্ষণীয় ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পেরেছেন। চিদানন্দ দাশগুপ্ত গল্প ও কল্পনা লাজমির পরিচালনাকেও এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, পরিচালক ও অভিনেত্রী দুজনে মিলে অতিনাটকীয়তা ও বাস্তবতার সংমিশ্রণ ঘটাতে সমর্থ হয়েছে এবং সেটি সফলও হয়েছে। তিনি লিখেছেন যে, রাজস্থানের মরুভূমিতে প্রকৃতির ধূসরতা এবং পোষাকপরিচ্ছদের জাঁকজমকের মধ্যে পরিচালক নিজের উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, রুদালী ছবিতে বাস্তবতা ও অতিনাটকীয়তার যে ক্ষুরধার প্রান্তরেখায় কল্পনা লাজমি হেঁটেছেন, সেই পথ তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না।[২৯] চলচ্চিত্র বিশারদ টুটুন মুখোপাধ্যায় রুদালী ছবিটিকে একটি মর্মস্পর্শী এবং সুন্দর নারী-কেন্দ্রিক হিন্দি ছবি বলে বর্ণনা করেন এবং গড়পড়তা হিন্দি ছবির তুলনায় উন্নত মানের জন্য ছবিটির প্রশংসা করেন।[২৪]
বিদেশি সমালোচকেরাও একইভাবে রুদালী ছবিটির প্রশংসা করেন। শিকাগো রিডার-এর জে. আর. জোনস ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়ের ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন।[৩০] "রিকভারিং দ্য সেলফ: আ জার্নাল অফ হোপ অ্যান্ড হিলিং" গ্রন্থে আর্নেস্ট ডেম্পসি লিখেছেন যে, "রুদালী" ছবিটি সেটির বাস্তবতার চিত্রণের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত। তিনি এই ছবিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাজের (বিশেষত ডিম্পক কাপাডিয়ার) বিশেষ প্রশংসা করেন এবং একটি ব্যতিক্রমী বিষয়কে কীভাবে গভীর মনস্তাত্ত্বিক ব্যঞ্জনার্থ সহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাও উল্লেখ করেন।[৩১] ভারততত্ত্ববিদ ফিলিপ লুটগেনডর্ফ ছবিটিকে ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করে এই ছবির খাঁটি আঞ্চলিক পোষাকপরিচ্ছদ ও সাজ-সরঞ্জামের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মনে হয়েছে, এই ছবির সংগীত বেশ মনোহারী হলেও ততটাই প্রামাণিক নয়। সেই সঙ্গে ছবির দুই প্রধান অভিনেত্রীর কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি রাখী ও ডিম্পল কাপাডিয়া দুজনের অভিনয়ের প্রশংসা করলেও ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়, দৈহিক ভাষা, অঙ্গভঙ্গি এবং চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর ক্ষমতার বিশেষ প্রশংসা করেছেন।[৩২]
"দ্য কনসেপ্ট অফ মাদারহুড ইন ইন্ডিয়া: মিথস, থিওরিজ অ্যান্ড রিয়্যালিটিজ" (২০২০) গ্রন্থে একটি অতীত-পর্যালোচনামূলক সমালোচনায় সোমা চট্টোপাধ্যায় ছবিটির প্রতি তাঁর মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, ছবিটির যাবতীয় শিল্প-সম্ভাবনা সত্ত্বেও এটি শেষপর্যন্ত নামী চিত্রতারকা, অবিস্মরণীয় সংগীত, অসাধারণ প্রযোজনা এবং ছবির মতো সুন্দর প্রাকৃতিক প্রেক্ষাপট দিয়ে সাজানো একটি বাণিজ্যিক ছবিই হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন যে, লাজমি এই ছবিতে যে সব চমকগুলি এনেছেন, সেগুলি মূল গল্পে ছিল না। মহাশ্বেতা দেবীর গল্পের চলচ্চিত্রায়ন হিসেবে তিনি ছবিটিকে তেমন সফল বলে মনে করেননি। তাঁর মতে, বাণিজ্যিক ছবির বিলাসবহুল বাসস্থান ও সাংগীতিক চমক আনতে গিয়েই কল্পনা লাজমি ছবিটিকে যোগ্য পরিচয় প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তা সত্ত্বেও সোমা চট্টোপাধ্যায় এও মনে করেন যে, মূল গল্পটিকে না ধরলে "রুদালী" একটি বিনোদনমূলক ও শিক্ষামূলক ছবি, যেটি ভারতীয় দর্শকদের এক অনালোচিত ব্যক্তির নিপীড়নের গল্প শুনিয়েছে।[৩৩]
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]এই ছবিটি মহাশ্বেতা দেবীর সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে নির্মিত ছবিগুলির অন্যতম।[৩৪][৩৫] দি এসেনশিয়াল গাইড টু বলিউড গ্রন্থে সুভাষ কে. ঝা এই ছবিটিকে ২০০টি শ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবির অন্যতম আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, রুদালী আমাদের এক পেশাদার শোককারীর জীবনের গভীরে নিয়ে যায়। শনিচরী নামে সেই রুদালী, যে নিজের জন্য কাঁদতে পারে না, তার চরিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়েরও প্রশংসা করেন তিনি।[৩৬] এম. এল. ধবন এই ছবিটিকে সেই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ছবিগুলির তালিকায় রাখেন এবং এটিকে এক আকর্ষণীয় অতিনাটকীয় চলচ্চিত্র বলার পাশাপাশি ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়ের প্রশংসা করেন এবং এও বলেন যে, ভূপেন হাজারিকার সংগীতায়োজনে রাজস্থানের লোকজ সুরের গানগুলি ছবির রাজস্থানী প্রেক্ষাপটের সঙ্গে আলাদা এক মাত্রা সংযুক্ত করেছে।[৩৭] ফিল্ম কমপ্যানিয়ন-এ শান্তনু রায়চৌধুরী এই ছবির সুরেলা গান, ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয় এবং পরিচালকের বাস্তবতাবোধের বিশেষ প্রশংসা করেন।[৩৮]
চলচ্চিত্র সমালোচক নম্রতা যোশী মনে করেন, যে রুদালী ছবিটির জন্যই কল্পনা লাজমি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং এটি সম্ভবত তাঁর কর্মজীবনের সবচেয়ে প্রভাবশালী কাহিনিচিত্র।[১৭] ১৯৯৪ সালে সুধীর বসু সিনেমায়া-তে একটি নিবন্ধে সমকালীন মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালকদের সম্পর্কে লিখতে গিয়ে কল্পনা লাজমির এই ছবিটির কথা উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি ডিম্পল কাপাডিয়া ও আমজাদ খানের অভিনয় এবং ভূপেন হাজারিকার সংগীতায়োজনকেও ছবির সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন। [৩৯] ২০১৮ সালে হিন্দুস্তান টাইমস-এ নিবেদিতা মিশ্র লেখেন যে, রুদালী ছবিটি কল্পনা লাজমির কর্মজীবনের অন্যতম স্মরণীয় কীর্তি। কারণ, এই ছবিতে ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এবং ছবির গানগুলি এখনও লোকের মুখে মুখে ফেরে।[৪০] রাজা সেন এই ছবিটিকে মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালকদের দ্বারা পরিচালিত শ্রেষ্ঠ দশটি হিন্দি ছবির তালিকায় রাখেন।[৪১] দীপা গাহলোট এই ছবিটিকে কল্পনা লাজবির সর্বাধিক পরিচিত ছবি বলে উল্লেখ করেন।[১২]
এই ছবিতে ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয় তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বলে পরিগণিত হয়। ফিল্মফেয়ার পত্রিকায় তাঁর এই অভিনয়কে আশিটি চিরস্মরণীয় চরিত্রাভিনয়ের একটি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। [৪২] দীপা গাহলোট ফাইনানশিয়াল ক্রনিকল পত্রিকায় এই ছবিতে ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়কে তাঁর কর্মজীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় বলে উল্লেখ করেন[১২] এবং শনিচরীর চরিত্রটিতে তিনি তাঁর গ্রন্থে বলিউডের ২৫ জন সাহসী নারীচরিত্রের অন্ততম হিসেবে গ্রহণ করেন।[৪৩] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকাতেও ডিম্পল কাপাডিয়ার অভিনয়কে তাঁর কর্মজীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় বলে উল্লেখ করা হয় এবং সমালোচক রাজা সেনের বক্তব্যের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করা হয়।[৪১][৪৪] পরবর্তী বছরগুলিতে ডিম্পল কাপাডিয়া অবশ্য এই ছবিতে তাঁর কোনও কোনও অংশের অভিনয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল ছবিতে শেষের দিকে তাঁর চরিত্রের মধ্যে যে পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল, সেটি ততটা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।[৪৫]
ছবির সংগীতও উচ্চ প্রশংসিত হয়। প্রিয়া সিং লিখেছেন যে, রুদালী-র সংগীতায়োজন বর্তমানে বিশ্বসংগীতের অন্তর্গত।[২১] দ্য হিন্দু পত্রিকায় বলা হয় যে, এই ছবির সাউন্ডট্র্যাক ভূপেন হাজারিকাকে সর্বভারতীয় স্তরে পরিচিত করে তোলে।[৪৬]
১৯৯৯ সালে ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে ন্যাশানাল মিউজিয়াম অফ উইমেন ইন দ্য আর্টস ও ফ্রিয়ার গ্যালারি অফ আর্টে "ভারতীয় চলচ্চিত্রে নারী" বিভাগে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলির অন্যতম ছিল রুদালী।[৪৭][৪৮]
ডেকান হেরাল্ড পত্রিকায় জানানো হয়, রাজস্থানের যে বর্না গ্রামে ছবির শ্যুটিং হয়েছিল সেটি ছবি মুক্তিলাভের পর একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। পর্যটকেরা মূলত এই ছবির সঙ্গে সংযোগের কারণেই পরবর্তী বছরগুলিতে এই গ্রাম দেখতে আসতে শুরু করেন।[১৩]
সম্মান ও পুরস্কার
[সম্পাদনা]৬৬তম অ্যাকাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে রুদালী ছবিটি শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতীয় ভুক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়।[৪৯][৫০][৫১] ১৯৯৩ সালে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ১৯৯৪ সালে সান ডিয়াগো চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়। ৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে এই ছবিটি তিনটি পুরস্কার জয় করে। এগুলির অন্যতম ছিল নিষ্ঠুর সমাজের দ্বারা নিপীড়িত এক একাকিনী নারীর ভূমিকায় অসামান্য অভিনয়ের জন্য ডিম্পল কাপাডিয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারটিও। মরুভূমি এবং মরু অঞ্চলের স্থাপত্যের পুনঃসৃজনের জন্য ছবির শিল্প-নির্দেশক সমীর চন্দ শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশকের পুরস্কার জয় করেন। অন্যদিকে রাজস্থানের মরু অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে প্রামাণিক পোষাক-পরিকল্পনার জন্য সিম্পল কাপাডিয়া ও মালা দে জয় করেন শ্রেষ্ঠ পোষাক পরিকল্পনা পুরস্কারটি। ডিম্পল কাপাডিয়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার ছাড়াও ৩৮তম এশিয়া-প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং ৮ম দামাস্কাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জয় করেন। ৩৯তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে রুদালী তিনটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে কল্পনা লাজমি পরিচালনার জন্য ভি. শান্তারাম পুরস্কার এবং অল-ইন্ডিয়া ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশোন (এআইসিএ) পুরস্কার জয় করেন। পরে একটি অনুষ্ঠানে রুদালী-কে সেই বছরের শ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবির মর্যাদা দেওয়া হয়।
| বছর | পুরস্কার | বিভাগ | প্রাপক(গণ) ও মনোনীত(গণ) | ফলাফল | সূত্র. |
|---|---|---|---|---|---|
| ১৯৯৩ | ৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | ডিম্পল কাপাডিয়া | বিজয়ী | [৫২] |
| শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক | সমীর চন্দ | বিজয়ী | |||
| শ্রেষ্ঠ পোষাক পরিকল্পনা | মালা দে ও সিম্পল কাপাডিয়া | বিজয়ী | |||
| ১৯৯৩ | ৩৮তম ফিল্মফেয়ার উৎসব | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক) | ডিম্পল কাপাডিয়া | বিজয়ী | [৫৩] |
| ১৯৯৪ | ৩৯তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | ডিম্পল কাপাডিয়া | মনোনীত | [৫৪] |
| শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক | ভূপেন হাজারিকা | মনোনীত | |||
| শ্রেষ্ঠ গীতিকার | গুলজার, "দিল হুম হুম করে" গানটির জন্য | মনোনীত | |||
| ১৯৯৪ | ৮ম দামাস্কাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | ডিম্পল কাপাডিয়া | বিজয়ী | [৫৫] |
| ১৯৯৪ | ৩৮তম এশিয়া-প্যাসিফিক চলচিত্র উৎসব | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | ডিম্পল কাপাডিয়া | বিজয়ী | [৫৬] |
| শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক | ভূপেন হাজারিকা | বিজয়ী | |||
| ১৯৯৪ | ভি. শান্তারাম পুরস্কার | অনবদ্য পরিচালনা | কল্পনা লাজমি | বিজয়ী | [৫৭] |
| ১৯৯৪ | অল-ইন্ডিয়া ক্রিটিকস অ্যাসোশিয়েশন (এআইসিএ) পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবি | রুদালী | বিজয়ী | [৫৮] |
| শ্রেষ্ঠ পরিচালক | কল্পনা লাজমি | বিজয়ী | |||
| শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক | ভূপেন হাজারিকা | বিজয়ী |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ "রুদালী" শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল "ক্রন্দনরতা নারী"। তবে এই শব্দটির দ্বারা রাজস্থানের কোনও কোনও অঞ্চলে ভাড়া-করা পেশাদার শোককারীকে বোঝায়। সাধারণ নিম্নবর্ণের মহিলারা এই পেশায় আসেন। তাদের কাজ হল কোনও উচ্চবর্ণের পুরুষের মৃত্যু হলে সেই পরিবারের মহিলাদের হয়ে শোক প্রকাশ করা। এই উচ্চবর্ণীয় মহিলারা তাঁদের সামাজিক মর্যাদার কারণে নিজেদের আবেগ প্রদর্শন করতে পারেন না বলেই এদের ভাড়া করা হয়।[২][৩] ১৯৭৯ সালে মহাশ্বেতা দেবীর "রুদালী" গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর সাহিত্যে শব্দটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এই গল্প অবলম্বনেই এই ছবিটি নির্মিত।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "রুদালী"। ব্রিটিশ বোর্ড অফ ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন। ২২ জুন ১৯৯৩। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 "রুদালী"। ইউনিভার্সিটি অফ আইওয়া। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- 1 2 পিল্লাই, ত্রিপাঠী (১ আগস্ট ২০২০)। "মোর্নার-কনফেসরস: দ্য মশালা ইন্টারকমিউনিটি অফ উইমেন ইন রুদালী অ্যান্ড হ্যামলেট"। পোস্টমিডিয়াভাল (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ (২): ২৪৩–২৫২। ডিওআই:10.1057/s41280-020-00178-5। আইএসএসএন 2040-5979। এস২সিআইডি 225504336। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ চট্টোপাধ্যায় ২০০০, পৃ. ৩৬–৩৭।
- ↑ "রুদালী প্রোডাকশন ডিটেইলস"। ইয়াহু! মুভিজ। ২২ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৭।
- 1 2 3 4 গুপ্ত, প্রজ্ঞা (১ জানুয়ারি ২০০৮)। "'রুদালী': ফ্রম মহাশ্বেতা দেবী টু কল্পনা লাজমি"। ক্রিয়েটিভ ফোরাম (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ (১–২): ১৫–২৬।
- ↑ কপূর ২০০৫, পৃ. ১০৩।
- ↑ "রাখী প্লেজ প্রফেশনাল মোর্নার ইন কল্পনা লাজমি'জ রুদালী"। ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ এপ্রিল ১৯৯২। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 3 অরুণাচলম ২০১৯, পৃ. ৪১০।
- ↑ পরাশর, নয়ন জ্যোতি (২৬ এপ্রিল ২০১১)। "মাই ফিল্ম ইজ স্টাক উইথ এনএফডিসি: আইজাজ আহমেদ"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া – মুম্বই মিরর (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য টাইমস গ্রুপ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ গুপ্ত, প্রতীম ডি. (২৩ জানুয়ারি ২০০৬)। "ইট ইজ নো ইউজ বিয়িং ইউলোজাইজড আফটার ডেথ?"। দ্য টেলিগ্রাফ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 3 গাহলোট, দীপা (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "দ্য ওম্যান হু উড নট উইপ"। ফাইনানশিয়াল ক্রনিকল। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 মিশ্র, নিবেদিতা (২৭ মে ২০১৭)। "ভিলেজ ক্যাপিটালিজেস অন ফিল্ম শ্যুটিং"। ডেকান হেরাল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ পেরুর ২০১৮।
- ↑ "ফর জেনারেশনস টু কাম, মিলিয়নস উইল হাম দ্য গোল্ডেন মেলডিজ অফ হাজারিকা'স রুদালী"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। এক্সপ্রেস গ্রুপ। ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 3 4 5 6 দাস, রীতামনি; নাথ, দেবর্ষি প্রসাদ (১৩ অক্টোবর ২০১৪)। "রুদালী ইন ফিল্ম ন্যারেটিভ: লুকিং থ্রু দ্য ফেমিনিস্ট লেন্স"। সিআইএনইজে সিনেমা জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ (২): ১২০–১৩৯। ডিওআই:10.5195/cinej.2014.99। আইএসএসএন 2158-8724। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 যোশী, নম্রতা (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "অবিচুয়ারি | কল্পনা লাজমি, ওয়ান অফ দি আর্লিয়েস্ট ফেমিনিস্ট ভয়েস"। দ্য হিন্দু (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। ১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ চক্রবর্তী ১৯৯৯, পৃ. ২৮৫।
- ↑ সুব্রহ্মণ্যম, রাধা (১৯৯৬)। "ক্লাস, কাস্ট, অ্যান্ড পারফরম্যান্স ইন "সাবঅল্টার্ন" ফেমিনিস্ট ফিল্ম থিওরি অ্যান্ড প্রেক্সিস: অ্যান অ্যানালাইসিস অফ "রুদালী""। সিনেমা জার্নাল। ৩৫ (৩): ৩৪–৫১। ডিওআই:10.2307/1225764। আইএসএসএন 0009-7101। জেস্টোর 1225764। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ কপূর ২০২০, পৃ. ৭৯।
- 1 2 কপূর ২০২০, পৃ. ৮০।
- ↑ কপূর ২০০৫, পৃ. ৯৯।
- ↑ চট্টোপাধ্যায়, সোমা এ. (৩০ জুন ২০১৮)। "রুদালী ২৫ ইয়ারস: ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রিফ বাই প্রক্সি"। দ্য সিটিজেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 3 মুখোপাধ্যায়, টুটুন (২০১০)। "অফ 'টেক্সট' অ্যান্ড 'টেক্সুয়ালিটিজ': পারফর্মিং মহাশ্বেতা" (পিডিএফ)। ডায়ালগ: আ বাই-অ্যানুয়াল ইন্টারডিসিপ্লিনারি জার্নাল। ১৯ (শরৎ)। ইংরেজি ও সংস্কৃতিবিদ্যা বিভাগ, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়: ১–২০। আইএসএসএন 0975-4881। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)।
- ↑ ভূষণ ২০০৫, পৃ. ১৬৩।
- ↑ গোকুলসিং ও দিশনায়ক ২০০৪, পৃ. ৯০।
- ↑ সুব্রহ্মণ্যম ২০১১, পৃ. ৮৩।
- ↑ চক্রবর্তী ১৯৯৯, পৃ. ২৯৯।
- ↑ দাশগুপ্ত, চিদানন্দ (১৯৯৩)। "রুদালী (দ্য মোর্নার)"। সিনেমায়া। পৃ. ৩০–৩১।
- ↑ জোনস, জে. আর. (২০ ডিসেম্বর ২০০২)। "দ্য মোর্নার"। শিকাগো রিডার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ সিগেল এবং অন্যান্য ২০১৭, পৃ. ৮৩।
- ↑ লুটেনডর্ফ, ফিলিপ। "রুদালী"। uiowa.edu (ইংরেজি ভাষায়)। আইওয়া সিটি, আইওয়া: আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ৫ আগস্ট ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১।
- ↑ চট্টোপাধ্যায় ২০২০, পৃ. ৩৬–৩৭।
- ↑ মানবী (২৮ জুলাই ২০১৬)। "মোর্নিং অ্যান্ড রেভোলিউশন: মহাশ্বেতা দেবী'জ লেগাসি অন দ্য স্ক্রিন"। দ্য কুইন্ট। ১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ ঘোষ, দেবর্ষি (২৮ জুলাই ২০১৬)। "মহাশ্বেতা দেবী, রিপ: রুদালী টু সংঘর্ষ, ৫ ফিল্মস দ্যাট ইম্মর্ট্যালাইজ দি অথর'স ওয়ার্কস"। ইন্ডিয়া টুডে। ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ ঝা ও বচ্চন ২০০৫, পৃ. ৭৮।
- ↑ ধবন, এম. এল. (২৩ মার্চ ২০০৩)। "ইয়ার অফ সেনসিটিভ, ওয়েল-মেড ফিল্মস"। দ্য সানডে ট্রিবিউন। ২৪ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ রায়চৌধুরী, শান্তনু (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "কল্পনা লাজমি, দ্য লেডি হু ডেয়ারড"। ফিল্ম কমপ্যানিয়ন।
- ↑ বসু ২০১১।
- ↑ মিশ্র, নিবেদিতা (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "কল্পনা লাজমি: ১০ লেসার নোন ফ্যাক্টস অ্যাবাউট রুদালী ডিরেক্টর"। হিন্দুস্তান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 সেন, রাজা (১৪ জুলাই ২০১১)। "বেস্ট এভার হিন্দি ফিল্মস বাই উইমেন ডিরেক্টরস"। রিডিফ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "৮০ আইকনিক পারফরম্যান্সেস"। ফিল্মফেয়ার। ৬ জুন ২০১০।
- ↑ গাহলোট ২০১৫, পৃ. ৬৮–৭৩।
- ↑ "আ কাউন্টডাউন ওড টু ডিম্পল"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য টাইমস গ্রুপ। ৩১ আগস্ট ২০০৫। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ দিন, সুলেমান (২৫ মে ২০০১)। "'আই গট মোর দ্যান মু শেয়ার ইন লাইফ '"। রিডিফ.কম। ৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "থ্রোব্যাক থার্সডে: দি আনডাইং মিউজিক অফ ভূপেন হাজারিকা"। দ্য হিন্দু (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ কেম্পলি, রীতা (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)। "হিয়ার অ্যান্ড নাও"। ওয়াশিংটন পোস্ট। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ও'সুলিভান, মাইকেল (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)। "সুইট 'পপ' অ্যাট হারশহর্ন"। ওয়াশিংটন পোস্ট। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ফ্রুক, জন ইভান (৩০ নভেম্বর ১৯৯৩)। "অ্যাসাড ইঙ্কস কেটস, আনভেইলস ফরেন-ল্যাংগুয়েজ এন্ট্রিজ"। ভ্যারাইটি। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "বিফোর গালি বয়, দিজ ইন্ডিয়ান ফিল্মস ওয়ার সেন্ট টু দি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ইন্টারন্যাশানাল ফিচার ফিল্ম ক্যাটেগরি"। নিউজ১৮। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ "ইন্ডিয়া'জ অস্কার ফেলিওরস"। ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। ২৯ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব" (পিডিএফ)। dff.nic.in। চলচ্চিত্র উৎসব নির্দেশালয়। ১৯৯৩। পৃ. ৪০–৪১। ৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস উইনারস ১৯৯৩: কমপ্লিট লিস্ট অফ উইনারস অফ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস ১৯৯৩"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। দ্য টাইমস গ্রুপ। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "দ্য নমিনেশনস – ১৯৯৩"। ফিল্মফেয়ার। ২০ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "মোর্নিং বিকমস হার"। দ্য টেলিগ্রাফ। আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠী। ২৭ নভেম্বর ১৯৯৩। পৃ. ৭৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ কুমার ২০০২, পৃ. ১৭২: "Bhupen Hazarika adjudged the best music director and Dimple Kapadia the best actress for 'Rudali' (Hindi) at Asia-Pacific International Film Festival Fukoaka, Japan"
- ↑ মেনন ২০০২, পৃ. ২৪৩।
- ↑ "'রুদালী', 'পদ্মা..' ব্যাগ ফিল্ম ক্রিটিকস আসোশিয়েশন অ্যাওয়ার্ড"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। এক্সপ্রেস গ্রুপ। ৯ অক্টোবর ১৯৯৪। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- অরুণাচলম, পরম (১৭ আগস্ট ২০১৯)। বলিস্বর: ১৯৯১–২০০০ (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাভরিক্স ইনফোটেক প্রাইভেট লিমিটেড। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৯৩৮৪৮২-১-০। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ভূষণ, চন্দ্র (২০০৫)। আসাম: ইটস হেরিটেজ অ্যান্ড কালচার (ইংরেজি ভাষায়)। জ্ঞান পাবলিশিং হাউস। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৮৩৫-৩৫২-৪।
- বসু, সুধীর (২ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "কনটেম্পোরারি উইমেন ডিরেক্টরস"। দোরাইস্বামী, রশ্মি; পাদগাঁওকর, লতিকা (সম্পাদকগণ)। এশিয়ান ফিল্ম জার্নিজ: সিলেকশনস ফ্রম সিনেমায়া (ইংরেজি ভাষায়)। এসসিবি ডিস্ট্রিবিউটর। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৮৩২৮-২০৮-৬। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- চক্রবর্তী, সুমিতা এস. (১ জানুয়ারি ১৯৯৯)। "'ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন উইপ?' মোর্নিং অ্যাজ মেটাফোর ইন রুদালী"। রবিন, ডায়ানা মরি; জেফ, ইরা (সম্পাদকগণ)। রিডাইরেক্টিং দ্য গেজ: জেন্ডার, থিওরি, অ্যান্ড সিনেমা ইন দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সানি প্রেস। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৯১৪-৩৯৯৩-৭। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- চট্টোপাধ্যায়, সোমা এ. (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "মিথ, মাদারহুড, অ্যান্ড মেইনস্ট্রিম হিন্দি সিনেমা"। মিত্র, জিনিয়া (সম্পাদক)। দ্য কনসেপ্ট অফ মাদারহুড ইন ইন্ডিয়া: মিথস, থিওরিজ অ্যান্ড রিয়্যালিটিজ (ইংরেজি ভাষায়)। কেমব্রিজ স্কলার্স পাবলিশিং। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫২৭৫-৪৬৮০-৬। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- গাহলোট, দীপা (২০১৫)। শিরোজ: ২৫ ডেয়ারিং উইমেন অফ বলিউড। ওয়েস্টল্যান্ড লিমিটেড। পৃ. ৬৯–৭৩। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৫১৫২-৭৪-০। ২০ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- গোকুলসিং, কে. মোতি; দিসনায়ক, বিমল (২০০৪)। ইন্ডিয়ান পপুলার সিনেমা: আ ন্যারেটিভ অফ কালচারাল চেঞ্জ (ইংরেজি ভাষায়)। ত্রেন্থাম। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৫৮৫৬-৩২৯-৯।
- গুলজার; নিহালানি, গোবিন্দি; চট্টোপাধ্যায়, শৈবাল (২০০৩)। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ হিন্দি সিনেমা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইন্ডিয়া)। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৯১-০৬৬-৫।
- ঝা, সুভাষ কে.; বচ্চন, অমিতাভ (২০০৫)। দি এসেনশিয়াল গাইড টু বলিউড। লাস্টর প্রেস। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৪৩৬-৩৭৮-৭।
- কপূর, প্রিয়া (২০ জুলাই ২০২০)। "ইন্ডিয়া ট্রানজিশনস: কালচার অ্যান্ড সোসাইটি ডিউরিং কনটেম্পোরারি ভাইরাল টাইমস"। কিম, চানওয়ান; কুমার, রাজীব (সম্পাদকগণ)। গ্রেট ট্র্যানজিশন ইন ইন্ডিয়া: ক্রিটিক্যাল এক্সপ্লোরেশনস (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিফিক। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮১-১২-২২৩৫-১। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- কপূর, প্রিয়া (২০০৫)। লেঙ্গেল, লরা বি. (সম্পাদক)। ইন্টারকালচারাল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ প্র্যাকটিশ: মিউজিক, ড্যান্স, অ্যান্ড উইমেন’স কালচারাল আইডেনটিটি (ইংরেজি ভাষায়)। প্রেগার। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৭৫-৯৮২৪০-৯।
- কুমার, অরবিন্দ (২০০২)। ট্রেন্ডজ ইন মডার্ন জার্নালিজম। সারুপ অ্যান্ড সন্স। পৃ. ১৭২। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৬২৫-২৭৭-৫। ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- মেনন, ঋতু (২০০২)। উইমেন হু ডেয়ারড (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট, ইন্ডিয়া। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৩৭-৩৮৫৬-৭। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- পেরুর, শ্রীনাথ (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। ইফ ইট’স মনডে ইট মাস্ট বি মাদুরাই: আ কনডাক্টেড ট্যুর অফ ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। পেঙ্গুইন ইউকে। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৫১১৮-৫৭০-৩। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- রাজাধ্যক্ষ, আশিস; উইলেমেন, পল (১৯৯৯)। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা। রটলেজ। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৩৫-৯৪৩২৫-৭।
- সাভারওয়াল, গোপা (২০০৭)। ইন্ডিয়া সিনস ১৯৪৭: দি ইনডিপেন্ডেন্ট ইয়ারস। পেঙ্গুইন বুকস ইন্ডিয়া। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৪-৩১০২৭৪-৮। ২৭ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- সিগেল, বার্নি; উইং, ডায়ানি; কেনলি, হোলি; লেভি, জে এস. (২০১৭)। রিকভারিং দ্য সেলফ: আ জার্নাল অফ হোপ অ্যানফ হিলিং (৬ষ্ঠ খণ্ড, ১ম সংখ্যা) – গ্রিফ অ্যান্ড লস। লভিং হিলিং প্রেস। পৃ. ৮৩। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৬১৫৯৯-৩৪০-৬। ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- সুব্রহ্মণ্যম, শ্রীরেখা (২০১১)। ""হুম ডিড ইউ লুজ ফার্স্ট, ইয়োরসেলফ অর মি?": দ্য ফেমিনিন অ্যান্ড দ্য মিথিক ইন ইন্ডিয়ান সিনেমা"। বুহান-রাদুনোভিচ, সানজা; রাজন, ভি. জি. জুলি (সম্পাদকগণ)। মিথ অ্যান্ড ভায়োলেন্স ইন থে কনটেম্পোরারি ফিমেল টেক্সট: নিউ ক্যাসান্ড্রাজ (ইংরেজি ভাষায়)। অ্যাশগেট পাবলিশিং, লি.। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০৯৪-০০০১-১। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রুদালী (ইংরেজি)
- হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৯৩-এর নাট্য চলচ্চিত্র
- ১৯৯৩-এর চলচ্চিত্র
- মৃত্যুর রীতিনীতি
- ভারতে দারিদ্র্য সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- ভারতে নারী সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- ছোট কল্পকাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- মহাশ্বেতা দেবীর সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- কল্পনা লাজমি পরিচালিত চলচ্চিত্র
- রাজস্থানের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- জমিদার সম্পর্কে চলচ্চিত্র