রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার

স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′৫৪″ উত্তর ৮৮°২১′৫৮″ পূর্ব / ২২.৫১৫১৩১° উত্তর ৮৮.৩৬৬২০৪° পূর্ব / 22.515131; 88.366204
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার
Emblem of the RMIC
নীতিবাক্যআত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ
বঙ্গার্থ-নিজের মোক্ষলাভের জন্য ও জগতের সকলের মঙ্গলের জন্য
ধরনধর্মীয় সংগঠন
সদরদপ্তরকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩০′৫৪″ উত্তর ৮৮°২১′৫৮″ পূর্ব / ২২.৫১৫১৩১° উত্তর ৮৮.৩৬৬২০৪° পূর্ব / 22.515131; 88.366204
Foundation Year
২৯ জানুয়ারি ১৯৩৮
অনুমোদননব্য-বেদান্ত
ওয়েবসাইটsriramakrishna.org

ভারতের কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (আরএমআইসি) হল ভারতের কলকাতায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের একটি শাখা সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্কৃতি-কেন্দ্র। এটি রামকৃষ্ণের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের স্মরণে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারী  প্রতিষ্ঠিত হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে এবং বর্তমানে এটির অবস্থান দক্ষিণ কলকাতার গোল পার্কে এক সুদৃশ্য প্রাঙ্গণে। [১]

কলকাতার গোল পার্কে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের ভিতরের দৃশ্য।

প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে তার জনহিতকর , শিক্ষামূলক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুপরিচিত। মানব জীবনের ঐক্যের দর্শনের উপর ভিত্তি করে, ইনস্টিটিউট সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির সমৃদ্ধি এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক উপলব্ধি এবং বোঝার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে থাকে।

ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠানটি যে তিনটি লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয় সেগুলি হল—

  • ভারতীয় সংস্কৃতির সঠিক ব্যাখ্যা এবং মূল্যায়ন
  • ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও তার প্রচার এবং
  • ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সমগ্র মানবজাতির সঠিক অধ্যয়নের প্রচার

স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মিশনের শাখা সংগঠন হিসাবে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে কাজ শুরু করে। ইনস্টিটিউটটি বছরের পর বছর ধরে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ করে চলেছে এবং তার কারণে ইনস্টিটিউটটি কলকাতার এক মর্যাদাপূর্ণ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হতে পেরেছে। [২]

ইনস্টিটিউট[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউটে 'স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ'-এ নয়টি বিদেশি ভাষা ও পাঁচটি ভারতীয় ভাষা শিক্ষার সুব্যরস্থা, বিশাল পত্র- পত্রিকা ও পুস্তক সংগ্রহের গ্রন্থাগার; 'সেন্টার ফর ইন্ডোলজিক্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চে'—

  1. ভারততত্ত্ব
  2. কার্যকরী সংস্কৃত (প্রাথমিক, মধ্যবর্তী এবং উন্নত স্তর)
  3. নবাগতদের জন্য বেদান্ত,
  4. উচ্চতর বেদান্ত,
  5. ভারতীয় দর্শনের মৌলিক ধারণা,
  6. বিশ্বের প্রধান প্রধান ধর্ম,
  7. ইউনেস্কোর সহায়তায় মানব ঐক্যের জন্য আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া এবং
  8. রামকৃষ্ণ আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে প্রি- এবং পোস্ট-ডক্টরাল উভয় স্তরে গবেষণার ব্যবস্থা;

জাদুঘর ও আর্ট গ্যালারি; বিবেকানন্দ আর্কাইভস সহ পৃথক গ্রন্থাগার,  মন্দির ও মেডিটেশন হল; প্রকাশনা বিভাগ;  ইনস্টিটিউটের বক্তৃতা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ধর্মগ্রন্থ ক্লাস, স্টাডি সার্কেল, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বর্ষবাযাপী সময়সূচির পরিকল্পনা ও ব্যরস্থা;

ইনস্টিটিউটে আমন্ত্রিত বিদেশি পণ্ডিত শিক্ষক ছাত্র এবং অতিথিদের থাকার জন্য 'আন্তর্জাতিক স্কলারস হাউস'। এটি ইনস্টিটিউটের অতিথি, পণ্ডিত এবং ছাত্রদের জন্য যারা ইনস্টিটিউটের অথবা আমন্ত্রণে বা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষিত সমাজের আমন্ত্রণে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অধ্যয়ন, গবেষণা বা ভারতীয়দের সাথে ধারণা বিনিময়ের জন্য আসেন। পণ্ডিত এটি বিভিন্ন জাতীয়তা এবং পটভূমির পণ্ডিতদের একত্রিত করা একটি সেতু তৈরি করতে সাহায্য করে যা মন এবং আত্মাকে এক করে।

ইনস্টিটিউটটি বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কলকাতা, বর্ধমান এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।  

বিবেকানন্দ পাঠচক্র[সম্পাদনা]

বিজ্ঞানের প্রচার ও জনপ্রিয়করণের জন্য ইনস্টিটিউট 'বিবেকানন্দ পাঠচক্র' তথা বিবেকানন্দ স্টাডি সার্কেল-এর আয়োজন করে থাকে। প্রতি মাসে নির্ধারিত সূচীতে  পাঠচক্র মিলিত হয়, যেখানে বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিবেকানন্দ পাঠচক্র  (জুনিয়র)[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউটের গ্রন্থাগারের শিশু সদস্যরা 'বিবেকানন্দ পাঠচক্র (জুনিয়র )'-এ অংশগ্রহণ করে। তাদের জন্যও প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর পাঠের বিষয়বস্তু স্থির করা হয়ে থাকে। জুনিয়র স্টাডি সার্কেলের সদস্যদের দ্বারা মাসিক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়, কিছু নির্দিষ্ট বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে যা প্রতি মাসে পরিবর্তিত হয়। মাসিক কর্মসূচির পাশাপাশি সদস্যরা  স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের (২৬ জানুয়ারি) মতো অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে বা  কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করে।  ছোটদের এই পাঠচক্রে "বাণীকুমারের মহিষাসুরমর্দিনী" নামে একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান  সাধারণত মহালয়ার এক দিন আগে বা পরে আয়োজিত হয়। এর সঙ্গে আবৃত্তি এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ করা হয়ে থাকে।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. admin। "The Institute"RKM Institute of Culture (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৮ 
  2. "RMIC Institution"। ৩১ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১১