রাধুনি
রাধুনি | |
---|---|
![]() | |
রাধুনির বীজ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইটস (Tracheophytes) |
ক্লেড: | অ্যাঞ্জিওস্পার্মস (Angiosperms) |
ক্লেড: | ইউডিকটস (Eudicots) |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Apiales |
পরিবার: | Apiaceae |
গণ: | Trachyspermum (DC.) Craib |
প্রজাতি: | T. roxburghianum |
দ্বিপদী নাম | |
Trachyspermum roxburghianum (DC.) Craib | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
রাধুনি বা আজমোদা (বৈজ্ঞানিক নাম Trachyspermum roxburghianum বা Carum roxburghianum) এপিয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে এটি প্রচুর চাষ করা হয়। এর শুকানো সুগন্ধী ফল বা বীজ বাঙালি শৈলীর রন্ধনপ্রণালীতে প্রায়শই ব্যবহার করা হয়, যদিও ভারতের বাকী অংশে এর ব্যবহার বিরল। রাঁধুনি উদ্ভিদের টাটকা পাতা থাইল্যান্ডে ভেষজ হিসেবে এবং মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কাতে ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
রাঁধুনির ক্ষুদ্র শুকানো ফল বা বীজগুলি দেখতে জোয়ান, পাথুনি ও শা-জিরার বীজের মত। পাথুনির বীজের সাথে দেখতে ও স্বাদে কাছাকাছি বলে এগুলিকে একটির সাথে আরেকটি ভুল করা হয় এবং বদলি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
নামকরণ[সম্পাদনা]
বাংলায় রাধুনি নামে পরিচিত এই উদ্ভিদটি হিন্দি ও উর্দু ভাষাতে আজমোদ (अजमोद / اجمود), সংস্কৃত ভাষাতে আজমোদা বা আজমোদিকা (अजमोद বা अजमोदिका), বর্মী ভাষাতে "কান্ত-বালু" এবং থাই ভাষাতে "ফাক চি লোম" নামে পরিচিত।
ব্যবহার[সম্পাদনা]
রাধুনি খুবই ঝাঁঝালো একটি মসলা। এর গন্ধ বিলাতি রাধুনির মত কিন্তু স্বাদে পাথুনির মত। দুই চিমটি রাধুনি দিলেই তরকারির গন্ধ সম্পূর্ণ বদলে যায়। বাঙালি শৈলীর রন্ধনপ্রণালীতে গোটা বীজ খুব গরম তেলে দ্রুত ভেজে ফাটিয়ে ব্যবহার করা হয়। কখনও কখনও বাংলার স্থানীয় পাঁচফোড়ন নামের পাঁচমিশালি মসলার মিশ্রণে কালো সরিষার বীজের পরিবর্তে রাধুনির বীজ ব্যবহার করা হয়। পাঁচফোড়নের বাকী উপাদানগুলি হল জিরাবীজ, মেথিবীজ, মৌরিবীজ ও কালোজিরা বীজ। আচার বানাতেও এর ব্যবহার আছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Geeta, R.। "Radhuni: what is it??"। ২০০৮-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৯।