রামরঞ্জন ভট্টাচার্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শহীদ রামরঞ্জন ভট্টাচার্য ছিলেন একজন খ্যাতিমান প্রবীণ আইনজীবী। মুক্তিযুদ্ধের সময় সিলেট বারে তিনি আইনপেশায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর বয়স তখন ছিলো সত্তরেরও বেশী। ১৯৭১ সালের ২৬ মে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানী সেনারা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।[১][২]

শহিদ বুদ্ধিজীবী

রামরঞ্জন ভট্টাচার্য
জন্ম
মৃত্যু২৬ মে ১৯৭১
পেশাআইনপেশা
পরিচিতির কারণশহীদ বুদ্ধিজীবী
দাম্পত্য সঙ্গীজ্যোৎস্না ভট্টাচার্য

প্রাথমিক পরিচয়[সম্পাদনা]

শহীদ রামরঞ্জন ভট্টাচার্য আনুমানিক ১৯০০ ইংরেজি সালে বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার নর্তনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৩]

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রামরঞ্জন ভট্টাচার্য সিলেট বারে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন। আইনপেশায় তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। অত্যন্ত শান্ত এবং অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ ছিলেন রামরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি সিলেটের কাষ্টঘর মহল্লায় থাকতেন। ১৯৭১ সালের মার্চে পাকবাহিনী সিলেট শহরে হানা দিলে নিজ বাসায় তিনি আটকা পড়েন। পরে মে মাসের শুরুর দিকে তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার বুরঙ্গ বাজার ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামে আশ্রয় নেন।

শাহাদাত বরণ[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২৬ মে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে একজন পাঞ্জাবি ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে একদল পাকিস্তানি সেনা পেয়ারাপুর গ্রামে ঢোকে। সেখানে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল আহাদ চৌধুরী এবং রাজাকার ছয়েকউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গ্রামের মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। তারা গ্রামের সমস্ত হিন্দু-মুসলমানকে এক স্থানে একত্র করে। সেখানে হিন্দু-মুসলমানদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়। কিছুক্ষণ পর শুধু হিন্দুদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। ওই দলে ছিলেন রামরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রায় ৮০ জনকে পাকিস্তানি সেনারা সেদিন হত্যা করে। পরে তাঁদের গণকবরে মাটিচাপ দেওয়া হয়। সিলেটের আইনজীবীদের মধ্যে তিনিই প্রথম শহীদ হন। তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি।[১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "রামরঞ্জন ভট্টাচার্য"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৫ 
  2. "রামরঞ্জন ভট্টাচার্য"সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৫ 
  3. ডেস্ক, প্রথম আলো। "রামরঞ্জন ভট্টাচার্য"চিরন্তন ১৯৭১ | প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৫