রুক্মিণী দেবী অরুণ্ডেল
![]() | বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
রুক্মীনী দেবী নীলাকান্দা শাস্ত্রী (১৯০৪-৮৬) একজন ব্রহ্মবাদী ব্যক্তিত্ব এবং নৃত্যশিল্পী। তিনি রুক্মিনী দেবী অরুন্ডেল নামে সমধিক পরিচিত। তিনি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যের (ভরতনাট্টম) একজন পরিকল্পক হিসেবে খ্যাত। তিনি পশু অধিকার ও কল্যাণ আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
তিনি প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে ভারতীয় রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। তিনি সাদির নৃত্যধারা এবং মন্দিরের দেবদাসীদের নৃত্যের প্রভাবশালী বৈশিষ্ট্য থেকে ভরতনাট্টম এর পূনর্জাগরণের জন্য মূলত আলোচিত হয়েছেন। তিনি একই সাথে ভারতের ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও কারুশিল্পের পূণ:নিমার্ণের জন্যও কাজ করে গেছেন।
১৯২০ এর দশকে ভরতনাট্টম নিম্ন মানের এবং অশ্লীলতার দোষে দূষিত হলেও, রুক্মীনী দেবী এই নৃত্যধারাকেই সমর্থন করেন এবং এর পূণ:প্রাণদানে উৎসাহী হন। যদিও তিনি ছিলেন ভারতের উঁচু-জাতের একজন মানুষ। ভরতনাট্টমের সৌন্দর্য এবং এর আধ্যত্মিক গুরুত্ব উপলব্ধি করার কারণে, তিনি কেবল তা শিখেই ক্ষ্যান্ত হন নি। বরং প্রবল প্রতিবাদের মুখে এই নৃত্যধারাকে মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় এই নৃত্যধারাটিকে পুনরুদ্ধার করে তিনি তা ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে ১৯৩৫ সালে একটি প্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে তার নাম হয় ‘কলাকেন্দ্র’। পাশ্চাত্য ব্যালে নৃত্যের সাথে তিনি এই নাচের সংমিশ্রণ ঘটান। তিনিই প্রথম ‘ভারতনাট্যম’ নামকরণ করেন।
‘১০০ জন ভারতীয়, যারা ভারতকে গড়েছেন’ শীর্ষক ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রতিবেদনে তাকে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। তিনি ১৯৫৬ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৬৭ সালে সংগীত নাটক একাডেমীর ফেলোশিপ পান।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- খুব অল্প উইকিসংযোগসহ নিবন্ধসমূহ
- খুব অল্প উইকিসংযোগসহ সমস্ত নিবন্ধসমূহ
- উইকিপ্রকল্প উইকিফাই অনুযায়ী আচ্ছাদিত নিবন্ধসমূহ
- উইকিপ্রকল্প উইকিফাই অনুযায়ী আচ্ছাদিত সমস্ত নিবন্ধসমূহ
- ১৯০৪-এ জন্ম
- ১৯৮৬-এ মৃত্যু
- ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী
- পদ্মভূষণ বিজয়ী
- সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার প্রাপক
- ভারতীয় মহিলা শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী
- তামিলনাড়ুর নৃত্যশিল্পী