রাজাসরাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাজাসরাস
সময়গত পরিসীমা: অন্ত্য ক্রিটেশিয়াস, ৬.৯কোটি
শিল্পীর কল্পনায়, পশ্চাৎপটে ঝড় ও দুটি পাখি সমেত
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: ভার্টিব্রাটা
শ্রেণী: সরীসৃপ
উপবর্গ: থেরোপোডা
পরিবার: অ্যাবেলিসরিডি
উপপরিবার: মাজুঙ্গাসরিডি
গণ: †রাজাসরাস
উইলসন প্রমুখ, ২০০৩
প্রজাতি
†রা. নর্মাডেন্সিস
উইলসন প্রমুখ, ২০০৩

রাজাসরাস (উচ্চারণ: রা-জা-সও-রাস্‌, অর্থ: 'সরীসৃপের রাজা') হল থেরোপড ডাইনোসর-দের মাংসাশী অ্যাবেলিসরিড শাখার একটি প্রজাতি। মাথার উপর অদ্ভুতদর্শন ঝুঁটি এদের অন্যতম শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য। ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের (জিএসআই) বিজ্ঞানী সুরেশ শ্রীবাস্তবের তত্ত্বাবধানে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ খ্রিঃ গুজরাত রাজ্যের খেড়া জেলার রাহিওলিতে নর্মদা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত একটি উপত্যকায় রাজাসরাসের জীবাশ্মীভূত হাড় উদ্ধার করা হয়। ২০০৩ খ্রিঃ আগস্ট মাসে মার্কিন ও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল এই আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন এবং এটিকে একটি নতুন গণের ডাইনোসরের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[১]

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাজীববিদ পল সেরেনো, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জেফ্রি এ. উইলসন এবং শ্রীবাস্তব একত্রে একটি ইন্দো–মার্কিন দল হিসেবে নর্মদা উপত্যকায় প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলির পর্যালোচনা করেন।[২] আংশিক অক্ষত জীবাশ্মগুলির মালিক নির্ধারণ করা হয় নব্য আবিষ্কৃত প্রজাতি রাজাসরাস নর্মাডেন্সিস (অর্থ- 'নর্মদার রাজ-সরীসৃপ')-কে।[৩] নর্মদা উপত্যকার আরও উঁচু অঞ্চলে অবস্থিত মধ্য প্রদেশ রাজ্যের জবলপুর থেকেও রাজাসরাসের জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে।[২]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

পুনর্নির্মাণ

রাজাসরাস ছিল এক প্রকার অ্যাবেলিসরিড, যারা মাংসাশী থেরোপড ডাইনোসরদের একটি গোষ্ঠী। কেবলমাত্র গণ্ডোয়ানা অতিমহাদেশের অন্তর্গত ভূখণ্ডসমূহ, যথা ভারত, মাদাগাস্কার, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ইত্যাদি থেকেই অ্যাবেলিসরিডদের জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে। সমসাময়িক মাদাগাস্কারের অধিবাসী একটি প্রজাতি মাজুঙ্গাসরাসের সাথে রাজাসরাসের প্রচুর মিল পাওয়া যায়। এই দুই প্রজাতির বিবর্তনের মাত্র ২ কোটি বছর আগে মাদাগাস্কার ভারত থেকে পৃথক হয়েছিল।[৪] শারীরস্থানিক গঠনের জাতিজনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রজাতিটিকে অ্যাবেলিসরিড হিসেবে শনাক্ত করা হয়, এবং নাকের হাড়ের গঠন ও ফ্রন্টাল হাড়ে অবস্থিত একটি উপবৃদ্ধি থেকে একে "কার্নোটরিন" উপপরিবারের (কার্নোটরাস যে উপপরিবারের অন্তর্গত) সদস্য নির্ধারণ করা হয়। অন্যান্য গণের থেকে রাজাসরাসের স্বাতন্ত্র্য লক্ষ করা যায় এর একক ন্যাসাল-ফ্রন্টাল হাড়, সাব-টেম্পোরাল ফেনেস্ত্রার (খুলির পিছনের উপরের দিকের গহ্বর) অধিক দৈর্ঘ্য ও শ্রোণীচক্রের ইলিয়াম হাড়ের বৈশিষ্ট্য দেখে।[৩]

রাজাসরাস-কে শনাক্ত করা হয়েছিল একটি আংশিক কঙ্কাল থেকে, যার মধ্যে ছিল করোটির গহ্বর সংলগ্ন অংশ, মেরুদণ্ড, শ্রোণীচক্র এবং পশ্চাৎপদ ও লেজের অংশবিশেষ। এই নমুনাটি অর্থাৎ জিএসআই ২১১৪১/১-৩৩ নামাঙ্কিত নমুনাটিই সংশ্লিষ্ট গণ ও প্রজাতির প্রমাণ নমুনা হিসেবে স্বীকৃত।[৩] রাজাসরাস-এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৭.৬–৯ মি (২৪.৯–২৯.৫ ফু) এবং মাথার খুলির প্রাপ্ত অংশ থেকে বোঝা যায় নাকের হাড় ও ফ্রন্টাল হাড়ের উপবৃদ্ধি থেকে উৎপন্ন একটি বিশেষ প্রকার শিঙ এদের থাকত।

আবিষ্কারের ইতিহাস[সম্পাদনা]

মধ্য প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত নর্মদা অববাহিকার অংশবিশেষ; রাজাসরাসের জীবাশ্ম প্রাপ্তির অন্যতম স্থান।

মধ্য ভারতের নর্মদা নদী পূর্ব থেকে পশ্চিমে একটি গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ১,৩১২ কিমি (৮১৫.২ মা) পথ অতিক্রম করার পর আরব সাগরে মিশেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকেই এই উপত্যকায় টাইটানোসরাস ইণ্ডিকাস প্রভৃতি ডাইনোসরের জীবাশ্মের নিদর্শন মিলেছে।[৫]

রাজাসরাস নামাঙ্কিত জীবাশ্মের ইতিহাসের সূচনাকাল ১৯৮১ খ্রিঃ। ঐ বছর ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের বিজ্ঞানী জি. এন. দ্বিবেদী ও ডি. এম. মোহাবে একটি জরিপের কাজে রাহিওলিতে নিযুক্ত থাকার সময় স্থানীয় এসিসি সিমেন্ট আকরের কর্মচারীরা কতকগুলি চুনাপাথর নির্মিত গোলাকার গঠনের দিকে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গবেষণার মাধ্যমে বোঝা যায় এই "গোলক" গুলো আসলে ডাইনোসরের ডিম। ভূতাত্ত্বিকদ্বয় লক্ষ করেন, ডিম সংবলিত চুনাপাথরের স্তরের সংলগ্ন একটি বেলেপাথরকংগ্লোমারেট পাথরের স্তরও রয়েছে, যা ডাইনোসর-জীবাশ্মে সমৃদ্ধ।[২]

১৯৮২–৮৪ খ্রিঃ ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের পশ্চিমাঞ্চলীয় পুরাজীববিদ্যা বিভাগে কর্মরত ভূতাত্ত্বিক সুরেশ শ্রীবাস্তব রাহিওলি থেকে বহুসংখ্যক জীবাশ্ম নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সমগ্র অঞ্চলটির পুঙ্খানুপুঙ্খ মানচিত্র প্রস্তুত করেন। এর পর জয়পুরের পুরাজীববিদ্যা বিভাগে সেগুলি শনাক্তকরণের জন্য প্রেরিত হয়। এস. সি. পন্থের তত্ত্বাবধানে ইউ. বি. মাথুর ও সুরেশ শ্রীবাস্তব নমুনাগুলির মস্তিষ্কের গহ্বর, পৃষ্ঠীয় ও পুচ্ছদেশীয় কশেরুকা, ত্রিকাস্থি, উরুর হাড়, হাতের উপরের হাড়, পায়ের হাড় প্রভৃতি যথাযথভাবে পরিষ্কার করেন ও এগুলির ভিত্তিতে একাধিক গবেষণাপত্র লেখেন।[৬][৭] এর পর ১৯৯৪–৯৫ খ্রিঃ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি সমঝোতাপত্র সই হওয়ার আগে পর্যন্ত কাজ ঢিমেতালে এগোয়।[২]

২০০১ এ নতুন দিল্লী-তে অবস্থিত আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান স্টাডিজ ও মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির পৃষ্ঠপোষকতায় দু'জন মার্কিন বিজ্ঞানী এই জীবাশ্মগুলির উপর আরও গবেষণা চালান।[২] এই দুই বিজ্ঞানী পল সেরেনো ও জেফ উইলসন ১৯৮২-৮৪ তে পাওয়া জীবাশ্মের পুনর্গঠনের কাজ আরম্ভ করেন। ইতঃপূর্বে শ্রীবাস্তবের নির্মিত মানচিত্র অনুসরণ করে তাঁরা প্রাণীটির মাথার খুলির অংশবিশেষ, বাম ও ডান পশ্চাদ্দেশের হাড় ও ত্রিকাস্থির পুনর্নির্মাণে সক্ষম হন। খুলির অংশ ও একটি শিঙের সাথে মাদাগাস্কারে প্রাপ্ত কিছু ডাইনোসর প্রজাতির সাদৃশ্য আছে বলে তাঁরা স্থির করেন।[১] মধ্য প্রদেশের জবলপুরেও রাজাসরাস-এর জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মোট প্রাপ্ত কঙ্কালের অংশের মধ্যে পড়ে আংশিক করোটি, প্রত্যঙ্গের হাড়, শ্রোণীচক্রের হাড় ও কশেরুকা।[৮]

২০০৩ এ আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাসরাস-এর বর্ণনা দেওয়া হলেও ১৯২৩ খ্রিঃ আবিষ্কৃত কিছু জীবাশ্ম একই গণের অন্তর্গত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। চার্লস অ্যালফ্রেড মেটলি ঐ বছর ল্যামেটাসরাস ইণ্ডিকাসের বর্ণনা দেন বড়া সিমলা অনলে প্রাপ্ত কয়েকটি ইলিয়াম, একটি ত্রিকাস্থি, একটি পায়ের হাড় ও দেহবর্মের আঁশের নমুনার ভিত্তিতে।[৯] পরবর্তীকালে বোঝা যায় তথাকথিত ল্যামেটাসরাস-এর হাড়গুলি প্রকৃতপক্ষে একাধিক প্রজাতির প্রাণীর হাড়ের সমাহার, এবং উইলসন প্রমুখ এই মত প্রকাশ করেছেন যে বর্তমানে হারিয়ে যাওয়া ইলিয়াম ও ত্রিকাস্থি দুটির মালিক আসলে কোনো রাজাসরাস[৩]

রাজাসরাস-এর আবিষ্কার অ্যাবেলিসরিডদের পারস্পরিক বিবর্তনীয় সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করতে পারে। ভারত থেকে এর আগে অবধি প্রাপ্ত নমুনাগুলি ছিল বিক্ষিপ্ত কিছু হাড় মাত্র।[১০] ২০০৩ এ রাজাসরাস-এর আবিষ্কার উপলক্ষে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সেরেনো বলেন:

এই আবিষ্কারটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সামনে পেশ করা হবে; এবং এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে অ্যাবেলিসর গোষ্ঠীর শিকারী ডাইনোসরদের সম্বন্ধে বর্তমানে আমরা যা কিছু জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি তথ্য জানা সম্ভব হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে ভারতীয় উপমহাদেশের ডাইনোসর সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।[১১]

জীববিদ্যা[সম্পাদনা]

রাজাসরাস-কে কেবলমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেই শনাক্ত করা গেছে। এদের জীবদ্দশায় ভারতীয় উপমহাদেশ গণ্ডোয়ানা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তর অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল। অন্যান্য অ্যাবেলিসরিড, যেমন মাদাগাস্কারের মাজুঙ্গাসরাসদক্ষিণ আমেরিকার কার্নোটরাসের সাথে এদের স্পষ্ট বাহ্যিক সাদৃশ্য ও বিবর্তনীয় সম্পর্ক ছিল।[২]

ল্যামেটা প্রস্তরক্ষেত্র থেকে রাজাসরাসের জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে। এই প্রস্তরক্ষেত্রটি উৎপন্ন হয়েছিল পর্যায়ক্রমিক অগ্ন্যুৎপাতের মধ্যবর্তী সময়ে বর্তমান কোনও নদনদী ও জলাশয় অধ্যুষিত অববাহিকা থেকে। এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ভূভাগ বর্তমানে ডেকান ট্র্যাপ নামে পরিচিত। এই ভূমিরূপের জন্মের সময়ে রাজাসরাস ও স্থানীয় সরোপডদের অস্থি দাক্ষিণাত্যের ক্রমিক লাভাস্রোতের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল।[২] ল্যামেটা প্রস্তরক্ষেত্র থেকে পাওয়া অন্যান্য ডাইনোসর প্রজাতির মধ্যে পড়ে অন্যতম নোডোসরিড লেভিসুকাস, অ্যাবেলিসরিড ইণ্ডোসরাসইণ্ডোসুকাস, এবং টাইটানোসর জাতীয় সরোপড জৈনোসরাসটাইটানোসরাস[১২]আইসিসরাস[১৩]

ল্যামেটা প্রস্তরক্ষেত্রে প্রাপ্ত কপ্রোলাইটে অবস্থিত ছত্রাক বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় স্থানীয় ডাইনোসরেরা ক্রান্তীয়উপক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলের উদ্ভিদ ভোজন করত।[১৪] ডিমের ট্যাক্সন-ভিত্তিক সাদৃশ্যের আরেকটি গবেষণায় ক্রিটেশিয়াস যুগে ভারত ও ইউরোপের মধ্যে স্থলচর প্রাণীজগতের সরাসরি সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়, এবং গণ্ডোয়ানার অন্তর্গত দুটি ভূভাগ প্যাটাগোনিয়া ও ভারতের মধ্যেও অনুরূপ সম্পর্কের প্রমাণ মেলে।[১৫]

সাংস্কৃতিক ভূমিকা[সম্পাদনা]

বিলুপ্ত প্রজাতিসমূহ সম্পর্কে জনসাধারণের মনে আগ্রহ সঞ্চার করতে ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ তাদের লক্ষ্ণৌ আঞ্চলিক কার্যালয়ে রাজাসরাসটাইটানোসরাস-এর ফাইবারগ্লাস নির্মিত প্রমাণ আয়তনের মূর্তি স্থাপন করেছে।[১৬] মূর্তিগুলির সাথে যথাযথ প্রেক্ষাপটের অনুভূতি সৃষ্টি করতে সমসাময়িক মেসোজোয়িক উদ্ভিদের অনুকৃতি ইত্যাদিও নির্মাণ করা হয়েছে। গুজরাত ও মধ্য প্রদেশ থেকে সংগৃহীত সরোপড ও রাজাসরাসের হাড়, ডিম, কপ্রোলাইট (জীবাশ্মীভূত বিষ্ঠা) প্রভৃতিও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।[১৬]

কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে রাজাসরাসের একটি পুনর্নির্মিত করোটি সংরক্ষিত আছে।[১৬]

ভূতপূর্ব বালাসিনোর রাজ্যের রাজপরিবারের সদস্যা আলিয়া বাবি রাহিওলিতে জিএসআই-এর কর্মকাণ্ড কাছ থেকে লক্ষ করে ডাইনোসর সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এর পর তিনি রাহিওলির কোটি বছরের প্রাচীন ডাইনোসর ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে যত্নবান হন। নিজস্ব হোটেলে তিনি একটি ছোট জাদুঘরও গড়ে তোলেন।[১৭]

জনপ্রিয় মাধ্যমে[সম্পাদনা]

অ্যাডল্যাব্‌স ইমেজিকা, ভারত "জুরাসিক রাইড রাজাসরাস রিভার অ্যাডভেঞ্চার" নামে একটি রাইড গঠন করেছে।[১৮] এই রাইডটি ইউনিভার্সাল পার্কস অ্যান্ড রিসর্টস-এর জুরাসিক পার্ক: দ্য রাইড থেকে অনুপ্রাণিত। জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: দ্য গেম নামক একটি জনপ্রিয় ইন্টারনেট গেমেও ডাইনোসরটিকে দেখা যায়। ডাইনোসর কিং-এও রাজাসরাস-এর অবতারণা করা হয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. লভগ্রেন, এস. (আগস্ট ১৩, ২০০৩)। "ভারতে পাওয়া গেল ডাইনোসরের নতুন গণ" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-১২ 
  2. "রাজাসরাস নর্মাডেন্সিস – বিস্মৃতির আড়াল থেকে উঠে এল ভারতের নিজস্ব ডাইনোসর" (পিডিএফ)। ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। ২০০৮-০৫-২৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৮ 
  3. উইলসন, জে.এ., সেরেনো, পি.সি., শ্রীবাস্তব, এস., ভট্ট, ডি.কে., খোসলা, এ. এবং সাহনি, এ. (২০০৩)। "আ নিউ অ্যাবেলিসরিড (ডাইনোসরিয়া, থেরোপোডা) ফ্রম দ্য ল্যামেটা ফর্মেশন (ক্রিটেশিয়াস, মাস্ট্রিক্টিয়ান) অফ ইন্ডিয়া।" (পিডিএফ) পুরাজীববিদ্যা জাদুঘরের অবদান, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, ৩১(১): ১-৪২।
  4. রজার্স, রেমন্ড আর. (২০০৭)। স্যাম্পসন, স্কট ডি.; ও ক্রাউস, ডেভিড ডব্লিউ., সম্পাদক। অন্ত্য ক্রিটেশিয়াস মাদাগাস্কারে মাজুঙ্গাসরাস ক্রেনাটিসিমাসের (থেরোপোডা: অ্যাবেলিসরিডি) পুরাপরিবেশ ও পুরাবাস্তুতন্ত্র। সোসাইটি অফ ভার্টিব্রেট প্যালিওন্টোলজি মেময়ার । পৃষ্ঠা 21–31। 
  5. লিডেকার, আর. (১৮৭৭)। "Notices of new and other Vertebrata from Indian Tertiary and Secondary rocks." Records of the Geological Survey of India, ১০(১): ৩০-৪৩.
  6. মাথুর,ইউ. বি. ও পন্থ, এস. সি. (১৯৮৬)। "সরোপড ডাইনোসর হিউমেরাই ফ্রম ল্যামেটা গ্রুপ (আপার ক্রিটেশিয়াস-?প্যালিওসিন) অফ খেড়া গ্রুপ, গুজরাত" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে জার্নাল অফ দ্য প্যালিওন্টোলজিকাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, ৩১: ২২-২৫
  7. মাথুর,ইউ. বি. ও শ্রীবাস্তব এস.(১৯৮৭)। "গুজরাতের খেড়া জেলার ল্যামেটা প্রস্তরক্ষেত্র (উচ্চ ক্রিটেশিয়াস) থেকে প্রাপ্ত ডাইনোসর দাঁত" জার্নাল অফ দ্য জিওলজিকাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, ২৯: ৫৫৪-৫৬৬
  8. "ভারতের প্রথম ডাইনোসরের আত্মপ্রকাশ"। ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। ২০০৭-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৮ 
  9. মেটলি, সি.এ. (১৯২৩)। "নোট অন অ্যান আর্মর্ড ডাইনোসর ফ্রম দ্য ল্যামেটা বেড্‌স অফ জবলপুর"। রেকর্ডস অফ দ্য জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া৫৫: ১০৫–১০৯। 
  10. "ভারতে পাওয়া গেল নতুন ডাইনোসর প্রজাতি"। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৮ 
  11. "Move over T-Rex, Rajasaurus narmadensis is here" (ইংরেজি ভাষায়)। Rediff.com। ২০০৩-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৯ 
  12. ওয়াইশ্যাম্পেল, ডেভিড বি. (২০০৪)। "ডাইনোসর ডিস্ট্রিবিউশন"। ডেভিড বি. ওয়াইশ্যাম্পেল, পিটার ডডসন ও হাল্‌জকা ওস্মোলস্কা। দ্য ডাইনোসরিয়া (2nd সংস্করণ)। Berkeley: ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশন। পৃষ্ঠা 595আইএসবিএন 0-520-24209-2  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  13. Upchurch, Paul; Barrett, Paul M.; Dodson, Peter. (২০০৪)। "Sauropoda"। Weishampel, David B.; Dodson, Peter; and Osmólska, Halszka. (eds.)। The Dinosauria (2nd সংস্করণ)। Berkeley: University of California Press। পৃষ্ঠা 270আইএসবিএন 0-520-24209-2 
  14. (ইংরেজি)শর্মা, এন., কর, আর.কে., আগরওয়াল, এ. এবং কর, আর. (২০০৫)। "Fungi in dinosaurian (Isisaurus) coprolites from the Lameta Formation (Maastrichtian) and its reflection on food habit and environment." Micropaleontology, ৫১(১): ৭৩-৮২।
  15. Vianey-Liaud, Monique; Khosla, Ashu; Garcia, Geraldine। "Relationships between European and Indian Dinosaur Eggs and Eggshells of the Oofamily Megaloolithidae" (ইংরেজি ভাষায়)। Bioone.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৯ 
  16. "জিএসআই-তে উদ্বো‌ধন হল ভারতীয় ডাইনোসর রাজাসরাসটাইটানোসরাস-এর প্রমাণ আয়তনের ফাইবারগ্লাসের মূর্তি" (পিডিএফ)। ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ, উত্তরাঞ্চল, লক্ষ্ণৌ। ২০০৭-০৭-১৮। ২০১১-০৭-২১ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১০ 
  17. "এক রাজকুমারী ও তাঁর রাজাসরাস"। টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া। ২০০৮-১২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৯ 
  18. "রাজাসরাস রিভার অ্যাডভেঞ্চার"। পার্ক অ্যাডল্যাব্‌স ইমেজিকা। ২০১৩-০৪-১৮। ২০১৩-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-২৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]