রা'না লিয়াকত আলি খান
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
বেগম রানা লিয়াকত আলি খান (জন্ম: ১৯০৫; মৃত্যু: ১৯৯০) পাকিস্তানের বিশিষ্ট মুসলিম নারী নেত্রী। তিনি পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। বেগম রানা ১৯০৫ সালে আগ্রা ও উধ যুক্ত প্রদেশে জন্ম গ্রহণ করেন। তার দাদা একজন হিন্দু ছিলেন, যিনি পরে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তিনি লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন এবং ১৯২৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
বেগম রানা গোখলে মেমোরিয়াল স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি দিল্লির ইন্দোপ্রস্থ কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপিকা হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৩৩ সালের এপ্রিলে নবাবজাদা লিয়াকত আলি খনের সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি নিজেকে মুসলিম নারীদের সংগঠিত করতে কাজ শুরু করেন। পাকিস্তান আন্দোলনে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার স্বামী লিয়াকত আলি খানের হত্যার পর তিনি পাকিস্তানে নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যান। ১৯৯০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৪৮ সালে তিনি নারীদের সামরিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে পাকিস্তান উইমেন্স ন্যাশনাল গার্ড ও পাকিস্তান উইমেন নাভাল রিসার্ভ প্রতিষ্টা করেন। তাকে একজন বিগ্রেডিয়ারের সমমর্যাদায় উভয় প্রতিষ্টানের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালে তিনি পাকিস্তান উইমেন্স এসোসিয়েশন প্রতিষ্টা করেন। তিনি এর প্রথম সভাপতি ছিলেন। বেগম রানা নেদারল্যান্ড (১৯৫০)ও ইতালিতে (১৯৬০) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তানের প্রথম মুসলমান নারী গভর্নর ছিলেন (সিন্ধু প্রদেশ-১৯৭০)। তিনিই প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার পদক লাভ করেন। জাতিসংঘের তিনি প্রথম মুসলিম নারী কূটনৈতিক।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |