রামগড় স্থলবন্দর
রামগড় স্থলবন্দর বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে অবস্থিত একটি স্থলবন্দর। এটি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ এর মাধ্যমে ভরতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুমে যাত্রী যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ট্রানজিট বন্দর হিসেবে পরিচিত, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য নির্মাণ করা হয়। এটি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাথে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার মাধ্যমে সড়কপথে যুক্ত রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর হতে এটির দুরুত্ব ১১২ কিলোমিটার। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাধ্যমে বারৈয়ারহাট হয়ে বন্দরটিতে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব। এটির বিপরীতে সাবরুম ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন (এলসিএস) অবস্থিত। ২০২৪ সালের আগস্টে এটি চালু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এটি চালু হয়নি।[১][২] এছাড়াও বন্দরটি হতে বঙ্গোপসাগরের দুরুত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার হওয়ায় এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।[৩]
২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে যৌথ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই বছরেরই ৭ নভেম্বর রামগড় শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
বন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রোড কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের (বিআরসিপি) তিনটি পৃথক প্যাকেজে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি অংশ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), আর বাকি দুটি অংশের কাজ করছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। সওজ প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বারৈয়ারহাট থেকে হেঁয়াকো হয়ে রামগড় পর্যন্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করছে। জাইকার তত্ত্বাবধানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ককে যুক্ত করতে ৮টি সেতু ও ৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।[৪] অন্যদিকে, বন্দর-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতু নির্মাণে ভারতের অর্থায়ন রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল শুরু ১৪ অগাস্ট"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১১ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "এখনই চালু হচ্ছে না রামগড় স্থলবন্দরের কার্যক্রম"। ইত্তেফাক। ৯ নভেম্বর ২০২৪।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|সংগ্রহের-তারিখ=এর জন্য|ইউআরএল=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ "নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ: রামগড় স্থলবন্দর ও ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল চালুর প্রতিবেদন"। যুগান্তর। ৯ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "চট্টগ্রাম থেকে ভারত: যাতায়াতের দ্বার খুলছে রামগড় ইমিগ্রেশন"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২৮ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।