রাবেয়া ভূঁইয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রাবিয়া ভুইয়া থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ব্যারিস্টার
রাবেয়া ভূঁইয়া
সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ – ১০ আগস্ট ১৯৮৭
২১ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৯৮৮
পূর্বসূরীগুলবদন বেগম
উত্তরসূরীসামসুন নাহার
১৯ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৫ জুলাই ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীসারওয়ারী রহমান
উত্তরসূরীরাবেয়া চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1944-03-01) ১ মার্চ ১৯৪৪ (বয়স ৮০)
ঢাকা
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীমোজাম্মেল হক ভূঁইয়া
পিতামাতাআব্দুল হামিদ,
ফিরোজা খাতুন
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইডেন মহিলা কলেজ
পুরস্কারডক্টর অব লজ

রাবেয়া ভূঁইয়া (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৪৪) বাংলাদেশের একজন আইনজীবীরাজনীতিবিদএরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি সমাজকল্যাণমহিলা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয় জাতীয় সংসদে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসন ২১ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২][৩]

তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আইন প্রণয়নে তার অবদান রয়েছে।[৩][২][৪]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

রাবেয়া ভূঁইয়া ১ মার্চ ১৯৪৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল হামিদ ও মাতার নাম ফিরোজা খাতুন।[২][২]

তিনি ঢাকার বাংলাবাজার গার্লস স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ইডেন গার্লস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। এরপর ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতিত বিভাগ থেকে অনার্স এবং ১৯৬৪ সালে এমএ (মাস্টার্স) পাশ করেন।[৩][২]

তিনি ১৯৬৬ সালে এলএলবি পাশ করেন। রাবেয়া ভূঁইয়া ১৯৬৮ সালে ঢাকা ডিষ্ট্রিক বার এবং ১৯৬৯ সালে সুপ্রীমকোর্টে সনদ প্রাপ্ত হন। ১৯৭৩ সালে ব্রিটেনের লিংকন ইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার-এট-ল পাশ করেন।[৩][২]

২০০৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][২]

রাবেয়ার স্বামী মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া (জ: জানুয়ারি ১৯৩৯- মৃ: ৭  মে ২০০৮) আইনজীবী ছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রাবেয়া ভূঁইয়া বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টে কর্পোরেট, ফৌজদারি, সাংবিধানিক এবং পারিবারিক আইন সংক্রান্ত বিষয়ে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার। তিনি আপিল বিভাগেরও প্রথম নারী আইনজীবী।[৩][২]

১৯৭৩-১৯৭৪ সালে তিনি ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসে কাজ করেন এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসে রিট বিভাগে কাজ করেন।

তিনি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ভূঁইয়া একাডেমির অধ্যক্ষ ছিলেন যা ব্রিটিশ সিলেবাসের আদলে এলএলবি কোর্স (অনার্স) ডিগ্রী দিয়ে থাকে।

তিনি বাংলাদেশের প্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সহকারী সচিব ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

রাবেয়া ভূঁইয়া এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ থেকে ১০ আগস্ট ১৯৮৭ পর্যন্ত সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ২১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।[১]

সপ্তম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ১৯ থেকে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।[৫]

১৯৯৮ সালে তিনি একদিনের সংসদ অধিবেশনে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

রাবেয়া ভূঁইয়া ২০১৮ সালের ৬ মার্চে বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন বিখ্যাত উপাধি ”ডক্টর অব লজ” পেয়েছেন। যা তিনি এশিয়ার দ্বিতীয় এবং দেশের প্রথম নারী হিসেবে এ সম্মান অর্জন করেন।[৩][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "দেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূইঁয়া"একুশে টেলিভিশন। ১২ মার্চ ২০২০। ২২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৩ 
  3. "আইন অঙ্গনের দিকপাল দুই ব্যারিস্টার"দৈনিক যায়যায়দিন। ৩ জানুয়ারি ২০২২। ২২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৩ 
  4. শপথ চৌধুরী (২৯ মার্চ ২০২১)। "বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম"দৈনিক যুগান্তর। ২২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৩ 
  5. "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২০