রাইটিফাই ঘানা
| গঠিত | ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
|---|---|
| সদরদপ্তর | ঘানা |
| ওয়েবসাইট | https://rightifyghana.org |
রাইটিফাই ঘানা হল ঘানার একটি সংগঠন যারা ঘানায় এলজিবিটি অধিকারের পক্ষে কাজ করে।[১][২] এলজিবিটি+ ঘানাবাসীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা হিসেবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাইটিফাই ঘানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৩]
ঘানার সরকার দীর্ঘদিন ধরে ঘানার এলজিবিটিকিউ+ বাসিন্দাদের সম্মান, সুরক্ষা এবং স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে আসছে।[৪][৫] এই সম্প্রদায়ের সামনে আসা বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রাইটিফাই ঘানা একত্রিত হয়েছিল – তার মধ্যে প্রধান ছিল নীতিগত স্তরে সরকার কর্তৃক উপেক্ষিত সমস্যাগুলি। এই সংস্থাটি দেশজুড়ে যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের ক্ষতি কমানোর এবং সমাধান চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল শেষ পর্যন্ত দেশজুড়ে যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়ন করা।[৬]
সক্রিয়তা
[সম্পাদনা]রাইটিফাই ঘানা হচ্ছে এমন একটি সংগঠন, যারা ঘানায় এলজিবিটি+ ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ঘানার সংসদে উপস্থাপন করা এলজিবিটি বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে।[৭][৮][৯][১০]
২০২২ সালের জানুয়ারিতে, ঘানায় বসবাসকারী এলজিবিটিকিউআই+ মানুষের পক্ষে প্রচারণা সম্প্রসারণের জন্য রাইটিফাই ঘানা একটি তহবিল সংগ্রহ শুরু করে।[১১]
রাইটফাই ঘানার কাজের দ্বিতীয় স্তম্ভ হল সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন, বিশেষ করে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার শিক্ষা। স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষা এবং এইচআইভি সংক্রান্ত সংস্থানের মতো পরিষেবাগুলিতে প্রবেশাধিকার সহজতর করার পাশাপাশি, রাইটিফাই মানসিক-সামাজিক সহায়তা পরিষেবাও প্রদান করে। এর অর্থ হল সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য নিজের লিঙ্গ পরিচয় স্বীকার করে নেওয়া থেকে শুরু করে সমকামিতা বিদ্বেষের মোকাবিলা করা এবং অস্তিত্বসংক্রান্ত সংকটের সম্মুখীন হওয়া— ইত্যাদি বিষয়ে সম্প্রদায়ের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া। এই পরিষেবাগুলির লক্ষ্য হলো অন্তর্নিহিত সমকামবিদ্বেষ, ধর্মীয় দ্বন্দ্ব, পারিবারিক জটিলতা ইত্যাদি নানা সমস্যার মুখোমুখি হলেও সম্প্রদায়ের সদস্যদের এমন উপায়ে সহায়তা করা, যাতে তারা তাদের যৌন অভিমুখিতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাঁচতে পারে।[৬][১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Atrakouti, Amal। "GHANA: 'The 'anti-gay' bill will have far-reaching consequences if we do not fight it now'"। www.civicus.org (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ David McKenzie and Nimi Princewill (৮ অক্টোবর ২০২১)। "How a US group with links to the far-right may have influenced a crackdown on Ghana's LGBTQ community"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ Welle (www.dw.com), Deutsche। "Ghana court acquits 21 LGBTQ activists arrested during crackdown | DW | 05.08.2021"। DW.COM (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ "Ghana | Human Dignity Trust"। www.humandignitytrust.org. (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২২।
- ↑ "Archbishop of Canterbury criticises Ghana anti-LGBT bill"। BBC News (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২২।
- 1 2 Blackmon, Robert (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "Rightify Ghana"। Alturi (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২২।
- ↑ "Ghana poised to vote on 'worst anti-LGBTQ bill ever,' advocates warn"। NBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ "Next hearing on LGBTQ+Bill to be held in-camera - MyJoyOnline.com"। www.myjoyonline.com (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ Wakefield, Lily (১৩ অক্টোবর ২০২১)। "Ghanaian chief threatens to storm parliament with 10,000 homophobes"। PinkNews। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ Maass, Daly Barnett and Dave (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "Twitter and Facebook Must Speak Out Against Ghana's Repulsive Anti-LGBTQI+ Bill"। Electronic Frontier Foundation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২২।
- ↑ Stewart, Colin (২২ জানুয়ারি ২০২২)। "Rightify Ghana launches fundraising appeal to expand advocacy for LGBTQI+ people"। Erasing 76 Crimes (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ Stewart, Colin (২২ জানুয়ারি ২০২২)। "Rightify Ghana launches fundraising appeal to expand advocacy for LGBTQI+ people"। Erasing 76 Crimes (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২।